প্রতিনিধি, মোহনপুর (রাজশাহী)
কোভিড মহামারির কারণে প্রায় দেড় বছর ধরে বন্ধ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। লেখাপড়া শিকেয় উঠেছে। অনলাইনে ক্লাস পরীক্ষা চালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা চলছে, তবে প্রত্যন্ত এলাকায় ইন্টারনেট সহজলভ্য ও সুলভ না হওয়ার কারণে সে উদ্যোগ খুব একটা কার্যকর হচ্ছে না। অনলাইন ক্লাসের উদ্যোগ যে প্রত্যন্ত গ্রামে খুব একটা কাজে আসছে তার প্রমাণ গত এক বছরে বাল্যবিয়ের চিত্র।
রাজশাহীর মোহনপুরে করোনার মধ্যে অস্বাভাবিক রকম বেড়েছে বিয়ে এবং বাল্যিয়ের প্রবণতা। পরিবারের দাবি, দীর্ঘদিনের লকডাউনে স্কুল–কলেজ বন্ধ থাকার কারণে ছেলে–মেয়েরা বাড়িতে বসে আর পড়াশোনা করতে চায় না। তারা বেপরোয়া ভাবে আড্ডাবাজি করে দিনের অধিকাংশ সময় কাটিয়ে দিচ্ছে। অনেকে আবার প্রেমের টানে নিজেরাই বিয়ে করে ফেলছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, মহামারিকালে পরিবারের উদ্যোগে বাল্যবিয়ে বৃদ্ধির পাশাপাশি গোপনে বিয়ের সংখ্যাও নেহায়েত কম নয়। এমনকি কোথাও কোথাও পালিয়ে বিয়ের সংখ্যাই বেশি। গত কয়েক মাসের মধ্যে উপজেলার কেশরহাট বালিকা বিদ্যালয়ের সাত শিক্ষার্থীর বিয়ে হয়ে গেছে। তাদের মধ্যে আবার তিন জনের বাড়ি একই গ্রামে। তারা হলো– কবিতা, মোহননা ও মাহমুদা। এছাড়া গত ৩০ জুলাই রাতে ওই গ্রামেরই আরেক শিক্ষার্থী রেশমা বিয়ে করে ফেলেছে পরিবারকে না জানিয়ে।
কেশরহাট টেকনিক্যাল কলেজের শিক্ষার্থী তিলাহারি গ্রামের আয়নালের ছেলে মিলন ও টুটুল, হরিদাগাছি গ্রামের দুলালের ছেলে সাহিনুর রহমানসহ আরও কয়েকজ শিক্ষার্থী লেখাপড়া ছেড়ে দিয়ে বিয়ে করে ফেলেছে।
জানতে চাইলে কেশরহাট উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শফিকুল ইসলাম জানান, বাল্যবিয়ে প্রতিরোধে সরকারের পাশাপাশি বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন কাজ করে আসছে। তবে করোনা মহামারিতে দীর্ঘদিন স্কুল–কলেজ বন্ধ থাকার কারণে অনেক ছেলে–মেয়ে লেখাপড়ার দিকে আর নজর দিচ্ছে না। তারা বাড়িতে বসে লেখাপড়ার চর্চাটুকুও হয়তো করছে না। অনেক শিক্ষার্থী পড়াশোনার পাঠ চুকিয়ে বিয়ে করে নিয়েছে। এর পেছনে পরিবারের অবহেলাও থাকতে পারে।
শফিকুল ইসলাম বলেন, খোঁজ পেয়েছি, আমার বিদ্যালয়ের ১৩–১৫ জন শিক্ষার্থী বিয়ে করে ফেলেছে। আসলে পারিবারিক সচেতনতা জরুরি। দ্রুত এ সমস্যা কাটিয়ে উঠুক এমন প্রত্যাশা করেন তিনি।
তবে এ বিষয়ে জানতে ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে উপজেলা মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের কোনো কর্মকর্তাই জবাব দেননি।
কোভিড মহামারির কারণে প্রায় দেড় বছর ধরে বন্ধ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। লেখাপড়া শিকেয় উঠেছে। অনলাইনে ক্লাস পরীক্ষা চালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা চলছে, তবে প্রত্যন্ত এলাকায় ইন্টারনেট সহজলভ্য ও সুলভ না হওয়ার কারণে সে উদ্যোগ খুব একটা কার্যকর হচ্ছে না। অনলাইন ক্লাসের উদ্যোগ যে প্রত্যন্ত গ্রামে খুব একটা কাজে আসছে তার প্রমাণ গত এক বছরে বাল্যবিয়ের চিত্র।
রাজশাহীর মোহনপুরে করোনার মধ্যে অস্বাভাবিক রকম বেড়েছে বিয়ে এবং বাল্যিয়ের প্রবণতা। পরিবারের দাবি, দীর্ঘদিনের লকডাউনে স্কুল–কলেজ বন্ধ থাকার কারণে ছেলে–মেয়েরা বাড়িতে বসে আর পড়াশোনা করতে চায় না। তারা বেপরোয়া ভাবে আড্ডাবাজি করে দিনের অধিকাংশ সময় কাটিয়ে দিচ্ছে। অনেকে আবার প্রেমের টানে নিজেরাই বিয়ে করে ফেলছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, মহামারিকালে পরিবারের উদ্যোগে বাল্যবিয়ে বৃদ্ধির পাশাপাশি গোপনে বিয়ের সংখ্যাও নেহায়েত কম নয়। এমনকি কোথাও কোথাও পালিয়ে বিয়ের সংখ্যাই বেশি। গত কয়েক মাসের মধ্যে উপজেলার কেশরহাট বালিকা বিদ্যালয়ের সাত শিক্ষার্থীর বিয়ে হয়ে গেছে। তাদের মধ্যে আবার তিন জনের বাড়ি একই গ্রামে। তারা হলো– কবিতা, মোহননা ও মাহমুদা। এছাড়া গত ৩০ জুলাই রাতে ওই গ্রামেরই আরেক শিক্ষার্থী রেশমা বিয়ে করে ফেলেছে পরিবারকে না জানিয়ে।
কেশরহাট টেকনিক্যাল কলেজের শিক্ষার্থী তিলাহারি গ্রামের আয়নালের ছেলে মিলন ও টুটুল, হরিদাগাছি গ্রামের দুলালের ছেলে সাহিনুর রহমানসহ আরও কয়েকজ শিক্ষার্থী লেখাপড়া ছেড়ে দিয়ে বিয়ে করে ফেলেছে।
জানতে চাইলে কেশরহাট উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শফিকুল ইসলাম জানান, বাল্যবিয়ে প্রতিরোধে সরকারের পাশাপাশি বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন কাজ করে আসছে। তবে করোনা মহামারিতে দীর্ঘদিন স্কুল–কলেজ বন্ধ থাকার কারণে অনেক ছেলে–মেয়ে লেখাপড়ার দিকে আর নজর দিচ্ছে না। তারা বাড়িতে বসে লেখাপড়ার চর্চাটুকুও হয়তো করছে না। অনেক শিক্ষার্থী পড়াশোনার পাঠ চুকিয়ে বিয়ে করে নিয়েছে। এর পেছনে পরিবারের অবহেলাও থাকতে পারে।
শফিকুল ইসলাম বলেন, খোঁজ পেয়েছি, আমার বিদ্যালয়ের ১৩–১৫ জন শিক্ষার্থী বিয়ে করে ফেলেছে। আসলে পারিবারিক সচেতনতা জরুরি। দ্রুত এ সমস্যা কাটিয়ে উঠুক এমন প্রত্যাশা করেন তিনি।
তবে এ বিষয়ে জানতে ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে উপজেলা মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের কোনো কর্মকর্তাই জবাব দেননি।
পুরান ঢাকার ঐতিহ্যবাহী স্থাপনাগুলোর ধ্বংস ঠেকানো যাচ্ছে না। ঈদের ছুটিতে বেশ কয়েকটি ভবন ভাঙা হয় বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হস্তক্ষেপে কিছু স্থাপনা ভাঙার কাজ স্থগিত হয়েছে। সাধারণত ছুটির সময়গুলোতে ভবন ভাঙার কাজ করা হয়ে থাকে। কারণ এ সময় অফিস বন্ধ থাকে, তদারকিও কম থাকে।
১৭ মিনিট আগেমৌলভীবাজারে ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতাল। এটি এ জেলার মানুষের চিকিৎসাসেবার একমাত্র ভরসাস্থল। তবে এই ভরসার জায়গায় কাঙ্ক্ষিত সেবা পাচ্ছেন না সাধারণ রোগীরা। প্রতিষ্ঠার ৪১ বছর পার হলেও ২০২৫ সালে এসে মাত্র ৪১ জন চিকিৎসক দিয়ে ধুঁকে ধুঁকে চলছে হাসপাতালের সেবা কার্যক্রম।
১ ঘণ্টা আগেকুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারীর বলদিয়া ইউনিয়নে ভিজিএফের (ভালনারেবল গ্রুপ ফিডিং) তালিকায় দুস্থদের বাদ দিয়ে সচ্ছলদের অন্তর্ভুক্ত করার অভিযোগ উঠেছে। এতে ঈদ উপলক্ষে দেওয়া ভিজিএফের চাল পায়নি দুস্থরা। ঈদুল আজহার আগের দিন ভিজিএফের চাল বিতরণ শেষ করা হয়।
১ ঘণ্টা আগেপ্রতিবছর ভাঙনে সংকুচিত হচ্ছে বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্রসৈকত কক্সবাজার। এ বছর বর্ষার শুরুতে ভাঙনের কবলে পড়েছে সৈকতের সবুজ বেষ্টনী হিসেবে পরিচিত ঝাউবাগান। গত ১৫ দিনে কক্সবাজার শহর থেকে টেকনাফ পর্যন্ত অন্তত ২০টি স্থানে ভাঙন দেখা দিয়েছে। এতে সৈকততীরের দৃষ্টিনন্দন ঝাউবন সাগরে বিলীন হয়ে যাচ্ছে।
১ ঘণ্টা আগে