Ajker Patrika

কালবৈশাখী ও বৃষ্টিতে নুয়ে পড়েছে ধান, মলিন ঈদের আনন্দ

নন্দীগ্রাম (বগুড়া) প্রতিনিধি
আপডেট : ০১ মে ২০২২, ১১: ২১
Thumbnail image

শস্যভান্ডার হিসেবে খ্যাত বগুড়ার নন্দীগ্রাম উপজেলায় কালবৈশাখী ও বৃষ্টিতে চলতি ইরি-বোরো মৌসুমের শুরুতেই কৃষকদের জমির ধান মাটিতে নুয়ে পড়েছে। এ ছাড়া মাঝে মাঝে যে ঝড়-বৃষ্টি হচ্ছে তাতে কৃষকদের নিচু জমিতে পানি জমে খেতের ধান নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। এর সঙ্গে যোগ হয়েছে শ্রমিকসংকট। 

জানা গেছে, এ এলাকার কৃষকেরা সব মৌসুমেই জমি লাগানো ও কাটা-মাড়াইয়ের জন্য অন্য এলাকার শ্রমিকদের ওপর নির্ভরশীল। কিন্তু শ্রমিকদের দেখা এখনো মিলছে না। এতে নন্দীগ্রামের কৃষকেরা ফসল ঘরে তোলা নিয়ে খুব দুশ্চিন্তায় রয়েছে। শুধু তা-ই নয়, ইরি-বোরো ধান ঘরে তোলার চিন্তায় কৃষকদের ঈদ আনন্দ ফ্যাকাশে হয়ে গেছে। 

উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, এ উপজেলার পাঁচটি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভায় ১৯ হাজার ৫৭৩ হেক্টর জমিতে ইরি-বোরো ধান চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। যার উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ১ লাখ ২৭ হাজার ৬৩২ টন। 

উপজেলার থালতা মাঝগ্রাম ইউনিয়নের গোপালপুর গ্রামের কৃষক রেজাউল করিম বলেন, কালবৈশাখী-বৃষ্টির কারণে জমির ধান মাটিতে শুয়ে পড়েছে। বেশির ভাগ জমির ধান পানিতে ডুবে রয়েছে। এ ধানগুলো কাটার জন্য শ্রমিক পাওয়া যাচ্ছে না। এখন ধান কাটার শ্রমিক না পাওয়া গেলে জমিতেই ফসল নষ্ট হয়ে যাবে। 

ভাটরা ইউনিয়নের নাগরকান্দি গ্রামের কৃষক সুবল চন্দ্র বলেন, ‘আমি এবার ৫০ বিঘা জমিতে ইরি ধানের চাষ করেছি। ঝড়-বৃষ্টির কারণে ধানের যে ক্ষতি হয়েছে, এখন মাঠে ধান থাকায় তার চেয়ে বেশি ক্ষতি হচ্ছে। প্রতিদিন সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ঘুরেও ধান কাটার শ্রমিক পাচ্ছি না। যে দু-একজন শ্রমিক পাচ্ছি, তাঁদের বিঘাপ্রতি ৬-৭ হাজার টাকা ধান কাটার দাম দিতে হচ্ছে।’ 

ভাটগ্রাম ইউনিয়নের বিজরুল গ্রামের কৃষক হেলাল উদ্দিন বলেন, ‘ধান পড়ে গিয়ে যে ক্ষতি হয়েছে, এখন পানিতে থেকে তার চেয়ে বড় ক্ষতি হচ্ছে। ধান কাটার মানুষ নাই। আবার সামনে ঈদ। আমি বুঝতেই পারছি না কী করব।’

এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আদনান বাবু বলেন, ‘কালবৈশাখীতে এ উপজেলার ১৩৬ হেক্টর ধানের জমির আংশিক ক্ষতি হয়েছে। আমরা কৃষকদের সঙ্গে যোগাযোগ করছি। বিভিন্নভাবে তাঁদের পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। জমিতে পানি থাকলে তা দ্রুত বের করে দেওয়ার জন্য বলা হয়েছে।’ 

কৃষি কর্মকর্তা আরও বলেন, ঈদের জন্য শ্রমিকসংকট দেখা দিয়েছে। ঈদের পর হয়তো শ্রমিকের সংকট দূর হবে। 

 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত