পাবনা প্রতিনিধি
পাবনার সুজানগরে দুস্থদের খাদ্যসহায়তার জন্য বরাদ্দ ৬৫ বস্তা চাল বিতরণ না করে আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে। গতকাল রোববার রাত ২টার দিকে গোডাউন পরিদর্শন করে এ তথ্য জানান সুজানগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মীর রাশেদুজ্জামান রাশেদ।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে জানা গেছে, নাজিরগঞ্জ ইউনিয়নে ২ হাজার ৩০০ কার্ডে দুস্থদের খাদ্যসহায়তার (ভিজিএফ) চাল বরাদ্দ রয়েছে, যা গত বৃহস্পতিবার থেকে বিতরণ শুরু করে ঈদের আগেই বিতরণ সম্পন্ন করার কথা। কিন্তু সেগুলো সম্পূর্ণরূপে বিতরণ না করে ইউনিয়নের গোয়ারিয়া বাজারে ইউপি চেয়ারম্যান মশিউর রহমানের ব্যক্তিগত গোডাউনে মজুত রাখা হয়।
গতকাল সন্ধ্যার পর সেই গোডাউন থেকে একেকটি ভ্যানে সাত-আট বস্তা করে চাল বিভিন্ন জায়গায় যেতে দেখেন স্থানীয়রা। বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পর গোডাউনের পাশে লোকজন জড়ো হতে থাকলে চেয়ারম্যানের লোকজন গোডাউন বন্ধ করে সটকে পড়েন। অভিযোগ পেয়ে রাত ২টার দিকে ইউএনও ওই গোডাউন পরিদর্শনে গিয়ে ৬৫ বস্তা চাল জব্দ করেন।
স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, গতকাল সন্ধ্যা থেকে ভ্যানে করে ৩০ কেজি বস্তার ভিজিএফের চাল গোডাউন থেকে বের হচ্ছে। তখন আনুমানিক দেড় থেকে ২০০ বস্তার মতো চাল ছিল। এভাবেই দুস্থদের চাল নিয়মের বাইরে তাঁর ব্যক্তিগত লোকদের দেওয়া হয় এবং পরে সেগুলো তারা ৭০০-৮০০ টাকা বস্তা দরে বিক্রি করেন। এতে প্রকৃত সুবিধাভোগীরা বঞ্চিত হন। এ ধরনের অনিয়মের বিচার হওয়া উচিত।
গোয়ারিয়া বাজার এলাকার ভ্যানচালক আবুল কাশেম বলেন, ‘সব ইউনিয়নে ঈদের আগে চাল দিয়ে দিছে। অথচ এখানে গরিবের বাড়ি না গিয়ে চাল চেয়ারম্যানের গোডাউনে। এটি অবশ্যই আত্মসাৎ করতে চেয়েছিলেন। এভাবেই সব আত্মসাৎ হয়ে যাচ্ছে, বঞ্চিত হচ্ছে দুস্থ ও গরিবেরা।’
এদিকে আত্মসাৎচেষ্টার অভিযোগ মিথ্যা ও ষড়যন্ত্র দাবি করেছেন চেয়ারম্যান মশিউর রহমান। তিনি বলেন, ‘অতিরিক্ত গরমের কারণে প্রায় দেড় শ লোক চাল নিতে আসেনি। বাধ্য হয়ে তাদের চাল গোডাউনে রাখা হয়েছে। ঈদের পরে সুবিধাভোগীদের ডেকে বিতরণ করা হবে। তা ছাড়া এটি ব্যক্তিগত গোডাউন নয়, ইউনিয়ন পরিষদের জন্য অনুমোদিত গোডাউন।’
ইউএনও মীর রাশেদুজ্জামান রাশেদ বলেন, ‘আপাতত ৬৫ বস্তা চাল গোডাউনে পেয়েছি, যা ঈদের আগেই বিতরণ শেষ হওয়ার কথা। কিন্তু চেয়ারম্যান বলছেন, অতিরিক্ত গরমের কারণে প্রায় দেড় শ সুবিধাভোগী চাল নিতে আসেননি। সেগুলো তিনি গোডাউনে রেখেছেন। যেগুলো বিতরণে কথা বলা হচ্ছে, সেগুলো ঠিকঠাক বিতরণ হয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখার চেষ্টা করছি।’
ইউএনও আরও বলেন, ‘ওই ৬৫ বস্তা চাল জব্দ করে ইউপি সচিব, গ্রাম পুলিশ ও স্থানীয় ইউপি সদস্যের জিম্মায় রাখা হয়েছে। এতগুলো চাল বিতরণ হয়নি অথচ উনি (চেয়ারম্যান) সংশ্লিষ্ট কাউকেই জানাননি। এখানে নিয়মের ব্যত্যয় হয়েছে। এ ছাড়া আত্মসাতের অভিযোগসহ অন্য সব বিষয়ে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
পাবনার সুজানগরে দুস্থদের খাদ্যসহায়তার জন্য বরাদ্দ ৬৫ বস্তা চাল বিতরণ না করে আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে। গতকাল রোববার রাত ২টার দিকে গোডাউন পরিদর্শন করে এ তথ্য জানান সুজানগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মীর রাশেদুজ্জামান রাশেদ।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে জানা গেছে, নাজিরগঞ্জ ইউনিয়নে ২ হাজার ৩০০ কার্ডে দুস্থদের খাদ্যসহায়তার (ভিজিএফ) চাল বরাদ্দ রয়েছে, যা গত বৃহস্পতিবার থেকে বিতরণ শুরু করে ঈদের আগেই বিতরণ সম্পন্ন করার কথা। কিন্তু সেগুলো সম্পূর্ণরূপে বিতরণ না করে ইউনিয়নের গোয়ারিয়া বাজারে ইউপি চেয়ারম্যান মশিউর রহমানের ব্যক্তিগত গোডাউনে মজুত রাখা হয়।
গতকাল সন্ধ্যার পর সেই গোডাউন থেকে একেকটি ভ্যানে সাত-আট বস্তা করে চাল বিভিন্ন জায়গায় যেতে দেখেন স্থানীয়রা। বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পর গোডাউনের পাশে লোকজন জড়ো হতে থাকলে চেয়ারম্যানের লোকজন গোডাউন বন্ধ করে সটকে পড়েন। অভিযোগ পেয়ে রাত ২টার দিকে ইউএনও ওই গোডাউন পরিদর্শনে গিয়ে ৬৫ বস্তা চাল জব্দ করেন।
স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, গতকাল সন্ধ্যা থেকে ভ্যানে করে ৩০ কেজি বস্তার ভিজিএফের চাল গোডাউন থেকে বের হচ্ছে। তখন আনুমানিক দেড় থেকে ২০০ বস্তার মতো চাল ছিল। এভাবেই দুস্থদের চাল নিয়মের বাইরে তাঁর ব্যক্তিগত লোকদের দেওয়া হয় এবং পরে সেগুলো তারা ৭০০-৮০০ টাকা বস্তা দরে বিক্রি করেন। এতে প্রকৃত সুবিধাভোগীরা বঞ্চিত হন। এ ধরনের অনিয়মের বিচার হওয়া উচিত।
গোয়ারিয়া বাজার এলাকার ভ্যানচালক আবুল কাশেম বলেন, ‘সব ইউনিয়নে ঈদের আগে চাল দিয়ে দিছে। অথচ এখানে গরিবের বাড়ি না গিয়ে চাল চেয়ারম্যানের গোডাউনে। এটি অবশ্যই আত্মসাৎ করতে চেয়েছিলেন। এভাবেই সব আত্মসাৎ হয়ে যাচ্ছে, বঞ্চিত হচ্ছে দুস্থ ও গরিবেরা।’
এদিকে আত্মসাৎচেষ্টার অভিযোগ মিথ্যা ও ষড়যন্ত্র দাবি করেছেন চেয়ারম্যান মশিউর রহমান। তিনি বলেন, ‘অতিরিক্ত গরমের কারণে প্রায় দেড় শ লোক চাল নিতে আসেনি। বাধ্য হয়ে তাদের চাল গোডাউনে রাখা হয়েছে। ঈদের পরে সুবিধাভোগীদের ডেকে বিতরণ করা হবে। তা ছাড়া এটি ব্যক্তিগত গোডাউন নয়, ইউনিয়ন পরিষদের জন্য অনুমোদিত গোডাউন।’
ইউএনও মীর রাশেদুজ্জামান রাশেদ বলেন, ‘আপাতত ৬৫ বস্তা চাল গোডাউনে পেয়েছি, যা ঈদের আগেই বিতরণ শেষ হওয়ার কথা। কিন্তু চেয়ারম্যান বলছেন, অতিরিক্ত গরমের কারণে প্রায় দেড় শ সুবিধাভোগী চাল নিতে আসেননি। সেগুলো তিনি গোডাউনে রেখেছেন। যেগুলো বিতরণে কথা বলা হচ্ছে, সেগুলো ঠিকঠাক বিতরণ হয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখার চেষ্টা করছি।’
ইউএনও আরও বলেন, ‘ওই ৬৫ বস্তা চাল জব্দ করে ইউপি সচিব, গ্রাম পুলিশ ও স্থানীয় ইউপি সদস্যের জিম্মায় রাখা হয়েছে। এতগুলো চাল বিতরণ হয়নি অথচ উনি (চেয়ারম্যান) সংশ্লিষ্ট কাউকেই জানাননি। এখানে নিয়মের ব্যত্যয় হয়েছে। এ ছাড়া আত্মসাতের অভিযোগসহ অন্য সব বিষয়ে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
রাজধানীর উত্তরায় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্তের পর থেকেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম যেন বিভীষিকাময় হয়ে উঠেছে। ফেসবুকে ঢুকলেই ওই দুর্ঘটনার মন খারাপ করা ছবি ও ভিডিও এড়িয়ে যাওয়ার উপায় নেই। স্ক্রল করতে করতে হঠাৎ চোখ আটকে যায় ‘এসএসসি ০৫-এইচএসসি ০৭’ গ্রুপের একটি পোস্টে।
২ ঘণ্টা আগেজাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের করিডরে আগের দিনের মতো চিৎকার-চেঁচামেচি ছিল না গতকাল মঙ্গলবার। ছিল না রক্তের জন্য ছোটাছুটি। হাসপাতালজুড়ে কেমন যেন একটা উৎকণ্ঠা। এই উৎকণ্ঠা দগ্ধ শিশুগুলোর স্বজনদের চোখেমুখে। সবার প্রার্থনা, আর যেন কোনো দুঃসংবাদ কানে না আসে, সব শিশু যেন সুস্থ হয়ে ওঠে।
২ ঘণ্টা আগেশিক্ষার্থীদের প্রতি মমত্ববোধ ও দায়িত্ববোধের অসাধারণ উদাহরণ তৈরি করে গেলেন রাজধানীর মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষক মাহরীন চৌধুরী। যুদ্ধবিমানটি যখন তাঁর প্রতিষ্ঠানে বিধ্বস্ত হয়, তখনো তিনি অক্ষত ও সুস্থ ছিলেন। কিন্তু বিপদের মুখেই তিনি ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন নিজের সন্তানের মতো ছাত্রছাত্রীদের বাঁচাতে।
৩ ঘণ্টা আগেরাজধানীর উত্তরার দিয়াবাড়ির মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজ প্রাঙ্গণে শিক্ষার্থীদের কোলাহল নেই। বিমানবাহিনীর বিধ্বস্ত প্রশিক্ষণ যুদ্ধবিমানের বিকট শব্দে থেমে গেছে সেই কোলাহল। থামেনি সন্তান বা স্বজনহারাদের বুকফাটা কান্না, মাতম। হাসপাতালে যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছে আহত ও দগ্ধরা।
৩ ঘণ্টা আগে