জাককানইবি প্রতিনিধি
জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. সৌমিত্র শেখর বলেন, ‘সারা জীবন রবীন্দ্রনাথ ও নজরুলের বচন ও লেখনে ওপর মানুষের আস্থা এবং ভরসা রাখতে হবে। একজন বলেছেন “মানুষের চেয়ে বড় কিছু নাই, নহে কিছু মহীয়ান” অপরজন বলেছেন “মানুষের ওপর বিশ্বাস হারানো পাপ”। এটাই তাঁদের জীবনদর্শন। আমাদের সেটা ধারণ করতে হবে।’
আজ রোববার সকালে প্রশাসনিক ভবনের কনফারেন্স কক্ষে রবীন্দ্র নজরুল প্রয়াণ দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
উপাচার্য বলেন, ‘২২ শ্রাবণ কিংবা ১২ ভাদ্র এই দিনগুলো তখনই সার্থক হবে যদি আমরা তাঁদের আদর্শ আমাদের জীবনে কিছুটা হলেও ধারণ করতে পারি। মানুষের ওপর যে আস্থা সেটি রাখতে হবে। এখানে কোনো জাত নেই, পাত নেই, ধর্ম নেই, বর্ণ নেই, গোত্র নেই, উচ্চতা নেই। শুধু মানুষ পরিচয়ই বড়। আমাদের নানা বিদ্যা নানা কিছু শেখাবে, নানা বিভক্তি শেখাবে, পৃথক করবে। কিন্তু রবীন্দ্রনাথ ও নজরুলের যে বক্তব্য সেটা হচ্ছে সার্বিক অর্থে মানবজাতির যদি কল্যাণ না করা যায় তাহলে আমাদের বেঁচে থাকার কোনো যৌক্তিকতা নেই। মানুষে মানুষে বিভক্তি করে যে বাঁচা যায়, সে বাঁচা শান্তির বাঁচা নয়। বেঁচে থাকা শান্তিময় হবে যদি আমরা মানুষে মানুষে যে সম্পর্ক সেটিকে আরও সুদৃঢ় করতে পারি, অন্য কোনো কিছুতে নয়।’
উপাচার্য আরও বলেন, রবীন্দ্রনাথ ও নজরুল ছিলেন বাঙালি জাতির দুই মনীষী। কোনো জাতিতে যদি মনীষী জন্মগ্রহণ না করে তাহলে ওই জাতি বিশ্ব দরবারে কোনো অবদান রাখতে পারে না। মহামানব যে দেশে জন্মগ্রহণ করে না, সে দেশ একেবারে তলানিতে থাকে। চিন্তাচেতনা আবিষ্কারে কোনো কিছুই আগায় না। বাঙালির মধ্যে বড় মাপের মানুষ নাই বললেই চলে। যারা জন্মেছেন তাঁরাও সাম্প্রতিক কালে, এক শ বা দু শ বছর আগে। পৃথিবীর ইতিহাসে এক শ বা দু শ বছর কিছুই না। তাহলে বাঙালি একটা বড় জাতি হবে কী করে? তবে আমাদের এখন মনীষী জন্মগ্রহণ শুরু করেছেন। তাঁদের যথাযথ শ্রদ্ধা ও সম্মানের সঙ্গে স্মরণ করতে হবে।’
শিক্ষার্থীদের জীবনে রবীন্দ্র ও নজরুল দর্শনের গুরুত্ব তুলে ধরে উপাচার্য বলেন, ‘রবীন্দ্রনাথ ও নজরুল তাঁদের জীবনে সার্টিফিকেট ছিল না। কিন্তু তাঁরা বড় মানুষ হয়েছিলেন। কারণ তাঁরা জীবনের পাঠ নিয়েছেন। আমাদের সার্টিফিকেট আছে, অথচ আমরা জীবনের পাঠ নিইনি। রবীন্দ্রনাথ ও নজরুল এমন দুজন মানুষ যারা আমাদের খাদ্য দেন না, বস্ত্র দেনা কিন্তু তাঁরা আমাদের মানুষ হতে শেখান। আমরা যেন তাঁদের আদর্শ খানিকটা হলেও গ্রহণ করি। কেননা পশুর সঙ্গে মানুষের পার্থক্য হল-মানুষ স্বপ্ন দেখতে পারেন, স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে পারেন। মানুষ চিন্তা করতে পারেন ও চিন্তার প্রয়োগ করতে পারেন।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. সাহাবউদ্দিনের সভাপতিত্বে সভায় শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন, রেজিস্ট্রার কৃষিবিদ ড. হুমায়ূন কবীর। ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন, রবীন্দ্র-নজরুল প্রয়াণ দিবস উদ্যাপন কমিটির সদস্য ড. মো. তুহিনুর রহমান। সঞ্চালনা করেন, ইনস্টিটিউট অব নজরুল স্টাডিজের অতিরিক্ত পরিচালক রাশেদুল আনাম।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন-কলা অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. আহমেদুল বারী, পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক (ভারপ্রাপ্ত) আবদুল হালিমসহ শিক্ষক ও কর্মকর্তারা।
আলোচনা সভা শুরুর আগে রবীন্দ্র ও নজরুলের প্রতিকৃতিতে পুষ্পান্জলি অর্পণ ও জাতীয় সংগীত গাওয়া হয়। পরে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে কার্যসূচি সমাপ্ত ঘোষণা করা হয়েছে।
জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. সৌমিত্র শেখর বলেন, ‘সারা জীবন রবীন্দ্রনাথ ও নজরুলের বচন ও লেখনে ওপর মানুষের আস্থা এবং ভরসা রাখতে হবে। একজন বলেছেন “মানুষের চেয়ে বড় কিছু নাই, নহে কিছু মহীয়ান” অপরজন বলেছেন “মানুষের ওপর বিশ্বাস হারানো পাপ”। এটাই তাঁদের জীবনদর্শন। আমাদের সেটা ধারণ করতে হবে।’
আজ রোববার সকালে প্রশাসনিক ভবনের কনফারেন্স কক্ষে রবীন্দ্র নজরুল প্রয়াণ দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
উপাচার্য বলেন, ‘২২ শ্রাবণ কিংবা ১২ ভাদ্র এই দিনগুলো তখনই সার্থক হবে যদি আমরা তাঁদের আদর্শ আমাদের জীবনে কিছুটা হলেও ধারণ করতে পারি। মানুষের ওপর যে আস্থা সেটি রাখতে হবে। এখানে কোনো জাত নেই, পাত নেই, ধর্ম নেই, বর্ণ নেই, গোত্র নেই, উচ্চতা নেই। শুধু মানুষ পরিচয়ই বড়। আমাদের নানা বিদ্যা নানা কিছু শেখাবে, নানা বিভক্তি শেখাবে, পৃথক করবে। কিন্তু রবীন্দ্রনাথ ও নজরুলের যে বক্তব্য সেটা হচ্ছে সার্বিক অর্থে মানবজাতির যদি কল্যাণ না করা যায় তাহলে আমাদের বেঁচে থাকার কোনো যৌক্তিকতা নেই। মানুষে মানুষে বিভক্তি করে যে বাঁচা যায়, সে বাঁচা শান্তির বাঁচা নয়। বেঁচে থাকা শান্তিময় হবে যদি আমরা মানুষে মানুষে যে সম্পর্ক সেটিকে আরও সুদৃঢ় করতে পারি, অন্য কোনো কিছুতে নয়।’
উপাচার্য আরও বলেন, রবীন্দ্রনাথ ও নজরুল ছিলেন বাঙালি জাতির দুই মনীষী। কোনো জাতিতে যদি মনীষী জন্মগ্রহণ না করে তাহলে ওই জাতি বিশ্ব দরবারে কোনো অবদান রাখতে পারে না। মহামানব যে দেশে জন্মগ্রহণ করে না, সে দেশ একেবারে তলানিতে থাকে। চিন্তাচেতনা আবিষ্কারে কোনো কিছুই আগায় না। বাঙালির মধ্যে বড় মাপের মানুষ নাই বললেই চলে। যারা জন্মেছেন তাঁরাও সাম্প্রতিক কালে, এক শ বা দু শ বছর আগে। পৃথিবীর ইতিহাসে এক শ বা দু শ বছর কিছুই না। তাহলে বাঙালি একটা বড় জাতি হবে কী করে? তবে আমাদের এখন মনীষী জন্মগ্রহণ শুরু করেছেন। তাঁদের যথাযথ শ্রদ্ধা ও সম্মানের সঙ্গে স্মরণ করতে হবে।’
শিক্ষার্থীদের জীবনে রবীন্দ্র ও নজরুল দর্শনের গুরুত্ব তুলে ধরে উপাচার্য বলেন, ‘রবীন্দ্রনাথ ও নজরুল তাঁদের জীবনে সার্টিফিকেট ছিল না। কিন্তু তাঁরা বড় মানুষ হয়েছিলেন। কারণ তাঁরা জীবনের পাঠ নিয়েছেন। আমাদের সার্টিফিকেট আছে, অথচ আমরা জীবনের পাঠ নিইনি। রবীন্দ্রনাথ ও নজরুল এমন দুজন মানুষ যারা আমাদের খাদ্য দেন না, বস্ত্র দেনা কিন্তু তাঁরা আমাদের মানুষ হতে শেখান। আমরা যেন তাঁদের আদর্শ খানিকটা হলেও গ্রহণ করি। কেননা পশুর সঙ্গে মানুষের পার্থক্য হল-মানুষ স্বপ্ন দেখতে পারেন, স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে পারেন। মানুষ চিন্তা করতে পারেন ও চিন্তার প্রয়োগ করতে পারেন।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. সাহাবউদ্দিনের সভাপতিত্বে সভায় শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন, রেজিস্ট্রার কৃষিবিদ ড. হুমায়ূন কবীর। ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন, রবীন্দ্র-নজরুল প্রয়াণ দিবস উদ্যাপন কমিটির সদস্য ড. মো. তুহিনুর রহমান। সঞ্চালনা করেন, ইনস্টিটিউট অব নজরুল স্টাডিজের অতিরিক্ত পরিচালক রাশেদুল আনাম।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন-কলা অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. আহমেদুল বারী, পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক (ভারপ্রাপ্ত) আবদুল হালিমসহ শিক্ষক ও কর্মকর্তারা।
আলোচনা সভা শুরুর আগে রবীন্দ্র ও নজরুলের প্রতিকৃতিতে পুষ্পান্জলি অর্পণ ও জাতীয় সংগীত গাওয়া হয়। পরে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে কার্যসূচি সমাপ্ত ঘোষণা করা হয়েছে।
রাজধানীর উত্তরায় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্তের পর থেকেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম যেন বিভীষিকাময় হয়ে উঠেছে। ফেসবুকে ঢুকলেই ওই দুর্ঘটনার মন খারাপ করা ছবি ও ভিডিও এড়িয়ে যাওয়ার উপায় নেই। স্ক্রল করতে করতে হঠাৎ চোখ আটকে যায় ‘এসএসসি ০৫-এইচএসসি ০৭’ গ্রুপের একটি পোস্টে।
৪ ঘণ্টা আগেজাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের করিডরে আগের দিনের মতো চিৎকার-চেঁচামেচি ছিল না গতকাল মঙ্গলবার। ছিল না রক্তের জন্য ছোটাছুটি। হাসপাতালজুড়ে কেমন যেন একটা উৎকণ্ঠা। এই উৎকণ্ঠা দগ্ধ শিশুগুলোর স্বজনদের চোখেমুখে। সবার প্রার্থনা, আর যেন কোনো দুঃসংবাদ কানে না আসে, সব শিশু যেন সুস্থ হয়ে ওঠে।
৪ ঘণ্টা আগেশিক্ষার্থীদের প্রতি মমত্ববোধ ও দায়িত্ববোধের অসাধারণ উদাহরণ তৈরি করে গেলেন রাজধানীর মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষক মাহরীন চৌধুরী। যুদ্ধবিমানটি যখন তাঁর প্রতিষ্ঠানে বিধ্বস্ত হয়, তখনো তিনি অক্ষত ও সুস্থ ছিলেন। কিন্তু বিপদের মুখেই তিনি ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন নিজের সন্তানের মতো ছাত্রছাত্রীদের বাঁচাতে।
৪ ঘণ্টা আগেরাজধানীর উত্তরার দিয়াবাড়ির মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজ প্রাঙ্গণে শিক্ষার্থীদের কোলাহল নেই। বিমানবাহিনীর বিধ্বস্ত প্রশিক্ষণ যুদ্ধবিমানের বিকট শব্দে থেমে গেছে সেই কোলাহল। থামেনি সন্তান বা স্বজনহারাদের বুকফাটা কান্না, মাতম। হাসপাতালে যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছে আহত ও দগ্ধরা।
৪ ঘণ্টা আগে