নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী
রাজশাহী-২ আসনের নৌকার প্রার্থী ফজলে হোসেন বাদশা নির্বাচনে পরাজিত হয়ে দেশি–বিদেশি চক্রান্তকারীদের সুরে সুর মিলিয়ে কথা বলছেন। তিনি নির্বাচনকে বিতর্কিত ও প্রশ্নবিদ্ধ করার অপচেষ্টা চালাচ্ছেন বলে অভিযোগ করেছেন রাজশাহী মহানগরর আওয়ামী লীগের নেতারা।
আজ বৃহস্পতিবার রাজশাহী মহানগরীর কাদিরগঞ্জে সংবাদ সম্মেলন করে এ অভিযোগ করেন তারা। সংবাদ সম্মেলনটির আয়োজন করে কাঁচি প্রতীকের নির্বাচন পরিচালনা কমিটি।
এতে নগর আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ আলী কামালের পক্ষে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আসলাম সরকার। উপস্থিত ছিলেন নবনির্বাচিত সংসদ সদস্য শফিকুর রহমান বাদশাসহ নগর আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ।
আসলাম সরকার বলেন, ‘নির্বাচনের ফল ঘোষণা হওয়ার পর থেকে পরাজিত প্রার্থী ফজলে হোসেন বাদশা নির্বাচনকে বিতর্কিত ও প্রশ্নবিদ্ধ করতে দেশীয় এবং আন্তর্জাতিক চক্রান্তকারীদের সুরে সুর মিলিয়ে কথা বলছেন। তিনি নির্বাচন কমিশনে লিখিত অভিযোগ করে এবং গণমাধ্যমে বক্তব্য দিয়ে বলেন, নির্বাচনের দিনে ভোটারদের ভয়ভীতি ও হুমকি দেওয়া হয়েছে। যা উদ্দেশ্যমূলক, ভিত্তিহীন ও সম্পূর্ণ অসত্য।
শুধু তাই নয়, তিনি আওয়ামী লীগ কর্মীদের তার নির্বাচনে অংশ না নেওয়ার জন্য গণমানুষের নেতা সিটি মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটনকে দোষারোপ করেছেন, যা অনাকাঙ্ক্ষিত।’
তিনি বলেন, ‘গত ২৫ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত রাজশাহীতে ১৪ দলের সভায় ফজলে হোসেন বাদশার উপস্থিতিতে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন প্রকাশ্যে তাকে সমর্থন দেন। ওই সভায় এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, আমি নৌকার পক্ষে। আমি ফজলে হোসেন বাদশা ভাইয়ের পক্ষে।
অথচ রাজশাহীতে ১৪ দলের জোটভুক্ত জাসদের আব্দুল্লাহ আল মাসুদ শিবলী দলীয় প্রতীক মশাল নিয়ে নির্বাচনে অংশ নেওয়ায় জোট ফজলে হোসেন বাদশাকে সমর্থন দিতে দ্বিধাবিভক্ত হয়ে পড়ে। জোটের ওয়ার্কার্স পার্টি ব্যতীত অপর শরিক দল ফজলে হোসেন বাদশাকে সমর্থন দিতে অপারগতা প্রকাশ করে। ফলে ওই সভায় কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। জনবিচ্ছিন্ন ব্যক্তি হিসেবে তিনি পরাজিত হন। আর এখন দায় চাপাচ্ছেন আওয়ামী লীগের নেতা কর্মীদের ওপর।’
নগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বলেন, ‘একটি অংশগ্রহণমূলক, প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ নির্বাচনে ২৪ হাজার ভোটের ব্যবধানে ফজলে হোসেন বাদশা পরাজিত হন। নির্বাচনে পরাজিত হওয়ার পর গত ১৫ বছরের নিজের কর্মকাণ্ড বিচার-বিশ্লেষণ না করে মনগড়া অভিযোগ তুলে তিনি রাজশাহীবাসীকে হেয় করেছেন। ফজলে হোসেন বাদশা তার বক্তব্যের মধ্য দিয়ে মানুষের সাংবিধানিক অধিকারকে ক্ষুণ্ন করার অপচেষ্টা করেছেন। আমরা তার এমন কর্মকাণ্ডের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।’
নগর আ. লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ আলী কামাল বলেন, ‘নির্বাচনে পরাজিত হয়ে ফজলে হোসেন বাদশা জনগণের ভোটে নির্বাচিত মেয়র ও কাউন্সিলরদের ভাবমূর্তি বিনষ্টের চেষ্টা চালাচ্ছেন। একই সঙ্গে চলমান উন্নয়ন কার্যক্রমকে বাধাগ্রস্ত করতে সর্বোপরি অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে তিনিসহ তার লোকজন যে হীন অপচেষ্টা চালাচ্ছেন আমরা তার তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানাই।’
তিনি বলেন, আমরা আশা করি, তিনি অবিলম্বে তার অসত্য, ভিত্তিহীন, উদ্দেশ্যপ্রণোদিত, মনগড়া বক্তব্য প্রত্যাহার করবেন। তার শুভবুদ্ধির উদয় হবে এবং তিনি দোষারোপের রাজনীতি পরিহার করে জনমুখী রাজনীতির প্রতি মনোযোগী হবেন।’
এর আগে ২০০৮ সাল থেকে রাজশাহী-২ (সদর) আসনে পর পর তিনবার নৌকা প্রতীক নিয়ে এমপি নির্বাচিত হন বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক ফজলে হোসেন বাদশা। এবারও তিনি নৌকায় উঠেছিলেন। তবে বড় ব্যবধানে পরাজিত হয়েছেন কাঁচি প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী মহানগর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি অধ্যক্ষ শফিকুর রহমান বাদশার কাছে।
নির্বাচনে পরাজিত হওয়ার পর থেকে ফজলে হোসেন বাদশা গণমাধ্যমে নানা বক্তব্য দিয়ে আসছেন। পরাজয়ের জন্য দুষছেন রাজশাহী সিটি করপোরেশনকে। এমনকি ভোটের পর সিটি করপোরেশনের কাউন্সিলরদের বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশনে লিখিত অভিযোগও দিয়েছেন তিনি।
সংবাদ সম্মেলনের বিষয়ে জানতে চাইলে ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক ফজলে হোসেন বাদশা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সংবাদ সম্মেলন আমি দেখেছি। এ বিষয়ে আমার দলের স্থানীয় নেতৃবৃন্দ বক্তব্য দেবেন। আমি কথা বলব না।’
রাজশাহী-২ আসনের নৌকার প্রার্থী ফজলে হোসেন বাদশা নির্বাচনে পরাজিত হয়ে দেশি–বিদেশি চক্রান্তকারীদের সুরে সুর মিলিয়ে কথা বলছেন। তিনি নির্বাচনকে বিতর্কিত ও প্রশ্নবিদ্ধ করার অপচেষ্টা চালাচ্ছেন বলে অভিযোগ করেছেন রাজশাহী মহানগরর আওয়ামী লীগের নেতারা।
আজ বৃহস্পতিবার রাজশাহী মহানগরীর কাদিরগঞ্জে সংবাদ সম্মেলন করে এ অভিযোগ করেন তারা। সংবাদ সম্মেলনটির আয়োজন করে কাঁচি প্রতীকের নির্বাচন পরিচালনা কমিটি।
এতে নগর আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ আলী কামালের পক্ষে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আসলাম সরকার। উপস্থিত ছিলেন নবনির্বাচিত সংসদ সদস্য শফিকুর রহমান বাদশাসহ নগর আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ।
আসলাম সরকার বলেন, ‘নির্বাচনের ফল ঘোষণা হওয়ার পর থেকে পরাজিত প্রার্থী ফজলে হোসেন বাদশা নির্বাচনকে বিতর্কিত ও প্রশ্নবিদ্ধ করতে দেশীয় এবং আন্তর্জাতিক চক্রান্তকারীদের সুরে সুর মিলিয়ে কথা বলছেন। তিনি নির্বাচন কমিশনে লিখিত অভিযোগ করে এবং গণমাধ্যমে বক্তব্য দিয়ে বলেন, নির্বাচনের দিনে ভোটারদের ভয়ভীতি ও হুমকি দেওয়া হয়েছে। যা উদ্দেশ্যমূলক, ভিত্তিহীন ও সম্পূর্ণ অসত্য।
শুধু তাই নয়, তিনি আওয়ামী লীগ কর্মীদের তার নির্বাচনে অংশ না নেওয়ার জন্য গণমানুষের নেতা সিটি মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটনকে দোষারোপ করেছেন, যা অনাকাঙ্ক্ষিত।’
তিনি বলেন, ‘গত ২৫ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত রাজশাহীতে ১৪ দলের সভায় ফজলে হোসেন বাদশার উপস্থিতিতে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন প্রকাশ্যে তাকে সমর্থন দেন। ওই সভায় এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, আমি নৌকার পক্ষে। আমি ফজলে হোসেন বাদশা ভাইয়ের পক্ষে।
অথচ রাজশাহীতে ১৪ দলের জোটভুক্ত জাসদের আব্দুল্লাহ আল মাসুদ শিবলী দলীয় প্রতীক মশাল নিয়ে নির্বাচনে অংশ নেওয়ায় জোট ফজলে হোসেন বাদশাকে সমর্থন দিতে দ্বিধাবিভক্ত হয়ে পড়ে। জোটের ওয়ার্কার্স পার্টি ব্যতীত অপর শরিক দল ফজলে হোসেন বাদশাকে সমর্থন দিতে অপারগতা প্রকাশ করে। ফলে ওই সভায় কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। জনবিচ্ছিন্ন ব্যক্তি হিসেবে তিনি পরাজিত হন। আর এখন দায় চাপাচ্ছেন আওয়ামী লীগের নেতা কর্মীদের ওপর।’
নগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বলেন, ‘একটি অংশগ্রহণমূলক, প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ নির্বাচনে ২৪ হাজার ভোটের ব্যবধানে ফজলে হোসেন বাদশা পরাজিত হন। নির্বাচনে পরাজিত হওয়ার পর গত ১৫ বছরের নিজের কর্মকাণ্ড বিচার-বিশ্লেষণ না করে মনগড়া অভিযোগ তুলে তিনি রাজশাহীবাসীকে হেয় করেছেন। ফজলে হোসেন বাদশা তার বক্তব্যের মধ্য দিয়ে মানুষের সাংবিধানিক অধিকারকে ক্ষুণ্ন করার অপচেষ্টা করেছেন। আমরা তার এমন কর্মকাণ্ডের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।’
নগর আ. লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ আলী কামাল বলেন, ‘নির্বাচনে পরাজিত হয়ে ফজলে হোসেন বাদশা জনগণের ভোটে নির্বাচিত মেয়র ও কাউন্সিলরদের ভাবমূর্তি বিনষ্টের চেষ্টা চালাচ্ছেন। একই সঙ্গে চলমান উন্নয়ন কার্যক্রমকে বাধাগ্রস্ত করতে সর্বোপরি অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে তিনিসহ তার লোকজন যে হীন অপচেষ্টা চালাচ্ছেন আমরা তার তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানাই।’
তিনি বলেন, আমরা আশা করি, তিনি অবিলম্বে তার অসত্য, ভিত্তিহীন, উদ্দেশ্যপ্রণোদিত, মনগড়া বক্তব্য প্রত্যাহার করবেন। তার শুভবুদ্ধির উদয় হবে এবং তিনি দোষারোপের রাজনীতি পরিহার করে জনমুখী রাজনীতির প্রতি মনোযোগী হবেন।’
এর আগে ২০০৮ সাল থেকে রাজশাহী-২ (সদর) আসনে পর পর তিনবার নৌকা প্রতীক নিয়ে এমপি নির্বাচিত হন বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক ফজলে হোসেন বাদশা। এবারও তিনি নৌকায় উঠেছিলেন। তবে বড় ব্যবধানে পরাজিত হয়েছেন কাঁচি প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী মহানগর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি অধ্যক্ষ শফিকুর রহমান বাদশার কাছে।
নির্বাচনে পরাজিত হওয়ার পর থেকে ফজলে হোসেন বাদশা গণমাধ্যমে নানা বক্তব্য দিয়ে আসছেন। পরাজয়ের জন্য দুষছেন রাজশাহী সিটি করপোরেশনকে। এমনকি ভোটের পর সিটি করপোরেশনের কাউন্সিলরদের বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশনে লিখিত অভিযোগও দিয়েছেন তিনি।
সংবাদ সম্মেলনের বিষয়ে জানতে চাইলে ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক ফজলে হোসেন বাদশা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সংবাদ সম্মেলন আমি দেখেছি। এ বিষয়ে আমার দলের স্থানীয় নেতৃবৃন্দ বক্তব্য দেবেন। আমি কথা বলব না।’
‘কপোতাক্ষ নদের জলাবদ্ধতা দূরীকরণ’ (দ্বিতীয় পর্যায়) শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর মাধ্যমে হরিহর নদ পুনঃখনন কাজ বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। অথচ নীতিমালা অনুযায়ী যথাযথ উল্লম্ব-অনুভূমিক জায়গা না রেখে হরিহর নদের ওপর যশোর সদর উপজেলার গোয়ালদাহ বাজারে আরেকটি অপরিকল্পিত সেতু নির্মাণ করছে স্
১ ঘণ্টা আগেগাজীপুরের কাপাসিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে মজুত থাকা সরকারি বিপুল ওষুধ নষ্ট হয়ে গেছে। সময়মতো রোগীদের মাঝে বিতরণ না করায় ওষুধগুলোর মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়েছে বলে জানা গেছে। এতে সরকারি সম্পদের ক্ষতি হয়েছে; একই সঙ্গে সরকারি সেবা থেকে বঞ্চিত হয়েছে হাজারো রোগী।
১ ঘণ্টা আগেঢাকা রোড ট্রাফিক সেফটি প্রজেক্টের (ডিআরএসপি) আওতায় ‘নিরাপদ পথচারী পারাপারে পাইলট প্রকল্প’ বাস্তবায়ন শুরু হয়েছে। ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের ট্রাফিক বিভাগ ও ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) সহযোগিতায় পাইলট প্রকল্পটি রোববার (২০ এপ্রিল ২০২৫) থেকে শুরু হয়ে ৮ মে পর্যন্ত চলবে।
২ ঘণ্টা আগেরাজধানীর তেজগাঁও থানাধীন কারওয়ান বাজারের কাঁচামাল ব্যবসায়ী আলাল উদ্দিন হত্যার চাঞ্চল্যকর ঘটনায় জড়িত মূল দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে ডিএমপির তেজগাঁও থানা-পুলিশ। গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন মো. শামীম হোসেন (২৮) ও মো. ইয়াসিন আরাফাত ওরফে মুরগি ইয়াসিন (২১)।
২ ঘণ্টা আগে