Ajker Patrika

কোনো নিউজ পক্ষে গেলে সাংবাদিক ভালো বিপক্ষে গেলে খারাপ: সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী

জাককানইবি প্রতিনিধি
Thumbnail image

সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ সমাজে বস্তুনিষ্ঠ সাংবাদিকতার গুরুত্ব তুলে ধরে বলেন, ‘সাংবাদিকদের বন্ধু না থাকলেও শত্রুর অভাব নাই। কোনো নিউজ পক্ষে গেলে সাংবাদিক ভালো, বিপক্ষে গেলে খারাপ। এই মানসিকতা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে।’ 

আজ সোমবার জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাককানইবি) দুই দিনব্যাপী ‘ন্যাশনাল ক্যাম্পাস জার্নালিজম ফেস্ট–২০২২’ এ প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ মন্তব্য করেন তিনি। 

প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘সাংবাদিকেরা আছেন বলে আমরা সমাজে এখনো সচেতন ও ভালোভাবে থাকতে পারছি। বিশেষ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের কারণে এখন সবাই অনেক বেশি সচেতন। না হলে যে কোনো সময় ভাইরাল হয়ে যাওয়ার ভয় থাকে।’ 

নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান প্রশাসনের কর্মকাণ্ডের প্রশংসা করে প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ বলেন, ‘নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় পেয়ে এ এলাকার মানুষ ধন্য। এই বিশ্ববিদ্যালয় গড়ার আন্দোলনের পেছনে ময়মনসিংহ সাংস্কৃতিক ফোরামের অবদান অনন্য। সময়ের সাথে সাথে বিশ্ববিদ্যালয়টি এগিয়ে যাচ্ছে, এটা দেখে আমরা সবাই খুব খুশি ও গর্ব অনুভব করি।’ 

কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিনিধিদের অংশগ্রহণে জাককানইবিতে এ আয়োজন শুরু হয়েছে। বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা, বেলুন ও পায়রা উড়িয়ে দুই দিনব্যাপী আয়োজিত ফেস্টের উদ্বোধন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. সৌমিত্র শেখর। 

বেলা ১১টায় কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে থেকে ফেস্টের শুভ উদ্বোধন ঘোষণা করা হয়। এ সময় জাতীয় সংগীতের তালে তালে জাতীয় পতাকাও উত্তোলন করেন আমন্ত্রিত অতিথিরা। এরপর কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের তৃতীয় তলায় শুরু হয় আলোচনা সভা। এ সময় উপস্থিত ছিলেন—ত্রিশাল পৌরসভার মেয়র এ বি এম আনিছুজ্জামান, ত্রিশাল উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আব্দুল মতিন সরকার, বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার কৃষিবিদ ড. মো. হুমায়ুন কবীরসহ অন্যরা। 

সভায় জাককানইবি উপাচার্য ড. সৌমিত্র শেখর বলেন, ‘সংবাদপত্র আমাদের রাষ্ট্র পরিচালনার ক্ষেত্রে চতুর্থ স্তম্ভ হিসেবে কাজ করে। তবে এখন শুধু সংবাদপত্র নয় বরং মিডিয়া হয়ে গেছে। এখানে ইলেকট্রনিক মাধ্যম, ভার্চুয়াল মাধ্যম এমনকি ওটিটি নামে একটি মাধ্যমও যুক্ত হয়ে গেছে। যার মধ্যে দিয়ে এখন সংবাদ বা তথ্যের আদান-প্রদান দেখতে পাই। তাই আজকে যাদের নিয়ে এই সম্মেলন, আয়োজনটি হয়তো ছোট কিন্তু এর ব্যাপ্তি অনেক বেশি। এই ক্যাম্পাসে আজ দূর–দুরান্ত থেকে নানা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিনিধিরা এসেছেন। এটা অত্যন্ত গর্বের।’ 

অনুষ্ঠানে মুক্তিযুদ্ধে অনন্য অবদান রাখায় আব্দুল মতিন সরকারকে মানপত্র দিয়ে সম্মাননা দেওয়া হয়। এ ছাড়া ইনভেস্টিগেটিভ ও ফিচার প্রতিবেদনের জন্য ৬ জন সাংবাদিককে পুরস্কৃত করা হয়। 

এ আয়োজনে আরও উপস্থিত ছিলেন—বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক উজ্জ্বল কুমার প্রধান, পরিচালক (ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা) তপন কুমার সরকার, বঙ্গবন্ধু হলের প্রাধ্যক্ষ মাসুম হাওলাদার, পরিচালক (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) প্রকৌশলী হাফিজুর রহমান, প্রকল্প পরিচালক প্রকৌশলী জোবায়ের হোসেন, কর্মকর্তা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রামিম আল করিমসহ অন্য শিক্ষক-কর্মকর্তা, কর্মচারী ও শিক্ষার্থীরা। 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত