Ajker Patrika

নাটোরে বিএনপি-জামায়াত সংঘর্ষ, আহত ৮

নাটোর প্রতিনিধি 
আপডেট : ২২ জুলাই ২০২৫, ১৭: ৪৪
নাটোর সদর হাসপাতালে আহত এক জনের চিকিৎসা চলছে। ছবি: আজকের পত্রিকা
নাটোর সদর হাসপাতালে আহত এক জনের চিকিৎসা চলছে। ছবি: আজকের পত্রিকা

নাটোরের সিংড়া উপজেলার চামারী ইউনিয়নে বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামীর কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয় পক্ষের অন্তত আটজন আহত হয়েছেন। গতকাল সোমবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে চামারী ইউনিয়নের চক কালিকাপুর গ্রামে এ সংঘর্ষ হয়।

আহত ব্যক্তিরা হলেন চামারী ইউনিয়ন জামায়াতের আমির নাজমুল ইসলাম (৩৫), সেক্রেটারি জাহিদুল ইসলাম (৩৫), জামায়াতের কর্মী ফরিদ উদ্দিন (৪৫), মো. স্বপন (৩০), বিএনপির সমর্থক হাবিল উদ্দিন (৩৫), কাবিল উদ্দিন (৪৫), কাউছার আলী (২৫) ও মো. কোরবান (২১)। তাঁদের নাটোর সদর হাসপাতাল ও সিংড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ১৯ জুলাই চামারী ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ড জামায়াতের আমির নাজমুল ইসলাম দলীয় নেতা-কর্মীদের সঙ্গে এলাকার কিছু লোককে ঢাকায় জামায়াতে ইসলামীর জাতীয় সমাবেশে নিয়ে যান। এ নিয়ে ইউনিয়ন বিএনপির কিছু কর্মী ক্ষুব্ধ হন। সমাবেশ থেকে ফেরার পর গতকাল রাতে চক কালিকাপুর গ্রামে জামায়াত নেতা নাজমুল ইসলাম ও জাহিদুল ইসলামের সঙ্গে বিএনপির কর্মী কাওছার, হাবিল ও কাবিলের বাগ্‌বিতণ্ডা হয়। পরে দুই পক্ষের লোকজনের উপস্থিতিতে বাগ্‌বিতণ্ডা সংঘর্ষে রূপ নেয়। এ সময় দেশীয় অস্ত্র ও লাঠিসোঁটা নিয়ে দুই পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।

আহত জামায়াতের ইউনিয়ন আমির নাজমুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা কাউকে সমাবেশে যেতে বাধ্য করিনি। জামায়াতে ইসলামীকে ভালোবেসে কিছু লোক ঢাকার দলীয় সমাবেশে গিয়েছিলেন। এটা বিএনপির লোকজন সহ্য করতে পারছেন না। এ কারণে তাঁরা আমাদের ওপর হামলা করেছেন।’

তবে আহত বিএনপির কর্মী হাবিল উদ্দিন বলেন, ‘জামায়াতের লোকজন সমাবেশ থেকে ফিরে এলাকার পরিস্থিতি অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করছিলেন। আমরা বাধা দেওয়ায় হামলার শিকার হয়েছি।’

নাটোর সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক কর্মকর্তা মাহবুব হোসেন জানান, আহত ব্যক্তিদের চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। চিকিৎসা শেষ কেউ কেউ বাড়ি ফিরে গেছেন।

জেলা জামায়াতে ইসলামীর আমির ড. মীর নুরুল ইসলাম বলেন, ‘আমাদের দলীয় কর্মীদের ওপর একটি দলের নেতা-কর্মীরা অত্যাচার চালাচ্ছেন বিভিন্নভাবে। আমরা ধৈর্যের পরিচয় দিয়ে চলেছি। আমরা প্রশাসনের কাছে গত রাতের ঘটনার সুষ্ঠু পদক্ষেপ চাই। তা না হলে যেকোনো পরিস্থিতির জন্য প্রশাসন দায়ী থাকবে।’

নাটোর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক দাউদার মাহমুদ বলেন, ‘সিংড়ায় বিএনপি শান্তি ও সৌহার্দপূর্ণ অবস্থান চায়। জামায়াতের কর্মীরা বিভিন্ন ধরনের উসকানি দিয়ে চলেছেন। বিএনপির কর্মীরা তাঁদের ফাঁদে পা দেবে না। আমরা আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল।’

সিংড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘দুই পক্ষের মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটেছে শুনেছি। রাতেই ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছিল। লিখিত অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত