তানোর (রাজশাহী) প্রতিনিধি
বাজারে লাগামহীন সয়াবিন তেলের দাম। সয়াবিন তেলের দাম বৃদ্ধির পর থেকে রাজশাহীর তানোরে সরিষার তেলের চাহিদা বেড়েছে। উপজেলার বিভিন্ন পাইকারি ও খুচরা দোকানগুলোতে আগের তুলনায় সরিষার তেলের বিক্রিও বাড়ছে।
সম্প্রতি উপজেলার বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে ভোজ্যতেলের দাম বেড়েছে লিটার প্রতি ২০ থেকে ৪৫ টাকা। ৫ লিটারের একটি বোতল গত সপ্তাহে বিক্রি হয়েছিল প্রায় ৮৫০ টাকায়। চলতি সপ্তাহে বাজার ভেদে ৯৭৫ থেকে ১১০০ টাকা দামেও বিক্রি হচ্ছে। এ ছাড়া খোলা সয়াবিন তেল বিক্রি হচ্ছে প্রতি লিটার ১৯০ থেকে ২০০ টাকা।
স্থানীয় বাজারের দোকানগুলো ঘুরে সয়াবিন তেলের সংকটও দেখা দিয়েছে। প্রায় দোকানেই বোতলজাত তেল পর্যাপ্ত নেই বলে জানা গেছে। অন্যদিকে সরিষার তেল প্রতি লিটার বিক্রি হচ্ছে ১৮০ থেকে ২০০ টাকা ধরে। আর ৫ লিটার বোতল বিক্রি হচ্ছে ৮৫০ টাকা থেকে ৯৫০ টাকা দরে। ফলে স্থানীয়ভাবে সংগ্রহ করা সরিষার তেলের কারখানায়ও বিক্রি হচ্ছে অন্য সময়ের থেকে বেশি।
তানোর পৌরশহরের গোল্লাপাড়া বাজারে ক্রেতা এরফান আলী বলেন, দিন দিন তেলের দামের সঙ্গে আর পেরে উঠতে পারছি না। মাসে যা বেতন পাই, তা দিয়ে দুই সপ্তাহ বাজার করলেই টাকা শেষ হয়ে যায়। যে তেল আগে কিনছি ১২০ টাকা দিয়ে সেই তেল এখন ২২০ টাকা। দ্রব্যের দাম বাড়লেও বেতন বাড়েনি। সবজির বাজারও চড়া।
উপজেলার কালনা গ্রাম থেকে হাটে আসা আসগর আলী নামে এক ক্রেতা বলেন, সয়াবিন তেল আর সরিষা তেলের দাম এখন প্রায় কাছাকাছি। সয়াবিন তেলের তুলনায় সরিষার তেল স্বাস্থ্যসম্মত। ফলে আগের চেয়ে সরিষার তেল পরিমাণে বেশি কিনছি। ভাবছি এখন থেকে সয়াবিন তেল খাওয়া বাদ দিয়ে দেব।
নাজনিন আরা নামে আরেক ক্রেতা বলেন, সয়াবিনের তেলের তুলনায় সরিষার তেলে ব্যবহারে কম লাগে। ফলে সরিষা তেল স্বাস্থ্যসম্মত ও সাশ্রয়ী।
বিসমিল্লাহ খাবার হোটেলের মালিক সুমন আলী বলেন, ‘তেল কিনতে হচ্ছে দ্বিগুণ টাকা দিয়ে। ফলে আমাদের খাবারেরও দাম একটু বেড়েছে।’
মুন্ডুমালা পৌরবাজারের ক্রেতা সামসুজ্জামান জোহা বলেন, ‘সরিষার থেকে সয়াবিন তেলের দাম বেশি। তাই সরিষার তেল কিনছি। আগে মানুষ সরিষার তেলই খেত, এখন আমরাও সরিষার দিকে ঝুঁকছি।’
গোল্লাপাড়া সদরের মুদি দোকানি ওহাব হোসেন বলেন, আগে তুলনামূলক সয়াবিন তেলের থেকে সরিষার তেল কম বিক্রি হতো। কিন্তু ইদানীং সরিষার তেল বেশি বিক্রি হচ্ছে।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. বার্নাবাস হাসদাক বলেন, সয়াবিন তেলের তুলনায় সরিষার তেল স্বাস্থ্যসম্মত। তবে সে ক্ষেত্রে ক্রেতাকে অবশ্যই ঘানি বা মেশিনে সরিষা ভাঙছে, সেখান থেকে সরাসরি তেল সংগ্রহ করতে হবে। কেমিক্যাল মেশানো হচ্ছে না- এটি নিশ্চিত করে সরিষার তেল কিনতে হবে ক্রেতাকে। এতে করে শরীরে গ্যাস্ট্রিকের জটিলতা ও রক্তে চর্বি কম হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) পংকজ চন্দ্র দেবনাথ বলেন, ‘ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে উপজেলার হাট-বাজারগুলো তদারকি করছেন। কোনো ব্যবসায়ী যাতে পণ্য মজুত করে অতিরিক্ত দামে বিক্রি না করতে পারেন তা সার্বক্ষণিক নজরে রাখা হচ্ছে। আমরা দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণের জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি।’
বাজারে লাগামহীন সয়াবিন তেলের দাম। সয়াবিন তেলের দাম বৃদ্ধির পর থেকে রাজশাহীর তানোরে সরিষার তেলের চাহিদা বেড়েছে। উপজেলার বিভিন্ন পাইকারি ও খুচরা দোকানগুলোতে আগের তুলনায় সরিষার তেলের বিক্রিও বাড়ছে।
সম্প্রতি উপজেলার বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে ভোজ্যতেলের দাম বেড়েছে লিটার প্রতি ২০ থেকে ৪৫ টাকা। ৫ লিটারের একটি বোতল গত সপ্তাহে বিক্রি হয়েছিল প্রায় ৮৫০ টাকায়। চলতি সপ্তাহে বাজার ভেদে ৯৭৫ থেকে ১১০০ টাকা দামেও বিক্রি হচ্ছে। এ ছাড়া খোলা সয়াবিন তেল বিক্রি হচ্ছে প্রতি লিটার ১৯০ থেকে ২০০ টাকা।
স্থানীয় বাজারের দোকানগুলো ঘুরে সয়াবিন তেলের সংকটও দেখা দিয়েছে। প্রায় দোকানেই বোতলজাত তেল পর্যাপ্ত নেই বলে জানা গেছে। অন্যদিকে সরিষার তেল প্রতি লিটার বিক্রি হচ্ছে ১৮০ থেকে ২০০ টাকা ধরে। আর ৫ লিটার বোতল বিক্রি হচ্ছে ৮৫০ টাকা থেকে ৯৫০ টাকা দরে। ফলে স্থানীয়ভাবে সংগ্রহ করা সরিষার তেলের কারখানায়ও বিক্রি হচ্ছে অন্য সময়ের থেকে বেশি।
তানোর পৌরশহরের গোল্লাপাড়া বাজারে ক্রেতা এরফান আলী বলেন, দিন দিন তেলের দামের সঙ্গে আর পেরে উঠতে পারছি না। মাসে যা বেতন পাই, তা দিয়ে দুই সপ্তাহ বাজার করলেই টাকা শেষ হয়ে যায়। যে তেল আগে কিনছি ১২০ টাকা দিয়ে সেই তেল এখন ২২০ টাকা। দ্রব্যের দাম বাড়লেও বেতন বাড়েনি। সবজির বাজারও চড়া।
উপজেলার কালনা গ্রাম থেকে হাটে আসা আসগর আলী নামে এক ক্রেতা বলেন, সয়াবিন তেল আর সরিষা তেলের দাম এখন প্রায় কাছাকাছি। সয়াবিন তেলের তুলনায় সরিষার তেল স্বাস্থ্যসম্মত। ফলে আগের চেয়ে সরিষার তেল পরিমাণে বেশি কিনছি। ভাবছি এখন থেকে সয়াবিন তেল খাওয়া বাদ দিয়ে দেব।
নাজনিন আরা নামে আরেক ক্রেতা বলেন, সয়াবিনের তেলের তুলনায় সরিষার তেলে ব্যবহারে কম লাগে। ফলে সরিষা তেল স্বাস্থ্যসম্মত ও সাশ্রয়ী।
বিসমিল্লাহ খাবার হোটেলের মালিক সুমন আলী বলেন, ‘তেল কিনতে হচ্ছে দ্বিগুণ টাকা দিয়ে। ফলে আমাদের খাবারেরও দাম একটু বেড়েছে।’
মুন্ডুমালা পৌরবাজারের ক্রেতা সামসুজ্জামান জোহা বলেন, ‘সরিষার থেকে সয়াবিন তেলের দাম বেশি। তাই সরিষার তেল কিনছি। আগে মানুষ সরিষার তেলই খেত, এখন আমরাও সরিষার দিকে ঝুঁকছি।’
গোল্লাপাড়া সদরের মুদি দোকানি ওহাব হোসেন বলেন, আগে তুলনামূলক সয়াবিন তেলের থেকে সরিষার তেল কম বিক্রি হতো। কিন্তু ইদানীং সরিষার তেল বেশি বিক্রি হচ্ছে।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. বার্নাবাস হাসদাক বলেন, সয়াবিন তেলের তুলনায় সরিষার তেল স্বাস্থ্যসম্মত। তবে সে ক্ষেত্রে ক্রেতাকে অবশ্যই ঘানি বা মেশিনে সরিষা ভাঙছে, সেখান থেকে সরাসরি তেল সংগ্রহ করতে হবে। কেমিক্যাল মেশানো হচ্ছে না- এটি নিশ্চিত করে সরিষার তেল কিনতে হবে ক্রেতাকে। এতে করে শরীরে গ্যাস্ট্রিকের জটিলতা ও রক্তে চর্বি কম হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) পংকজ চন্দ্র দেবনাথ বলেন, ‘ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে উপজেলার হাট-বাজারগুলো তদারকি করছেন। কোনো ব্যবসায়ী যাতে পণ্য মজুত করে অতিরিক্ত দামে বিক্রি না করতে পারেন তা সার্বক্ষণিক নজরে রাখা হচ্ছে। আমরা দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণের জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি।’
রিয়েল এস্টেট কোম্পানির নামে জমি ও ফ্ল্যাটে বিনিয়োগে মুনাফা দেওয়ার কথা বলে, কখনো বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি দেওয়ার নামে হাতিয়ে নেওয়া হয়েছে টাকা। এ জন্য রাজধানী ঢাকা, সাভার, ময়মনসিংহ ও রংপুরে খোলা হয়েছিল কার্যালয়। বিনিয়োগকারীদের অভিযোগ, এখন তাদের আর পাওয়া যাচ্ছে না। চক্রটি হাতিয়ে নিয়েছে কোটি কোটি টাকা
৩ ঘণ্টা আগেযশোরের মনিরামপুরে সরকারি অর্থ বরাদ্দের টাকায় মুক্তেশ্বরী নদী খুঁড়ে বালু তুলে মুক্তেশ্বরী ডিগ্রি কলেজের মাঠ ভরাটের অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগ উঠেছে, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নিশাত তামান্নার তত্ত্বাবধানেই চলছে এ কাজ। তবে অভিযোগ অস্বীকার করে ইউএনও বলেছেন, নদী থেকে নয়, বালু কিনে এনে মাঠ ভরাট করা
৩ ঘণ্টা আগেমানিকগঞ্জের ঘিওর উপজেলার কেন্দ্রীয় ঈদগাহ মাঠ। বিভিন্ন আকার ও ডিজাইনের নৌকা সাজানো সেখানে। এটি আসলে নৌকার হাট। নির্দিষ্ট জায়গা ছাড়িয়ে হাটসংলগ্ন ডি এন পাইলট উচ্চবিদ্যালয়ের মাঠেও বেচাকেনা হচ্ছে।
৩ ঘণ্টা আগে‘ওর বাবার চোখের সামনেই বিমানটা ভাইঙ্গা পড়ছে। নিচতলায় তখন শুধু আগুন। দোতলায় ধোঁয়া। দরজা বন্ধ। আর্মির সাথে মিল্লা দোতলার পিছনের গ্রিল ভাইঙ্গা উনি মেয়েটারে বাইর করছেন।’ বলছিলেন রাজধানীর উত্তরায় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রী সামিয়া আহমেদের মা শিউলি আক্তার।
৪ ঘণ্টা আগে