নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী
সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ হয়েও রয়েছেন রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতির পদে। অধ্যক্ষ হিসেবে নিয়োগে ঘাপলা, অর্থ আত্মসাৎ, প্রতারণা, ক্ষমতার অপপ্রয়োগসহ রয়েছে নানা অভিযোগ। লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছে উপজেলা প্রশাসন।
মইনুল ইসলাম গোদাগাড়ী সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের অধ্যক্ষ। ২০১৮ সালে প্রতিষ্ঠানটি সরকারিকরণ হয়। এর আগে ২০১৭ সালে উপজেলা আওয়ামী লীগের কমিটিতে সহসভাপতির পদ পান মইনুল ইসলাম। পরে তাঁর কলেজ সরকারিকরণ হলেও তিনি দলীয় পদ ছাড়েননি। চাকরিবিধি লঙ্ঘন করে তিনি এখনো আওয়ামী লীগের দলীয় পদে বহাল আছেন। চাকরিবিধি লঙ্ঘন করায় তাঁকে বরখাস্তের দাবি জানিয়েছেন প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।
গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকে মইনুল ইসলামও লাপাত্তা। গত ১৩ আগস্ট কলেজের শিক্ষার্থী ও অভিভাবকেরা তাঁর বিরুদ্ধে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। অভিযোগে বলা হয়, মইনুলকে অধ্যক্ষ নিয়োগেই ঘাপলা ছিল। কলেজের সহকারী অধ্যাপকদের বাদ দিয়ে প্রভাষক ও দলীয় নেতা মইনুল ইসলামকে প্রথমে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ করেছিলেন তৎকালীন এমপি ওমর ফারুক চৌধুরী। পরে তাঁকেই অধ্যক্ষ করা হয়। এরপর থেকে ক্ষমতার দাপট দেখাতেন অধ্যক্ষ মইনুল।
অভিযোগে বলা হয়, ২০১৮ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর কলেজটি সরকারিকরণ হয়। আর শিক্ষক-কর্মচারীদের এই কলেজেই আত্তীকরণের প্রজ্ঞাপন হয় চলতি বছরের ৬ মার্চ। এই প্রজ্ঞাপনে তিনি যোগ্যতা অনুযায়ী পঞ্চম গ্রেড প্রাপ্য হলেও প্রভাব খাটিয়ে নিজের বেতন করে নেন চতুর্থ গ্রেডে। তিনি প্রতি মাসে ১২ হাজার ৫০৬ টাকা করে বাড়তি বেতন-ভাতা নিচ্ছেন। ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বর থেকে চলতি বছরের মার্চ পর্যন্ত বকেয়া হিসেবেই তিনি বাড়তি নিয়েছেন প্রায় সাড়ে ৩ লাখ টাকা। এ ছাড়া চলতি বছরে আরও বাড়তি নিয়েছেন প্রায় ৫০ হাজার টাকা।
কলেজের শিক্ষকেরা জানান, প্রতিষ্ঠানটি জাতীয়করণ হলে শিক্ষক-কর্মচারীদের চাকরি সরকারিকরণের কথা বলে অধ্যক্ষ মইনুল ইসলাম ব্যাপক অর্থ আত্মসাৎ করেন। সে সময় তিনি সব শিক্ষক-কর্মচারীর কাছ থেকে প্রায় ৭৫ লাখ টাকা তুলে সেই টাকা আত্মসাৎ করেন বলে শিক্ষকদের অভিযোগ।
সরকারি চাকরিজীবীদের কোনো দলীয় পদে থাকার সুযোগ নেই। কিন্তু এই বিধি অমান্য করে অধ্যক্ষ মইনুল ইসলাম উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতির পদে এখনো আছেন। শুধু তা-ই নয়, তিনি কিছুদিন আগে অনুষ্ঠিত উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চর আষাড়িয়াদহ ও বাসুদেবপুর ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের পক্ষে দায়িত্ব পালন করেন।
অভিযোগে বলা হয়, অধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব নিয়েই প্রতিষ্ঠানের বিপুল পরিমাণ টাকা আত্মসাৎ করেছেন মইনুল ইসলাম। সাবেক এমপি ওমর ফারুক চৌধুরীর আশীর্বাদপুষ্ট হওয়ায় তাঁর বিরুদ্ধে কেউ মুখ খুলতে পারেননি। গত ৫ আগস্ট সরকার পতনের পর থেকে তিনি লাপাত্তা।
তবে প্রতিষ্ঠানের এক শিক্ষক বলেন, সরকার পতনের পর শুধু গত ১৮ আগস্ট ১৫ মিনিটের জন্য অফিসে এসেছিলেন অধ্যক্ষ মইনুল ইসলাম। এরপর হাজিরা খাতায় কয়েক দিন ছুটি দেখিয়েছেন। এ ছাড়া অনুপস্থিত থাকা অন্য দিনগুলোতেও স্বাক্ষর দেন। বিষয়টি বুঝতে পেরে ২০ আগস্ট শিক্ষার্থী ও অভিভাবকেরা তাঁর অপসারণের দাবিতে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেন। তাঁরা ইউএনওর কাছে গিয়ে অভিযোগ জানান।
এরপর ইউএনও আবুল হায়াত হাজিরা খাতা যাচাই করেন। অনুপস্থিত থেকেও হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর করায় তিনি সেই দিনগুলো অধ্যক্ষকে অনুপস্থিত লিখে দিয়েছেন। এ ছাড়া অধ্যক্ষ লাপাত্তা থাকায় তিনি শিক্ষকদের সভা করে জ্যেষ্ঠ কোনো শিক্ষককে চলতি দায়িত্ব দেওয়ার নির্দেশনা দেন। সে অনুযায়ী শিক্ষকেরা সভা করে সহকারী অধ্যাপক আসমা রেহেনাকে অধ্যক্ষের চলতি দায়িত্ব দেন।
সরকারি চাকরি করেও দলীয় পদে থাকাসহ অন্যান্য অভিযোগের বিষয়ে জানতে অধ্যক্ষ মইনুল ইসলামকে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে গোদাগাড়ীর ইউএনও আবুল হায়াত আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘অধ্যক্ষ মইনুল ইসলামের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে তাঁর অর্থ আত্মসাৎসহ নিয়োগে অনিয়মের ব্যাপারে বলা যাবে। জাতীয়করণের নামে শিক্ষক-কর্মচারীদের কাছ থেকে ৭৫ লাখ টাকা নিয়েছেন কিনা সেটিও তদন্ত হবে। যদি জাতীয়করণের পরও তিনি কোনো রাজনৈতিক দলের পদে থাকেন, তাহলে সেটি বিধিসম্মত নয়। এর প্রমাণ পাওয়া গেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ হয়েও রয়েছেন রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতির পদে। অধ্যক্ষ হিসেবে নিয়োগে ঘাপলা, অর্থ আত্মসাৎ, প্রতারণা, ক্ষমতার অপপ্রয়োগসহ রয়েছে নানা অভিযোগ। লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছে উপজেলা প্রশাসন।
মইনুল ইসলাম গোদাগাড়ী সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের অধ্যক্ষ। ২০১৮ সালে প্রতিষ্ঠানটি সরকারিকরণ হয়। এর আগে ২০১৭ সালে উপজেলা আওয়ামী লীগের কমিটিতে সহসভাপতির পদ পান মইনুল ইসলাম। পরে তাঁর কলেজ সরকারিকরণ হলেও তিনি দলীয় পদ ছাড়েননি। চাকরিবিধি লঙ্ঘন করে তিনি এখনো আওয়ামী লীগের দলীয় পদে বহাল আছেন। চাকরিবিধি লঙ্ঘন করায় তাঁকে বরখাস্তের দাবি জানিয়েছেন প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।
গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকে মইনুল ইসলামও লাপাত্তা। গত ১৩ আগস্ট কলেজের শিক্ষার্থী ও অভিভাবকেরা তাঁর বিরুদ্ধে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। অভিযোগে বলা হয়, মইনুলকে অধ্যক্ষ নিয়োগেই ঘাপলা ছিল। কলেজের সহকারী অধ্যাপকদের বাদ দিয়ে প্রভাষক ও দলীয় নেতা মইনুল ইসলামকে প্রথমে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ করেছিলেন তৎকালীন এমপি ওমর ফারুক চৌধুরী। পরে তাঁকেই অধ্যক্ষ করা হয়। এরপর থেকে ক্ষমতার দাপট দেখাতেন অধ্যক্ষ মইনুল।
অভিযোগে বলা হয়, ২০১৮ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর কলেজটি সরকারিকরণ হয়। আর শিক্ষক-কর্মচারীদের এই কলেজেই আত্তীকরণের প্রজ্ঞাপন হয় চলতি বছরের ৬ মার্চ। এই প্রজ্ঞাপনে তিনি যোগ্যতা অনুযায়ী পঞ্চম গ্রেড প্রাপ্য হলেও প্রভাব খাটিয়ে নিজের বেতন করে নেন চতুর্থ গ্রেডে। তিনি প্রতি মাসে ১২ হাজার ৫০৬ টাকা করে বাড়তি বেতন-ভাতা নিচ্ছেন। ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বর থেকে চলতি বছরের মার্চ পর্যন্ত বকেয়া হিসেবেই তিনি বাড়তি নিয়েছেন প্রায় সাড়ে ৩ লাখ টাকা। এ ছাড়া চলতি বছরে আরও বাড়তি নিয়েছেন প্রায় ৫০ হাজার টাকা।
কলেজের শিক্ষকেরা জানান, প্রতিষ্ঠানটি জাতীয়করণ হলে শিক্ষক-কর্মচারীদের চাকরি সরকারিকরণের কথা বলে অধ্যক্ষ মইনুল ইসলাম ব্যাপক অর্থ আত্মসাৎ করেন। সে সময় তিনি সব শিক্ষক-কর্মচারীর কাছ থেকে প্রায় ৭৫ লাখ টাকা তুলে সেই টাকা আত্মসাৎ করেন বলে শিক্ষকদের অভিযোগ।
সরকারি চাকরিজীবীদের কোনো দলীয় পদে থাকার সুযোগ নেই। কিন্তু এই বিধি অমান্য করে অধ্যক্ষ মইনুল ইসলাম উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতির পদে এখনো আছেন। শুধু তা-ই নয়, তিনি কিছুদিন আগে অনুষ্ঠিত উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চর আষাড়িয়াদহ ও বাসুদেবপুর ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের পক্ষে দায়িত্ব পালন করেন।
অভিযোগে বলা হয়, অধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব নিয়েই প্রতিষ্ঠানের বিপুল পরিমাণ টাকা আত্মসাৎ করেছেন মইনুল ইসলাম। সাবেক এমপি ওমর ফারুক চৌধুরীর আশীর্বাদপুষ্ট হওয়ায় তাঁর বিরুদ্ধে কেউ মুখ খুলতে পারেননি। গত ৫ আগস্ট সরকার পতনের পর থেকে তিনি লাপাত্তা।
তবে প্রতিষ্ঠানের এক শিক্ষক বলেন, সরকার পতনের পর শুধু গত ১৮ আগস্ট ১৫ মিনিটের জন্য অফিসে এসেছিলেন অধ্যক্ষ মইনুল ইসলাম। এরপর হাজিরা খাতায় কয়েক দিন ছুটি দেখিয়েছেন। এ ছাড়া অনুপস্থিত থাকা অন্য দিনগুলোতেও স্বাক্ষর দেন। বিষয়টি বুঝতে পেরে ২০ আগস্ট শিক্ষার্থী ও অভিভাবকেরা তাঁর অপসারণের দাবিতে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেন। তাঁরা ইউএনওর কাছে গিয়ে অভিযোগ জানান।
এরপর ইউএনও আবুল হায়াত হাজিরা খাতা যাচাই করেন। অনুপস্থিত থেকেও হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর করায় তিনি সেই দিনগুলো অধ্যক্ষকে অনুপস্থিত লিখে দিয়েছেন। এ ছাড়া অধ্যক্ষ লাপাত্তা থাকায় তিনি শিক্ষকদের সভা করে জ্যেষ্ঠ কোনো শিক্ষককে চলতি দায়িত্ব দেওয়ার নির্দেশনা দেন। সে অনুযায়ী শিক্ষকেরা সভা করে সহকারী অধ্যাপক আসমা রেহেনাকে অধ্যক্ষের চলতি দায়িত্ব দেন।
সরকারি চাকরি করেও দলীয় পদে থাকাসহ অন্যান্য অভিযোগের বিষয়ে জানতে অধ্যক্ষ মইনুল ইসলামকে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে গোদাগাড়ীর ইউএনও আবুল হায়াত আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘অধ্যক্ষ মইনুল ইসলামের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে তাঁর অর্থ আত্মসাৎসহ নিয়োগে অনিয়মের ব্যাপারে বলা যাবে। জাতীয়করণের নামে শিক্ষক-কর্মচারীদের কাছ থেকে ৭৫ লাখ টাকা নিয়েছেন কিনা সেটিও তদন্ত হবে। যদি জাতীয়করণের পরও তিনি কোনো রাজনৈতিক দলের পদে থাকেন, তাহলে সেটি বিধিসম্মত নয়। এর প্রমাণ পাওয়া গেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
গাজীপুরের শ্রীপুরে মাদক সেবন করে ফুটবল মাঠে গিয়ে অস্বাভাবিক আচরণে বাধা দেওয়ার হুমকির দুই ঘণ্টা পর ছুরিকাঘাতে এক স্কুলছাত্র খুন হয়েছে। গতকাল শুক্রবার দিবাগত রাত ১০টার দিকে পৌরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ডের লোহাগাছ গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। পরে রাত ১২টায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত...
৪৩ মিনিট আগেপটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জে পাট চাষের আড়ালে গাঁজা চাষ করছিল এক কৃষক। গতকাল শুক্রবার রাতে উপজেলার মির্জাগঞ্জ ইউনিয়নের আন্দুয়া গ্রামে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে ২টি গাঁজার গাছসহ তাকে আটক করেছে পুলিশ। ওই গাঁজা চাষির নাম মো. আবুল হোসেন হাওলাদার (৪৭)। তিনি একই গ্রামের মৃত তোজাম্বের হাওলাদারের ছেলে।
১ ঘণ্টা আগেদেশ টেলিভিশনের নরসিংদী প্রতিনিধি ও নরসিংদী প্রেস ক্লাবের সহসাধারণ সম্পাদক আকরাম হোসেন (৪০) ও তার পরিবারের ওপর হামলা চালিয়েছে দুর্বৃত্তরা। গতকাল শুক্রবার রাত পৌনে ১০টার দিকে শহরের বাসাইল এলাকায় ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের পাশের একটি রেস্টুরেন্টের সামনে এই হামলার ঘটনা ঘটে। এতে অল্পের জন্য বড় ধরনের বিপদ...
২ ঘণ্টা আগেব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পরপর দুইটি ট্রেন লাইনচ্যুত হওয়ার ঘটনায় ঢাকা-সিলেট ও ঢাকা-চট্টগ্রাম রুটে ট্রেন চলাচলে নেমে এসেছে চরম সিডিউল বিপর্যয়। ঘণ্টার পর ঘণ্টা স্টেশনে ট্রেন আটকে থাকাসহ নানা সমস্যায় আতঙ্ক-অসন্তোষে যাত্রীরা। গতকাল শুক্রবার মধ্যরাত থেকে শনিবার সকাল পর্যন্ত নরসিংদীর বিভিন্ন স্টেশনগুলোতে...
২ ঘণ্টা আগে