নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী
বিএনপির রাজশাহী বিভাগীয় গণসমাবেশ আগামী শনিবার (৩ ডিসেম্বর) অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। এ কারণে রাজশাহীর ঐতিহাসিক মাদ্রাসা ময়দানে সমাবেশের অনুমতি চেয়েছে দলটি। রাজশাহী জেলা প্রশাসক ১ ডিসেম্বর থেকে মাঠ ব্যবহারের অনুমতি দিলেও অনুমতি দেয়নি পুলিশ। বরং অনুমতি ছাড়াই সমাবেশ উপলক্ষে তৈরি প্যান্ডেল ভেঙে ফেলতে বাধ্য করেছে।
আজ মঙ্গলবার নগরীর মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে নগরীর রাজপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এএসএম সিদ্দিকুর রহমানের নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল সেই প্যান্ডেল ভেঙে দিতে বাধ্য করে নেতা কর্মীদের।
বিএনপির দলীয় সূত্রে জানা গেছে, রাজশাহীর মাদ্রাসা মাঠে (হাজী মুহম্মদ মহসীন সরকারি উচ্চবিদ্যালয় মাঠ) সমাবেশের জন্য গত অক্টোবর মাসেই জেলা প্রশাসকের কাছে লিখিতভাবে আবেদন করা হয়। দীর্ঘদিন পরেও অনুমতি না পাওয়ায় গতকাল সোমবার বিকেলে দলের চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মিজানুর রহমান মিনু, বিএনপির রাজশাহী বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক রুহুল কুদ্দুস তালুকদার ও মহানগর বিএনপির সাবেক সভাপতি মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল জেলা প্রশাসকের সঙ্গে দেখা করেন। এ সময় জেলা প্রশাসক ১ ডিসেম্বর থেকে মাঠ ব্যবহারের অনুমতি দেন। তবে পুলিশের পক্ষ থেকে সমাবেশ আয়োজন ও মাইক ব্যবহারের অনুমতি মেলেনি।
এদিকে অনুমতি পাওয়ার আগেই দলটি মাঠের পাশের একটি জায়গায় নেতা কর্মীদের থাকার জন্য প্যান্ডেল করতে শুরু করা হয়। পুলিশ সেটি ভেঙে ফেলতে বাধ্য করেছে। আর মাঠের ভেতরে ইতিমধ্যে বাঁশ-খুঁটি পুঁতে মঞ্চ তৈরির কাজ শুরু হয়েছে। বিভাগীয় সমাবেশের আগে সড়ক পরিবহন গ্রুপ ১১ দফা দাবি আদায়ে সরকারের কাছে আল্টিমেটাম দিয়েছে। দাবি আদায় না হলে ১ ডিসেম্বর থেকে পরিবহন ধর্মঘটেরও ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।
বিএনপির স্থানীয় নেতা কর্মীরা বলছে, নেতারা ধরেই নিয়েছেন সমাবেশের আগে ১ ডিসেম্বর থেকে পরিবহন ধর্মঘট শুরু হবে। বিএনপির অন্য বিভাগীয় সমাবেশের আগেও পরিবহন ধর্মঘট হয়েছে। তাই আগে থেকেই নেতা কর্মীরা সমাবেশস্থলে চলে যাচ্ছেন। রাজশাহীতেও সে রকম প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। যেসব নেতা কর্মী আগে চলে আসবেন, তাদের থাকার জন্য মাদ্রাসা ময়দানের বিপরীতে একটি ফাঁকা জায়গায় সোমবার সকাল থেকে প্যান্ডেল তৈরির কাজ শুরু হয়।
এ বিষয়ে রাজপাড়া থানার ওসি সিদ্দিকুর রহমান বলেন, সমাবেশের অনুমতিই এখনো বিএনপি পায়নি। তার আগেই প্যান্ডেল করার কাজ শুরু করায় এতে বাধা দেওয়া হয়েছে।
একটি রিয়েল এস্টেট প্রতিষ্ঠানের জায়গায় বাঁশ-খুঁটি পুঁতে প্যান্ডেল তৈরির কাজ করছিলেন ডেকোরেটর ব্যবসায়ী আবদুস সালাম। তিনি জানান, নগর বিএনপির সাবেক সভাপতি ও সাবেক সিটি মেয়র মোহাম্মদ মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুলের ব্যক্তিগত সহকারী বিপ্লব তাঁকে প্যান্ডেল বানানোর কাজটি দিয়েছেন। একদিন আগে থেকেই কাজ করলেও পুলিশ দ্বিতীয় দিনে বাধা দিয়েছে। সমাবেশের মাঠেও আরও তিনটি প্যান্ডেল করার কাজ আছে তাঁর।
এ ঘটনায় বিএনপি চেয়ারপারসনের অন্যতম উপদেষ্টা এবং এই গণসমাবেশের সমন্বয়ক মিজানুর রহমান মিনু বলেন, ‘মাঠ ব্যবহারের অনুমতি পাওয়া গেছে। সমাবেশ করা এবং মাইক ব্যবহারেরও অনুমতি পাওয়া যাবে। পুলিশ প্যান্ডেল-ট্যান্ডেল ভাঙেনি। পুলিশের সাথে আমাদের খুব ভালোভাবেই কথা হচ্ছে। পুলিশ আমাদের মাদ্রাসা ময়দানেই সমাবেশ করার অনুমতি দেবে।’
রাজশাহী নগর পুলিশের বিশেষ শাখার উপকমিশনার মো. আবদুর রকিব বলেন, ‘যে স্কুলের মাঠে বিএনপি সমাবেশ করবে বলছে, সেই স্কুলে শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা চলছে। বুধবার পরীক্ষা হবে, বৃহস্পতিবার সকালেও একটা পরীক্ষা আছে। তাই এখনো সমাবেশের অনুমতি দেওয়া হয়নি। তবে আগামীকালই (বৃহস্পতিবার) বিষয়টি চূড়ান্ত হয়ে যাবে।’
বিএনপির রাজশাহী বিভাগীয় গণসমাবেশ আগামী শনিবার (৩ ডিসেম্বর) অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। এ কারণে রাজশাহীর ঐতিহাসিক মাদ্রাসা ময়দানে সমাবেশের অনুমতি চেয়েছে দলটি। রাজশাহী জেলা প্রশাসক ১ ডিসেম্বর থেকে মাঠ ব্যবহারের অনুমতি দিলেও অনুমতি দেয়নি পুলিশ। বরং অনুমতি ছাড়াই সমাবেশ উপলক্ষে তৈরি প্যান্ডেল ভেঙে ফেলতে বাধ্য করেছে।
আজ মঙ্গলবার নগরীর মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে নগরীর রাজপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এএসএম সিদ্দিকুর রহমানের নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল সেই প্যান্ডেল ভেঙে দিতে বাধ্য করে নেতা কর্মীদের।
বিএনপির দলীয় সূত্রে জানা গেছে, রাজশাহীর মাদ্রাসা মাঠে (হাজী মুহম্মদ মহসীন সরকারি উচ্চবিদ্যালয় মাঠ) সমাবেশের জন্য গত অক্টোবর মাসেই জেলা প্রশাসকের কাছে লিখিতভাবে আবেদন করা হয়। দীর্ঘদিন পরেও অনুমতি না পাওয়ায় গতকাল সোমবার বিকেলে দলের চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মিজানুর রহমান মিনু, বিএনপির রাজশাহী বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক রুহুল কুদ্দুস তালুকদার ও মহানগর বিএনপির সাবেক সভাপতি মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল জেলা প্রশাসকের সঙ্গে দেখা করেন। এ সময় জেলা প্রশাসক ১ ডিসেম্বর থেকে মাঠ ব্যবহারের অনুমতি দেন। তবে পুলিশের পক্ষ থেকে সমাবেশ আয়োজন ও মাইক ব্যবহারের অনুমতি মেলেনি।
এদিকে অনুমতি পাওয়ার আগেই দলটি মাঠের পাশের একটি জায়গায় নেতা কর্মীদের থাকার জন্য প্যান্ডেল করতে শুরু করা হয়। পুলিশ সেটি ভেঙে ফেলতে বাধ্য করেছে। আর মাঠের ভেতরে ইতিমধ্যে বাঁশ-খুঁটি পুঁতে মঞ্চ তৈরির কাজ শুরু হয়েছে। বিভাগীয় সমাবেশের আগে সড়ক পরিবহন গ্রুপ ১১ দফা দাবি আদায়ে সরকারের কাছে আল্টিমেটাম দিয়েছে। দাবি আদায় না হলে ১ ডিসেম্বর থেকে পরিবহন ধর্মঘটেরও ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।
বিএনপির স্থানীয় নেতা কর্মীরা বলছে, নেতারা ধরেই নিয়েছেন সমাবেশের আগে ১ ডিসেম্বর থেকে পরিবহন ধর্মঘট শুরু হবে। বিএনপির অন্য বিভাগীয় সমাবেশের আগেও পরিবহন ধর্মঘট হয়েছে। তাই আগে থেকেই নেতা কর্মীরা সমাবেশস্থলে চলে যাচ্ছেন। রাজশাহীতেও সে রকম প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। যেসব নেতা কর্মী আগে চলে আসবেন, তাদের থাকার জন্য মাদ্রাসা ময়দানের বিপরীতে একটি ফাঁকা জায়গায় সোমবার সকাল থেকে প্যান্ডেল তৈরির কাজ শুরু হয়।
এ বিষয়ে রাজপাড়া থানার ওসি সিদ্দিকুর রহমান বলেন, সমাবেশের অনুমতিই এখনো বিএনপি পায়নি। তার আগেই প্যান্ডেল করার কাজ শুরু করায় এতে বাধা দেওয়া হয়েছে।
একটি রিয়েল এস্টেট প্রতিষ্ঠানের জায়গায় বাঁশ-খুঁটি পুঁতে প্যান্ডেল তৈরির কাজ করছিলেন ডেকোরেটর ব্যবসায়ী আবদুস সালাম। তিনি জানান, নগর বিএনপির সাবেক সভাপতি ও সাবেক সিটি মেয়র মোহাম্মদ মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুলের ব্যক্তিগত সহকারী বিপ্লব তাঁকে প্যান্ডেল বানানোর কাজটি দিয়েছেন। একদিন আগে থেকেই কাজ করলেও পুলিশ দ্বিতীয় দিনে বাধা দিয়েছে। সমাবেশের মাঠেও আরও তিনটি প্যান্ডেল করার কাজ আছে তাঁর।
এ ঘটনায় বিএনপি চেয়ারপারসনের অন্যতম উপদেষ্টা এবং এই গণসমাবেশের সমন্বয়ক মিজানুর রহমান মিনু বলেন, ‘মাঠ ব্যবহারের অনুমতি পাওয়া গেছে। সমাবেশ করা এবং মাইক ব্যবহারেরও অনুমতি পাওয়া যাবে। পুলিশ প্যান্ডেল-ট্যান্ডেল ভাঙেনি। পুলিশের সাথে আমাদের খুব ভালোভাবেই কথা হচ্ছে। পুলিশ আমাদের মাদ্রাসা ময়দানেই সমাবেশ করার অনুমতি দেবে।’
রাজশাহী নগর পুলিশের বিশেষ শাখার উপকমিশনার মো. আবদুর রকিব বলেন, ‘যে স্কুলের মাঠে বিএনপি সমাবেশ করবে বলছে, সেই স্কুলে শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা চলছে। বুধবার পরীক্ষা হবে, বৃহস্পতিবার সকালেও একটা পরীক্ষা আছে। তাই এখনো সমাবেশের অনুমতি দেওয়া হয়নি। তবে আগামীকালই (বৃহস্পতিবার) বিষয়টি চূড়ান্ত হয়ে যাবে।’
পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নতুন ভবন নির্মাণে ২০১৪ সালে প্রকল্প অনুমোদন দিয়েছিল জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক)। প্রকল্পটির এক দশকে অর্থ বরাদ্দ ৫৪৬ কোটি টাকা থেকে বেড়ে ৬৫১ কোটি টাকায় দাঁড়িয়েছে। শেষ হয়েছে বর্ধিত মেয়াদও। তবু কাজ শেষ হয়নি। এতে কাঙ্ক্ষিত সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে জেলা
৩ ঘণ্টা আগেটানা বৃষ্টিপাত ও উজানের ঢলে উত্তরের নদ-নদীর পানি বেড়েছে; বিশেষ করে তিস্তা নদীর পানি বিভিন্ন পয়েন্টে বিপৎসীমা অতিক্রম করায় রংপুর বিভাগের অন্তত চার জেলায় বন্যা পরিস্থিতির আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। কুড়িগ্রাম, লালমনিরহাট ও নীলফামারীর নদীতীরবর্তী নিম্নাঞ্চল এরই মধ্যে প্লাবিত হতে শুরু করেছে। পানি উন্নয়ন বোর্ড
৩ ঘণ্টা আগেরাজশাহী শহরের অর্ধেকের বেশি তরুণ মানসিকভাবে ভালো নেই। বিষণ্নতায় ভুগছেন তাঁরা। গবেষকেরা বলছেন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের অতিরিক্ত ব্যবহারের কারণে এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।
৩ ঘণ্টা আগেরংপুরের কাউনিয়ায় সারের নতুন দোকান উদ্বোধনকালে বিদ্যুতায়িত হয়ে দুজন মারা গেছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও পাঁচজন। এর মধ্যে দুজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে।
৬ ঘণ্টা আগে