এইচ এম শাহনেওয়াজ, পুঠিয়া
রাজশাহীর পুঠিয়া উপজেলায় করোনা মহামারির পর প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের অনেক শিক্ষার্থীরা ক্লাসে ফেরেনি। মহামারিতে দীর্ঘদিন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় শিক্ষার্থীদের ওপর এর বিরূপ প্রভাব পড়েছে। এদের মধ্যে বেশির ভাগ নিম্নবিত্ত পরিবারের শিক্ষার্থী।
উপজেলার বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকেরা জানান, ঝরে পড়া শিক্ষার্থীদের মধ্যে ছেলেরা বিভিন্ন ধরনের কাজ করছে। পরিবারকে আর্থিকভাবে সহায়তা করছে। তাই পরিবারও তাদের স্কুলে পাঠাতে অনীহা। আর অনুপস্থিত অধিকাংশ মেয়েদের বিয়ে হয়ে গেছে।
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর ও মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছরের জানুয়ারিতে উপজেলায় মোট শিক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল ৪২ হাজার ৭০ জন। এর মধ্যে ৪৮টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ১৫ হাজার ৯৭৫ জন। ৮৯টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীর সংখ্যা ১৬ হাজার ৫৪৪ জন এবং ১৪টি মাদ্রাসার শিক্ষার্থী ছিল প্রায় সাড়ে ৬ হাজার। এদের মধ্যে করোনার পর প্রাথমিকে ৭% ও মাধ্যমিকে ৯.৬% শিক্ষার্থী আর স্কুলে ফেরেনি। এ ছাড়া ব্যক্তি মালিকানাধীন ২৫টি কিন্ডারগার্টেনের মধ্যে ৮টি প্রতিষ্ঠান এখন বন্ধ হয়ে গেছে।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ও গাঁও পাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নাসির উদ্দীন উইলিয়াম বলেন, ‘করোনার কারণে দীর্ঘদিন প্রতিষ্ঠানগুলোতে পাঠদান বন্ধ ছিল। এর কারণে স্কুল খোলার পর প্রতিষ্ঠানগুলোর ৮ থেকে ১০ শতাংশ শিক্ষার্থী আর ক্লাসে ফেরেনি।’
ক্লাসে না ফেরার কারণ হিসেবে তিনি বলেন, ‘ঝড়ে পড়া শিক্ষার্থীর পরিবারগুলো বেশির ভাগ নিম্ন আয়ের মানুষ। দীর্ঘদিন স্কুলগুলো বন্ধ থাকার কারণে ছেলেরা বিভিন্ন কাজে যুক্ত হয়েছেন। আর বেশির ভাগ মেয়েদের বিয়ে হয়ে গেছে।’
বানেশ্বর ইসলামিয়া হাই স্কুলের প্রধান শিক্ষক আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘অনুপস্থিত শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন কাজে লেগেছে। তারা এখন আয় রোজগার করায় সেই পরিবারগুলো স্কুলে পাঠাতে তেমন আগ্রহী হচ্ছেন না। আমরা বিগত সময়ে অনুপস্থিত সকল শিক্ষার্থীদের বাড়িতে গিয়েছি। এদের মধ্যে দু-একজন এসেছেন। তবে অনুপস্থিত বেশির ভাগ শিক্ষার্থীরা আর ক্লাসে ফেরেনি।’
এ বিষয়ে উপজেলা মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা লায়লা আক্তার জাহান বলেন, ‘গত জানুয়ারির তথ্য অনুযায়ী দুই চারজন বাদে সকল শিক্ষার্থী ভর্তি হয়েছেন। তবে এদের মধ্যে কতজন শিক্ষার্থী অনুপস্থিত আছে সেটির চূড়ান্ত তথ্য আগামী জানুয়ারিতে জানা যাবে।’
এ শিক্ষা কর্মকর্তা আরও বলেন, ‘প্রতিটি প্রতিষ্ঠানে বলা আছে—অনুপস্থিত শিক্ষার্থীদের বিষয়ে খোঁজ খবর নিতে। সেই সঙ্গে তাদের ক্লাসে ফেরাতে কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করতে বলা হয়েছে।’
রাজশাহীর পুঠিয়া উপজেলায় করোনা মহামারির পর প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের অনেক শিক্ষার্থীরা ক্লাসে ফেরেনি। মহামারিতে দীর্ঘদিন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় শিক্ষার্থীদের ওপর এর বিরূপ প্রভাব পড়েছে। এদের মধ্যে বেশির ভাগ নিম্নবিত্ত পরিবারের শিক্ষার্থী।
উপজেলার বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকেরা জানান, ঝরে পড়া শিক্ষার্থীদের মধ্যে ছেলেরা বিভিন্ন ধরনের কাজ করছে। পরিবারকে আর্থিকভাবে সহায়তা করছে। তাই পরিবারও তাদের স্কুলে পাঠাতে অনীহা। আর অনুপস্থিত অধিকাংশ মেয়েদের বিয়ে হয়ে গেছে।
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর ও মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছরের জানুয়ারিতে উপজেলায় মোট শিক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল ৪২ হাজার ৭০ জন। এর মধ্যে ৪৮টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ১৫ হাজার ৯৭৫ জন। ৮৯টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীর সংখ্যা ১৬ হাজার ৫৪৪ জন এবং ১৪টি মাদ্রাসার শিক্ষার্থী ছিল প্রায় সাড়ে ৬ হাজার। এদের মধ্যে করোনার পর প্রাথমিকে ৭% ও মাধ্যমিকে ৯.৬% শিক্ষার্থী আর স্কুলে ফেরেনি। এ ছাড়া ব্যক্তি মালিকানাধীন ২৫টি কিন্ডারগার্টেনের মধ্যে ৮টি প্রতিষ্ঠান এখন বন্ধ হয়ে গেছে।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ও গাঁও পাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নাসির উদ্দীন উইলিয়াম বলেন, ‘করোনার কারণে দীর্ঘদিন প্রতিষ্ঠানগুলোতে পাঠদান বন্ধ ছিল। এর কারণে স্কুল খোলার পর প্রতিষ্ঠানগুলোর ৮ থেকে ১০ শতাংশ শিক্ষার্থী আর ক্লাসে ফেরেনি।’
ক্লাসে না ফেরার কারণ হিসেবে তিনি বলেন, ‘ঝড়ে পড়া শিক্ষার্থীর পরিবারগুলো বেশির ভাগ নিম্ন আয়ের মানুষ। দীর্ঘদিন স্কুলগুলো বন্ধ থাকার কারণে ছেলেরা বিভিন্ন কাজে যুক্ত হয়েছেন। আর বেশির ভাগ মেয়েদের বিয়ে হয়ে গেছে।’
বানেশ্বর ইসলামিয়া হাই স্কুলের প্রধান শিক্ষক আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘অনুপস্থিত শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন কাজে লেগেছে। তারা এখন আয় রোজগার করায় সেই পরিবারগুলো স্কুলে পাঠাতে তেমন আগ্রহী হচ্ছেন না। আমরা বিগত সময়ে অনুপস্থিত সকল শিক্ষার্থীদের বাড়িতে গিয়েছি। এদের মধ্যে দু-একজন এসেছেন। তবে অনুপস্থিত বেশির ভাগ শিক্ষার্থীরা আর ক্লাসে ফেরেনি।’
এ বিষয়ে উপজেলা মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা লায়লা আক্তার জাহান বলেন, ‘গত জানুয়ারির তথ্য অনুযায়ী দুই চারজন বাদে সকল শিক্ষার্থী ভর্তি হয়েছেন। তবে এদের মধ্যে কতজন শিক্ষার্থী অনুপস্থিত আছে সেটির চূড়ান্ত তথ্য আগামী জানুয়ারিতে জানা যাবে।’
এ শিক্ষা কর্মকর্তা আরও বলেন, ‘প্রতিটি প্রতিষ্ঠানে বলা আছে—অনুপস্থিত শিক্ষার্থীদের বিষয়ে খোঁজ খবর নিতে। সেই সঙ্গে তাদের ক্লাসে ফেরাতে কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করতে বলা হয়েছে।’
মৌলভীবাজারের বড়লেখা ও সদর উপজেলায় পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় ৪ জন নিহত হয়েছেন। গুরুতর আহত হয়েছেন আরও একজন। গতকাল শনিবার (৭ জুন) রাত সাড়ে ৯টার দিকে সদর উপজেলার শ্যামের কোনা এলকায় মৌলভীবাজার-শমশেরনগর সড়কে দুটি মোটরসাইকেল মুখোমুখি সংঘর্ষে জুবেদ মিয়া (২৮) ও কমরুল মিয়া (৩০) নামে দুজন নিহত হন।
৭ মিনিট আগেবেজিন নামে একজন জানান, বিকেল থেকে কাজ শুরু হয়েছে আনুমানিক ভোর চারটা পর্যন্ত চলবে। এই কাজে অনেক পরিশ্রম করতে হয়। তারা পাঁচ থেকে ছয় জন লোক এখানে কাজ করতে এসেছেন।
৩৯ মিনিট আগেবরিশালে কোস্টগার্ডের দায়িত্ব পালনে বাধার অভিযোগে দায়ের করা মামলার পর ঢাকা-বরিশাল নৌরুটের যাত্রীবাহী নৌযান এমভি কীর্তনখোলা-১০ লঞ্চের রুট পারমিট সাময়িকভাবে স্থগিত করা হয়েছে।
১ ঘণ্টা আগেচট্টগ্রামের আনোয়ারায় মাংস কাটতে গিয়ে প্রায় ১ শ মানুষ আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে। পশু জবাই ও মাংস কাটতে গিয়ে হাত কেটে চিকিৎসা নিতে প্রায় ১০০ জন মানুষ এসেছেন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে। কেউ কেউ প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফিরে গেলেও অনেকেই ভর্তি হয়েছেন চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। কেউ গরু কোরবানি
১ ঘণ্টা আগে