নালিতাবাড়ী (শেরপুর) প্রতিনিধি
প্রচলিত রীতি অনুযায়ী, বিয়ে বা বউভাতের দাওয়াতে উপহার দিতে হয়। এ ক্ষেত্রে কেউ উপসারসামগ্রী আবার কেউ নগদ টাকা দিয়ে থাকেন। এসব উপহার নেওয়ার জন্য চেয়ার-টেবিল নিয়ে কাউকে বসে থাকতে দেখা যায় অনুষ্ঠানস্থলে। তবে ব্যতিক্রম চিত্র দেখা গেছে শেরপুরের নালিতাবাড়ীতে একটি বউভাতের অনুষ্ঠানে। একে অমানবিক সামাজিক রীতি আখ্যা দিয়ে তা বর্জনে অতিথিদের নিয়ে আসা উপহার ফেরত দেওয়া হয়েছে।
গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে উপজেলার নন্নী ইউনিয়নের বাজুপাড়া গ্রামের লুতফর রহমানের ছেলে এবাদুল ইসলামের বিয়ের বউভাত অনুষ্ঠানে এই ঘটনা ঘটে। বিষয়টি এলাকায় বেশ চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করেছে।
পরিবার ও আমন্ত্রিত অতিথিদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গত সোমবার একই ইউনিয়নের উত্তরবন্দ গ্রামের আমের আলীর মেয়ে আয়েশা বেগমের সঙ্গে এবাদুল ইসলামের বিয়ে হয়। গতকাল মঙ্গলবার বরের বাড়িতে বউভাত অনুষ্ঠানে তিন শতাধিক মানুষকে দাওয়াত দেওয়া হয়। তবে অতিথিদের আনা উপহার নেওয়ার কোনো ব্যবস্থা রাখা হয়নি। এতে খাবার খাওয়ার পর বাধ্য হয়ে উপহার ফেরত নিয়ে গেছেন আমন্ত্রিত অতিথিরা।
দাওয়াত খাওয়া হাকিম মো. আব্দুর রব বলেন, ‘বিয়ের দাওয়াতে গেলে তো আর খালি হাতে যাওয়া যায় না। হয়তো কোনো উপহার বা নগদ টাকা দেই। এই বউভাতের অনুষ্ঠানেও তেমন প্রস্তুতি নিয়ে গিয়েছিলাম। কিন্তু উপহার দেওয়ার মতো জায়গা বা কোনো মানুষ না পেয়ে অবাক হয়েছি। পরে বরের বাবাকে জিজ্ঞাসা করলে তিনি উপহার নেওয়া হচ্ছে না বলে জানান।’
বরের বড় ভাই লালচান হোসাইন লাভলু বলেন, ‘প্রতিটি বিয়ে বাড়িতে উপহারসামগ্রী ও অর্থ সংগ্রহে একটি টেবিল বসানো হয়। এতে আমন্ত্রিত অতিথিরা সামাজিক অবস্থানের কথা চিন্তা করে বাধ্য হয়ে উপহারসামগ্রী বা টাকা দেন। সামাজিকতা রক্ষার স্বার্থে যা অনেক সময় তাদের জন্য কষ্টসাধ্য হয়ে পড়ে। এই অমানবিক সামাজিক রীতি বর্জন করতেই আমার ছোট ভাইয়ের বউভাতে কোনো উপহার নেওয়া হয়নি। আমরা শুধু নব-দম্পতির জন্য দোয়া চাই।’
বরের বাবা লুতফর রহমান বলেন, ‘দাওয়াত করে মানুষকে খাওয়াতে এনে যদি চেয়ার-টেবিল বসিয়ে উপহার নেওয়ার নামে লজ্জা দেই, তবে এটা হোটেল ব্যবসা ছাড়া আর কিছু না। টাকা দিয়েই যদি খেতে হয়, তবে মানুষ হোটেলে গিয়েই খেতে পারে। আমন্ত্রিত অতিথিদের আমি আমার সাধ্যমতো আপ্যায়নের চেষ্টা করেছি। বিনিময়ে কারও কাছ থেকে উপহার নেওয়া হয়নি।’
প্রচলিত রীতি অনুযায়ী, বিয়ে বা বউভাতের দাওয়াতে উপহার দিতে হয়। এ ক্ষেত্রে কেউ উপসারসামগ্রী আবার কেউ নগদ টাকা দিয়ে থাকেন। এসব উপহার নেওয়ার জন্য চেয়ার-টেবিল নিয়ে কাউকে বসে থাকতে দেখা যায় অনুষ্ঠানস্থলে। তবে ব্যতিক্রম চিত্র দেখা গেছে শেরপুরের নালিতাবাড়ীতে একটি বউভাতের অনুষ্ঠানে। একে অমানবিক সামাজিক রীতি আখ্যা দিয়ে তা বর্জনে অতিথিদের নিয়ে আসা উপহার ফেরত দেওয়া হয়েছে।
গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে উপজেলার নন্নী ইউনিয়নের বাজুপাড়া গ্রামের লুতফর রহমানের ছেলে এবাদুল ইসলামের বিয়ের বউভাত অনুষ্ঠানে এই ঘটনা ঘটে। বিষয়টি এলাকায় বেশ চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করেছে।
পরিবার ও আমন্ত্রিত অতিথিদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গত সোমবার একই ইউনিয়নের উত্তরবন্দ গ্রামের আমের আলীর মেয়ে আয়েশা বেগমের সঙ্গে এবাদুল ইসলামের বিয়ে হয়। গতকাল মঙ্গলবার বরের বাড়িতে বউভাত অনুষ্ঠানে তিন শতাধিক মানুষকে দাওয়াত দেওয়া হয়। তবে অতিথিদের আনা উপহার নেওয়ার কোনো ব্যবস্থা রাখা হয়নি। এতে খাবার খাওয়ার পর বাধ্য হয়ে উপহার ফেরত নিয়ে গেছেন আমন্ত্রিত অতিথিরা।
দাওয়াত খাওয়া হাকিম মো. আব্দুর রব বলেন, ‘বিয়ের দাওয়াতে গেলে তো আর খালি হাতে যাওয়া যায় না। হয়তো কোনো উপহার বা নগদ টাকা দেই। এই বউভাতের অনুষ্ঠানেও তেমন প্রস্তুতি নিয়ে গিয়েছিলাম। কিন্তু উপহার দেওয়ার মতো জায়গা বা কোনো মানুষ না পেয়ে অবাক হয়েছি। পরে বরের বাবাকে জিজ্ঞাসা করলে তিনি উপহার নেওয়া হচ্ছে না বলে জানান।’
বরের বড় ভাই লালচান হোসাইন লাভলু বলেন, ‘প্রতিটি বিয়ে বাড়িতে উপহারসামগ্রী ও অর্থ সংগ্রহে একটি টেবিল বসানো হয়। এতে আমন্ত্রিত অতিথিরা সামাজিক অবস্থানের কথা চিন্তা করে বাধ্য হয়ে উপহারসামগ্রী বা টাকা দেন। সামাজিকতা রক্ষার স্বার্থে যা অনেক সময় তাদের জন্য কষ্টসাধ্য হয়ে পড়ে। এই অমানবিক সামাজিক রীতি বর্জন করতেই আমার ছোট ভাইয়ের বউভাতে কোনো উপহার নেওয়া হয়নি। আমরা শুধু নব-দম্পতির জন্য দোয়া চাই।’
বরের বাবা লুতফর রহমান বলেন, ‘দাওয়াত করে মানুষকে খাওয়াতে এনে যদি চেয়ার-টেবিল বসিয়ে উপহার নেওয়ার নামে লজ্জা দেই, তবে এটা হোটেল ব্যবসা ছাড়া আর কিছু না। টাকা দিয়েই যদি খেতে হয়, তবে মানুষ হোটেলে গিয়েই খেতে পারে। আমন্ত্রিত অতিথিদের আমি আমার সাধ্যমতো আপ্যায়নের চেষ্টা করেছি। বিনিময়ে কারও কাছ থেকে উপহার নেওয়া হয়নি।’
ফরিদপুরে আধিপত্য বিস্তারের জেরে পুকুরের মাছ ধরা নিয়ে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির দুটি গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। সংঘর্ষে দুই দলের নেতার বাড়িসহ অন্তত ২০টি বাড়িতে হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে।
৩ মিনিট আগেগতকাল রোববার বিকেলে আছরের নামাজ পড়ে বের হওয়ার পর সুজানগর পৌর এলাকার মথুরাপুর হাইস্কুলের সামনে থেকে আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুল ওহাবকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তিনি সুজানগর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল ওহাব।
২৩ মিনিট আগেশেরপুর-ঢাকা মহাসড়কের পাশে ওই ছয়জনকে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে গরুচোর বলে চিৎকার শুরু করেন স্থানীয়রা। পরে স্থানীয় কয়েক শ লোক জড়ো হয়ে গরুচোর সন্দেহে গণপিটুনি দেন।
২৮ মিনিট আগেরাজধানীর তুরাগ এলাকায় ইতালির এক নাগরিকের ছিনতাই হওয়া পাসপোর্ট, মোবাইল ফোন, নগদ টাকা ও অন্যান্য মালামাল ছিনতাইয়ের ঘটনায় জড়িত ২ ছিনতাইকারীকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)। গতকাল...
১ ঘণ্টা আগে