শেরপুর প্রতিনিধি
টানা বৃষ্টি ও ভারত থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে শেরপুরের নালিতাবাড়ী ও ঝিনাইগাতী উপজেলার বন্যা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হলেও নতুন করে সদর ও নকলা উপজেলার ছয়টি ইউনিয়ন প্লাবিত হয়েছে। বন্যায় শেরপুরের নালিতাবাড়ী ও ঝিনাইগাতীসহ জেলায় আমন ধান-সবজি আবাদের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
প্রায় ৪৭ হাজার হেক্টর জমির আমন আবাদ এবং এক হাজার হেক্টর জমির সবজির আবাদ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এছাড়াও ভেসে গেছে ২ হাজারেরও বেশি পুকুর ও মৎস্য খামার। সব মিলিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন জেলার প্রায় পৌনে দুই লাখ কৃষক।
কৃষি বিভাগ বলছে, পানি পুরোপুরি নেমে গেলে প্রকৃত ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নিরূপণ করা সম্ভব হবে। এছাড়া ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের প্রণোদনার আওতায় আনার বিষয়ে মন্ত্রণালয়ে তালিকা পাঠানো হবে।
এদিকে গত তিন দিনে বন্যার পানিতে ডুবে নালিতাবাড়ীতে দুই সহোদরসহ পাঁচজন এবং নকলায় প্লাবিত এলাকায় বিদ্যুতায়িত হয়ে এক কৃষকের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া ঢলের পানিতে ভেসে এসেছে একজনের মরদেহ।
পাঁচজনের মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করেছেন জেলা প্রশাসক তরফদার মাহমুদুর রহমান। বাকি দুজনের বিষয়ে তিনি বলেন, একজনের লাশ ঝিনাইগাতীতে ঢলের পানিতে উজান থেকে ভেসে এসেছে। আরেকজন নকলায় বিদ্যুতায়িত হয়ে মারা গেছেন।
গত কয়েক দিনের টানা বর্ষণ ও ভারতের উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলের পানিতে নালিতাবাড়ী ও ঝিনাইগাতী উপজেলা সদরের পানি কিছুটা নেমে গেলেও নিম্নাঞ্চলের নতুন নতুন গ্রাম প্লাবিত হচ্ছে। এতে সদর ও নকলা উপজেলার ছয়টি ইউনিয়ন বন্যাকবলিত হয়ে পড়েছে। আমন আবাদ, মাছের ঘের ও সবজি আবাদের ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
ফসলের ক্ষয়ক্ষতি সম্পর্কে শেরপুর খামারবাড়ীর উপপরিচালক ড. সুকল্প দাস বলেন, পাহাড়ি ঢলে ৩ উপজেলার আমন ধান ও সবজি আবাদ নষ্ট হয়েছে। ক্ষয়ক্ষতি কমবেশি নির্ভর করবে পানি নেমে যাওয়ার ওপর। পানি পুরোপুরি নেমে গেলে প্রকৃত ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নিরূপণ করা সম্ভব হবে। এছাড়া ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের প্রণোদনার আওতায় আনার বিষয়ে মন্ত্রণালয়ে তালিকা পাঠানো হবে।
জেলা মৎস্য কর্মকর্তা প্রণব কর্মকার বলেন, পাহাড়ি ঢলে ও বাঁধ ভেঙে জেলার ৬ হাজার ৮৬টি পুকুর ভেসে গেছে। এতে সব মাছ বের হয়ে গিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন মাছচাষিরা। টাকার অঙ্কে প্রায় ৫৩ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে।
ঝিনাইগাতীর মহারশি নদীর ভেঙে যাওয়া বাঁধ পরিদর্শন করে দ্রুত সময়ের মধ্যে মেরামতের আশ্বাস দিয়েছেন পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রধান প্রকৌশলী মো. আসাদুজ্জামান। তিনি বলেন, মহারশি নদীর বাঁধ উঁচু করার সুযোগ নেই। তবে ভাঙনকবলিত স্থান দ্রুত মেরামত করে দেওয়া হবে।
এদিকে বন্যার্তদের জন্য জেলার বন্যাকবলিত এলাকার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোকে আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে ঘোষণা করেছে প্রশাসন। বন্যাকবলিত বেশ কিছু এলাকায় জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ত্রাণ বিতরণ করা হয়েছে। নালিতাবাড়ী ও ঝিনাইগাতী উপজেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় রাতভর পানিবন্দী মানুষদের উদ্ধারের চেষ্টা করেছেন স্বেচ্ছাসেবীরা। পরে সেনাবাহিনীর সদস্যরাও উদ্ধারকাজ পরিচালনা করেছেন।
বন্যা পরিস্থিতি ও সরকারি ত্রাণ বিতরণ সম্পর্কে শেরপুরের জেলা প্রশাসক (ডিসি) তরফদার মাহমুদুর রহমান বলেন, অবিরাম বৃষ্টি ও ঢলের পানিতে হাজার হাজার মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। তাদের অনেকেই আশ্রয়কেন্দ্রে রয়েছেন। তিনটি উপজেলায় আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে স্থানীয় প্রশাসনের উদ্যোগে রান্না করা খাবার বিতরণ করা হচ্ছে। সেনাবাহিনী, বিজিবি, পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস উদ্ধারকাজে সহযোগিতা করছে। আমাদের সংগ্রহে পর্যাপ্ত শুকনো খাবার রয়েছে। এখন পর্যন্ত ১০ হাজার শুকনো খাবার প্যাকেট পানিবন্দী পরিবারগুলোর মাঝে সরবরাহ করা হয়েছে। আরও ২৫ হাজার প্যাকেট ত্রাণের চাহিদা দেওয়া হয়েছে। এছাড়া ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের পরবর্তীতে সার্বিক সহযোগিতা করা হবে।
টানা বৃষ্টি ও ভারত থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে শেরপুরের নালিতাবাড়ী ও ঝিনাইগাতী উপজেলার বন্যা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হলেও নতুন করে সদর ও নকলা উপজেলার ছয়টি ইউনিয়ন প্লাবিত হয়েছে। বন্যায় শেরপুরের নালিতাবাড়ী ও ঝিনাইগাতীসহ জেলায় আমন ধান-সবজি আবাদের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
প্রায় ৪৭ হাজার হেক্টর জমির আমন আবাদ এবং এক হাজার হেক্টর জমির সবজির আবাদ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এছাড়াও ভেসে গেছে ২ হাজারেরও বেশি পুকুর ও মৎস্য খামার। সব মিলিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন জেলার প্রায় পৌনে দুই লাখ কৃষক।
কৃষি বিভাগ বলছে, পানি পুরোপুরি নেমে গেলে প্রকৃত ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নিরূপণ করা সম্ভব হবে। এছাড়া ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের প্রণোদনার আওতায় আনার বিষয়ে মন্ত্রণালয়ে তালিকা পাঠানো হবে।
এদিকে গত তিন দিনে বন্যার পানিতে ডুবে নালিতাবাড়ীতে দুই সহোদরসহ পাঁচজন এবং নকলায় প্লাবিত এলাকায় বিদ্যুতায়িত হয়ে এক কৃষকের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া ঢলের পানিতে ভেসে এসেছে একজনের মরদেহ।
পাঁচজনের মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করেছেন জেলা প্রশাসক তরফদার মাহমুদুর রহমান। বাকি দুজনের বিষয়ে তিনি বলেন, একজনের লাশ ঝিনাইগাতীতে ঢলের পানিতে উজান থেকে ভেসে এসেছে। আরেকজন নকলায় বিদ্যুতায়িত হয়ে মারা গেছেন।
গত কয়েক দিনের টানা বর্ষণ ও ভারতের উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলের পানিতে নালিতাবাড়ী ও ঝিনাইগাতী উপজেলা সদরের পানি কিছুটা নেমে গেলেও নিম্নাঞ্চলের নতুন নতুন গ্রাম প্লাবিত হচ্ছে। এতে সদর ও নকলা উপজেলার ছয়টি ইউনিয়ন বন্যাকবলিত হয়ে পড়েছে। আমন আবাদ, মাছের ঘের ও সবজি আবাদের ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
ফসলের ক্ষয়ক্ষতি সম্পর্কে শেরপুর খামারবাড়ীর উপপরিচালক ড. সুকল্প দাস বলেন, পাহাড়ি ঢলে ৩ উপজেলার আমন ধান ও সবজি আবাদ নষ্ট হয়েছে। ক্ষয়ক্ষতি কমবেশি নির্ভর করবে পানি নেমে যাওয়ার ওপর। পানি পুরোপুরি নেমে গেলে প্রকৃত ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নিরূপণ করা সম্ভব হবে। এছাড়া ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের প্রণোদনার আওতায় আনার বিষয়ে মন্ত্রণালয়ে তালিকা পাঠানো হবে।
জেলা মৎস্য কর্মকর্তা প্রণব কর্মকার বলেন, পাহাড়ি ঢলে ও বাঁধ ভেঙে জেলার ৬ হাজার ৮৬টি পুকুর ভেসে গেছে। এতে সব মাছ বের হয়ে গিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন মাছচাষিরা। টাকার অঙ্কে প্রায় ৫৩ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে।
ঝিনাইগাতীর মহারশি নদীর ভেঙে যাওয়া বাঁধ পরিদর্শন করে দ্রুত সময়ের মধ্যে মেরামতের আশ্বাস দিয়েছেন পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রধান প্রকৌশলী মো. আসাদুজ্জামান। তিনি বলেন, মহারশি নদীর বাঁধ উঁচু করার সুযোগ নেই। তবে ভাঙনকবলিত স্থান দ্রুত মেরামত করে দেওয়া হবে।
এদিকে বন্যার্তদের জন্য জেলার বন্যাকবলিত এলাকার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোকে আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে ঘোষণা করেছে প্রশাসন। বন্যাকবলিত বেশ কিছু এলাকায় জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ত্রাণ বিতরণ করা হয়েছে। নালিতাবাড়ী ও ঝিনাইগাতী উপজেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় রাতভর পানিবন্দী মানুষদের উদ্ধারের চেষ্টা করেছেন স্বেচ্ছাসেবীরা। পরে সেনাবাহিনীর সদস্যরাও উদ্ধারকাজ পরিচালনা করেছেন।
বন্যা পরিস্থিতি ও সরকারি ত্রাণ বিতরণ সম্পর্কে শেরপুরের জেলা প্রশাসক (ডিসি) তরফদার মাহমুদুর রহমান বলেন, অবিরাম বৃষ্টি ও ঢলের পানিতে হাজার হাজার মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। তাদের অনেকেই আশ্রয়কেন্দ্রে রয়েছেন। তিনটি উপজেলায় আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে স্থানীয় প্রশাসনের উদ্যোগে রান্না করা খাবার বিতরণ করা হচ্ছে। সেনাবাহিনী, বিজিবি, পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস উদ্ধারকাজে সহযোগিতা করছে। আমাদের সংগ্রহে পর্যাপ্ত শুকনো খাবার রয়েছে। এখন পর্যন্ত ১০ হাজার শুকনো খাবার প্যাকেট পানিবন্দী পরিবারগুলোর মাঝে সরবরাহ করা হয়েছে। আরও ২৫ হাজার প্যাকেট ত্রাণের চাহিদা দেওয়া হয়েছে। এছাড়া ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের পরবর্তীতে সার্বিক সহযোগিতা করা হবে।
রংপুরের কাউনিয়ায় ইঞ্জিনচালিত ভ্যান (নছিমন) উল্টে এক গরু ব্যবসায়ী নিহত হয়েছেন। আজ বুধবার (১০ সেপ্টেম্বর) দুপুরে উপজেলার ভেলুপাড়া এলাকায় রংপুর-কুড়িগ্রাম মহাসড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
৮ মিনিট আগেদেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেছেন, ‘বাংলাদেশের উন্নয়ন যাত্রায় বর্তমানে সুশাসন, অর্থনীতি ও নীতিগত সংস্কার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সুশাসন ও কার্যকর নীতির সংস্কার ছাড়া টেকসই উন্নয়ন সম্ভব নয়। বিশেষ করে বৈশ্বিক অর্থনৈতিক পরিবর্তনের সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিতে এবং টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য (এসডিজি) অর্জনে যুগোপযোগী নীতি প্রণয়ন
৩৪ মিনিট আগেগত ৫ আগস্ট খুলনায় রেডিও সেন্টার থেকে লুট হওয়া ৪১টি চায়নিজ রাইফেলের তাজা গুলি ও ৪টি চায়নিজ রাইফেলের চার্জারসহ দুজনকে আটক করেছে কেএমপির ডিবি পুলিশ।
৩৯ মিনিট আগেত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোটকেন্দ্রে সিসিটিভি ক্যামেরা ও পুলিশকে বডিওর্ন ক্যামেরার বিষয়ে করণীয় কিছু নেই বলে জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। ইসির উপসচিব রাশেদুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এ-সংক্রান্ত চিঠি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিবকে পাঠানো হয়েছে।
১ ঘণ্টা আগে