ময়মনসিংহ প্রতিনিধি

ময়মনসিংহে নগরীর তিনকোনা পুকুরপাড় এলাকায় রেলওয়ের চার শতাংশ জমি দখল করে স্থানীয় এক আওয়ামী লীগ কর্মী মার্কেট নির্মাণ করছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। মুসা মিয়া নামের ওই ব্যক্তি বিশেষ ক্ষমতা আইনের মামলায় ৪৬ দিন জেল খেটে গত ৭ অক্টোবর জামিনে বের হন। তাঁর ওই মার্কেট নির্মাণ নিয়ে এলাকায় হট্টগোল ও উত্তেজনা বিরাজ করছে।
গত বুধবার মার্কেট নির্মাণ নিয়ে মুসা মিয়ার সঙ্গে এলাকাবাসীর বাগ্বিতণ্ডা ও উত্তেজনার সৃষ্টি হলে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ ও পুলিশ ঘটনাস্থলে ছুটে যায়। এ সময় অবৈধভাবে গড়ে তোলা মার্কেট ভেঙে ফেলারও নির্দেশ দেয় রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ।
মুসা মিয়ার দাবি, তাঁর বাবার কেনা জমির চার শতাংশের ওপর মার্কেট নির্মাণ করছেন। তবে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ বলছে, নির্মাণাধীন মার্কেটটি পুরোপুরি রেলের জমির মধ্যে পড়েছে। ওই ব্যক্তির বাড়িরও কিছু অংশ রেলের জমিতে পড়তে পারে।
স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, মুসা মিয়া আওয়ামী লীগ সরকারের সময় প্রভাব খাঁটিয়ে দীর্ঘদিন ধরে রেলওয়ের জমি ভোগদখল করে আসছেন।
জানা গেছে, অভিযুক্ত মুসা মিয়া ময়মনসিংহ নগরীর তিনকোনা পুকুরপাড়ের বাসিন্দা। তিনি গত ৭ অক্টোবর বিশেষ ক্ষমতা আইনের একটি মামলায় কারাগার থেকে জামিনে মুক্তি পান। এরপর তিনি বাড়িসংলগ্ন রেললাইনের পাশে আধা পাকা মার্কেট নির্মাণের কাজ শুরু করেন। মার্কেটে ১২টি দোকানঘর তৈরি করে ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে ভাড়া বাবদ জামানত নিয়েছেন। বুধবার মার্কেট নির্মাণকে কেন্দ্র করে এলাকাবাসী ও মুসা মিয়ার মধ্যে হট্টগোল বাধে। খবর পেয়ে পুলিশ ও রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ সেখানে যায়। জমি মেপে মার্কেটটি রেলওয়ে জমির মধ্যে হওয়ায় তা ভেঙে ফেলার নির্দেশ দেয় কর্তৃপক্ষ। কিন্তু গতকাল শুক্রবার পর্যন্ত মার্কেটটি ভাঙা হয়নি। এ নিয়ে স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে।
তিনকোনা পুকুরপাড়ের বাসিন্দা ইমন হাসান বলেন, এই এলাকায় রেললাইনের এক পাশে ৪৬ ফুট এবং অন্য পাশে ১৮ ফুট করে রেলের জায়গা রয়েছে। যে পাশে ১৮ ফুট করে রেলের জায়গা, সেই পাশে রেললাইন থেকে পাঁচ ফুট দূরত্ব ফাঁকা রেখে মুসা মিয়া মার্কেট নির্মাণ করেছেন; যা পুরোটাই অবৈধ।
ব্যবসায়ী মো. রোকন বলেন, ‘মুসা মিয়ার বাসা ঘিরে রেললাইন। তাই ৮-১০ বছর আগে আমার বাবা তাঁকে এককালীন ৫০ হাজার টাকা দিয়ে মাসিক ভাড়া চুক্তিতে রেলের জায়গায় একটি দোকান ভাড়া নেন।’
অভিযোগের বিষয়ে মুসা মিয়া বলেন, ‘আমার বাবা ১৯৬৫ সালে রেলের পাশের ১৪ শতাংশ জমি কিনেছিলেন। ১০ শতাংশ জায়গার মধ্যে আমি বাড়িঘর করেছি। বাকি ৪ শতাংশের মার্কেট নির্মাণ করছি। আমার বড় ভাই আমার বিপক্ষে চলে গিয়ে আমাকে নানাভাবে হয়রানি করছেন। আমি আওয়ামী লীগ সমর্থন করলেও কোথাও নাম-পদবি নেই।’
কোতোয়ালি মডেল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. আসাদুজ্জামান বলেন, রেলের পাশের জমি নিয়ে মুসা মিয়া ও এলাকাবাসীর মধ্যে উত্তেজনার সৃষ্টি হলে সেখানে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ ভালো বলতে পারবে–প্রকৃত পক্ষে জায়গার মালিক কে।
রেলওয়ের ময়মনসিংহ অঞ্চলের জ্যেষ্ঠ সহকারী নির্বাহী প্রকৌশলী নাজমুল হাসান বলেন, মাপজোক করে মার্কেটটি রেলওয়ের জমির মধ্যে হওয়ায় তা ভেঙে ফেলার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। নির্মাণাধীন মার্কেটটি পুরোপুরি রেলের জমিতে পড়েছে। ওই ব্যক্তির বাড়ির কিছু অংশও রেলের জমিতে পড়তে পারে। তাই আগে মার্কেটটি ভাঙার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

ময়মনসিংহে নগরীর তিনকোনা পুকুরপাড় এলাকায় রেলওয়ের চার শতাংশ জমি দখল করে স্থানীয় এক আওয়ামী লীগ কর্মী মার্কেট নির্মাণ করছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। মুসা মিয়া নামের ওই ব্যক্তি বিশেষ ক্ষমতা আইনের মামলায় ৪৬ দিন জেল খেটে গত ৭ অক্টোবর জামিনে বের হন। তাঁর ওই মার্কেট নির্মাণ নিয়ে এলাকায় হট্টগোল ও উত্তেজনা বিরাজ করছে।
গত বুধবার মার্কেট নির্মাণ নিয়ে মুসা মিয়ার সঙ্গে এলাকাবাসীর বাগ্বিতণ্ডা ও উত্তেজনার সৃষ্টি হলে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ ও পুলিশ ঘটনাস্থলে ছুটে যায়। এ সময় অবৈধভাবে গড়ে তোলা মার্কেট ভেঙে ফেলারও নির্দেশ দেয় রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ।
মুসা মিয়ার দাবি, তাঁর বাবার কেনা জমির চার শতাংশের ওপর মার্কেট নির্মাণ করছেন। তবে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ বলছে, নির্মাণাধীন মার্কেটটি পুরোপুরি রেলের জমির মধ্যে পড়েছে। ওই ব্যক্তির বাড়িরও কিছু অংশ রেলের জমিতে পড়তে পারে।
স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, মুসা মিয়া আওয়ামী লীগ সরকারের সময় প্রভাব খাঁটিয়ে দীর্ঘদিন ধরে রেলওয়ের জমি ভোগদখল করে আসছেন।
জানা গেছে, অভিযুক্ত মুসা মিয়া ময়মনসিংহ নগরীর তিনকোনা পুকুরপাড়ের বাসিন্দা। তিনি গত ৭ অক্টোবর বিশেষ ক্ষমতা আইনের একটি মামলায় কারাগার থেকে জামিনে মুক্তি পান। এরপর তিনি বাড়িসংলগ্ন রেললাইনের পাশে আধা পাকা মার্কেট নির্মাণের কাজ শুরু করেন। মার্কেটে ১২টি দোকানঘর তৈরি করে ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে ভাড়া বাবদ জামানত নিয়েছেন। বুধবার মার্কেট নির্মাণকে কেন্দ্র করে এলাকাবাসী ও মুসা মিয়ার মধ্যে হট্টগোল বাধে। খবর পেয়ে পুলিশ ও রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ সেখানে যায়। জমি মেপে মার্কেটটি রেলওয়ে জমির মধ্যে হওয়ায় তা ভেঙে ফেলার নির্দেশ দেয় কর্তৃপক্ষ। কিন্তু গতকাল শুক্রবার পর্যন্ত মার্কেটটি ভাঙা হয়নি। এ নিয়ে স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে।
তিনকোনা পুকুরপাড়ের বাসিন্দা ইমন হাসান বলেন, এই এলাকায় রেললাইনের এক পাশে ৪৬ ফুট এবং অন্য পাশে ১৮ ফুট করে রেলের জায়গা রয়েছে। যে পাশে ১৮ ফুট করে রেলের জায়গা, সেই পাশে রেললাইন থেকে পাঁচ ফুট দূরত্ব ফাঁকা রেখে মুসা মিয়া মার্কেট নির্মাণ করেছেন; যা পুরোটাই অবৈধ।
ব্যবসায়ী মো. রোকন বলেন, ‘মুসা মিয়ার বাসা ঘিরে রেললাইন। তাই ৮-১০ বছর আগে আমার বাবা তাঁকে এককালীন ৫০ হাজার টাকা দিয়ে মাসিক ভাড়া চুক্তিতে রেলের জায়গায় একটি দোকান ভাড়া নেন।’
অভিযোগের বিষয়ে মুসা মিয়া বলেন, ‘আমার বাবা ১৯৬৫ সালে রেলের পাশের ১৪ শতাংশ জমি কিনেছিলেন। ১০ শতাংশ জায়গার মধ্যে আমি বাড়িঘর করেছি। বাকি ৪ শতাংশের মার্কেট নির্মাণ করছি। আমার বড় ভাই আমার বিপক্ষে চলে গিয়ে আমাকে নানাভাবে হয়রানি করছেন। আমি আওয়ামী লীগ সমর্থন করলেও কোথাও নাম-পদবি নেই।’
কোতোয়ালি মডেল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. আসাদুজ্জামান বলেন, রেলের পাশের জমি নিয়ে মুসা মিয়া ও এলাকাবাসীর মধ্যে উত্তেজনার সৃষ্টি হলে সেখানে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ ভালো বলতে পারবে–প্রকৃত পক্ষে জায়গার মালিক কে।
রেলওয়ের ময়মনসিংহ অঞ্চলের জ্যেষ্ঠ সহকারী নির্বাহী প্রকৌশলী নাজমুল হাসান বলেন, মাপজোক করে মার্কেটটি রেলওয়ের জমির মধ্যে হওয়ায় তা ভেঙে ফেলার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। নির্মাণাধীন মার্কেটটি পুরোপুরি রেলের জমিতে পড়েছে। ওই ব্যক্তির বাড়ির কিছু অংশও রেলের জমিতে পড়তে পারে। তাই আগে মার্কেটটি ভাঙার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

যশোরের মনিরামপুর উপজেলায় ঝাঁপা-কোমলপুর বাজার সংযোগ সড়কে ঝাঁপা বাঁওড়ের ওপর জরাজীর্ণ সেতু ভেঙে নতুন সেতু নির্মিত করা হয়েছে গত মে মাসে। ১ কোটি ৯২ লাখ ৮ হাজার ২১১ টাকা বরাদ্দে ১৩ দশমিক ২০ মিটার দৈর্ঘ্যের সেতুটির নির্মাণকাজ বাস্তবায়ন করে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি)।
৩ ঘণ্টা আগে
বরিশাল নগরের ৩৫টি ভবনকে এক যুগ আগে ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা করেছে বরিশাল সিটি করপোরেশন (বিসিসি)। তবে দীর্ঘ এ সময়ে মাত্র তিনটি ভবন অপসারণ করা হয়েছে। বাকি ৩২টি এখনো ঠায় দাঁড়িয়ে রয়েছে। ভবনগুলোয় বাস করছেন ৫ শতাধিক বাসিন্দা।
৩ ঘণ্টা আগে
ছুটির দিনের সকালে আতঙ্ক ছড়ানো ভূমিকম্পে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় অন্তত তিনজন নিহত হয়েছে। কয়েক তলা ওপর থেকে লাফ দেওয়া, হুড়োহুড়িসহ বিভিন্নভাবে আহত হয়ে ঢাকার পাঁচটি হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছে দুই শতাধিক মানুষ। আহতদের মধ্যে রয়েছে নারী, শিশুসহ বিভিন্ন বয়স ও শ্রেণির মানুষ।
৩ ঘণ্টা আগে
শেরপুরের নালিতাবাড়ীর কাকরকান্দি ইউনিয়নের শতবর্ষী ফুটবল মাঠটি একসময় ছিল এলাকার প্রাণ। বিকেল নামলেই তরুণেরা ভিড় করত অনুশীলনে, জাতীয় দিবসে হতো ফুটবলসহ বিভিন্ন ক্রীড়া প্রতিযোগিতা। কিন্তু এখন সেই মাঠে খেলা নয়, বসছে গরু-ছাগলের সাপ্তাহিক হাট।
৪ ঘণ্টা আগেআনোয়ার হোসেন, মনিরামপুর (যশোর)

যশোরের মনিরামপুর উপজেলায় ঝাঁপা-কোমলপুর বাজার সংযোগ সড়কে ঝাঁপা বাঁওড়ের ওপর জরাজীর্ণ সেতু ভেঙে নতুন সেতু নির্মিত করা হয়েছে গত মে মাসে। ১ কোটি ৯২ লাখ ৮ হাজার ২১১ টাকা বরাদ্দে ১৩ দশমিক ২০ মিটার দৈর্ঘ্যের সেতুটির নির্মাণকাজ বাস্তবায়ন করে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি)। নির্মাণকাজ শেষ হয়ে সাত মাস পার হলেও সংযোগ সড়ক না করায় উপকারে আসছে না সেতুটি। ফলে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন ঝাঁপা বাঁওড়ের দুই পাড়ে বসবাসকারী কয়েক হাজার মানুষ।
ঝাঁপা বাঁওড়ের ওপর নতুন সেতু নির্মাণের কাজ শুরুর সময় পথচারীদের চলাচলের জন্য পাশ দিয়ে বিকল্প একটি কাঠের সেতু করে দিয়েছেন ঠিকাদার। বর্ষা মৌসুমে কাঠের সেতুটি তলিয়ে যাওয়ায় কোমলপুর বাজার থেকে এ পথে ঝাঁপা গ্রামের সঙ্গে যোগাযোগবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। বৃষ্টির পানি সরে যাওয়ায় কাঠের সেতু দিয়ে পারাপার শুরু হলেও পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় সেটি দুর্বল হয়ে মাঝ বরাবর ভেঙে পড়ায় পারাপারে ভোগান্তিতে পড়েছেন পথচারীরা। কাঠের সেতু পারাপার হতে প্রায়ই দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছেন তাঁরা।
মনিরামপুর এলজিইডি সূত্রে জানা গেছে, ২০২৪ সালের মে মাসে সেতুর কাজ শুরু হয়। নির্মাণকাজ বাস্তবায়নের জন্য এক বছর সময় নির্ধারণ করা হয়েছিল।
স্থানীয়রা বলছেন, ঝাঁপা গ্রামটি ঝাঁপা ইউনিয়ন পরিষদের ১, ২ ও ৩ নম্বর ওয়ার্ড নিয়ে গঠিত বৃহৎ একটি গ্রাম। তিন পাশে বাঁওড় ও একপাশে কপোতাক্ষ নদ ঘেরা এই দ্বীপ অঞ্চলে ২০-২৫ হাজার লোকের বসবাস। ঝাঁপা ইউনিয়নের বাকি ৬ ওয়ার্ডের সঙ্গে ঝাঁপা গ্রামকে বিচ্ছিন্ন করেছে ঝাঁপা বাঁওড়।
ঝাঁপা গ্রামের সঙ্গে ইউনিয়নের অন্য এলাকার যোগাযোগর চারটি পথ আছে। দুটি পথে রাজগঞ্জ বাজারসংলগ্ন ভাসমান সেতু। একটি পথ কোমলপুর বাজার হয়ে বাঁওড়ের ওপর দিয়ে কংক্রিটের সেতু পার হয়ে, অন্য পথটি কোমলপুর বাজার হয়ে দুই থেকে তিন কিলোমিটার ঘুরে মল্লিকপুর হয়ে বাঁওড়ের কংক্রিটের সেতু পার হয়ে। তার মধ্যে যাতায়াত ও ভারী যানবাহনে পণ্য পরিবহনে সহজ পথ হচ্ছে কোমলপুর বাজার হয়ে ঝাঁপা বাঁওড়ের ওপর নির্মিত সেতু পারাপারে। ঝাঁপা বাজারে অবস্থিত পুলিশ ক্যাম্পে যাওয়ার সহজ রাস্তাও এটি। এ পথে নতুন নির্মিত সেতুর সংযোগ সড়ক না থাকায় হেঁটে পথচারীরা কাঠের পুল দিয়ে যাতায়াত করলেও পণ্য পরিবহনে রয়েছেন বড় ভোগান্তিতে।
স্থানীয় অমারেশ বিশ্বাস বলেন, কোমলপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ে লেখাপড়ার মান ভালো হওয়ায় ঝাঁপা বাঘাডাঙ্গি অঞ্চলের অনেক শিক্ষার্থী সেতু পার হয়ে এই বিদ্যালয়ে আসত। সেতু ভাঙার পর যোগাযোগবিচ্ছিন্ন থাকায় ওই শিক্ষার্থীরা এখন আর এ বিদ্যালয়ে আসে না। এ ছাড়া ঝাঁপা বাঘাডাঙ্গিপাড়ায় একটি আলিম মাদ্রাসা আছে। জোঁকা ও কোমলপুর অঞ্চলের শিক্ষার্থীরা এই সেতু পার হয়ে ওই মাদ্রাসায় যায়। সেতু ভেঙে যোগাযোগবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ায় বহু পথ পাড়ি দিয়ে শিক্ষার্থীদের মাদ্রাসায় যায়।
স্থানীয় রবিউল ইসলাম বলেন, ‘এ রাস্তাটুকু না হলে মানুষ যে কত কষ্টে আছে, তা বলে শেষ করা যাবে না। কাঠের ভাঙা সেতু পারাপারের সময় মানুষ পানিতে পড়ে আহত হচ্ছে।’
সেতুর কাজ দেখভালের দায়িত্বে থাকা মনিরামপুর উপজেলা এলজিইডির উপসহকারী প্রকৌশলী এ এস এম খালেকুজ্জামান বলেন, ‘সেতুর কাজ শেষ হয়েছে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে। বর্ষা মৌসুমে বাঁওড়ে পানি বেশি থাকায় দুই পাড়ে সংযোগ সড়ক তলিয়ে ছিল। তা ছাড়া মাটি না পাওয়ায় রাস্তার কাজ করা সম্ভব হয়নি।’
খালেকুজ্জামান বলেন, ‘সেতুর দুই পাড়ে ৫২৩ মিটার রাস্তায় হেরিং বোন (এইচবিবি) ইটের সলিং বসাতে ৩৫ লাখ ৬৬ হাজার টাকা বরাদ্দ রাখা আছে। আগামী ৬ ডিসেম্বর রাস্তার নির্মাণকাজের মেয়াদ শেষ হবে। এরই মধ্যে কাজ শেষ না হলে সময় বৃদ্ধি করা হতে পারে।’
সেতুর কাজের ঠিকাদার নিশাত বসু বলেন, ‘এত দিন মাটি না পাওয়ায় সেতুর সংযোগ রাস্তায় কাজ করা সম্ভব হয়নি। এখন মাটি পাওয়া গেছে, কাজ শুরু করব।’
মনিরামপুর এলজিইডির উপজেলা প্রকৌশলী ফয়সাল আহমেদ বলেন, ‘মাটি পাওয়া যাচ্ছিল না। এ জন্য সেতুর সংযোগ সড়কের কাজ করা হয়নি। দ্রুত কাজ শুরু হবে।’

যশোরের মনিরামপুর উপজেলায় ঝাঁপা-কোমলপুর বাজার সংযোগ সড়কে ঝাঁপা বাঁওড়ের ওপর জরাজীর্ণ সেতু ভেঙে নতুন সেতু নির্মিত করা হয়েছে গত মে মাসে। ১ কোটি ৯২ লাখ ৮ হাজার ২১১ টাকা বরাদ্দে ১৩ দশমিক ২০ মিটার দৈর্ঘ্যের সেতুটির নির্মাণকাজ বাস্তবায়ন করে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি)। নির্মাণকাজ শেষ হয়ে সাত মাস পার হলেও সংযোগ সড়ক না করায় উপকারে আসছে না সেতুটি। ফলে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন ঝাঁপা বাঁওড়ের দুই পাড়ে বসবাসকারী কয়েক হাজার মানুষ।
ঝাঁপা বাঁওড়ের ওপর নতুন সেতু নির্মাণের কাজ শুরুর সময় পথচারীদের চলাচলের জন্য পাশ দিয়ে বিকল্প একটি কাঠের সেতু করে দিয়েছেন ঠিকাদার। বর্ষা মৌসুমে কাঠের সেতুটি তলিয়ে যাওয়ায় কোমলপুর বাজার থেকে এ পথে ঝাঁপা গ্রামের সঙ্গে যোগাযোগবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। বৃষ্টির পানি সরে যাওয়ায় কাঠের সেতু দিয়ে পারাপার শুরু হলেও পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় সেটি দুর্বল হয়ে মাঝ বরাবর ভেঙে পড়ায় পারাপারে ভোগান্তিতে পড়েছেন পথচারীরা। কাঠের সেতু পারাপার হতে প্রায়ই দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছেন তাঁরা।
মনিরামপুর এলজিইডি সূত্রে জানা গেছে, ২০২৪ সালের মে মাসে সেতুর কাজ শুরু হয়। নির্মাণকাজ বাস্তবায়নের জন্য এক বছর সময় নির্ধারণ করা হয়েছিল।
স্থানীয়রা বলছেন, ঝাঁপা গ্রামটি ঝাঁপা ইউনিয়ন পরিষদের ১, ২ ও ৩ নম্বর ওয়ার্ড নিয়ে গঠিত বৃহৎ একটি গ্রাম। তিন পাশে বাঁওড় ও একপাশে কপোতাক্ষ নদ ঘেরা এই দ্বীপ অঞ্চলে ২০-২৫ হাজার লোকের বসবাস। ঝাঁপা ইউনিয়নের বাকি ৬ ওয়ার্ডের সঙ্গে ঝাঁপা গ্রামকে বিচ্ছিন্ন করেছে ঝাঁপা বাঁওড়।
ঝাঁপা গ্রামের সঙ্গে ইউনিয়নের অন্য এলাকার যোগাযোগর চারটি পথ আছে। দুটি পথে রাজগঞ্জ বাজারসংলগ্ন ভাসমান সেতু। একটি পথ কোমলপুর বাজার হয়ে বাঁওড়ের ওপর দিয়ে কংক্রিটের সেতু পার হয়ে, অন্য পথটি কোমলপুর বাজার হয়ে দুই থেকে তিন কিলোমিটার ঘুরে মল্লিকপুর হয়ে বাঁওড়ের কংক্রিটের সেতু পার হয়ে। তার মধ্যে যাতায়াত ও ভারী যানবাহনে পণ্য পরিবহনে সহজ পথ হচ্ছে কোমলপুর বাজার হয়ে ঝাঁপা বাঁওড়ের ওপর নির্মিত সেতু পারাপারে। ঝাঁপা বাজারে অবস্থিত পুলিশ ক্যাম্পে যাওয়ার সহজ রাস্তাও এটি। এ পথে নতুন নির্মিত সেতুর সংযোগ সড়ক না থাকায় হেঁটে পথচারীরা কাঠের পুল দিয়ে যাতায়াত করলেও পণ্য পরিবহনে রয়েছেন বড় ভোগান্তিতে।
স্থানীয় অমারেশ বিশ্বাস বলেন, কোমলপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ে লেখাপড়ার মান ভালো হওয়ায় ঝাঁপা বাঘাডাঙ্গি অঞ্চলের অনেক শিক্ষার্থী সেতু পার হয়ে এই বিদ্যালয়ে আসত। সেতু ভাঙার পর যোগাযোগবিচ্ছিন্ন থাকায় ওই শিক্ষার্থীরা এখন আর এ বিদ্যালয়ে আসে না। এ ছাড়া ঝাঁপা বাঘাডাঙ্গিপাড়ায় একটি আলিম মাদ্রাসা আছে। জোঁকা ও কোমলপুর অঞ্চলের শিক্ষার্থীরা এই সেতু পার হয়ে ওই মাদ্রাসায় যায়। সেতু ভেঙে যোগাযোগবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ায় বহু পথ পাড়ি দিয়ে শিক্ষার্থীদের মাদ্রাসায় যায়।
স্থানীয় রবিউল ইসলাম বলেন, ‘এ রাস্তাটুকু না হলে মানুষ যে কত কষ্টে আছে, তা বলে শেষ করা যাবে না। কাঠের ভাঙা সেতু পারাপারের সময় মানুষ পানিতে পড়ে আহত হচ্ছে।’
সেতুর কাজ দেখভালের দায়িত্বে থাকা মনিরামপুর উপজেলা এলজিইডির উপসহকারী প্রকৌশলী এ এস এম খালেকুজ্জামান বলেন, ‘সেতুর কাজ শেষ হয়েছে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে। বর্ষা মৌসুমে বাঁওড়ে পানি বেশি থাকায় দুই পাড়ে সংযোগ সড়ক তলিয়ে ছিল। তা ছাড়া মাটি না পাওয়ায় রাস্তার কাজ করা সম্ভব হয়নি।’
খালেকুজ্জামান বলেন, ‘সেতুর দুই পাড়ে ৫২৩ মিটার রাস্তায় হেরিং বোন (এইচবিবি) ইটের সলিং বসাতে ৩৫ লাখ ৬৬ হাজার টাকা বরাদ্দ রাখা আছে। আগামী ৬ ডিসেম্বর রাস্তার নির্মাণকাজের মেয়াদ শেষ হবে। এরই মধ্যে কাজ শেষ না হলে সময় বৃদ্ধি করা হতে পারে।’
সেতুর কাজের ঠিকাদার নিশাত বসু বলেন, ‘এত দিন মাটি না পাওয়ায় সেতুর সংযোগ রাস্তায় কাজ করা সম্ভব হয়নি। এখন মাটি পাওয়া গেছে, কাজ শুরু করব।’
মনিরামপুর এলজিইডির উপজেলা প্রকৌশলী ফয়সাল আহমেদ বলেন, ‘মাটি পাওয়া যাচ্ছিল না। এ জন্য সেতুর সংযোগ সড়কের কাজ করা হয়নি। দ্রুত কাজ শুরু হবে।’

ময়মনসিংহে নগরীর তিনকোনা পুকুরপাড় এলাকায় রেলওয়ের চার শতাংশ জমি দখল করে স্থানীয় এক আওয়ামী লীগ কর্মী মার্কেট নির্মাণ করছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। মুসা মিয়া নামের ওই ব্যক্তি বিশেষ ক্ষমতা আইনের মামলায় ৪৬ দিন জেল খেটে গত ৭ অক্টোবর জামিনে বের হন।
৪ ঘণ্টা আগে
বরিশাল নগরের ৩৫টি ভবনকে এক যুগ আগে ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা করেছে বরিশাল সিটি করপোরেশন (বিসিসি)। তবে দীর্ঘ এ সময়ে মাত্র তিনটি ভবন অপসারণ করা হয়েছে। বাকি ৩২টি এখনো ঠায় দাঁড়িয়ে রয়েছে। ভবনগুলোয় বাস করছেন ৫ শতাধিক বাসিন্দা।
৩ ঘণ্টা আগে
ছুটির দিনের সকালে আতঙ্ক ছড়ানো ভূমিকম্পে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় অন্তত তিনজন নিহত হয়েছে। কয়েক তলা ওপর থেকে লাফ দেওয়া, হুড়োহুড়িসহ বিভিন্নভাবে আহত হয়ে ঢাকার পাঁচটি হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছে দুই শতাধিক মানুষ। আহতদের মধ্যে রয়েছে নারী, শিশুসহ বিভিন্ন বয়স ও শ্রেণির মানুষ।
৩ ঘণ্টা আগে
শেরপুরের নালিতাবাড়ীর কাকরকান্দি ইউনিয়নের শতবর্ষী ফুটবল মাঠটি একসময় ছিল এলাকার প্রাণ। বিকেল নামলেই তরুণেরা ভিড় করত অনুশীলনে, জাতীয় দিবসে হতো ফুটবলসহ বিভিন্ন ক্রীড়া প্রতিযোগিতা। কিন্তু এখন সেই মাঠে খেলা নয়, বসছে গরু-ছাগলের সাপ্তাহিক হাট।
৪ ঘণ্টা আগেখান রফিক, বরিশাল

বরিশাল নগরের ৩৫টি ভবনকে এক যুগ আগে ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা করেছে বরিশাল সিটি করপোরেশন (বিসিসি)। তবে দীর্ঘ এ সময়ে মাত্র তিনটি ভবন অপসারণ করা হয়েছে। বাকি ৩২টি এখনো ঠায় দাঁড়িয়ে রয়েছে। ভবনগুলোয় বাস করছেন ৫ শতাধিক বাসিন্দা।
গতকাল শুক্রবার সকালের ভূমিকম্পের পর থেকে এসব ভবনের বাসিন্দারা আছেন আতঙ্কে। তাঁরা জানান, ঝুঁকি জেনেও কম ভাড়ার কারণে থাকছেন।
বিসিসির তথ্যমতে, ঝুঁকিপূর্ণঘোষিত ওই ৩২টি ভবনের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে বিএম কলেজের সুরেন্দ্র ভবন হোস্টেল, বগুড়া রোডের রবীন্দ্রনাথ সেনের ভবন, নগরের কাউনিয়া এলাকার জানুকি সিংহ রোডের মতি লস্করের বাড়ি, সদর রোডসংলগ্ন ফজলুল হক অ্যাভিনিউর হোটেল বাহাদুর ভবন, চিত্ত সাহার ভবন, কাটপট্টি রোডের মিল্লাত ফার্মেসি, চন্দ্রিকা ব্রাদার্স, আহম্মদ ক্লথ স্টোরস, অমৃত ভবন, সৈয়দ কামাল হোসেন রুবেলের ভবন, সৈয়দ জুম্মান ব্রাদার্স, চিত্ত সাহা ভবন ও সাধনা ঔষধালয়, ফজলুল হক অ্যাভিনিউর গোল্ডেন টাওয়ার ভবন, হাসপাতাল রোডের স্টার টেইলার্স ভবন এবং বগুড়া রোডের মাহবুব হোসেনের ভবন, সার্কুলার রোডের সৈয়দ মনছুর আহমেদের ভবন, ঈশ্বর বসু রোডের সৈয়দ মঞ্জিল, অমৃত লাল কলেজের মান্নান মৃধার ভবন, কালুশাহ সড়কের জালাল আহমেদের ভবন, বগুড়া রোডের সালাম চেয়ারম্যানের পুরোনো ভবন, হাজী ইসরাইলের ভবন, মেডিকেল কলেজের সামনের কণিকা, কলেজ রোডের ফরিদ উদ্দিন ভবন, উপজেলা পরিষদের পুরোনো ভবন, কাউনিয়ার প্রধান সড়কের বেনী লাল গুহ ও রুপাতলীর নলছিটি প্লাজা।
ঝুঁকিপূর্ণ দেবেন্দ্র ভবনের বিষয়ে বিএম কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর ড. শেখ মো. তাজুল ইসলাম বলেন, ছাত্রাবাসটিতে বর্তমানে কেউ থাকে না, আগেই সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। তবে বনমালী গাঙ্গুলী ছাত্রীনিবাসের একটি ভবনে ফাটল দেখা দিয়েছে।
এখন জরিপ করলে ঝুঁকিপূর্ণ ভবনের সংখ্যা অর্ধশত ছাড়িয়ে যেতে পারে উল্লেখ করে বিসিসির উচ্ছেদ শাখার প্রধান স্বপন কুমার দাস বলেন, ‘২০১৩ সালে নগরের ৩৫টি ভবন ঝুঁকিপূর্ণ চিহ্নিত করা হয়। এরপর ৩টি অপসারণ করা গেছে। বাকিগুলো অপসারণের জন্য বিভিন্ন সময় চিঠি দেওয়া হয়েছে; কিন্তু তাঁরা শুনছেন না। চেষ্টা করছি ঝুঁকিপূর্ণ ভবনগুলো অপসারণ করার।’
যেকোনো দুর্যোগে এসব ভবনে বসবাসকারীদের প্রাণহানির আশঙ্কাও করছেন পরিবেশবাদীরা। বরিশাল বিভাগ পরিবেশ ও জন সুরক্ষা ফোরামের আহ্বায়ক শুভঙ্কর চক্রবর্তী বলেন, ‘যেকোনো সময় যেকোনো ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটতে পারে। পাশাপাশি প্রাণহানির শঙ্কা তো থেকেই যায়। তাই আগেই আমাদের সতর্ক হয়ে এ ভবনগুলো ভেঙে ফেলা উচিত। অন্যথায় ভূমিকম্পের মতো বড় দুর্যোগ ভয়াবহ বিপর্যয় ঘটাতে পারে।’

বরিশাল নগরের ৩৫টি ভবনকে এক যুগ আগে ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা করেছে বরিশাল সিটি করপোরেশন (বিসিসি)। তবে দীর্ঘ এ সময়ে মাত্র তিনটি ভবন অপসারণ করা হয়েছে। বাকি ৩২টি এখনো ঠায় দাঁড়িয়ে রয়েছে। ভবনগুলোয় বাস করছেন ৫ শতাধিক বাসিন্দা।
গতকাল শুক্রবার সকালের ভূমিকম্পের পর থেকে এসব ভবনের বাসিন্দারা আছেন আতঙ্কে। তাঁরা জানান, ঝুঁকি জেনেও কম ভাড়ার কারণে থাকছেন।
বিসিসির তথ্যমতে, ঝুঁকিপূর্ণঘোষিত ওই ৩২টি ভবনের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে বিএম কলেজের সুরেন্দ্র ভবন হোস্টেল, বগুড়া রোডের রবীন্দ্রনাথ সেনের ভবন, নগরের কাউনিয়া এলাকার জানুকি সিংহ রোডের মতি লস্করের বাড়ি, সদর রোডসংলগ্ন ফজলুল হক অ্যাভিনিউর হোটেল বাহাদুর ভবন, চিত্ত সাহার ভবন, কাটপট্টি রোডের মিল্লাত ফার্মেসি, চন্দ্রিকা ব্রাদার্স, আহম্মদ ক্লথ স্টোরস, অমৃত ভবন, সৈয়দ কামাল হোসেন রুবেলের ভবন, সৈয়দ জুম্মান ব্রাদার্স, চিত্ত সাহা ভবন ও সাধনা ঔষধালয়, ফজলুল হক অ্যাভিনিউর গোল্ডেন টাওয়ার ভবন, হাসপাতাল রোডের স্টার টেইলার্স ভবন এবং বগুড়া রোডের মাহবুব হোসেনের ভবন, সার্কুলার রোডের সৈয়দ মনছুর আহমেদের ভবন, ঈশ্বর বসু রোডের সৈয়দ মঞ্জিল, অমৃত লাল কলেজের মান্নান মৃধার ভবন, কালুশাহ সড়কের জালাল আহমেদের ভবন, বগুড়া রোডের সালাম চেয়ারম্যানের পুরোনো ভবন, হাজী ইসরাইলের ভবন, মেডিকেল কলেজের সামনের কণিকা, কলেজ রোডের ফরিদ উদ্দিন ভবন, উপজেলা পরিষদের পুরোনো ভবন, কাউনিয়ার প্রধান সড়কের বেনী লাল গুহ ও রুপাতলীর নলছিটি প্লাজা।
ঝুঁকিপূর্ণ দেবেন্দ্র ভবনের বিষয়ে বিএম কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর ড. শেখ মো. তাজুল ইসলাম বলেন, ছাত্রাবাসটিতে বর্তমানে কেউ থাকে না, আগেই সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। তবে বনমালী গাঙ্গুলী ছাত্রীনিবাসের একটি ভবনে ফাটল দেখা দিয়েছে।
এখন জরিপ করলে ঝুঁকিপূর্ণ ভবনের সংখ্যা অর্ধশত ছাড়িয়ে যেতে পারে উল্লেখ করে বিসিসির উচ্ছেদ শাখার প্রধান স্বপন কুমার দাস বলেন, ‘২০১৩ সালে নগরের ৩৫টি ভবন ঝুঁকিপূর্ণ চিহ্নিত করা হয়। এরপর ৩টি অপসারণ করা গেছে। বাকিগুলো অপসারণের জন্য বিভিন্ন সময় চিঠি দেওয়া হয়েছে; কিন্তু তাঁরা শুনছেন না। চেষ্টা করছি ঝুঁকিপূর্ণ ভবনগুলো অপসারণ করার।’
যেকোনো দুর্যোগে এসব ভবনে বসবাসকারীদের প্রাণহানির আশঙ্কাও করছেন পরিবেশবাদীরা। বরিশাল বিভাগ পরিবেশ ও জন সুরক্ষা ফোরামের আহ্বায়ক শুভঙ্কর চক্রবর্তী বলেন, ‘যেকোনো সময় যেকোনো ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটতে পারে। পাশাপাশি প্রাণহানির শঙ্কা তো থেকেই যায়। তাই আগেই আমাদের সতর্ক হয়ে এ ভবনগুলো ভেঙে ফেলা উচিত। অন্যথায় ভূমিকম্পের মতো বড় দুর্যোগ ভয়াবহ বিপর্যয় ঘটাতে পারে।’

ময়মনসিংহে নগরীর তিনকোনা পুকুরপাড় এলাকায় রেলওয়ের চার শতাংশ জমি দখল করে স্থানীয় এক আওয়ামী লীগ কর্মী মার্কেট নির্মাণ করছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। মুসা মিয়া নামের ওই ব্যক্তি বিশেষ ক্ষমতা আইনের মামলায় ৪৬ দিন জেল খেটে গত ৭ অক্টোবর জামিনে বের হন।
৪ ঘণ্টা আগে
যশোরের মনিরামপুর উপজেলায় ঝাঁপা-কোমলপুর বাজার সংযোগ সড়কে ঝাঁপা বাঁওড়ের ওপর জরাজীর্ণ সেতু ভেঙে নতুন সেতু নির্মিত করা হয়েছে গত মে মাসে। ১ কোটি ৯২ লাখ ৮ হাজার ২১১ টাকা বরাদ্দে ১৩ দশমিক ২০ মিটার দৈর্ঘ্যের সেতুটির নির্মাণকাজ বাস্তবায়ন করে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি)।
৩ ঘণ্টা আগে
ছুটির দিনের সকালে আতঙ্ক ছড়ানো ভূমিকম্পে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় অন্তত তিনজন নিহত হয়েছে। কয়েক তলা ওপর থেকে লাফ দেওয়া, হুড়োহুড়িসহ বিভিন্নভাবে আহত হয়ে ঢাকার পাঁচটি হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছে দুই শতাধিক মানুষ। আহতদের মধ্যে রয়েছে নারী, শিশুসহ বিভিন্ন বয়স ও শ্রেণির মানুষ।
৩ ঘণ্টা আগে
শেরপুরের নালিতাবাড়ীর কাকরকান্দি ইউনিয়নের শতবর্ষী ফুটবল মাঠটি একসময় ছিল এলাকার প্রাণ। বিকেল নামলেই তরুণেরা ভিড় করত অনুশীলনে, জাতীয় দিবসে হতো ফুটবলসহ বিভিন্ন ক্রীড়া প্রতিযোগিতা। কিন্তু এখন সেই মাঠে খেলা নয়, বসছে গরু-ছাগলের সাপ্তাহিক হাট।
৪ ঘণ্টা আগেআমানুর রহমান রনি ও রাসেল মাহমুদ, ঢাকা

ছুটির দিনের সকালে আতঙ্ক ছড়ানো ভূমিকম্পে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় অন্তত তিনজন নিহত হয়েছে। কয়েক তলা ওপর থেকে লাফ দেওয়া, হুড়োহুড়িসহ বিভিন্নভাবে আহত হয়ে ঢাকার পাঁচটি হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছে দুই শতাধিক মানুষ। আহতদের মধ্যে রয়েছে নারী, শিশুসহ বিভিন্ন বয়স ও শ্রেণির মানুষ। ক্ষতিগ্রস্তদের ভোগান্তির পাশাপাশি সম্ভাব্য আরও বড় ভূমিকম্পের উদ্বেগ গ্রাস করে কোটি নগরবাসীকে। দিনভর ভূমিকম্পের ভয়ংকর অভিজ্ঞতাই ছিল নগর তথা দেশজুড়ে আলোচনার মূল বিষয়।
শুক্রবার ছুটির দিন। অফিস-আদালত- স্কুলের তাড়া না থাকায় রাজধানীর বেশির ভাগ মানুষ ছিল বাসায়। যারা একটু দেরিতে ওঠে, তাদের অনেকেই তখনো নাশতার টেবিলে। কেউবা আলস্যে বিছানা ছাড়েনি। গৃহিণীদের একটা বড় অংশ রান্নাঘরে ব্যস্ত। এরই মধ্যে সকাল ১০টা ৩৮ মিনিটে দুলে উঠল রাজধানীসহ সারা দেশ। রিখটার স্কেলে এর মাত্রা ছিল ৫ দশমিক ৭। ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল ছিল রাজধানীর অদূরে, ঘোড়াশাল থেকে ৭ কিলোমিটার দূরে।
মাত্রায় মাঝারি শক্তির হলেও উৎপত্তিস্থল ঢাকার কাছে হওয়ায় এবং উৎস ভূগর্ভের কম গভীরে হওয়ায় ভূমিকম্পের অনুভূতি ছিল তীব্র। তাই রাজধানীবাসীর মনে ব্যাপক আতঙ্ক সৃষ্টি করে এ ভূমিকম্প। লাখো মানুষ বাচ্চাকাচ্চা নিয়ে দ্রুত ছুটে বাসাবাড়ি থেকে বের হয়ে আসে। এ সময় বেশ কিছু লোক সিঁড়ি দিয়ে হুড়োহুড়ি করে নামতে গিয়ে আহত হয়। একই অবস্থা হয় কয়েক তলা ওপর থেকে লাফিয়ে পড়া অনেকের।
আহতদের বেশির ভাগ রাজধানীর পাঁচটি সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছে। ভূমিকম্পের কিছু সময় পর জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠানের (নিটোর, যা পঙ্গু হাসপাতাল নামে পরিচিত) জরুরি বিভাগে গিয়ে দেখা গেছে, একসঙ্গে অনেক আহত লোকের ভিড় সামলাতে বেগ পাচ্ছেন চিকিৎসক ও নার্সরা। নিটোরে আসা আহত তরুণ রাকিব জানান, বাসাবো বৌদ্ধমন্দির এলাকার একটি দশতলা ভবনের পাঁচতলায় রঙের কাজ করছিলেন তিনি। ভবন দুলতে শুরু করলে তিনি দৌড়ে নামতে গিয়ে পা মচকান।
রাজমিস্ত্রি সুজন মিয়া আদাবরের একটি তিনতলা নির্মাণাধীন ভবনে কাজ করছিলেন। ভূমিকম্প শুরু হলে তিনি তিনতলা থেকে দোতলায় লাফ দিয়ে পা ভেঙেছেন।
শ্যামলী রিং রোডের রেস্তোরাঁকর্মী তৌফিক পাঁচতলা থেকে সিঁড়ি দিয়ে দৌড়ে নামার সময় পড়ে গিয়ে বাঁ পা ভেঙেছেন।
জরুরি বিভাগের সিনিয়র নার্স সজল জানান, ভূমিকম্পের পর বেশির ভাগ রোগীই পায়ে আঘাত নিয়ে হাসপাতালে আসছে। নিটোরের জরুরি বিভাগে গতকাল সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ভূমিকম্পের সময় আহত ৮৩ জন চিকিৎসা নিয়েছে। বেশির ভাগের হাত-পা ভাঙা। তাঁদের মধ্যে ১৮ জন গুরুতর আহত হওয়ায় তাদের ভর্তি করা হয়েছে।
হাসপাতালের পরিচালক ডা. মো. আবুল কেনান জানান, ভর্তি রোগীদের সবারই ছোট অস্ত্রোপচার হয়েছে, প্রয়োজনে আরও অস্ত্রোপচার করা হবে।
একই চিত্র দেখা গেছে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে গিয়ে। সেখানে যাওয়া আহতদের বেশির ভাগের পায়ে ও মাথায় আঘাত ছিল। গতকাল সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত ঢামেক হাসপাতালে সারা দেশ থেকে ৪৪ জন এসে চিকিৎসা নিয়েছে। তাদের মধ্যে গুরুতর আহত ছিল পাঁচজন—নুরুল হুদা, আশিক, আবু বক্কর সিদ্দিক, হারুন ও দেলোয়ার হোসেন উজ্জ্বল। তাদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
ঢামেকের আবাসিক সার্জন ডা. মোস্তাক আহমেদ বলেন, অনেকেই ভয়ে লাফ দিয়ে বা দৌড়ে নামতে গিয়ে আহত হয়েছে।
দুপুরে আহতদের দেখতে যান স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নূরজাহান বেগম। এ সময় তিনি বলেন, সব সরকারি হাসপাতালে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে, যেন কোনো রোগীর চিকিৎসায় ত্রুটি না থাকে। হতাহত বেশি আতঙ্কের কারণে। যে মাত্রায় ভূমিকম্প হয়েছে, তার তুলনায় আহত বেশি।
এ ছাড়া কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতাল, মুগদা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল এবং স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে (মিটফোর্ড হাসপাতাল) চিকিৎসা নিয়েছে আহতরা। তার মধ্যে স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ ও মিটফোর্ড হাসপাতালে ১০ জন, মুগদা হাসপাতালে ১১ জন এবং কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে ৮ জন গিয়েছে। রাজধানীর কয়েকটি বেসরকারি হাসপাতালে ৫০ জনের বেশি আহত ব্যক্তি চিকিৎসা নিয়েছে।
চলমান গুরুত্বপূর্ণ বার্ষিক পরীক্ষার মধ্যে গতকাল ছুটির দিন বলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ছিল বন্ধ। তাতে হাজারো শিশু-কিশোর শিক্ষার্থী বাসায় ছিল। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ না থাকলে হতাহতের ঘটনা বাড়তে পারত বলে মন্তব্য করেছেন অনেকে।
ভূমিকম্পের সময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলগুলোতেও আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। লাফ দিয়ে আহত হওয়া মোট ৯ শিক্ষার্থী ঢামেক হাসপাতালে যান। জিয়াউর রহমান হল, স্যার এ এফ রহমান হল, মহসিন হলসহ কয়েকটি হলে ছাদের পলেস্তারা খসে পড়ে ও কক্ষের জিনিসপত্র এলোমেলো হয়। আহতদের মধ্যে দুজন নুরুল হুদা ও আশিক হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। নুরুল হুদা বলেন, ‘হঠাৎ ভূমিকম্প শুরু হলে আতঙ্কে লাফ দিই, তাতে পা ভেঙে গেছে।’

ছুটির দিনের সকালে আতঙ্ক ছড়ানো ভূমিকম্পে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় অন্তত তিনজন নিহত হয়েছে। কয়েক তলা ওপর থেকে লাফ দেওয়া, হুড়োহুড়িসহ বিভিন্নভাবে আহত হয়ে ঢাকার পাঁচটি হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছে দুই শতাধিক মানুষ। আহতদের মধ্যে রয়েছে নারী, শিশুসহ বিভিন্ন বয়স ও শ্রেণির মানুষ। ক্ষতিগ্রস্তদের ভোগান্তির পাশাপাশি সম্ভাব্য আরও বড় ভূমিকম্পের উদ্বেগ গ্রাস করে কোটি নগরবাসীকে। দিনভর ভূমিকম্পের ভয়ংকর অভিজ্ঞতাই ছিল নগর তথা দেশজুড়ে আলোচনার মূল বিষয়।
শুক্রবার ছুটির দিন। অফিস-আদালত- স্কুলের তাড়া না থাকায় রাজধানীর বেশির ভাগ মানুষ ছিল বাসায়। যারা একটু দেরিতে ওঠে, তাদের অনেকেই তখনো নাশতার টেবিলে। কেউবা আলস্যে বিছানা ছাড়েনি। গৃহিণীদের একটা বড় অংশ রান্নাঘরে ব্যস্ত। এরই মধ্যে সকাল ১০টা ৩৮ মিনিটে দুলে উঠল রাজধানীসহ সারা দেশ। রিখটার স্কেলে এর মাত্রা ছিল ৫ দশমিক ৭। ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল ছিল রাজধানীর অদূরে, ঘোড়াশাল থেকে ৭ কিলোমিটার দূরে।
মাত্রায় মাঝারি শক্তির হলেও উৎপত্তিস্থল ঢাকার কাছে হওয়ায় এবং উৎস ভূগর্ভের কম গভীরে হওয়ায় ভূমিকম্পের অনুভূতি ছিল তীব্র। তাই রাজধানীবাসীর মনে ব্যাপক আতঙ্ক সৃষ্টি করে এ ভূমিকম্প। লাখো মানুষ বাচ্চাকাচ্চা নিয়ে দ্রুত ছুটে বাসাবাড়ি থেকে বের হয়ে আসে। এ সময় বেশ কিছু লোক সিঁড়ি দিয়ে হুড়োহুড়ি করে নামতে গিয়ে আহত হয়। একই অবস্থা হয় কয়েক তলা ওপর থেকে লাফিয়ে পড়া অনেকের।
আহতদের বেশির ভাগ রাজধানীর পাঁচটি সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছে। ভূমিকম্পের কিছু সময় পর জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠানের (নিটোর, যা পঙ্গু হাসপাতাল নামে পরিচিত) জরুরি বিভাগে গিয়ে দেখা গেছে, একসঙ্গে অনেক আহত লোকের ভিড় সামলাতে বেগ পাচ্ছেন চিকিৎসক ও নার্সরা। নিটোরে আসা আহত তরুণ রাকিব জানান, বাসাবো বৌদ্ধমন্দির এলাকার একটি দশতলা ভবনের পাঁচতলায় রঙের কাজ করছিলেন তিনি। ভবন দুলতে শুরু করলে তিনি দৌড়ে নামতে গিয়ে পা মচকান।
রাজমিস্ত্রি সুজন মিয়া আদাবরের একটি তিনতলা নির্মাণাধীন ভবনে কাজ করছিলেন। ভূমিকম্প শুরু হলে তিনি তিনতলা থেকে দোতলায় লাফ দিয়ে পা ভেঙেছেন।
শ্যামলী রিং রোডের রেস্তোরাঁকর্মী তৌফিক পাঁচতলা থেকে সিঁড়ি দিয়ে দৌড়ে নামার সময় পড়ে গিয়ে বাঁ পা ভেঙেছেন।
জরুরি বিভাগের সিনিয়র নার্স সজল জানান, ভূমিকম্পের পর বেশির ভাগ রোগীই পায়ে আঘাত নিয়ে হাসপাতালে আসছে। নিটোরের জরুরি বিভাগে গতকাল সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ভূমিকম্পের সময় আহত ৮৩ জন চিকিৎসা নিয়েছে। বেশির ভাগের হাত-পা ভাঙা। তাঁদের মধ্যে ১৮ জন গুরুতর আহত হওয়ায় তাদের ভর্তি করা হয়েছে।
হাসপাতালের পরিচালক ডা. মো. আবুল কেনান জানান, ভর্তি রোগীদের সবারই ছোট অস্ত্রোপচার হয়েছে, প্রয়োজনে আরও অস্ত্রোপচার করা হবে।
একই চিত্র দেখা গেছে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে গিয়ে। সেখানে যাওয়া আহতদের বেশির ভাগের পায়ে ও মাথায় আঘাত ছিল। গতকাল সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত ঢামেক হাসপাতালে সারা দেশ থেকে ৪৪ জন এসে চিকিৎসা নিয়েছে। তাদের মধ্যে গুরুতর আহত ছিল পাঁচজন—নুরুল হুদা, আশিক, আবু বক্কর সিদ্দিক, হারুন ও দেলোয়ার হোসেন উজ্জ্বল। তাদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
ঢামেকের আবাসিক সার্জন ডা. মোস্তাক আহমেদ বলেন, অনেকেই ভয়ে লাফ দিয়ে বা দৌড়ে নামতে গিয়ে আহত হয়েছে।
দুপুরে আহতদের দেখতে যান স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নূরজাহান বেগম। এ সময় তিনি বলেন, সব সরকারি হাসপাতালে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে, যেন কোনো রোগীর চিকিৎসায় ত্রুটি না থাকে। হতাহত বেশি আতঙ্কের কারণে। যে মাত্রায় ভূমিকম্প হয়েছে, তার তুলনায় আহত বেশি।
এ ছাড়া কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতাল, মুগদা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল এবং স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে (মিটফোর্ড হাসপাতাল) চিকিৎসা নিয়েছে আহতরা। তার মধ্যে স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ ও মিটফোর্ড হাসপাতালে ১০ জন, মুগদা হাসপাতালে ১১ জন এবং কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে ৮ জন গিয়েছে। রাজধানীর কয়েকটি বেসরকারি হাসপাতালে ৫০ জনের বেশি আহত ব্যক্তি চিকিৎসা নিয়েছে।
চলমান গুরুত্বপূর্ণ বার্ষিক পরীক্ষার মধ্যে গতকাল ছুটির দিন বলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ছিল বন্ধ। তাতে হাজারো শিশু-কিশোর শিক্ষার্থী বাসায় ছিল। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ না থাকলে হতাহতের ঘটনা বাড়তে পারত বলে মন্তব্য করেছেন অনেকে।
ভূমিকম্পের সময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলগুলোতেও আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। লাফ দিয়ে আহত হওয়া মোট ৯ শিক্ষার্থী ঢামেক হাসপাতালে যান। জিয়াউর রহমান হল, স্যার এ এফ রহমান হল, মহসিন হলসহ কয়েকটি হলে ছাদের পলেস্তারা খসে পড়ে ও কক্ষের জিনিসপত্র এলোমেলো হয়। আহতদের মধ্যে দুজন নুরুল হুদা ও আশিক হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। নুরুল হুদা বলেন, ‘হঠাৎ ভূমিকম্প শুরু হলে আতঙ্কে লাফ দিই, তাতে পা ভেঙে গেছে।’

ময়মনসিংহে নগরীর তিনকোনা পুকুরপাড় এলাকায় রেলওয়ের চার শতাংশ জমি দখল করে স্থানীয় এক আওয়ামী লীগ কর্মী মার্কেট নির্মাণ করছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। মুসা মিয়া নামের ওই ব্যক্তি বিশেষ ক্ষমতা আইনের মামলায় ৪৬ দিন জেল খেটে গত ৭ অক্টোবর জামিনে বের হন।
৪ ঘণ্টা আগে
যশোরের মনিরামপুর উপজেলায় ঝাঁপা-কোমলপুর বাজার সংযোগ সড়কে ঝাঁপা বাঁওড়ের ওপর জরাজীর্ণ সেতু ভেঙে নতুন সেতু নির্মিত করা হয়েছে গত মে মাসে। ১ কোটি ৯২ লাখ ৮ হাজার ২১১ টাকা বরাদ্দে ১৩ দশমিক ২০ মিটার দৈর্ঘ্যের সেতুটির নির্মাণকাজ বাস্তবায়ন করে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি)।
৩ ঘণ্টা আগে
বরিশাল নগরের ৩৫টি ভবনকে এক যুগ আগে ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা করেছে বরিশাল সিটি করপোরেশন (বিসিসি)। তবে দীর্ঘ এ সময়ে মাত্র তিনটি ভবন অপসারণ করা হয়েছে। বাকি ৩২টি এখনো ঠায় দাঁড়িয়ে রয়েছে। ভবনগুলোয় বাস করছেন ৫ শতাধিক বাসিন্দা।
৩ ঘণ্টা আগে
শেরপুরের নালিতাবাড়ীর কাকরকান্দি ইউনিয়নের শতবর্ষী ফুটবল মাঠটি একসময় ছিল এলাকার প্রাণ। বিকেল নামলেই তরুণেরা ভিড় করত অনুশীলনে, জাতীয় দিবসে হতো ফুটবলসহ বিভিন্ন ক্রীড়া প্রতিযোগিতা। কিন্তু এখন সেই মাঠে খেলা নয়, বসছে গরু-ছাগলের সাপ্তাহিক হাট।
৪ ঘণ্টা আগেঅভিজিৎ সাহা, নালিতাবাড়ী (শেরপুর)

শেরপুরের নালিতাবাড়ীর কাকরকান্দি ইউনিয়নের শতবর্ষী ফুটবল মাঠটি একসময় ছিল এলাকার প্রাণ। বিকেল নামলেই তরুণেরা ভিড় করত অনুশীলনে, জাতীয় দিবসে হতো ফুটবলসহ বিভিন্ন ক্রীড়া প্রতিযোগিতা। কিন্তু এখন সেই মাঠে খেলা নয়, বসছে গরু-ছাগলের সাপ্তাহিক হাট।
ঐতিহাসিক এই মাঠের পুরোনো গৌরব ফিরিয়ে আনতে সম্প্রতি সাবেক ও বর্তমান খেলোয়াড়রা গণস্বাক্ষর নিয়ে ইউএনওর কাছে আবেদন জমা দিয়েছেন।
স্থানীয়দের ভাষ্যমতে, মাঠটির ইতিহাস ১৯২৫ সাল থেকে। সুনামগঞ্জ থেকে আসা ধর্মপ্রচারক সাঙ্গীন সাংমা গারো তরুণদের ফুটবলের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেন। তাঁর উদ্যোগে পরদ চন্দ্র দিও জনকল্যাণের জন্য ২ একর ৭০ শতক জমি দান করেন। সেই জমিতেই গড়ে ওঠে কাকরকান্দি ফুটবল মাঠ।
পরবর্তী সময়ে এই মাঠকে কেন্দ্র করে গড়ে ওঠে স্থানীয় প্রথম ফুটবল ক্লাব—‘কচ্ছপ ক্লাব’। স্বাধীনতার পরে মাঠের পাশেই শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের স্মরণে প্রতিষ্ঠিত হয় ক্লাবঘর। দীর্ঘদিন ধরে জেলা-উপজেলার দল নিয়ে এখানে অনুষ্ঠিত হয়েছে জমজমাট ফুটবল টুর্নামেন্ট। মাঠটি ছিল স্থানীয় তরুণদের প্রতিদিনের আড্ডা ও ক্রীড়া চর্চার কেন্দ্র।
জানা গেছে, ২০০২ সাল থেকে এই মাঠে সাপ্তাহিক গরুর হাট বসা শুরু হলে বদলে যেতে থাকে মাঠের চিত্র। বর্তমানে সপ্তাহে দুই দিন—সোমবার ও বুধবার বসে হাট। ফলে গরুর মলমূত্র, খুঁটি পোঁতা, বর্জ্য ও গর্তের অভাব থাকে না পুরো মাঠে। ধীরে ধীরে অনুশীলনকারী তরুণদের ভিড়ও আর দেখা যায় না।
স্থানীয় খেলোয়াড় ও প্রবীণেরা জানান, যে মাঠ একসময় ক্রীড়ার প্রাণকেন্দ্র ছিল, তা যেন আবারও তরুণদের উচ্ছ্বাসে ভরে ওঠে। হাট সরিয়ে মাঠকে দখলমুক্ত করে আগের মতো খেলাধুলার পরিবেশ ফিরিয়ে আনার দাবি এলাকাবাসীর।
জানতে চাইলে স্থানীয় সাবেক ফুটবলার মো. পনির বলেন, ‘হাট বসার পর মাঠ পুরো নষ্ট হয়ে গেছে। এখন আর ফুটবল খেলার মতো অবস্থা নেই। তাই আমরা ইউএনওকে অভিযোগ দিয়েছি।’ মাঠটির জমিদাতা পরদ চন্দ্র দিওয়ের ছেলে পিয়ুষ দিওর কণ্ঠেও কষ্টের সুর। তিনি বলেন, ‘এই মাঠ আমাদের ইতিহাস। বাবা জনকল্যাণের জন্য জমি দিয়েছিলেন। তার এমন দুরবস্থা ভালো লাগে না।’
হাটের ইজারাদার মো. ইব্রাহীম খলিল বলেন, ‘২০-২৫ বছর ধরে এখানে হাট বসছে। এ বছর ৪৮ লাখ টাকায় ইজারা নিয়েছি। তবে প্রশাসন চাইলে হাট সরানোর বিষয়ে সহযোগিতা করব।’
কাকরকান্দি ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান নিয়ামুল কাওসার বলেন, ইউএনও স্যারের নির্দেশ পাওয়া গেছে। বাজারের পাশে সরকারি একটি জমি আছে, সেখানে হাট স্থানান্তরের চেষ্টা চলছে। এ বিষয়ে (ইউএনও) ফারজানা আক্তার বলেন, ‘মাঠে খেলার পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে আবেদন পেয়েছি। ইউপি চেয়ারম্যানকে বিষয়টি দেখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।’

শেরপুরের নালিতাবাড়ীর কাকরকান্দি ইউনিয়নের শতবর্ষী ফুটবল মাঠটি একসময় ছিল এলাকার প্রাণ। বিকেল নামলেই তরুণেরা ভিড় করত অনুশীলনে, জাতীয় দিবসে হতো ফুটবলসহ বিভিন্ন ক্রীড়া প্রতিযোগিতা। কিন্তু এখন সেই মাঠে খেলা নয়, বসছে গরু-ছাগলের সাপ্তাহিক হাট।
ঐতিহাসিক এই মাঠের পুরোনো গৌরব ফিরিয়ে আনতে সম্প্রতি সাবেক ও বর্তমান খেলোয়াড়রা গণস্বাক্ষর নিয়ে ইউএনওর কাছে আবেদন জমা দিয়েছেন।
স্থানীয়দের ভাষ্যমতে, মাঠটির ইতিহাস ১৯২৫ সাল থেকে। সুনামগঞ্জ থেকে আসা ধর্মপ্রচারক সাঙ্গীন সাংমা গারো তরুণদের ফুটবলের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেন। তাঁর উদ্যোগে পরদ চন্দ্র দিও জনকল্যাণের জন্য ২ একর ৭০ শতক জমি দান করেন। সেই জমিতেই গড়ে ওঠে কাকরকান্দি ফুটবল মাঠ।
পরবর্তী সময়ে এই মাঠকে কেন্দ্র করে গড়ে ওঠে স্থানীয় প্রথম ফুটবল ক্লাব—‘কচ্ছপ ক্লাব’। স্বাধীনতার পরে মাঠের পাশেই শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের স্মরণে প্রতিষ্ঠিত হয় ক্লাবঘর। দীর্ঘদিন ধরে জেলা-উপজেলার দল নিয়ে এখানে অনুষ্ঠিত হয়েছে জমজমাট ফুটবল টুর্নামেন্ট। মাঠটি ছিল স্থানীয় তরুণদের প্রতিদিনের আড্ডা ও ক্রীড়া চর্চার কেন্দ্র।
জানা গেছে, ২০০২ সাল থেকে এই মাঠে সাপ্তাহিক গরুর হাট বসা শুরু হলে বদলে যেতে থাকে মাঠের চিত্র। বর্তমানে সপ্তাহে দুই দিন—সোমবার ও বুধবার বসে হাট। ফলে গরুর মলমূত্র, খুঁটি পোঁতা, বর্জ্য ও গর্তের অভাব থাকে না পুরো মাঠে। ধীরে ধীরে অনুশীলনকারী তরুণদের ভিড়ও আর দেখা যায় না।
স্থানীয় খেলোয়াড় ও প্রবীণেরা জানান, যে মাঠ একসময় ক্রীড়ার প্রাণকেন্দ্র ছিল, তা যেন আবারও তরুণদের উচ্ছ্বাসে ভরে ওঠে। হাট সরিয়ে মাঠকে দখলমুক্ত করে আগের মতো খেলাধুলার পরিবেশ ফিরিয়ে আনার দাবি এলাকাবাসীর।
জানতে চাইলে স্থানীয় সাবেক ফুটবলার মো. পনির বলেন, ‘হাট বসার পর মাঠ পুরো নষ্ট হয়ে গেছে। এখন আর ফুটবল খেলার মতো অবস্থা নেই। তাই আমরা ইউএনওকে অভিযোগ দিয়েছি।’ মাঠটির জমিদাতা পরদ চন্দ্র দিওয়ের ছেলে পিয়ুষ দিওর কণ্ঠেও কষ্টের সুর। তিনি বলেন, ‘এই মাঠ আমাদের ইতিহাস। বাবা জনকল্যাণের জন্য জমি দিয়েছিলেন। তার এমন দুরবস্থা ভালো লাগে না।’
হাটের ইজারাদার মো. ইব্রাহীম খলিল বলেন, ‘২০-২৫ বছর ধরে এখানে হাট বসছে। এ বছর ৪৮ লাখ টাকায় ইজারা নিয়েছি। তবে প্রশাসন চাইলে হাট সরানোর বিষয়ে সহযোগিতা করব।’
কাকরকান্দি ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান নিয়ামুল কাওসার বলেন, ইউএনও স্যারের নির্দেশ পাওয়া গেছে। বাজারের পাশে সরকারি একটি জমি আছে, সেখানে হাট স্থানান্তরের চেষ্টা চলছে। এ বিষয়ে (ইউএনও) ফারজানা আক্তার বলেন, ‘মাঠে খেলার পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে আবেদন পেয়েছি। ইউপি চেয়ারম্যানকে বিষয়টি দেখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।’

ময়মনসিংহে নগরীর তিনকোনা পুকুরপাড় এলাকায় রেলওয়ের চার শতাংশ জমি দখল করে স্থানীয় এক আওয়ামী লীগ কর্মী মার্কেট নির্মাণ করছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। মুসা মিয়া নামের ওই ব্যক্তি বিশেষ ক্ষমতা আইনের মামলায় ৪৬ দিন জেল খেটে গত ৭ অক্টোবর জামিনে বের হন।
৪ ঘণ্টা আগে
যশোরের মনিরামপুর উপজেলায় ঝাঁপা-কোমলপুর বাজার সংযোগ সড়কে ঝাঁপা বাঁওড়ের ওপর জরাজীর্ণ সেতু ভেঙে নতুন সেতু নির্মিত করা হয়েছে গত মে মাসে। ১ কোটি ৯২ লাখ ৮ হাজার ২১১ টাকা বরাদ্দে ১৩ দশমিক ২০ মিটার দৈর্ঘ্যের সেতুটির নির্মাণকাজ বাস্তবায়ন করে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি)।
৩ ঘণ্টা আগে
বরিশাল নগরের ৩৫টি ভবনকে এক যুগ আগে ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা করেছে বরিশাল সিটি করপোরেশন (বিসিসি)। তবে দীর্ঘ এ সময়ে মাত্র তিনটি ভবন অপসারণ করা হয়েছে। বাকি ৩২টি এখনো ঠায় দাঁড়িয়ে রয়েছে। ভবনগুলোয় বাস করছেন ৫ শতাধিক বাসিন্দা।
৩ ঘণ্টা আগে
ছুটির দিনের সকালে আতঙ্ক ছড়ানো ভূমিকম্পে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় অন্তত তিনজন নিহত হয়েছে। কয়েক তলা ওপর থেকে লাফ দেওয়া, হুড়োহুড়িসহ বিভিন্নভাবে আহত হয়ে ঢাকার পাঁচটি হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছে দুই শতাধিক মানুষ। আহতদের মধ্যে রয়েছে নারী, শিশুসহ বিভিন্ন বয়স ও শ্রেণির মানুষ।
৩ ঘণ্টা আগে