Ajker Patrika

‘সেলুন কর্মচারীদের সঙ্গে উগ্র আচরণ করতেন শিক্ষক রায়হান, তবে নিয়ে যেতেন খাবার’

সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি
আপডেট : ০৮ মার্চ ২০২৪, ২০: ০৯
‘সেলুন কর্মচারীদের সঙ্গে উগ্র আচরণ করতেন শিক্ষক রায়হান, তবে নিয়ে যেতেন খাবার’

সেলুনে চুল-দাড়ি কাটতে গিয়েও অস্ত্রের ব্যাগ সঙ্গে রাখার অভিযোগ উঠেছে সিরাজগঞ্জের শহীদ এম মনসুর আলী মেডিকেল কলেজের শিক্ষক রায়হান শরীফের বিরুদ্ধে। এমনকি তিনি সেলুনে গিয়েও উগ্র আচরণ করতেন। কর্মচারীদের সঙ্গে তুই বলে সম্বোধন করতেন বলে জানান সেলুনের মালিক ও কর্মচারীরা। তবে ওই শিক্ষক সঙ্গে খাবার নিয়ে যেতেন বলে জানান তাঁরা। 

সিরাজগঞ্জ শহরের দরগাপট্টি এলাকায় একটি সেলুনে চুল-দাড়ি কাটাতেন রায়হান শরীফ। আজ শুক্রবার সকালে সেলুনের মালিক ও কর্মচারীদের সঙ্গে কথা বলে এ তথ্য জানা গেছে।

সেলুনের কর্মচারী মমিন বলেন, ‘প্রায় প্রতি সপ্তাহে তিনি সেলুনে আসতেন চুল-দাড়ি কাটাতেন। সব সময় গরম থাকতেন। আচরণ ছিল উগ্র। তবে সেলুনে আসার সময় তিনি আমাদের জন্য খাবার কিনে নিয়ে আসতেন।’ 

সেলুন মালিক মিলন বলেন, ‘শিক্ষক রায়হান শরীফ আমাদের সেলুনে চুল-দাড়ি কাটতেন। তিনি যখন সেলুনে আসতেন, তাঁর সঙ্গে একটি ব্যাগ থাকত। ব্যাগটি সেলুনের টেবিলে রাখতেন। এখন গ্রেপ্তারের পর বিভিন্ন পত্রিকা ও টেলিভিশনের খবরে জানতে পারি তিনি ব্যাগের ভেতর অস্ত্র রাখতেন।’

সিরাজগঞ্জ জেলা গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক জুলহাজ উদ্দিন জানিয়েছেন, মেডিকেল কলেজছাত্র তমালকে গুলি করার ঘটনায় নিজের দোষ স্বীকার করে শিক্ষক রায়হান শরীফ আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। 

৪ মার্চ বিকেলে শহীদ এম মনসুর আলী মেডিকেল কলেজের কমিউনিটি মেডিসিন বিভাগের শিক্ষক রায়হান শরীফ শ্রেণিকক্ষের ভেতরেই কলেজের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র আরাফাত আমিন তমালকে গুলি করেন। এরপর রায়হান শরীফকে ঘরে আটকে রেখেছিলেন শিক্ষার্থীরা। পরে পুলিশ তাঁকে আটক করে নিয়ে যায়। 

এ সময় পড়ে থাকা একটি পিস্তল জব্দ করে পুলিশ। এ ছাড়া তাঁর ব্যাগটিও জব্দ করা হয়। এই ব্যাগের ভেতরে আরও একটি পিস্তল, ৮১টি গুলি, চারটি ম্যাগাজিন, দুটি বিদেশি কাতানা (ছোরা) ও ১০টি অত্যাধুনিক বর্মিজ চাকু জব্দ করা হয়। 

এসব অবৈধ অস্ত্র রাখার অপরাধে গত মঙ্গলবার পুলিশ বাদী হয়ে রায়হানের বিরুদ্ধে সিরাজগঞ্জ সদর থানায় একটি মামলা করে। এ ছাড়া আহত শিক্ষার্থী আরাফাত আমিন তমালের বাবা আব্দুল্লাহ আল আমিন বাদী হয়ে তাঁর ছেলেকে হত্যাচেষ্টা অভিযোগ এনে আরেকটি মামলা করেন। দুটি মামলায় শিক্ষক রায়হান শরীফ আদালতে জবানবন্দি দেন। পরে তাঁকে কারাগারে পাঠান আদালত। এখন কারাগারের বন্দীদের সঙ্গে রাত কাটাচ্ছেন তিনি।

আরও পড়ুন—

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত