প্রতিনিধি, নলডাঙ্গা (নাটোর)
নাটোরের নলডাঙ্গায় সরকারের সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির ৯ হাজার ১৩৪ জনের ভুল নম্বর এন্ট্রির কারণে প্রায় সাড়ে তিন শতাধিক ভাতার টাকা চলে গেছে ভুল বিকাশ নম্বরে। এদের মধ্যে ৪-৫ জনের টাকা উদ্ধার করে ভুক্তভোগীদের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। এ পর্যন্ত মোট ১৫ লাখ ৭৫ হাজার টাকা ভুল নম্বরে চলে গেছে। এ নিয়ে প্রতিদিন উপজেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের সামনে ভিড় করছেন বয়স্ক, বিধবা ও প্রতিবন্ধী ও তাঁদের স্বজনরা।
নলডাঙ্গা উপজেলা সমাজসেবা কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, সরকারের সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির আওয়ায় ভুল নম্বর এন্ট্রির কারণে প্রায় সাড়ে তিন শতাধিক ভাতাভোগীর টাকা চলে গেছে অন্যের মোবাইলে। আর ৪১৬ জনের ভাতার টাকা বিভিন্ন সমস্যার কারণে এখনো যায়নি। যার মধ্যে বয়স্কভাতার ২৭২ জন, বিধবাভাতার ৬৭ জন ও প্রতিবন্ধী ভাতার ৭৭ জন রয়েছে। এদের ভাতার টাকা সংশোধিত বিকাশ নম্বরে যাবে বলেও জানান তিনি।
উপজেলা সমাজসেবা কার্যালয় সূত্রে আরও জানা যায়, অন্যদিকে সাড়ে তিন শতাধিক ভাতাভোগীর টাকা ভুল নম্বরে চলে গেছে। এদের মধ্যে ৪-৫ জনের টাকা ফেরত এনে ভাতাভোগীর হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে বলে দাবি করেন কার্যালয়ের কর্মকর্তা। এর মধ্যে বেগম নামের এক বয়স্ক নারীর ভাতার টাকা থানা-পুলিশের সহায়তায় ফেরত আনা হয়েছে।
সারা দেশে গরিব-অসহায়দের বয়স্ক ভাতা, বিধবা ভাতা ও প্রতিবন্ধী ভাতা ব্যাংক অ্যাকাউন্টের (হিসাব) পরিবর্তে মোবাইল ব্যাংকিং অ্যাকাউন্ট বিকাশ মাধ্যমে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। নলডাঙ্গা উপজেলায় এই পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা হয়েছে গত মে থেকে সেপ্টেম্বর মাসের মধ্যে। আগে সহজেই ব্যাংকের মাধ্যমে এই টাকা ওঠানো যেত। কিন্তু বর্তমানে ডিজিটাল জটিলতায় ভাতার টাকা পাচ্ছেন না বেশির ভাগ উপকারভোগী।
অনেকেই কয়েক মাস ধরে সংশ্লিষ্ট অফিসে ঘুরেও এর সমাধান করতে পারেননি। ফলে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে ভাতার টাকার ওপর নির্ভরশীল মানুষগুলোকে। ভাতাভোগীরা প্রতিদিন সমাজসেবা অফিসে আসলেও টাকা ফেরত পাবে কিনা এর কোনো সুরাহা করতে পারছেন না অফিস কর্তৃপক্ষ। তবে এ বিষয়ে সমাজসেবা কার্যালয়ের কর্মকর্তারা বলছে সুবিধাভোগীদের অ্যাকাউন্ট বিকাশ এজেন্টের লোকজন করেছেন। এমনকি নিজের নম্বরটি ভুল করে দেওয়ার কারণেই হয়তো এমন হয়েছে।
কয়েকজন ভাতা সুবিধাভোগীরা ক্ষোভ করে বলেন, আগে ভাতার টাকা ব্যাংকে দেওয়া হতো, সেটাই ভালো ছিল। এখন ডিজিটাল করাতে অসুবিধা বেশি হয়েছে। অনেক ভাতাভোগীর মোবাইল ফোন নেই, নেই বিকাশ অ্যাকাউন্ট টাকা সংগ্রহের জন্য তাঁদের তৃতীয় পক্ষের আশ্রয় নিতে হয়। এ ছাড়া যারা ভাতাভোগীদের অ্যাকাউন্টগুলো খুলে দিয়েছেন, তাঁরা ঠিকমতো কাজ করেননি বলেই নম্বরগুলো উল্টাপাল্টা হয়েছে। বেশির ভাগ নম্বরেই যেখানে ভুল।
নাটোর জেলার বিকাশ এজেন্ট মিজানুর রহমান বলেন, সম্পূর্ণ নম্বর ভুল অথবা ডিজিট ভুল যা-ই হোক না কেন, এর দায় স্থানীয় সমাজসেবা কার্যালয়ের লোকজনের। এখানে আমাদের ভুল নেই। তারা আমাদের যে নম্বরগুলো দিয়েছে, আমরা ওই নম্বরের বিকাশ অ্যাকাউন্ট আপডেট করেছি।
নলডাঙ্গা উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা আফাজ উদ্দিন বলেন, এ উপজেলায় বয়স্ক, বিধবা ও প্রতিবন্ধীভাতাভোগীর সংখ্যা মোট ৯ হাজার ১৩৪ জন। এর মধ্যে সাড়ে ৩ শতাধিক ভাতাভোগীর ভাতার টাকা ভুল নম্বরে চলে গেছে। আর ৪১৬ জনের ভাতাভোগীর নম্বর বিকাশ না করায় টাকা পায়নি। এ গুলো আমরা সংশোধন করে দিচ্ছি। নম্বর ভুলের দায় সম্পূর্ণ বিকাশ এজেন্ট কর্তৃপক্ষের। মাঠ পর্যায়ে তাদের যে দায়িত্বটি দেওয়া হয়েছিল, তা তারা ঠিকমতো পালন করেনি।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, এমন অনেক অভিযোগ আমিও পেয়েছি। ভুলটা কোথায় হচ্ছে, তা খুঁজে বের করতে হবে। তার আগে টেকনিক্যাল কোনো ভুল হয়ে থাকলে তা সমাধানের চেষ্টা করা হবে।
নাটোরের নলডাঙ্গায় সরকারের সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির ৯ হাজার ১৩৪ জনের ভুল নম্বর এন্ট্রির কারণে প্রায় সাড়ে তিন শতাধিক ভাতার টাকা চলে গেছে ভুল বিকাশ নম্বরে। এদের মধ্যে ৪-৫ জনের টাকা উদ্ধার করে ভুক্তভোগীদের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। এ পর্যন্ত মোট ১৫ লাখ ৭৫ হাজার টাকা ভুল নম্বরে চলে গেছে। এ নিয়ে প্রতিদিন উপজেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের সামনে ভিড় করছেন বয়স্ক, বিধবা ও প্রতিবন্ধী ও তাঁদের স্বজনরা।
নলডাঙ্গা উপজেলা সমাজসেবা কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, সরকারের সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির আওয়ায় ভুল নম্বর এন্ট্রির কারণে প্রায় সাড়ে তিন শতাধিক ভাতাভোগীর টাকা চলে গেছে অন্যের মোবাইলে। আর ৪১৬ জনের ভাতার টাকা বিভিন্ন সমস্যার কারণে এখনো যায়নি। যার মধ্যে বয়স্কভাতার ২৭২ জন, বিধবাভাতার ৬৭ জন ও প্রতিবন্ধী ভাতার ৭৭ জন রয়েছে। এদের ভাতার টাকা সংশোধিত বিকাশ নম্বরে যাবে বলেও জানান তিনি।
উপজেলা সমাজসেবা কার্যালয় সূত্রে আরও জানা যায়, অন্যদিকে সাড়ে তিন শতাধিক ভাতাভোগীর টাকা ভুল নম্বরে চলে গেছে। এদের মধ্যে ৪-৫ জনের টাকা ফেরত এনে ভাতাভোগীর হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে বলে দাবি করেন কার্যালয়ের কর্মকর্তা। এর মধ্যে বেগম নামের এক বয়স্ক নারীর ভাতার টাকা থানা-পুলিশের সহায়তায় ফেরত আনা হয়েছে।
সারা দেশে গরিব-অসহায়দের বয়স্ক ভাতা, বিধবা ভাতা ও প্রতিবন্ধী ভাতা ব্যাংক অ্যাকাউন্টের (হিসাব) পরিবর্তে মোবাইল ব্যাংকিং অ্যাকাউন্ট বিকাশ মাধ্যমে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। নলডাঙ্গা উপজেলায় এই পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা হয়েছে গত মে থেকে সেপ্টেম্বর মাসের মধ্যে। আগে সহজেই ব্যাংকের মাধ্যমে এই টাকা ওঠানো যেত। কিন্তু বর্তমানে ডিজিটাল জটিলতায় ভাতার টাকা পাচ্ছেন না বেশির ভাগ উপকারভোগী।
অনেকেই কয়েক মাস ধরে সংশ্লিষ্ট অফিসে ঘুরেও এর সমাধান করতে পারেননি। ফলে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে ভাতার টাকার ওপর নির্ভরশীল মানুষগুলোকে। ভাতাভোগীরা প্রতিদিন সমাজসেবা অফিসে আসলেও টাকা ফেরত পাবে কিনা এর কোনো সুরাহা করতে পারছেন না অফিস কর্তৃপক্ষ। তবে এ বিষয়ে সমাজসেবা কার্যালয়ের কর্মকর্তারা বলছে সুবিধাভোগীদের অ্যাকাউন্ট বিকাশ এজেন্টের লোকজন করেছেন। এমনকি নিজের নম্বরটি ভুল করে দেওয়ার কারণেই হয়তো এমন হয়েছে।
কয়েকজন ভাতা সুবিধাভোগীরা ক্ষোভ করে বলেন, আগে ভাতার টাকা ব্যাংকে দেওয়া হতো, সেটাই ভালো ছিল। এখন ডিজিটাল করাতে অসুবিধা বেশি হয়েছে। অনেক ভাতাভোগীর মোবাইল ফোন নেই, নেই বিকাশ অ্যাকাউন্ট টাকা সংগ্রহের জন্য তাঁদের তৃতীয় পক্ষের আশ্রয় নিতে হয়। এ ছাড়া যারা ভাতাভোগীদের অ্যাকাউন্টগুলো খুলে দিয়েছেন, তাঁরা ঠিকমতো কাজ করেননি বলেই নম্বরগুলো উল্টাপাল্টা হয়েছে। বেশির ভাগ নম্বরেই যেখানে ভুল।
নাটোর জেলার বিকাশ এজেন্ট মিজানুর রহমান বলেন, সম্পূর্ণ নম্বর ভুল অথবা ডিজিট ভুল যা-ই হোক না কেন, এর দায় স্থানীয় সমাজসেবা কার্যালয়ের লোকজনের। এখানে আমাদের ভুল নেই। তারা আমাদের যে নম্বরগুলো দিয়েছে, আমরা ওই নম্বরের বিকাশ অ্যাকাউন্ট আপডেট করেছি।
নলডাঙ্গা উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা আফাজ উদ্দিন বলেন, এ উপজেলায় বয়স্ক, বিধবা ও প্রতিবন্ধীভাতাভোগীর সংখ্যা মোট ৯ হাজার ১৩৪ জন। এর মধ্যে সাড়ে ৩ শতাধিক ভাতাভোগীর ভাতার টাকা ভুল নম্বরে চলে গেছে। আর ৪১৬ জনের ভাতাভোগীর নম্বর বিকাশ না করায় টাকা পায়নি। এ গুলো আমরা সংশোধন করে দিচ্ছি। নম্বর ভুলের দায় সম্পূর্ণ বিকাশ এজেন্ট কর্তৃপক্ষের। মাঠ পর্যায়ে তাদের যে দায়িত্বটি দেওয়া হয়েছিল, তা তারা ঠিকমতো পালন করেনি।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, এমন অনেক অভিযোগ আমিও পেয়েছি। ভুলটা কোথায় হচ্ছে, তা খুঁজে বের করতে হবে। তার আগে টেকনিক্যাল কোনো ভুল হয়ে থাকলে তা সমাধানের চেষ্টা করা হবে।
চাঁপাইনবাবগঞ্জে বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিএমডিএ) খাল খননের প্রকল্পে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগে বলা হয়েছে, কার্যাদেশ অনুযায়ী মাটি না কেটে কাজ শেষ করেছেন ঠিকাদার। এ ব্যাপারে সংস্থার চেয়ারম্যান ড. এম আসাদুজ্জামানের কাছে একটি লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়েছে।
১২ মিনিট আগেকিশোরগঞ্জে বজ্রপাতে মৃত্যু আশঙ্কাজনকভাবে বেড়েছে ৷ গত ২৩ দিনে জেলায় শিক্ষার্থী, কৃষকসহ বজ্রপাতে ১৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। তাঁদের মধ্যে কৃষকের সংখ্যা বেশি। আবহাওয়াবিদেরা বলছেন, খোলা স্থানে কাজ করা মানুষ বজ্রপাতে বেশি মারা যাচ্ছে; বিশেষ করে হাওরাঞ্চলে খোলা জায়গায় মানুষজন কাজ করার কারণে সেখানে হতাহতের...
১৬ মিনিট আগেপিরোজপুরে ২৫০ শয্যার জেলা হাসপাতাল চালু করতে ৯ তলা ভবনের নির্মাণকাজ শেষ হয় প্রায় দেড় বছর আগে। কিন্তু বিদ্যুতের সংযোগ এখনো দেওয়া হয়নি এবং বসেনি লিফট। এতে করে পুরোনো ভবনে ১০০ শয্যা নিয়ে চলছে সেবা কার্যক্রম। সেখানে অধিকাংশ সময় রোগী ভর্তি থাকে ধারণক্ষমতার দ্বিগুণ। শয্যা না পেয়ে রোগীদের থাকতে হচ্ছে...
২১ মিনিট আগেবাংলাদেশের আধুনিক ভাস্কর্য শিল্পের অন্যতম পথিকৃৎ নভেরা আহমেদ। গত শতকের ষাটের দশকে তখনকার পূর্ববঙ্গে ভাস্কর্য শিল্পকে পরিচিত করে তোলার কাজটি শুরু করেছিলেন নিজের ভিন্নধর্মী কাজ দিয়ে। নিভৃতচারী এ শিল্পী একপর্যায়ে স্থায়ীভাবে পাড়ি জমান অন্যতম শিল্পতীর্থ ফ্রান্সে। নারী এই ভাস্করকে নিয়ে বেঙ্গল ফাউন্ডেশন...
২৫ মিনিট আগে