Ajker Patrika

নির্বাচন ও দুর্নীতির বিচারের দাবিতে পাবনার সিএনজি মালিকদের বিক্ষোভ 

পাবনা প্রতিনিধি
Thumbnail image

অবৈধ কমিটি বিলুপ্ত করে নির্বাচনের আয়োজন এবং কমিটির সভাপতিসহ সবার দুর্নীতি-অনিয়মের প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশ, মানববন্ধন করেছেন পাবনা জেলা অটো টেম্পো, অটোরিকশা ও মিশুক মালিক সমিতির সদস্যরা।

পাবনা জেলার সিএনজি মালিক সদস্যের ব্যানারে আজ বৃহস্পতিবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ওই সমিতির কার্যালয়ের সামনে এই মানববন্ধন ও বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়।

আব্দুর রাজ্জাক মীরের পরিচালনায় এতে বক্তব্য দেন সমিতির সদস্য জাকির হোসেন, তোফাজ্জল হোসেন সোলে, মাইনুল ইসলাম রাজন, আইয়ুব হোসেন, মো. রানা, মুরাদ হোসেন রাজন, মো. সাবু, সাবেক সহসভাপতি মাহাতাব হোসেন শিমুলসহ অনেকে।

তাঁরা বলেন, নির্বাচন না দিয়ে গত ১০-১৫ বছর ধরে পকেট কমিটি করে রাখছে। কোনো বাৎসরিক সভা হয় না, আয়-ব্যয়ের হিসাব দেওয়া হয় না, সভাপতি আব্বাস আয়-ব্যয়ের নামে লাখ লাখ টাকা আত্মাসাৎ করছেন। দীর্ঘদিন কমিটি বিলুপ্ত হওয়ার পরেও গঠনতন্ত্রকে তোয়াক্কা না করে দুর্নীতিগ্রস্ত কমিটি এখনো অফিস করছে।

তাঁরা আরও বলেন, সমিতির সাধারণ সদস্যরা সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা বঞ্চিত হচ্ছে। সাধারণ সভার নামে ৪৭ লাখ টাকা ব্যয় দেখিয়ে আত্মসাৎ করা হয়েছে। প্রতিদিন সাধারণ সদস্যদের চাঁদার টাকা হিসাবে তুলে কমিটির সভাপতিসহ তার বাহিনী সম্পদ গড়ে তুলেছে। আমরা পাবনার সকল জনপ্রতিনিধি, এমপি, ডিসি-এসপিদের কাছে দাবি দ্রুত ১০-১৫ বছরের হিসাব নিয়ে সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে দুর্নীতিগ্রস্ত কমিটি থেকে এই সমিতি রক্ষা করুন।

সমিতির সভাপতি আব্বাস আলী বলেন, ‘আমি নির্বাচন প্রক্রিয়ার মধ্যেই আছি, নির্বাচন পরিচালনার কমিটি গঠন করতে চাইলেও তারা নাম দেওয়া না। যে নাম দেয় তারা বহিরাগত। তাদের দিয়ে তো আর নির্বাচন পরিচালনার কমিটি হবে না। এ জন্য তফসিলও ঘোষণা হচ্ছে না।’

‘তারপরও আমরা নির্বাচন আয়োজনের ব্যবস্থা করেছিলাম, কিন্তু জাতীয় নির্বাচনের কারণে পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে। যেসব নেতাদের মাধ্যম ও তদারকিতে নির্বাচন করব তারা এখন ঢাকায় অবস্থান করছেন। তারা এলে নির্বাচন প্রক্রিয়া শুরু করব। আর আজকে আমার বিরুদ্ধে দুর্নীতি-অনিয়মের যেসব অভিযোগ করেছে সবই ভুয়া, মিথ্যা। যারা বক্তব্য দিয়েছেন তাদের অধিকাংশই শ্রমিক, তারা সিএনজি মালিক না।’ বলেন, আব্বাস আলী।

বিভাগীয় শ্রম দপ্তরের শ্রম কল্যাণ সংগঠনের পাবনার দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা গোলাম মোস্তফা বলেন, ‘গত বছরে সাধারণ সভার পর নির্বাচনের কথা ছিল। কিন্তু তাদের দুই পক্ষের মধ্যে নির্বাচন কমিশন গঠন নিয়ে সমস্যা হয়েছিল। পরে জাতীয় নির্বাচনের পর বিশেষ সাধারণ সভা করে নির্বাচন কমিশন করে নির্বাচন আয়োজন কথা। এই পর্যন্তই আমি জানি। আজকের বিষয়ে জানি না। আমি খোঁজখবর নিয়ে বলতে পারব।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত