Ajker Patrika

মায়ের খুনিকে শনাক্ত করল ৪ বছরের শিশু

গনেশ দাস, বগুড়া
আপডেট : ২০ অক্টোবর ২০২৩, ১৯: ৫৭
মায়ের খুনিকে শনাক্ত করল ৪ বছরের শিশু

সিসিটিভির ফুটেজ দেখে মা তাছলিমা বেগমের খুনিকে শনাক্ত করেছে চার বছরের শিশু কাজিম আলী। পুলিশকে সে জানায়, তার নানাবাড়ি থেকে আসা মামা তার মাকে হাতুড়ি দিয়ে মাথায় আঘাত করেছেন। এর আগে মা ও মামা সোফায় বসে গল্প করেন। মায়ের দেওয়া চানাচুর-বিস্কুট খেয়েছেন। 

পুলিশ কাজিম আলীর দেওয়া তথ্য অনুযায়ী গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে শাকিল (২৪) নামে সেই যুবককে বগুড়া সদরের রাজাপুর গ্রাম থেকে আটক করে। শাকিল পেশায় অটোরিকশাচালক। এ ছাড়া তিনি তাছলিমা বেগমের (২৩) বন্ধু এবং প্রতিবেশী চাচাতো ভাই।

শাকিলকে আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বগুড়া ডিবি পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.মোস্তাফিজ হাসান। তিনি বলেন, আগামীকাল শনিবার ঘটনার বিস্তারিত জানানো হবে।

ঘটনাস্থলের পাশের ভবনের সিসিটিভি ফুটেজ দেখে পুলিশ নিশ্চিত হন সকাল ১০টা ১১ মিনিটে শাকিল ওই বাসায় প্রবেশ করেন। তাঁর অটোরিকশাটি বাসার সামনেই রাখা ছিল। শাকিল হত্যার উদ্দেশ্যেই হাতুড়ি নিয়ে ওই বাড়িতে প্রবেশ করেন। শাকিল ওই বাড়িতে দেড় ঘণ্টা অবস্থান করেন।

গতকাল রাত ৯টার দিকে তাছলিমার স্বামী সিরাজুল ইসলাম শহরে দোকান বন্ধ করে নিশিন্দারা মধ্যপাড়ায় বাসায় ফিরে স্ত্রীর লাশ বারান্দায় পড়ে থাকতে দেখে পুলিশে খবর দেন। এ সময় তাঁর একমাত্র সন্তান কাজিম আলীকে পাশের ঘরে বেঁধে রাখা অবস্থায় পাওয়া যায়। কাজিম আলীর মাথায় আঘাতের চিহ্ন থাকলেও বেশি গুরুতর না।

পুলিশের একটি সূত্র জানায়, চার বছর বয়সী কাজিম আলী পুলিশকে জানায় তার নানাবাড়ি থেকে এক মামা বাসায় এসেছিল। তাকে মা (তাছলিমা) চানাচুর-বিস্কুট খেতে দেন। সেই মামাই তার মাকে হাতুড়ি দিয়ে আঘাত করেছেন। কাজিম আলী সিসিটিভি ফুটেজ দেখে শাকিলকে শনাক্ত করে। পরে পুলিশ সেই তথ্য ধরে শাকিলকে তাঁর বাড়ি থেকে রাতেই আটক করে।

রাজাপুর গ্রামের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, তাছলিমা ও শাকিল একই স্কুলে লেখাপড়া করেছেন। শাকিল তাঁর বন্ধু এবং প্রতিবেশী চাচাতো ভাই। সম্প্রতি শাকিল বিদেশে যাওয়ার জন্য তাছলিমার কাছ থেকে টাকা ধার নেন। কিন্তু বিদেশ যেতে পারেননি। সেই টাকা তাছলিমাকে ফেরত দিচ্ছিলেন না।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, প্রাথমিক অনুসন্ধানে টাকা লেনদেনের তথ্য পাওয়া গেছে। পাশাপাশি তাঁদের মধ্যে পরকীয়ার সম্পর্ক ছিল কি না সেই বিষয়টি নিয়েও অনুসন্ধান চলছে।

বগুড়া সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইহান ওলিউল্লাহ আজকের পত্রিকাকে বলেন, তাছলিমা হত্যার রহস্য উদ্‌ঘাটন হয়েছে।  এ ঘটনায় এখনো থানায় মামলা হয়নি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত