Ajker Patrika

গাঁজায় সয়লাব চাঁপাইনবাবগঞ্জ, এক বছরে জব্দ সাড়ে ৪ শ কেজি

চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধি
Thumbnail image

চাঁপাইনবাবগঞ্জ গাঁজায় সয়লাব হয়ে গেছে। প্রায়ই গাঁজার বস্তা জব্দ করা হচ্ছে। গত এক বছরে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর ৪৩৪ কেজি গাঁজা জব্দ করেছে। কেনাবেচা ও ব্যবহারের সামান্য অংশই ধরা পড়ছে। বিভিন্ন কৌশলে এসব গাঁজা জেলাজুড়ে ছড়িয়ে পড়ছে।

গত বছরের ১০ মার্চ লবণবাহী একটি ট্রাক রাজশাহী থেকে চাঁপাইনবাবগঞ্জ শহরের দিকে আসছিল। জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সদস্যদের সন্দেহ হলে ট্রাকটি থামানো হয়। কিন্তু সুযোগ বুঝে ট্রাকটি থেকে একজন চালিয়ে যায়। এ সময় ট্রাকটি তল্লাশি করে গাঁজার বস্তা দেখতে পান ডিএনসির সদস্যরা। পরে ওই ট্রাক থেকে ৫৭ কেজি গাঁজা জব্দ করা হয়।

এ ঘটনায় জেলার শিবগঞ্জ উপজেলার কানসাট ইউনিয়নের সাহানবান্ধা পুকুরিয়া গ্রামের ট্রাকচালক জসিম উদ্দিন, শিবগঞ্জ পৌর এলাকার পিঠালিতলা গ্রামের ট্রাকচালকের সহকারী আব্দুল করিম ও শ্যামপুর ইউনিয়নের ওমরপুর গ্রামের বকুলকে গ্রেপ্তার করা হয়।

একই বছরের ১৩ নভেম্বর গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সদর উপজেলার আমনুরা পুলিশ ফাঁড়ির সামনে একটি পিকআপ ভ্যানে তল্লাশি চালিয়ে ১৭ কেজি গাঁজাসহ দুজনকে গ্রেপ্তার করেন ডিএনসির সদস্যরা। এ ঘটনায় শিবগঞ্জ উপজেলার কানসাট ইউনিয়নের বাগুর্গাপুরের মো. জনি ইসলাম একই এলাকার মো. রাজিব হোসেনকে গ্রেপ্তার করা হয়। এই গাঁজাগুলো কুমিল্লা থেকে আনা হচ্ছিল।

জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের জেলা কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ‘গত এক বছরে এ জেলায় ৪৩৩ কেজি ৯০০ গ্রাম গাঁজা জব্দ করা হয়েছে। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে এসব গাঁজা জব্দ করেছে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর। জব্দ এসব গাঁজার বেশির ভাগ চালান কুমিল্লা থেকে চাঁপাইনবাবগঞ্জে এসেছে। অন্যান্য বছরের তুলনায় এ বছর বিপুল পরিমাণ গাঁজা জব্দ হওয়ায় বিষয়টি নিয়ে সংস্থাটি চিন্তিত।’

জেলার মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর ২০২৩ সালে ১ হাজার ৪০৮টি অভিযান চালিয়েছে। তাতে মাদকদ্রব্য উদ্ধারের পাশাপাশি ৭৯৯ কারবারিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সংস্থাটি মাদক কারবারির বিরুদ্ধে ৭৪২টি মামলা করেছে।

কুমিল্লা সীমান্তের জিরো পয়েন্টের পাশেই পাহাড়ি শত শত বিঘা জমিতে গাঁজা চাষ করা হয়েছে। বিক্রির উপযুক্ত হলে খেত থেকে গাঁজা ওঠানো হয়। পরে বিভিন্ন কৌশলে সড়ক পথে এসব চাঁপাইনবাবগঞ্জে আনা হয়। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা অভিযান চালিয়ে গাঁজা পাচারকারীদের গ্রেপ্তার করে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে চাঁপাইনবাবগঞ্জের মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক আনিছুর রহমান খান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘গত এক বছরে জেলায় বিপুল পরিমাণ গাঁজা উদ্ধার হয়েছে। জেলায় যেসব গাঁজা উদ্ধার করা হয়েছে, প্রায় সবই কুমিল্লার গাঁজা। চোরাকারবারিরা বিভিন্ন কৌশলে এসব এখানে নিয়ে আসে। আমাদের হাতে চোরাকারবারিরা প্রায়ই ধরা পড়লেও অনেক সময় কৌশলে এসব ব্যবসায়ীদের কাছে পৌঁছে যায়।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত