Ajker Patrika

চাঁপাইনবাবগঞ্জে পত্রিকা অফিসে ককটেল হামলার মামলা সিআইডিতে

চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধি
চাঁপাইনবাবগঞ্জে পত্রিকা অফিসে ককটেল হামলার মামলা সিআইডিতে

চাঁপাইনবাবগঞ্জের স্থানীয় দৈনিক ‘চাঁপাই চিত্র’ পত্রিকা অফিসে ককটেল হামলা ও সম্পাদককে হুমকির ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রায় দেড় মাস পর তদন্তের দায়িত্ব পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগে (সিআইডিতে) বদলি করা হয়েছে। 

আজ বুধবার দুপুরে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন সিআইডির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আফজাল হোসেন, সিআইডির পরিদর্শক মো. মনোয়ার হোসেন, উপপরিদর্শক রাফি। 

এ সময় উপস্থিত ছিলেন—চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রেসক্লাবের সভাপতি শহিদুল হুদা অলক, সদস্য আনোয়ার হোসেন দিলু, তারেক রহমান, অলিউজ্জামান রুবেল, চাঁপাই চিত্রের নিজস্ব প্রতিবেদক মশিউর রহমান জেহাদ। 

সংবাদ প্রকাশের জেরে গত ২৯ অক্টোবর গভীর রাতে পত্রিকা অফিসে ককটেল হামলা করে সন্ত্রাসীরা। এর আগে ২৭ অক্টোবর মোবাইল ফোনে কৃষক লীগ নেতা মেসবাহুল হক টুটুল পত্রিকাটির সম্পাদক কামাল উদ্দিনকে হুমকি দেন বলে অভিযোগ ওঠে। হুমকির ঘটনায় জিডি ও ককটেল হামলার ঘটনায় মামলা করেন সম্পাদক। 

চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রেসক্লাব সূত্রে জানা যায়, পত্রিকা অফিসে ককটেল হামলা ও সম্পাদককে হুমকির ঘটনায় মামলা দায়েরের পর পুলিশ সুপারকে স্মারকলিপি দিয়েছিলেন সাংবাদিকেরা। চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রেসক্লাবের পক্ষ থেকে দেওয়া স্মারকলিপিতে অপরাধীকে দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবি জানানো হয়। গত ৫ ডিসেম্বর চাঁপাই চিত্র পত্রিকা কার্যালয়ে ককটেল হামলা ও হুমকির ঘটনায় পুলিশের নিষ্ক্রিয়তার প্রতিবাদ ও দোষীদের গ্রেপ্তারের দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি পালন করে স্থানীয় সাংবাদিকেরা। সাংবাদিকদের অবস্থান কর্মসূচির খবরে তড়িঘড়ি করে মামলাটি সিআইডিতে বদলি করে পুলিশ।

চাঁপাই চিত্রের সম্পাদক কামাল উদ্দিন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘গত ২৯ অক্টোবর আমার পত্রিকা অফিসে হামলা চালানো হয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে আলামত সংগ্রহ করে। এ ঘটনায় মামলাও করা হয়। কিন্তু এক মাসেও কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি পুলিশ। তবে মামলাটি সিআইডিতে বদলি হয়েছে। বুধবার দুপুরে সিআইডির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। তিনি অপরাধীদের শনাক্ত করে গ্রেপ্তার করা হবে বলে আশ্বস্ত করেছেন।’ 

এ বিষয়ে সিআইডি চাঁপাইনবাবগঞ্জ কার্যালয়ের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আফজাল হোসেন বলেন, ‘চাঁপাই চিত্র কার্যালয়ে ককটেল হামলার মামলাটি অধিকতর তদন্তের স্বার্থে সংশ্লিষ্ট থানা–পুলিশ মামলার যাবতীয় নথি বুঝিয়ে দিয়েছে। ৫ ডিসেম্বর মামলাটি আমরা হাতে পেয়েছি। আজ (বুধবার) ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। আমরা মামলার তদন্তকাজ চালিয়ে যাচ্ছি। ঘটনার সঙ্গে সরাসরি জড়িত ও নেপথ্যের ইন্ধনদাতাদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তারে আমাদের চেষ্টা অব্যাহত আছে।’ 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত