নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে আঘাত হানা শক্তিশালী ভূমিকম্পে অন্তত ১০ জনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত হওয়া গেছে। এর মধ্যে বংশালের কসাইটুলি এলাকায় তিন পথচারী, রাজধানীর মুগদায় এক নিরাপত্তাকর্মী, রূপগঞ্জে এক শিশু, নরসিংদীতে এক শিশুসহ পাঁচজন মারা গেছে।
এদিকে ভূমিকম্পে আহত হয়ে ছয় শতাধিক মানুষ দেশের বিভিন্ন সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন। তাদের মধ্যে প্রায় দুইশজন ভর্তি হয়েছেন।
আজ শুক্রবার রাত ৮টা পর্যন্ত স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হালনাদাকৃত তথ্য অনুযায়ী, সারাদেশে সরকারি হাসপাতালগুলোতে মোট ৬০৬ জন আহত রোগী চিকিৎসা নিয়েছেন। এর মধ্যে ১৬৭ জনকে ভর্তি করা হয়েছে এবং গুরুতর অবস্থায় ১৬ জনকে অন্য হাসপাতালে রেফার করা হয়েছে।
তবে এর বাইরেও বহু রোগী দেশের বিভিন্ন বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন এবং কোথাও কোথাও ভর্তি রয়েছেন বলে ধারণা করছেন সংশ্লিষ্টরা। তবে এই তথ্য এখনো হালনাদাগকৃত তথ্যে যুক্ত হয়নি। ফলে আহতের সংখ্যা হাজারের বেশি হওয়ার শঙ্কা রয়েছে।
ঢাকা
পুরান ঢাকায় কসাইটুলিতে একটি ভবনের রেলিং ভেঙে পড়ে তিন পথচারী নিহত হয়েছেন। তারা হলেন রাফিউল ইসলাম (আনুমানিক ২০ বছর), আব্দুর রহিম (৪৮) ও তাঁর ছেলে মেহরাব হোসেন (১২)। নিহতদের মধ্যে রাফিউল ইসলাম স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ ও মিটফোর্ড হাসপাতালের শিক্ষার্থী বলে পরিবার জানিয়েছে।
আব্দুর রহিমের গ্রামের বাড়ি লক্ষ্মীপুরের চন্দ্রকোনায়। তিনি সুরিটোলা স্কুলের পেছনে ভাড়া বাসায় থাকতেন।
এছাড়া মুগদার মদিনাবাগে ভূমিকম্পে নির্মাণাধীন ভবনের রেলিং ধসে মাথায় পড়ে মাকসুদ (৫০) নামের এক নিরাপত্তাকর্মীর মৃত্যু হয়েছে। আজ শুক্রবার বেলা পৌনে ১১টার দিকে মুগদা মদিনাবাগ মিয়াজি গলিতে ঘটনাটি ঘটে। স্থানীয়রা তাঁকে মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে গেলে চিকিৎসক দুপুর পৌনে ১২টার দিকে মৃত ঘোষণা করেন। মুগদা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
নারায়ণগঞ্জ
নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে ভূমিকম্পে দেয়াল ধসে ফাতেমা নামে ১০ মাসের এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। উপজেলার গোলাকান্দাইল ইউনিয়নের ইসলামবাগ ৫ নম্বর ক্যানেল এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় শিশুর মা গুরতর আহত হয়েছেন। তিনি ঢাকায় চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এছাড়া একজন পথচারীও আহত হয়েছে। মৃত শিশুটির পরিবারকে প্রাথমিকভাবে নগদ অর্থ সহায়তা দেওয়া হয়েছে বলে নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসকের পক্ষে থেকে জানানো হয়েছে।
নরসিংদী
সদর উপজেলার চিনিশপুর ইউনিয়নের গাবতলী এলাকায় নির্মাণাধীন ভবনের দেয়াল থেকে ইট ধসে পাশের বাড়ির ছাদের ওপর পড়ে। এতে ওই বাড়ির বাড়ির সানশেড ভেঙে মো. ওমর (৮), তার বাবা দেলোয়ার হোসেন ও দুই বোন আহত হয়। তাদের প্রথমে নরসিংদী সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা প্রাথমিক চিকিৎসা দেন।
পরে আশঙ্কাজনক অবস্থায় বাবা ও ছেলেকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে নিয়ে গেলে ছেলে মো. ওমরকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বাবা দেলোয়ার হোসেনও মারা গেছেন।
পলাশ উপজেলার মালিতা পশ্চিমপাড়া গ্রামের কাজেম আলী ভূঁইয়া (৭৫) মাটির ঘরের দেয়ালের নিচে চাপা পড়েন। সেখান থেকে তাঁকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে প্রথমে পলাশ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও পরে নরসিংদী ১০০ শয্যাবিশিষ্ট জেলা হাসপাতালে নেওয়ার পথে তিনি মারা যান। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) আব্দুল্লাহ আল মামুন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
অপর দিকে শিবপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আফজাল হোসাইন জানান, ভূমিকম্পের সময় গাছ থেকে পড়ে আহত হন শিবপুর উপজেলার ইউনিয়নের আজকীতলা পূর্বপাড়া গ্রামের শরাফত আলীর ছেলে ফোরকান মিয়া (৪৫)। আহত অবস্থায় তাঁকে উপজেলা হাসপাতালে আনার পর মারা যান তিনি।
ডাঙ্গা ইউনিয়নের ইসলামপাড়া নয়াপাড়ার বাসিন্দা নাসিরউদ্দিন (৬৫) ভূমিকম্পের সময় আতঙ্কে স্ট্রোক করে মারা গেছেন বলে জানান জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আনোয়ার হোসাইন।
আজ সকাল ১০টা ৩৮ মিনিটে এই ভূমিকম্প হয়। বাংলাদেশের আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, রিখটার স্কেলে ভূমিকম্পটির তীব্রতা ছিল ৫ দশমিক ৭। উৎপত্তিস্থল নরসিংদীর মাধবদী। ভূমিকম্পটিকে মাঝারি মাত্রার বলছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে আঘাত হানা শক্তিশালী ভূমিকম্পে অন্তত ১০ জনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত হওয়া গেছে। এর মধ্যে বংশালের কসাইটুলি এলাকায় তিন পথচারী, রাজধানীর মুগদায় এক নিরাপত্তাকর্মী, রূপগঞ্জে এক শিশু, নরসিংদীতে এক শিশুসহ পাঁচজন মারা গেছে।
এদিকে ভূমিকম্পে আহত হয়ে ছয় শতাধিক মানুষ দেশের বিভিন্ন সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন। তাদের মধ্যে প্রায় দুইশজন ভর্তি হয়েছেন।
আজ শুক্রবার রাত ৮টা পর্যন্ত স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হালনাদাকৃত তথ্য অনুযায়ী, সারাদেশে সরকারি হাসপাতালগুলোতে মোট ৬০৬ জন আহত রোগী চিকিৎসা নিয়েছেন। এর মধ্যে ১৬৭ জনকে ভর্তি করা হয়েছে এবং গুরুতর অবস্থায় ১৬ জনকে অন্য হাসপাতালে রেফার করা হয়েছে।
তবে এর বাইরেও বহু রোগী দেশের বিভিন্ন বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন এবং কোথাও কোথাও ভর্তি রয়েছেন বলে ধারণা করছেন সংশ্লিষ্টরা। তবে এই তথ্য এখনো হালনাদাগকৃত তথ্যে যুক্ত হয়নি। ফলে আহতের সংখ্যা হাজারের বেশি হওয়ার শঙ্কা রয়েছে।
ঢাকা
পুরান ঢাকায় কসাইটুলিতে একটি ভবনের রেলিং ভেঙে পড়ে তিন পথচারী নিহত হয়েছেন। তারা হলেন রাফিউল ইসলাম (আনুমানিক ২০ বছর), আব্দুর রহিম (৪৮) ও তাঁর ছেলে মেহরাব হোসেন (১২)। নিহতদের মধ্যে রাফিউল ইসলাম স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ ও মিটফোর্ড হাসপাতালের শিক্ষার্থী বলে পরিবার জানিয়েছে।
আব্দুর রহিমের গ্রামের বাড়ি লক্ষ্মীপুরের চন্দ্রকোনায়। তিনি সুরিটোলা স্কুলের পেছনে ভাড়া বাসায় থাকতেন।
এছাড়া মুগদার মদিনাবাগে ভূমিকম্পে নির্মাণাধীন ভবনের রেলিং ধসে মাথায় পড়ে মাকসুদ (৫০) নামের এক নিরাপত্তাকর্মীর মৃত্যু হয়েছে। আজ শুক্রবার বেলা পৌনে ১১টার দিকে মুগদা মদিনাবাগ মিয়াজি গলিতে ঘটনাটি ঘটে। স্থানীয়রা তাঁকে মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে গেলে চিকিৎসক দুপুর পৌনে ১২টার দিকে মৃত ঘোষণা করেন। মুগদা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
নারায়ণগঞ্জ
নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে ভূমিকম্পে দেয়াল ধসে ফাতেমা নামে ১০ মাসের এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। উপজেলার গোলাকান্দাইল ইউনিয়নের ইসলামবাগ ৫ নম্বর ক্যানেল এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় শিশুর মা গুরতর আহত হয়েছেন। তিনি ঢাকায় চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এছাড়া একজন পথচারীও আহত হয়েছে। মৃত শিশুটির পরিবারকে প্রাথমিকভাবে নগদ অর্থ সহায়তা দেওয়া হয়েছে বলে নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসকের পক্ষে থেকে জানানো হয়েছে।
নরসিংদী
সদর উপজেলার চিনিশপুর ইউনিয়নের গাবতলী এলাকায় নির্মাণাধীন ভবনের দেয়াল থেকে ইট ধসে পাশের বাড়ির ছাদের ওপর পড়ে। এতে ওই বাড়ির বাড়ির সানশেড ভেঙে মো. ওমর (৮), তার বাবা দেলোয়ার হোসেন ও দুই বোন আহত হয়। তাদের প্রথমে নরসিংদী সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা প্রাথমিক চিকিৎসা দেন।
পরে আশঙ্কাজনক অবস্থায় বাবা ও ছেলেকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে নিয়ে গেলে ছেলে মো. ওমরকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বাবা দেলোয়ার হোসেনও মারা গেছেন।
পলাশ উপজেলার মালিতা পশ্চিমপাড়া গ্রামের কাজেম আলী ভূঁইয়া (৭৫) মাটির ঘরের দেয়ালের নিচে চাপা পড়েন। সেখান থেকে তাঁকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে প্রথমে পলাশ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও পরে নরসিংদী ১০০ শয্যাবিশিষ্ট জেলা হাসপাতালে নেওয়ার পথে তিনি মারা যান। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) আব্দুল্লাহ আল মামুন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
অপর দিকে শিবপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আফজাল হোসাইন জানান, ভূমিকম্পের সময় গাছ থেকে পড়ে আহত হন শিবপুর উপজেলার ইউনিয়নের আজকীতলা পূর্বপাড়া গ্রামের শরাফত আলীর ছেলে ফোরকান মিয়া (৪৫)। আহত অবস্থায় তাঁকে উপজেলা হাসপাতালে আনার পর মারা যান তিনি।
ডাঙ্গা ইউনিয়নের ইসলামপাড়া নয়াপাড়ার বাসিন্দা নাসিরউদ্দিন (৬৫) ভূমিকম্পের সময় আতঙ্কে স্ট্রোক করে মারা গেছেন বলে জানান জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আনোয়ার হোসাইন।
আজ সকাল ১০টা ৩৮ মিনিটে এই ভূমিকম্প হয়। বাংলাদেশের আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, রিখটার স্কেলে ভূমিকম্পটির তীব্রতা ছিল ৫ দশমিক ৭। উৎপত্তিস্থল নরসিংদীর মাধবদী। ভূমিকম্পটিকে মাঝারি মাত্রার বলছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে আঘাত হানা শক্তিশালী ভূমিকম্পে অন্তত ১০ জনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত হওয়া গেছে। এর মধ্যে বংশালের কসাইটুলি এলাকায় তিন পথচারী, রাজধানীর মুগদায় এক নিরাপত্তাকর্মী, রূপগঞ্জে এক শিশু, নরসিংদীতে এক শিশুসহ পাঁচজন মারা গেছে।
এদিকে ভূমিকম্পে আহত হয়ে ছয় শতাধিক মানুষ দেশের বিভিন্ন সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন। তাদের মধ্যে প্রায় দুইশজন ভর্তি হয়েছেন।
আজ শুক্রবার রাত ৮টা পর্যন্ত স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হালনাদাকৃত তথ্য অনুযায়ী, সারাদেশে সরকারি হাসপাতালগুলোতে মোট ৬০৬ জন আহত রোগী চিকিৎসা নিয়েছেন। এর মধ্যে ১৬৭ জনকে ভর্তি করা হয়েছে এবং গুরুতর অবস্থায় ১৬ জনকে অন্য হাসপাতালে রেফার করা হয়েছে।
তবে এর বাইরেও বহু রোগী দেশের বিভিন্ন বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন এবং কোথাও কোথাও ভর্তি রয়েছেন বলে ধারণা করছেন সংশ্লিষ্টরা। তবে এই তথ্য এখনো হালনাদাগকৃত তথ্যে যুক্ত হয়নি। ফলে আহতের সংখ্যা হাজারের বেশি হওয়ার শঙ্কা রয়েছে।
ঢাকা
পুরান ঢাকায় কসাইটুলিতে একটি ভবনের রেলিং ভেঙে পড়ে তিন পথচারী নিহত হয়েছেন। তারা হলেন রাফিউল ইসলাম (আনুমানিক ২০ বছর), আব্দুর রহিম (৪৮) ও তাঁর ছেলে মেহরাব হোসেন (১২)। নিহতদের মধ্যে রাফিউল ইসলাম স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ ও মিটফোর্ড হাসপাতালের শিক্ষার্থী বলে পরিবার জানিয়েছে।
আব্দুর রহিমের গ্রামের বাড়ি লক্ষ্মীপুরের চন্দ্রকোনায়। তিনি সুরিটোলা স্কুলের পেছনে ভাড়া বাসায় থাকতেন।
এছাড়া মুগদার মদিনাবাগে ভূমিকম্পে নির্মাণাধীন ভবনের রেলিং ধসে মাথায় পড়ে মাকসুদ (৫০) নামের এক নিরাপত্তাকর্মীর মৃত্যু হয়েছে। আজ শুক্রবার বেলা পৌনে ১১টার দিকে মুগদা মদিনাবাগ মিয়াজি গলিতে ঘটনাটি ঘটে। স্থানীয়রা তাঁকে মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে গেলে চিকিৎসক দুপুর পৌনে ১২টার দিকে মৃত ঘোষণা করেন। মুগদা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
নারায়ণগঞ্জ
নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে ভূমিকম্পে দেয়াল ধসে ফাতেমা নামে ১০ মাসের এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। উপজেলার গোলাকান্দাইল ইউনিয়নের ইসলামবাগ ৫ নম্বর ক্যানেল এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় শিশুর মা গুরতর আহত হয়েছেন। তিনি ঢাকায় চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এছাড়া একজন পথচারীও আহত হয়েছে। মৃত শিশুটির পরিবারকে প্রাথমিকভাবে নগদ অর্থ সহায়তা দেওয়া হয়েছে বলে নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসকের পক্ষে থেকে জানানো হয়েছে।
নরসিংদী
সদর উপজেলার চিনিশপুর ইউনিয়নের গাবতলী এলাকায় নির্মাণাধীন ভবনের দেয়াল থেকে ইট ধসে পাশের বাড়ির ছাদের ওপর পড়ে। এতে ওই বাড়ির বাড়ির সানশেড ভেঙে মো. ওমর (৮), তার বাবা দেলোয়ার হোসেন ও দুই বোন আহত হয়। তাদের প্রথমে নরসিংদী সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা প্রাথমিক চিকিৎসা দেন।
পরে আশঙ্কাজনক অবস্থায় বাবা ও ছেলেকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে নিয়ে গেলে ছেলে মো. ওমরকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বাবা দেলোয়ার হোসেনও মারা গেছেন।
পলাশ উপজেলার মালিতা পশ্চিমপাড়া গ্রামের কাজেম আলী ভূঁইয়া (৭৫) মাটির ঘরের দেয়ালের নিচে চাপা পড়েন। সেখান থেকে তাঁকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে প্রথমে পলাশ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও পরে নরসিংদী ১০০ শয্যাবিশিষ্ট জেলা হাসপাতালে নেওয়ার পথে তিনি মারা যান। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) আব্দুল্লাহ আল মামুন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
অপর দিকে শিবপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আফজাল হোসাইন জানান, ভূমিকম্পের সময় গাছ থেকে পড়ে আহত হন শিবপুর উপজেলার ইউনিয়নের আজকীতলা পূর্বপাড়া গ্রামের শরাফত আলীর ছেলে ফোরকান মিয়া (৪৫)। আহত অবস্থায় তাঁকে উপজেলা হাসপাতালে আনার পর মারা যান তিনি।
ডাঙ্গা ইউনিয়নের ইসলামপাড়া নয়াপাড়ার বাসিন্দা নাসিরউদ্দিন (৬৫) ভূমিকম্পের সময় আতঙ্কে স্ট্রোক করে মারা গেছেন বলে জানান জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আনোয়ার হোসাইন।
আজ সকাল ১০টা ৩৮ মিনিটে এই ভূমিকম্প হয়। বাংলাদেশের আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, রিখটার স্কেলে ভূমিকম্পটির তীব্রতা ছিল ৫ দশমিক ৭। উৎপত্তিস্থল নরসিংদীর মাধবদী। ভূমিকম্পটিকে মাঝারি মাত্রার বলছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে আঘাত হানা শক্তিশালী ভূমিকম্পে অন্তত ১০ জনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত হওয়া গেছে। এর মধ্যে বংশালের কসাইটুলি এলাকায় তিন পথচারী, রাজধানীর মুগদায় এক নিরাপত্তাকর্মী, রূপগঞ্জে এক শিশু, নরসিংদীতে এক শিশুসহ পাঁচজন মারা গেছে।
এদিকে ভূমিকম্পে আহত হয়ে ছয় শতাধিক মানুষ দেশের বিভিন্ন সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন। তাদের মধ্যে প্রায় দুইশজন ভর্তি হয়েছেন।
আজ শুক্রবার রাত ৮টা পর্যন্ত স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হালনাদাকৃত তথ্য অনুযায়ী, সারাদেশে সরকারি হাসপাতালগুলোতে মোট ৬০৬ জন আহত রোগী চিকিৎসা নিয়েছেন। এর মধ্যে ১৬৭ জনকে ভর্তি করা হয়েছে এবং গুরুতর অবস্থায় ১৬ জনকে অন্য হাসপাতালে রেফার করা হয়েছে।
তবে এর বাইরেও বহু রোগী দেশের বিভিন্ন বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন এবং কোথাও কোথাও ভর্তি রয়েছেন বলে ধারণা করছেন সংশ্লিষ্টরা। তবে এই তথ্য এখনো হালনাদাগকৃত তথ্যে যুক্ত হয়নি। ফলে আহতের সংখ্যা হাজারের বেশি হওয়ার শঙ্কা রয়েছে।
ঢাকা
পুরান ঢাকায় কসাইটুলিতে একটি ভবনের রেলিং ভেঙে পড়ে তিন পথচারী নিহত হয়েছেন। তারা হলেন রাফিউল ইসলাম (আনুমানিক ২০ বছর), আব্দুর রহিম (৪৮) ও তাঁর ছেলে মেহরাব হোসেন (১২)। নিহতদের মধ্যে রাফিউল ইসলাম স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ ও মিটফোর্ড হাসপাতালের শিক্ষার্থী বলে পরিবার জানিয়েছে।
আব্দুর রহিমের গ্রামের বাড়ি লক্ষ্মীপুরের চন্দ্রকোনায়। তিনি সুরিটোলা স্কুলের পেছনে ভাড়া বাসায় থাকতেন।
এছাড়া মুগদার মদিনাবাগে ভূমিকম্পে নির্মাণাধীন ভবনের রেলিং ধসে মাথায় পড়ে মাকসুদ (৫০) নামের এক নিরাপত্তাকর্মীর মৃত্যু হয়েছে। আজ শুক্রবার বেলা পৌনে ১১টার দিকে মুগদা মদিনাবাগ মিয়াজি গলিতে ঘটনাটি ঘটে। স্থানীয়রা তাঁকে মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে গেলে চিকিৎসক দুপুর পৌনে ১২টার দিকে মৃত ঘোষণা করেন। মুগদা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
নারায়ণগঞ্জ
নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে ভূমিকম্পে দেয়াল ধসে ফাতেমা নামে ১০ মাসের এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। উপজেলার গোলাকান্দাইল ইউনিয়নের ইসলামবাগ ৫ নম্বর ক্যানেল এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় শিশুর মা গুরতর আহত হয়েছেন। তিনি ঢাকায় চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এছাড়া একজন পথচারীও আহত হয়েছে। মৃত শিশুটির পরিবারকে প্রাথমিকভাবে নগদ অর্থ সহায়তা দেওয়া হয়েছে বলে নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসকের পক্ষে থেকে জানানো হয়েছে।
নরসিংদী
সদর উপজেলার চিনিশপুর ইউনিয়নের গাবতলী এলাকায় নির্মাণাধীন ভবনের দেয়াল থেকে ইট ধসে পাশের বাড়ির ছাদের ওপর পড়ে। এতে ওই বাড়ির বাড়ির সানশেড ভেঙে মো. ওমর (৮), তার বাবা দেলোয়ার হোসেন ও দুই বোন আহত হয়। তাদের প্রথমে নরসিংদী সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা প্রাথমিক চিকিৎসা দেন।
পরে আশঙ্কাজনক অবস্থায় বাবা ও ছেলেকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে নিয়ে গেলে ছেলে মো. ওমরকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বাবা দেলোয়ার হোসেনও মারা গেছেন।
পলাশ উপজেলার মালিতা পশ্চিমপাড়া গ্রামের কাজেম আলী ভূঁইয়া (৭৫) মাটির ঘরের দেয়ালের নিচে চাপা পড়েন। সেখান থেকে তাঁকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে প্রথমে পলাশ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও পরে নরসিংদী ১০০ শয্যাবিশিষ্ট জেলা হাসপাতালে নেওয়ার পথে তিনি মারা যান। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) আব্দুল্লাহ আল মামুন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
অপর দিকে শিবপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আফজাল হোসাইন জানান, ভূমিকম্পের সময় গাছ থেকে পড়ে আহত হন শিবপুর উপজেলার ইউনিয়নের আজকীতলা পূর্বপাড়া গ্রামের শরাফত আলীর ছেলে ফোরকান মিয়া (৪৫)। আহত অবস্থায় তাঁকে উপজেলা হাসপাতালে আনার পর মারা যান তিনি।
ডাঙ্গা ইউনিয়নের ইসলামপাড়া নয়াপাড়ার বাসিন্দা নাসিরউদ্দিন (৬৫) ভূমিকম্পের সময় আতঙ্কে স্ট্রোক করে মারা গেছেন বলে জানান জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আনোয়ার হোসাইন।
আজ সকাল ১০টা ৩৮ মিনিটে এই ভূমিকম্প হয়। বাংলাদেশের আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, রিখটার স্কেলে ভূমিকম্পটির তীব্রতা ছিল ৫ দশমিক ৭। উৎপত্তিস্থল নরসিংদীর মাধবদী। ভূমিকম্পটিকে মাঝারি মাত্রার বলছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে শুক্রবার ৫ দশমিক ৭ মাত্রার ভূমিকম্পে আহত হয়ে ছয় শতাধিক মানুষ সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছে। তাদের মধ্যে প্রায় ২০০ জন ভর্তি হয়েছে। আজ শুক্রবার রাত ৮টা পর্যন্ত স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হালনাগাদকৃত তথ্য অনুযায়ী, সারা দেশে সরকারি হাসপাতালগুলোতে মোট ৬০৬ জন আহত রোগী চিকিৎসা
৭ ঘণ্টা আগে
পুরান ঢাকা এবং রাজধানীর অন্যান্য এলাকার পুরোনো ভবনগুলোর ৯০ ভাগই বিল্ডিং কোড মেনে নির্মাণ করা হয়নি। ফলে ভূমিকম্পে এসব এলাকা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার ঝুঁকিতে রয়েছে।আজ শুক্রবার রাজধানীর মিরপুরে আদিবাসী খাদ্য ও শস্যমেলার উদ্বোধনের পর সাংবাদিকদের এ কথা বলেন পরিবেশ উপদেষ্টা রিজওয়ানা হাসান।
১৩ ঘণ্টা আগে
আজ শুক্রবার সকালে রাজধানী ঢাকার অদূরে নরসিংদীর ঘোড়াশাল এলাকার কাছে উৎপত্তি হওয়া ৫.৭ মাত্রার ভূমিকম্পে এখন পর্যন্ত হতাহতের সংখ্যা উল্লেখযোগ্য হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। দুপুর ২টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত একাধিক হাসপাতাল সূত্রে টেলিফোন মারফত প্রাপ্ত অনানুষ্ঠানিক তথ্য অনুযায়ী...
১৪ ঘণ্টা আগে
রাজধানীর শেরে বাংলা নগরের জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠানের (পঙ্গু হাসপাতাল) বহুতল নতুন ভবনে ফাটল ধরেছে। এতে রোগীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। আজ শুক্রবার সকাল ১০টা ৩৮ মিনিটে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় ভূমিকম্প অনুভূত হয়। রিখটার স্কেলে এর মাত্রা ছিল ৫ দশমিক ৫।
১৬ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে শুক্রবার ৫ দশমিক ৭ মাত্রার ভূমিকম্পে আহত হয়ে ছয় শতাধিক মানুষ সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছে। তাদের মধ্যে প্রায় ২০০ জন ভর্তি হয়েছে।
আজ শুক্রবার রাত ৮টা পর্যন্ত স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হালনাগাদকৃত তথ্য অনুযায়ী, সারা দেশে সরকারি হাসপাতালগুলোতে মোট ৬০৬ জন আহত রোগী চিকিৎসা নিয়েছে। এর মধ্যে ১৬৭ জনকে ভর্তি করা হয়েছে এবং গুরুতর অবস্থায় ১৬ জনকে অন্য হাসপাতালে রেফার করা হয়েছে।
তবে এ তথ্যের বাইরেও হতাহত বহু মানুষ দেশের বিভিন্ন বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছে এবং কোথাও কোথাও ভর্তি রয়েছে বলে ধারণা করছেন সংশ্লিষ্টরা। তবে এ তথ্য এখনো হালনাগাদকৃত তথ্যে যুক্ত হয়নি। ফলে আহতের সংখ্যা হাজারের বেশি হওয়ার শঙ্কা কার হচ্ছে।
তথ্য অনুযায়ী, ঢাকায় প্রধান সরকারি হাসপাতালে আহতদের চাপ লক্ষ করা গেছে। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ৬১ জন আহত চিকিৎসা নিয়েছে, যার মধ্যে ৬ জন ভর্তি হয়েছে। স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ ও মিটফোর্ড হাসপাতালে ১৬ জন চিকিৎসা নিয়েছে, যাদের মধ্যে একজন ভর্তি হয়েছে। পঙ্গু হাসপাতালে ৮৩ জন আহত রোগী চিকিৎসা নিয়েছে এবং ১৮ জন ভর্তি হয়েছে। মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ১৬ জন চিকিৎসা নিয়েছে। শহীদ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে দুজন এবং নরসিংদী সদর হাসপাতালে ৫৯ জন আহত রোগী চিকিৎসা নিয়েছে। ওই হাসপাতালে একজন ভর্তি এবং দুজনকে রেফার করা হয়েছে। নরসিংদী জেলা হাসপাতালে ১৩ জন চিকিৎসা নিয়েছে, আর রায়পুরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে তিনজনকে ভর্তি করা হয়েছে।
আহতের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি গাজীপুরে। তাজউদ্দীন মেডিকেল আহমদ কলেজে ৮৫ জন আহত রোগী চিকিৎসা নিয়েছে, যাদের মধ্যে ৫৫ জন ভর্তি হয়েছে। টঙ্গী আহসানুল্লাহ হাসপাতালে ৮৫ জন চিকিৎসা নিয়েছে এবং ১৪ জন ভর্তি হয়েছে, সঙ্গে সাতজনকে গুরুতর অবস্থায় রেফার করা হয়েছে। শ্রীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ৭৭ জন আহত রোগী চিকিৎসা নিয়েছে, যার মধ্যে ৪৭ জন ভর্তি হয়েছে এবং ছয়জনকে রেফার করা হয়েছে। কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঁচজন চিকিৎসা নিয়েছে।
নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ, বন্দর এবং সোনারগাঁ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সেও মোট ১৬ জন আহত রোগী চিকিৎসা নিয়েছে। মাগুরা জেলায় শ্রীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ৩৬ জন রোগীর মধ্যে ১৩ জন ভর্তি হয়েছে। জেলার ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালে ২৮ জন আহত রোগী চিকিৎসা নিয়েছে, যাদের মধ্যে নয়জন ভর্তি হয়েছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক (হাসপাতাল ও ক্লিনিক) ডা. মঈনুল আহসান জানিয়েছেন, দেশের সব সরকারি হাসপাতালে জরুরি মেডিকেল টিম দ্রুত সক্রিয় রয়েছে এবং আহতদের জন্য প্রয়োজনীয় ওষুধ ও চিকিৎসা সরবরাহ নিশ্চিত করা হচ্ছে।
ডা. মঈনুল আরও বলেন, অধিকাংশ আহতই ভবন ধসের কারণে নয়, বরং আতঙ্কে হুড়োহুড়ি বা সিঁড়ি দিয়ে নামার সময় আঘাত পেয়েছে। এ জন্য ভবিষ্যতে জনসচেতনতা বৃদ্ধি ও নিরাপদে বের হওয়ার নির্দেশনা বাস্তবায়নে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে।

রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে শুক্রবার ৫ দশমিক ৭ মাত্রার ভূমিকম্পে আহত হয়ে ছয় শতাধিক মানুষ সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছে। তাদের মধ্যে প্রায় ২০০ জন ভর্তি হয়েছে।
আজ শুক্রবার রাত ৮টা পর্যন্ত স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হালনাগাদকৃত তথ্য অনুযায়ী, সারা দেশে সরকারি হাসপাতালগুলোতে মোট ৬০৬ জন আহত রোগী চিকিৎসা নিয়েছে। এর মধ্যে ১৬৭ জনকে ভর্তি করা হয়েছে এবং গুরুতর অবস্থায় ১৬ জনকে অন্য হাসপাতালে রেফার করা হয়েছে।
তবে এ তথ্যের বাইরেও হতাহত বহু মানুষ দেশের বিভিন্ন বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছে এবং কোথাও কোথাও ভর্তি রয়েছে বলে ধারণা করছেন সংশ্লিষ্টরা। তবে এ তথ্য এখনো হালনাগাদকৃত তথ্যে যুক্ত হয়নি। ফলে আহতের সংখ্যা হাজারের বেশি হওয়ার শঙ্কা কার হচ্ছে।
তথ্য অনুযায়ী, ঢাকায় প্রধান সরকারি হাসপাতালে আহতদের চাপ লক্ষ করা গেছে। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ৬১ জন আহত চিকিৎসা নিয়েছে, যার মধ্যে ৬ জন ভর্তি হয়েছে। স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ ও মিটফোর্ড হাসপাতালে ১৬ জন চিকিৎসা নিয়েছে, যাদের মধ্যে একজন ভর্তি হয়েছে। পঙ্গু হাসপাতালে ৮৩ জন আহত রোগী চিকিৎসা নিয়েছে এবং ১৮ জন ভর্তি হয়েছে। মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ১৬ জন চিকিৎসা নিয়েছে। শহীদ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে দুজন এবং নরসিংদী সদর হাসপাতালে ৫৯ জন আহত রোগী চিকিৎসা নিয়েছে। ওই হাসপাতালে একজন ভর্তি এবং দুজনকে রেফার করা হয়েছে। নরসিংদী জেলা হাসপাতালে ১৩ জন চিকিৎসা নিয়েছে, আর রায়পুরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে তিনজনকে ভর্তি করা হয়েছে।
আহতের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি গাজীপুরে। তাজউদ্দীন মেডিকেল আহমদ কলেজে ৮৫ জন আহত রোগী চিকিৎসা নিয়েছে, যাদের মধ্যে ৫৫ জন ভর্তি হয়েছে। টঙ্গী আহসানুল্লাহ হাসপাতালে ৮৫ জন চিকিৎসা নিয়েছে এবং ১৪ জন ভর্তি হয়েছে, সঙ্গে সাতজনকে গুরুতর অবস্থায় রেফার করা হয়েছে। শ্রীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ৭৭ জন আহত রোগী চিকিৎসা নিয়েছে, যার মধ্যে ৪৭ জন ভর্তি হয়েছে এবং ছয়জনকে রেফার করা হয়েছে। কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঁচজন চিকিৎসা নিয়েছে।
নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ, বন্দর এবং সোনারগাঁ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সেও মোট ১৬ জন আহত রোগী চিকিৎসা নিয়েছে। মাগুরা জেলায় শ্রীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ৩৬ জন রোগীর মধ্যে ১৩ জন ভর্তি হয়েছে। জেলার ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালে ২৮ জন আহত রোগী চিকিৎসা নিয়েছে, যাদের মধ্যে নয়জন ভর্তি হয়েছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক (হাসপাতাল ও ক্লিনিক) ডা. মঈনুল আহসান জানিয়েছেন, দেশের সব সরকারি হাসপাতালে জরুরি মেডিকেল টিম দ্রুত সক্রিয় রয়েছে এবং আহতদের জন্য প্রয়োজনীয় ওষুধ ও চিকিৎসা সরবরাহ নিশ্চিত করা হচ্ছে।
ডা. মঈনুল আরও বলেন, অধিকাংশ আহতই ভবন ধসের কারণে নয়, বরং আতঙ্কে হুড়োহুড়ি বা সিঁড়ি দিয়ে নামার সময় আঘাত পেয়েছে। এ জন্য ভবিষ্যতে জনসচেতনতা বৃদ্ধি ও নিরাপদে বের হওয়ার নির্দেশনা বাস্তবায়নে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে।

রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে আঘাত হানা শক্তিশালী ভূমিকম্পে অন্তত ১০ জনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত হওয়া গেছে। এর মধ্যে বংশালের কসাইটুলি এলাকায় তিন পথচারী, রাজধানীর মুগদায় নিরাপত্তাকর্মী, রূপগঞ্জে এক শিশু, নরসিংদীতে এক শিশুসহ পাঁচজন মারা গেছে।
৮ ঘণ্টা আগে
পুরান ঢাকা এবং রাজধানীর অন্যান্য এলাকার পুরোনো ভবনগুলোর ৯০ ভাগই বিল্ডিং কোড মেনে নির্মাণ করা হয়নি। ফলে ভূমিকম্পে এসব এলাকা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার ঝুঁকিতে রয়েছে।আজ শুক্রবার রাজধানীর মিরপুরে আদিবাসী খাদ্য ও শস্যমেলার উদ্বোধনের পর সাংবাদিকদের এ কথা বলেন পরিবেশ উপদেষ্টা রিজওয়ানা হাসান।
১৩ ঘণ্টা আগে
আজ শুক্রবার সকালে রাজধানী ঢাকার অদূরে নরসিংদীর ঘোড়াশাল এলাকার কাছে উৎপত্তি হওয়া ৫.৭ মাত্রার ভূমিকম্পে এখন পর্যন্ত হতাহতের সংখ্যা উল্লেখযোগ্য হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। দুপুর ২টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত একাধিক হাসপাতাল সূত্রে টেলিফোন মারফত প্রাপ্ত অনানুষ্ঠানিক তথ্য অনুযায়ী...
১৪ ঘণ্টা আগে
রাজধানীর শেরে বাংলা নগরের জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠানের (পঙ্গু হাসপাতাল) বহুতল নতুন ভবনে ফাটল ধরেছে। এতে রোগীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। আজ শুক্রবার সকাল ১০টা ৩৮ মিনিটে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় ভূমিকম্প অনুভূত হয়। রিখটার স্কেলে এর মাত্রা ছিল ৫ দশমিক ৫।
১৬ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

পুরান ঢাকা এবং রাজধানীর অন্যান্য এলাকার পুরোনো ভবনগুলোর ৯০ ভাগই বিল্ডিং কোড মেনে নির্মাণ করা হয়নি। ফলে ভূমিকম্পে এসব এলাকা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার ঝুঁকিতে রয়েছে।
আজ শুক্রবার রাজধানীর মিরপুরে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর খাদ্য ও শস্যমেলার উদ্বোধনের পর সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন পরিবেশ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।
উপদেষ্টা বলেন, প্রায় ৯০ ভাগ পুরোনো ভবনে বিল্ডিং কোড না মানায় ঢাকা ও পুরান ঢাকা ভূমিকম্পের চরম ঝুঁকিতে রয়েছে।
উল্লেখ্য, আজ সকাল ১০টা ৩৮ মিনিটে রিখটার স্কেলে ৫ দশমিক ৭ মাত্রার ভূমিকম্পে রাজধানী ঢাকা, নরসিংদী, গাজীপুর ও নারায়ণগঞ্জের রূপপুরে ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া গেছে। দুই শিশুসহ ৫ জনের প্রাণহানি ঘটেছে। এ ছাড়া আহত হয়েছে দুই শতাধিক।

পুরান ঢাকা এবং রাজধানীর অন্যান্য এলাকার পুরোনো ভবনগুলোর ৯০ ভাগই বিল্ডিং কোড মেনে নির্মাণ করা হয়নি। ফলে ভূমিকম্পে এসব এলাকা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার ঝুঁকিতে রয়েছে।
আজ শুক্রবার রাজধানীর মিরপুরে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর খাদ্য ও শস্যমেলার উদ্বোধনের পর সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন পরিবেশ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।
উপদেষ্টা বলেন, প্রায় ৯০ ভাগ পুরোনো ভবনে বিল্ডিং কোড না মানায় ঢাকা ও পুরান ঢাকা ভূমিকম্পের চরম ঝুঁকিতে রয়েছে।
উল্লেখ্য, আজ সকাল ১০টা ৩৮ মিনিটে রিখটার স্কেলে ৫ দশমিক ৭ মাত্রার ভূমিকম্পে রাজধানী ঢাকা, নরসিংদী, গাজীপুর ও নারায়ণগঞ্জের রূপপুরে ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া গেছে। দুই শিশুসহ ৫ জনের প্রাণহানি ঘটেছে। এ ছাড়া আহত হয়েছে দুই শতাধিক।

রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে আঘাত হানা শক্তিশালী ভূমিকম্পে অন্তত ১০ জনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত হওয়া গেছে। এর মধ্যে বংশালের কসাইটুলি এলাকায় তিন পথচারী, রাজধানীর মুগদায় নিরাপত্তাকর্মী, রূপগঞ্জে এক শিশু, নরসিংদীতে এক শিশুসহ পাঁচজন মারা গেছে।
৮ ঘণ্টা আগে
রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে শুক্রবার ৫ দশমিক ৭ মাত্রার ভূমিকম্পে আহত হয়ে ছয় শতাধিক মানুষ সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছে। তাদের মধ্যে প্রায় ২০০ জন ভর্তি হয়েছে। আজ শুক্রবার রাত ৮টা পর্যন্ত স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হালনাগাদকৃত তথ্য অনুযায়ী, সারা দেশে সরকারি হাসপাতালগুলোতে মোট ৬০৬ জন আহত রোগী চিকিৎসা
৭ ঘণ্টা আগে
আজ শুক্রবার সকালে রাজধানী ঢাকার অদূরে নরসিংদীর ঘোড়াশাল এলাকার কাছে উৎপত্তি হওয়া ৫.৭ মাত্রার ভূমিকম্পে এখন পর্যন্ত হতাহতের সংখ্যা উল্লেখযোগ্য হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। দুপুর ২টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত একাধিক হাসপাতাল সূত্রে টেলিফোন মারফত প্রাপ্ত অনানুষ্ঠানিক তথ্য অনুযায়ী...
১৪ ঘণ্টা আগে
রাজধানীর শেরে বাংলা নগরের জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠানের (পঙ্গু হাসপাতাল) বহুতল নতুন ভবনে ফাটল ধরেছে। এতে রোগীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। আজ শুক্রবার সকাল ১০টা ৩৮ মিনিটে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় ভূমিকম্প অনুভূত হয়। রিখটার স্কেলে এর মাত্রা ছিল ৫ দশমিক ৫।
১৬ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

আজ শুক্রবার সকালে রাজধানী ঢাকার অদূরে নরসিংদীর ঘোড়াশাল এলাকার কাছে উৎপত্তি হওয়া ৫.৭ মাত্রার ভূমিকম্পে এখন পর্যন্ত হতাহতের সংখ্যা উল্লেখযোগ্য সংখ্যায় বেড়েছে। বেলা ২টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত একাধিক হাসপাতাল সূত্রে টেলিফোন মারফত প্রাপ্ত অনানুষ্ঠানিক তথ্য অনুযায়ী, এই প্রাকৃতিক দুর্যোগে নিহতের সংখ্যা ৬ জন এবং আহত হয়েছেন ২৪০ জনেরও বেশি মানুষ।
পুরান ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ এবং নরসিংদীতে তিন শিশুসহ চারজন নিহত হয়েছেন। আর অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের শোকবার্তায় আরও একজন নিহত হয়েছেন বলে জানা গেছে। ঢাকা, নরসিংদী, গাজীপুরে আহত হয়েছেন দুই শতাধিক।
পুরান ঢাকায় নিহতেরা হলেন, রাফিউল ইসলাম (আনুমানিক ২০ বছর), আব্দুর রহিম (৪৮) ও তাঁর ছেলে মেহরাব হোসেন (১২)। রূপগঞ্জে ফাতেমা নামে ১০ মাসের এক শিশু মারা গেছে। আর নরসিংদীতে বাড়ির সানসেট ভেঙে ওমর (১০) নামের এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে।
নিহতদের মধ্যে রাফিউল ইসলাম স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ মিটফোর্ড হাসপাতালের শিক্ষার্থী বলে পরিবার জানিয়েছে। আব্দুর রহিমের গ্রামের বাড়ি লক্ষ্মীপুরের চন্দ্রকোনায়। তিনি সুরিটোলা স্কুলের পেছনে ভাড়া বাসায় থাকতেন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সার্বিক পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এক বার্তায় জানানো হয়েছে, ভূমিকম্পের ঝাঁকুনিতে সৃষ্ট আতঙ্কে অনেকেই লাফ দিয়ে অথবা হুড়োহুড়িতে পড়ে আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। বিভিন্ন হাসপাতাল থেকে প্রাপ্ত হতাহতের অনানুষ্ঠানিক পরিসংখ্যান জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এর মধ্যে:
স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল (এসএসএমসিএইচ) থেকে পাওয়া তথ্যে জানা গেছে, এই হাসপাতালে ৩ জন নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে একজন হলেন কলেজটির দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র রাফিউল ইসলাম। এছাড়া এসএসএমসিএইচ-এ আহত অবস্থায় চিকিৎসা নিয়েছেন আরও ১০ জন।
গাজীপুরের তাজউদ্দীন মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল-এ মোট ৭২ জন আহত হয়ে চিকিৎসা নিয়েছেন। এদের মধ্যে ৪৯ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে এবং ২৩ জনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
শ্রীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স-এ ভূমিকম্প পরবর্তী পরিস্থিতিতে চিকিৎসা নিতে এসেছিলেন মোট ৪০০ জন। গুরুতর আহত হওয়ার কারণে ৮৬ জনকে ভর্তি করা হয়েছে এবং ৯৭ জনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। এখান থেকে ৬ জনকে গুরুতর অবস্থায় অন্য হাসপাতালে রেফার করা হয়েছে।
এ ছাড়া, নরসিংদী জেলা হাসপাতাল-এ ৪৫ জন আহত অবস্থায় চিকিৎসা নিয়েছেন, যার মধ্যে ৩ জন গুরুতর অসুস্থ থাকায় তাঁদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (ডিএমসিএইচ) রেফার করা হয়েছে। ডিএমসিএইচ এবং একটি ১০০ বেড হাসপাতাল (অজ্ঞাত স্থান)-এ ১০ জন করে আহত ব্যক্তি চিকিৎসা গ্রহণ করেছেন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক (হাসপাতাল ও ক্লিনিক) ডা. মঈনুল আহসান বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছেন, সবক’টি হাসপাতালে জরুরি মেডিকেল টিম দ্রুততার সঙ্গে কাজ করছে। তিনি আরও জানান, সরকারের পক্ষ থেকে আহতদের চিকিৎসার জন্য সব প্রয়োজনীয় ওষুধ সরবরাহ করার চেষ্টা চলছে।
ডা. মঈনুল আহসান উল্লেখ করেন, আহতদের একটি বড় অংশ ভবন ধসে নয়, বরং ভূমিকম্পের সময় আতঙ্কের কারণে লাফ দিয়ে অথবা হুড়োহুড়ি করে নামতে গিয়ে পড়ে গিয়ে আঘাত পেয়েছেন। পরিস্থিতি মোকাবিলায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সার্বিক পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে মনিটর করছে এবং জরুরি নির্দেশনা জারি করেছে।
নিরাপত্তা ও চিকিৎসা নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষগুলোকে সর্বোচ্চ সতর্ক থাকার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

আজ শুক্রবার সকালে রাজধানী ঢাকার অদূরে নরসিংদীর ঘোড়াশাল এলাকার কাছে উৎপত্তি হওয়া ৫.৭ মাত্রার ভূমিকম্পে এখন পর্যন্ত হতাহতের সংখ্যা উল্লেখযোগ্য সংখ্যায় বেড়েছে। বেলা ২টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত একাধিক হাসপাতাল সূত্রে টেলিফোন মারফত প্রাপ্ত অনানুষ্ঠানিক তথ্য অনুযায়ী, এই প্রাকৃতিক দুর্যোগে নিহতের সংখ্যা ৬ জন এবং আহত হয়েছেন ২৪০ জনেরও বেশি মানুষ।
পুরান ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ এবং নরসিংদীতে তিন শিশুসহ চারজন নিহত হয়েছেন। আর অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের শোকবার্তায় আরও একজন নিহত হয়েছেন বলে জানা গেছে। ঢাকা, নরসিংদী, গাজীপুরে আহত হয়েছেন দুই শতাধিক।
পুরান ঢাকায় নিহতেরা হলেন, রাফিউল ইসলাম (আনুমানিক ২০ বছর), আব্দুর রহিম (৪৮) ও তাঁর ছেলে মেহরাব হোসেন (১২)। রূপগঞ্জে ফাতেমা নামে ১০ মাসের এক শিশু মারা গেছে। আর নরসিংদীতে বাড়ির সানসেট ভেঙে ওমর (১০) নামের এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে।
নিহতদের মধ্যে রাফিউল ইসলাম স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ মিটফোর্ড হাসপাতালের শিক্ষার্থী বলে পরিবার জানিয়েছে। আব্দুর রহিমের গ্রামের বাড়ি লক্ষ্মীপুরের চন্দ্রকোনায়। তিনি সুরিটোলা স্কুলের পেছনে ভাড়া বাসায় থাকতেন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সার্বিক পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এক বার্তায় জানানো হয়েছে, ভূমিকম্পের ঝাঁকুনিতে সৃষ্ট আতঙ্কে অনেকেই লাফ দিয়ে অথবা হুড়োহুড়িতে পড়ে আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। বিভিন্ন হাসপাতাল থেকে প্রাপ্ত হতাহতের অনানুষ্ঠানিক পরিসংখ্যান জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এর মধ্যে:
স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল (এসএসএমসিএইচ) থেকে পাওয়া তথ্যে জানা গেছে, এই হাসপাতালে ৩ জন নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে একজন হলেন কলেজটির দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র রাফিউল ইসলাম। এছাড়া এসএসএমসিএইচ-এ আহত অবস্থায় চিকিৎসা নিয়েছেন আরও ১০ জন।
গাজীপুরের তাজউদ্দীন মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল-এ মোট ৭২ জন আহত হয়ে চিকিৎসা নিয়েছেন। এদের মধ্যে ৪৯ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে এবং ২৩ জনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
শ্রীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স-এ ভূমিকম্প পরবর্তী পরিস্থিতিতে চিকিৎসা নিতে এসেছিলেন মোট ৪০০ জন। গুরুতর আহত হওয়ার কারণে ৮৬ জনকে ভর্তি করা হয়েছে এবং ৯৭ জনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। এখান থেকে ৬ জনকে গুরুতর অবস্থায় অন্য হাসপাতালে রেফার করা হয়েছে।
এ ছাড়া, নরসিংদী জেলা হাসপাতাল-এ ৪৫ জন আহত অবস্থায় চিকিৎসা নিয়েছেন, যার মধ্যে ৩ জন গুরুতর অসুস্থ থাকায় তাঁদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (ডিএমসিএইচ) রেফার করা হয়েছে। ডিএমসিএইচ এবং একটি ১০০ বেড হাসপাতাল (অজ্ঞাত স্থান)-এ ১০ জন করে আহত ব্যক্তি চিকিৎসা গ্রহণ করেছেন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক (হাসপাতাল ও ক্লিনিক) ডা. মঈনুল আহসান বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছেন, সবক’টি হাসপাতালে জরুরি মেডিকেল টিম দ্রুততার সঙ্গে কাজ করছে। তিনি আরও জানান, সরকারের পক্ষ থেকে আহতদের চিকিৎসার জন্য সব প্রয়োজনীয় ওষুধ সরবরাহ করার চেষ্টা চলছে।
ডা. মঈনুল আহসান উল্লেখ করেন, আহতদের একটি বড় অংশ ভবন ধসে নয়, বরং ভূমিকম্পের সময় আতঙ্কের কারণে লাফ দিয়ে অথবা হুড়োহুড়ি করে নামতে গিয়ে পড়ে গিয়ে আঘাত পেয়েছেন। পরিস্থিতি মোকাবিলায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সার্বিক পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে মনিটর করছে এবং জরুরি নির্দেশনা জারি করেছে।
নিরাপত্তা ও চিকিৎসা নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষগুলোকে সর্বোচ্চ সতর্ক থাকার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে আঘাত হানা শক্তিশালী ভূমিকম্পে অন্তত ১০ জনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত হওয়া গেছে। এর মধ্যে বংশালের কসাইটুলি এলাকায় তিন পথচারী, রাজধানীর মুগদায় নিরাপত্তাকর্মী, রূপগঞ্জে এক শিশু, নরসিংদীতে এক শিশুসহ পাঁচজন মারা গেছে।
৮ ঘণ্টা আগে
রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে শুক্রবার ৫ দশমিক ৭ মাত্রার ভূমিকম্পে আহত হয়ে ছয় শতাধিক মানুষ সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছে। তাদের মধ্যে প্রায় ২০০ জন ভর্তি হয়েছে। আজ শুক্রবার রাত ৮টা পর্যন্ত স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হালনাগাদকৃত তথ্য অনুযায়ী, সারা দেশে সরকারি হাসপাতালগুলোতে মোট ৬০৬ জন আহত রোগী চিকিৎসা
৭ ঘণ্টা আগে
পুরান ঢাকা এবং রাজধানীর অন্যান্য এলাকার পুরোনো ভবনগুলোর ৯০ ভাগই বিল্ডিং কোড মেনে নির্মাণ করা হয়নি। ফলে ভূমিকম্পে এসব এলাকা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার ঝুঁকিতে রয়েছে।আজ শুক্রবার রাজধানীর মিরপুরে আদিবাসী খাদ্য ও শস্যমেলার উদ্বোধনের পর সাংবাদিকদের এ কথা বলেন পরিবেশ উপদেষ্টা রিজওয়ানা হাসান।
১৩ ঘণ্টা আগে
রাজধানীর শেরে বাংলা নগরের জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠানের (পঙ্গু হাসপাতাল) বহুতল নতুন ভবনে ফাটল ধরেছে। এতে রোগীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। আজ শুক্রবার সকাল ১০টা ৩৮ মিনিটে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় ভূমিকম্প অনুভূত হয়। রিখটার স্কেলে এর মাত্রা ছিল ৫ দশমিক ৫।
১৬ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

রাজধানীর শেরে বাংলা নগরের জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠানের (পঙ্গু হাসপাতাল) বহুতল নতুন ভবনে ফাটল ধরেছে। এতে রোগীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।
আজ শুক্রবার সকাল ১০টা ৩৮ মিনিটে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় ভূমিকম্প অনুভূত হয়। রিখটার স্কেলে এর মাত্রা ছিল ৫ দশমিক ৫। এর উৎপত্তিস্থল ছিল ঘোড়াশাল থেকে ৭ কিলোমিটার দূরে। এতে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকার নতুন ও পুরোনো ভবনে ফাটল ধরা পড়েছে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, পঙ্গু হাসপাতালের প্রধান ফটক দিয়ে ঢুকেই নতুন ভবন। এই ভবনের নিচতলা থেকে ওপরতলা পর্যন্ত একটি ফাটল দেখা গেছে, সেখানে অনেকে ছবি ও ভিডিও তুলছেন দেখা গেছে। তবে ফাটলটি রয়েছে নিচতলা থেকে ওপরতলা পর্যন্ত।
এ বিষয়ে হাসপাতালের পরিচালক ডা. আবুল কেনান বলেন, ‘আমরা ফাটলটির বিষয়ে যাচাই-বাছাই করছি। ফাটলটি আগে থেকেই ছিল, নাকি এখন হয়েছে, সেটা জানার চেষ্টা করছি।’

রাজধানীর শেরে বাংলা নগরের জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠানের (পঙ্গু হাসপাতাল) বহুতল নতুন ভবনে ফাটল ধরেছে। এতে রোগীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।
আজ শুক্রবার সকাল ১০টা ৩৮ মিনিটে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় ভূমিকম্প অনুভূত হয়। রিখটার স্কেলে এর মাত্রা ছিল ৫ দশমিক ৫। এর উৎপত্তিস্থল ছিল ঘোড়াশাল থেকে ৭ কিলোমিটার দূরে। এতে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকার নতুন ও পুরোনো ভবনে ফাটল ধরা পড়েছে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, পঙ্গু হাসপাতালের প্রধান ফটক দিয়ে ঢুকেই নতুন ভবন। এই ভবনের নিচতলা থেকে ওপরতলা পর্যন্ত একটি ফাটল দেখা গেছে, সেখানে অনেকে ছবি ও ভিডিও তুলছেন দেখা গেছে। তবে ফাটলটি রয়েছে নিচতলা থেকে ওপরতলা পর্যন্ত।
এ বিষয়ে হাসপাতালের পরিচালক ডা. আবুল কেনান বলেন, ‘আমরা ফাটলটির বিষয়ে যাচাই-বাছাই করছি। ফাটলটি আগে থেকেই ছিল, নাকি এখন হয়েছে, সেটা জানার চেষ্টা করছি।’

রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে আঘাত হানা শক্তিশালী ভূমিকম্পে অন্তত ১০ জনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত হওয়া গেছে। এর মধ্যে বংশালের কসাইটুলি এলাকায় তিন পথচারী, রাজধানীর মুগদায় নিরাপত্তাকর্মী, রূপগঞ্জে এক শিশু, নরসিংদীতে এক শিশুসহ পাঁচজন মারা গেছে।
৮ ঘণ্টা আগে
রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে শুক্রবার ৫ দশমিক ৭ মাত্রার ভূমিকম্পে আহত হয়ে ছয় শতাধিক মানুষ সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছে। তাদের মধ্যে প্রায় ২০০ জন ভর্তি হয়েছে। আজ শুক্রবার রাত ৮টা পর্যন্ত স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হালনাগাদকৃত তথ্য অনুযায়ী, সারা দেশে সরকারি হাসপাতালগুলোতে মোট ৬০৬ জন আহত রোগী চিকিৎসা
৭ ঘণ্টা আগে
পুরান ঢাকা এবং রাজধানীর অন্যান্য এলাকার পুরোনো ভবনগুলোর ৯০ ভাগই বিল্ডিং কোড মেনে নির্মাণ করা হয়নি। ফলে ভূমিকম্পে এসব এলাকা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার ঝুঁকিতে রয়েছে।আজ শুক্রবার রাজধানীর মিরপুরে আদিবাসী খাদ্য ও শস্যমেলার উদ্বোধনের পর সাংবাদিকদের এ কথা বলেন পরিবেশ উপদেষ্টা রিজওয়ানা হাসান।
১৩ ঘণ্টা আগে
আজ শুক্রবার সকালে রাজধানী ঢাকার অদূরে নরসিংদীর ঘোড়াশাল এলাকার কাছে উৎপত্তি হওয়া ৫.৭ মাত্রার ভূমিকম্পে এখন পর্যন্ত হতাহতের সংখ্যা উল্লেখযোগ্য হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। দুপুর ২টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত একাধিক হাসপাতাল সূত্রে টেলিফোন মারফত প্রাপ্ত অনানুষ্ঠানিক তথ্য অনুযায়ী...
১৪ ঘণ্টা আগে