Ajker Patrika

নালিতাবাড়ীতে স্রোতের তোড়ে ভেঙেছে বাঁধ, ফসলের ব্যাপক ক্ষতি

নালিতাবাড়ী (শেরপুর) প্রতিনিধি
নালিতাবাড়ীতে স্রোতের তোড়ে ভেঙেছে বাঁধ, ফসলের ব্যাপক ক্ষতি

চার দিনের টানা ভারী বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলার খরস্রোতা ভোগাই ও চেল্লাখালী নদীর বাঁধের বেশ কিছু অংশ ও নদীর পাড় ভেঙে গেছে। বাঁধের ভাঙা অংশ ও নদীর পাড় উপচে প্রবল বেগে লোকালয়ে ঢলের পানি প্রবেশ করায় প্লাবিত হয়েছে নিম্নাঞ্চল। এতে ফসলেরও ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।

উপজেলা প্রশাসন, পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো), জনপ্রতিনিধি ও স্থানীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গত রোববার থেকে নালিতাবাড়ী উপজেলায় ভারী বর্ষণ শুরু হয়। চার দিনের ভারী বর্ষণ ও উজানে ভারতের মেঘালয় রাজ্য থেকে আসা ঢলের তোড়ে ভোগাই ও চেল্লাখালী নদীর বিভিন্ন অংশে বাঁধ ভেঙে যায় ও ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এতে প্লাবিত হয় উপজেলার বাঘবেড়, কলসপাড়, যোগানিয়া ও মরিচপুরান ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রাম। পানিবন্দী হয়ে পড়ে কয়েক’শ পরিবার।

এদিকে ঢলের তোড়ে উপজেলার চেল্লাখালী নদী অংশের উত্তর চেল্লাখালী এলাকায় ১০০ মিটার ও সন্নাসীভিটা এলাকায় ৮০ মিটার বাঁধ ভেঙে গেছে। এ ছাড়াও ভোগাই নদীর অংশে পৌর শহরের নতুন বাসস্ট্যান্ড এলাকায় ৩০ মিটার, খালভাঙা এলাকায় নির্মাণাধীন বাঁধের ১৭০ মিটার ও পালপাড়া এলাকার বিভিন্ন অংশে ২০০ মিটার বাঁধ ভেঙে গেছে। এ ছাড়া ঢলের পানিতে নালিতাবাড়ী-নকলা সড়কে ভাইটকামারী সেতুর দুপাশের সড়ক ভেঙে যাওয়ায় সেতুটি ঝুঁকিতে রয়েছে।

এদিকে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হওয়ায় প্রায় ২৫ হেক্টর আমনের বীজতলা ও ১২ হেক্টর সবজি পানিতে তলিয়ে গেছে বলে জানিয়েছেন উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা মওদুদ আহম্মেদ।

কলসপাড় ইউনিয়নের বাসিন্দা রফিজ উদ্দীন বলেন, ‘দুই দিন যাবৎ পানিবন্দী রয়েছি। নিচু এলাকা হওয়ায় আমাদের এখান থেকে পানি সরতে দেরি হয়। আমার আমনের বীজতলাও পানিতে তলিয়ে গেছে।’

পৌরমেয়র আবু বক্কর সিদ্দিক বলেন, ‘পৌরশহরের ভোগাই নদীর ভাঙন অংশ পরিদর্শন করে ক্ষতিগ্রস্ত প্রায় শতাধিক পরিবারকে ২০০ করে টাকা দিয়েছি। ভাঙন অংশ মেরামতে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মাসুদ রানা বলেন, পাহাড়ি ঢলের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোকে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সার্বিকভাবে সহযোগিতা করা হবে।

শেরপুর পাউবোর প্রকৌশলী নাকিবুজ্জামান খান বলেন, বুধবার দুপুরে ভোগাই নদীর পানি বিপৎসীমার ১০২ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে এবং চেল্লাখালী নদীর পানি বিপৎসীমার ৪৫ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। নদী দুটির ভাঙন অংশ ও ক্ষতিগ্রস্ত বাঁধ মেরামতে তালিকা করে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে চিঠি পাঠানো হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত