প্রতিনিধি, কাজীপুর (সিরাজগঞ্জ)
গত বছরের বন্যায় হওয়া ফসলের ক্ষতি পুষিয়ে নিতে আশায় বুক বেঁধে রোপা আমনের চাষ করছিলেন কাজীপুরের কৃষকেরা। সময়মতো বৃষ্টি আর সঠিক পরিচর্যায় খুব দ্রুতই ধানের চারা বেড়েও উঠেছিল। অনেক খেতে নিড়ানি ও সার ছিটানো হয়েছিল। কিন্তু সম্প্রতি যমুনার ভয়াবহ তাণ্ডবে এবারও চরম ক্ষতির শিকার হয়েছেন তাঁরা। কয়েক দিন আগেই উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল ও অতিবৃষ্টির কারণে যমুনার পানি অত্যধিক বৃদ্ধি পেয়েছিল। এতে সিরাজগঞ্জের কাজীপুরে রোপা আমনের ক্ষতির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে প্রায় সোয়া ২০ কোটি টাকা। এই ক্ষতির শিকার হয়েছেন উপজেলার ১৩ হাজার ৩৭১ জন কৃষক।
কাজীপুর উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার চরাঞ্চলে অবস্থিত ৬ ইউনিয়নসহ ১২ ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভার ৫০ হাজার কৃষক ১১ হাজার ৪৬৫ হেক্টর জমিতে রোপা আমন চাষ করেছিলেন। এর মধ্যে রয়েছে হাইব্রিড জাতের ২০ হেক্টর, উফশী জাতের ৯ হাজার ৫০০ হেক্টর এবং স্থানীয় জাতের ১ হাজার ৯৪৫ হেক্টর। এতে উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল ২৯ হাজার ৭৪৭ টন। এতে হাইব্রিড জাতের ৭৮ টন, উফশী ২৬ হাজার ৭৯০ টন এবং স্থানীয় জাতের ২ হাজার ৮৭৯ টন ধরা হয়েছিল। রোপা আমন বীজতলার ক্ষতি হয়েছে ৩০ হেক্টর, রোপা আমন ২ হাজার ৫২০ হেক্টর, শাকসবজি ১৫ হেক্টর ও কলার খেত ৩ হেক্টর।
চরগিরিশমের কৃষক আব্দুল বারিক বলেন, `এবার তিন বিঘা জমিতে ধানের চারা লাগিয়েছিলাম। চারা বড়ও হয়েছিল। নিড়ানি ও সার দেওয়া শুরু করেছি। এরই মধ্যে বন্যার পানিতে তলিয়ে যায় আমার খেত। সব ফসল নষ্ট হয়ে গেছে।'
মনসুরনগর ইউনিয়নের মাজনাবাড়ির কৃষক বক্কার শেখ বলেন, দুই বিঘার ধান সব নষ্ট হয়ে গেছে। গতবারের ক্ষতি পুষিয়ে উঠতে এবারও ধানের চারা লাগিয়েছিলাম। কিন্তু সেই ক্ষতি এবারও হলো। ভাবছি সেখানে মাষকলাইয়ের চাষ করব।
কাজীপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রেজাউল করিম আজকের পত্রিকাকে বলেন, চরাঞ্চলের কৃষকেরাই এবার বন্যায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতির শিকার হয়েছেন। অনেকের আগাম লাগানো আধা পাকা ধানও পানিতে নিমজ্জিত হওয়ায় তা নষ্ট হয়ে গেছে।
কৃষি কর্মকর্তা আরও বলেন, ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের জন্য সরকারিভাবে মাষকলাইয়ের বীজ বরাদ্দ করা হয়েছে। প্রথম পর্যায়ে সাড়ে ৯০০ কৃষক সরকারি এই প্রণোদনা পাবেন। তাঁদের মাষকলাই ও সরিষা চাষের জন্য প্রয়োজনীয় পরামর্শ ও সহায়তা দেওয়া হবে।
গত বছরের বন্যায় হওয়া ফসলের ক্ষতি পুষিয়ে নিতে আশায় বুক বেঁধে রোপা আমনের চাষ করছিলেন কাজীপুরের কৃষকেরা। সময়মতো বৃষ্টি আর সঠিক পরিচর্যায় খুব দ্রুতই ধানের চারা বেড়েও উঠেছিল। অনেক খেতে নিড়ানি ও সার ছিটানো হয়েছিল। কিন্তু সম্প্রতি যমুনার ভয়াবহ তাণ্ডবে এবারও চরম ক্ষতির শিকার হয়েছেন তাঁরা। কয়েক দিন আগেই উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল ও অতিবৃষ্টির কারণে যমুনার পানি অত্যধিক বৃদ্ধি পেয়েছিল। এতে সিরাজগঞ্জের কাজীপুরে রোপা আমনের ক্ষতির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে প্রায় সোয়া ২০ কোটি টাকা। এই ক্ষতির শিকার হয়েছেন উপজেলার ১৩ হাজার ৩৭১ জন কৃষক।
কাজীপুর উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার চরাঞ্চলে অবস্থিত ৬ ইউনিয়নসহ ১২ ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভার ৫০ হাজার কৃষক ১১ হাজার ৪৬৫ হেক্টর জমিতে রোপা আমন চাষ করেছিলেন। এর মধ্যে রয়েছে হাইব্রিড জাতের ২০ হেক্টর, উফশী জাতের ৯ হাজার ৫০০ হেক্টর এবং স্থানীয় জাতের ১ হাজার ৯৪৫ হেক্টর। এতে উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল ২৯ হাজার ৭৪৭ টন। এতে হাইব্রিড জাতের ৭৮ টন, উফশী ২৬ হাজার ৭৯০ টন এবং স্থানীয় জাতের ২ হাজার ৮৭৯ টন ধরা হয়েছিল। রোপা আমন বীজতলার ক্ষতি হয়েছে ৩০ হেক্টর, রোপা আমন ২ হাজার ৫২০ হেক্টর, শাকসবজি ১৫ হেক্টর ও কলার খেত ৩ হেক্টর।
চরগিরিশমের কৃষক আব্দুল বারিক বলেন, `এবার তিন বিঘা জমিতে ধানের চারা লাগিয়েছিলাম। চারা বড়ও হয়েছিল। নিড়ানি ও সার দেওয়া শুরু করেছি। এরই মধ্যে বন্যার পানিতে তলিয়ে যায় আমার খেত। সব ফসল নষ্ট হয়ে গেছে।'
মনসুরনগর ইউনিয়নের মাজনাবাড়ির কৃষক বক্কার শেখ বলেন, দুই বিঘার ধান সব নষ্ট হয়ে গেছে। গতবারের ক্ষতি পুষিয়ে উঠতে এবারও ধানের চারা লাগিয়েছিলাম। কিন্তু সেই ক্ষতি এবারও হলো। ভাবছি সেখানে মাষকলাইয়ের চাষ করব।
কাজীপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রেজাউল করিম আজকের পত্রিকাকে বলেন, চরাঞ্চলের কৃষকেরাই এবার বন্যায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতির শিকার হয়েছেন। অনেকের আগাম লাগানো আধা পাকা ধানও পানিতে নিমজ্জিত হওয়ায় তা নষ্ট হয়ে গেছে।
কৃষি কর্মকর্তা আরও বলেন, ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের জন্য সরকারিভাবে মাষকলাইয়ের বীজ বরাদ্দ করা হয়েছে। প্রথম পর্যায়ে সাড়ে ৯০০ কৃষক সরকারি এই প্রণোদনা পাবেন। তাঁদের মাষকলাই ও সরিষা চাষের জন্য প্রয়োজনীয় পরামর্শ ও সহায়তা দেওয়া হবে।
ঝিনাইদহ সদর খাদ্যগুদাম থেকে দুই সপ্তাহ আগে ৩০০ টন গমের চাহিদা দেওয়া হয়। চাহিদার বিপরীতে গত বৃহস্পতিবার আটটি ট্রাকে ৬৪ টন গম আসে। বাহকদের কাছ থেকে বুঝে নেওয়ার সময় দেখা যায় গমগুলো ছত্রাক ধরা ও নিম্নমানের। তখন আনলোড না করে এই গম খুলনাতে ফেরত দেওয়ার জন্য প্রক্রিয়া শুরু করি।
২২ মিনিট আগেচাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌর এলাকার ডিসি কার্যালয়ের সামনে কালেক্টর চত্বর, সিভিল সার্জন কার্যালয়ের সামনেসহ নিউমার্কেট, ক্লাব সুপার মার্কেট, প্রফেসরপাড়া, বালুবাগান, আরামবাগ, মেথরপাড়া, নবাবগঞ্জ সরকারি কলেজের সামনে, বাতেন খাঁসহ অনেক জায়গায় হাঁটুপানি জমে আছে।
৩৪ মিনিট আগেপুলিশি সেবা অতি দ্রুত ও সহজে জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেওয়ার জন্য বাংলাদেশ পুলিশ সর্বদা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। সেবা মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে এই কার্যক্রম চালু করা হচ্ছে। এতে পুলিশের প্রতি মানুষের আস্থা বাড়বে। যে কেউ ঘরে বসেই অ্যাপসের মাধ্যমে অনলাইন জিডি করতে পারবে। আগে শুধু হারানো জিডি করা যেত।
১ ঘণ্টা আগেরাজশাহী সিটি করপোরেশনের (রাসিক) উন্নয়নকাজে চরম ধীরগতি ও সেবায় অব্যবস্থাপনার অভিযোগ তুলেছেন ঠিকাদারেরা। তাঁদের অভিযোগ, বিল পরিশোধে দীর্ঘসূত্রতার কারণে বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প কার্যত থমকে আছে। কোথাও কোথাও কাজ পুরোপুরি বন্ধ হয়ে গেছে। এতে শহরে ট্রাফিক জ্যাম বেড়েছে। নাগরিক সেবায়ও ভোগান্তি চরমে পৌঁছেছে।
৭ ঘণ্টা আগে