Ajker Patrika

দলীয় পদে না থেকেও নৌকা প্রতীকে মনোনয়ন, স্থানীয় আ.লীগে ক্ষোভ

ইসলামপুর (জামালপুর) প্রতিনিধি
আপডেট : ১৫ মে ২০২২, ১৪: ১৬
দলীয় পদে না থেকেও নৌকা প্রতীকে মনোনয়ন, স্থানীয় আ.লীগে ক্ষোভ

জামালপুরের ইসলামপুর উপজেলার কুলকান্দি ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে দলীয় কোনো পদে না থেকেও সেলিনা আলম নামে এক নারী নৌকা প্রতীকের মনোনয়ন পেয়েছেন। এ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। 

স্থানীয় নেতাকর্মীদের অভিযোগ, সেলিনা আলম আওয়ামী  লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত নন। বহিরাগত নারীকে নৌকা প্রতীকের মনোনয়ন দেওয়ায় তাঁরা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। তাঁদের দাবি, মনোনয়ন বাতিল করে দলীয় লোককে নৌকা প্রতীকে মনোনয়ন দেওয়ার। তবে মনোনয়নপ্রাপ্ত সেলিনা আলমের দাবি, ‘তিনি সাংগঠনিক পদে না থাকলেও তাঁর পরিবার আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে জড়িত।’ 

গত শুক্রবার দিবাগত রাতে আওয়ামী লীগের ‘স্থানীয় সরকার জনপ্রতিনিধি মনোনয়ন বোর্ড’ সভা শেষে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়ার স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে সেলিনা আলমকে নৌকা প্রতীকে মনোনয়ন চূড়ান্ত করা হয়। 

উপজেলা নির্বাচন কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, কুলকান্দিসহ ছয়টি ইউপি নির্বাচনে প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ তারিখ ১৭ মে। মনোনয়নপত্র বাছাই হবে ১৯ মে। প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ তারিখ ২৬ মে। ২৭ মে প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হবে। ১৫ জুন ইভিএম পদ্ধতি ভোট গ্রহণ করা হবে। 

দলীয় সূত্রে জানা যায়, গত ৬ মে নৌকা প্রতীক পেতে কুলকান্দি ইউনিয়ন থেকে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সদস্য ইউপির বর্তমান ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ওবায়দুল হক বাবু, সাধারণ সম্পাদক মো. খোরশেদ আলম হাসমত, সাংগঠনিক সম্পাদক ইউপির বর্তমান মেম্বার আমজাদ হোসেন এবং সেলিনা আলম জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয় থেকে ৩০ হাজার টাকা হারে দলীয় মনোনয়ন ফরম কেনেন। গত শুক্রবার রাতে যাচাই-বাছাই শেষে সেলিনা আলমকে দলীয় প্রার্থী চূড়ান্ত করে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন বোর্ড। 

এদিকে গত ৮ মে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের স্বাক্ষরিত আবেদনপত্র আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক বরাবর দেওয়া হয়। আবেদনে উল্লেখ করা হয়, ‘আওয়ামী লীগের ঊর্ধ্বতন নেতাকর্মীগণ দলের বাইরে থেকে সেলিনা আলমকে মনোনয়ন দেওয়ার জন্য পাঁয়তারা করছিল। কিন্তু সেলিনা আলম আওয়ামী লীগের কেউ নন। এ কারণে সেলিনা আলম মনোনয়ন পেলে তাঁর পক্ষে দলীয় নেতাকর্মীদের নির্বাচন করা কষ্টকর হবে।’ এসব কারণে দলের কেন্দ্রীয় শীর্ষ নেতৃত্বকে সেলিনা আলমকে মনোনয়ন না দিতে অনুরোধ করেন নেতাকর্মীরা। 

ইউনিয়ন সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক স্বাক্ষরিত কেন্দ্রীয় কমিটি বরাবর পাঠানো আবেদন।একই দিন ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মোবারক হোসেন খান মাস্টারের সভাপতিত্বে এক আলোচনা সভায় সেলিনা আলমকে দলীয় মনোনয়ন না দিতে ৬৩ জন নেতাকর্মীর স্বাক্ষরিত একটি রেজুলেশন পাস করা হয়। ওই রেজুলেশনে উল্লেখ করা হয়, দলীয় লোক না হওয়ায় আওয়ামী লীগের সহযোগী অঙ্গ-সংগঠন সেলিনা আলমের পক্ষে কোনো প্রকার নির্বাচনী সহযোগিতা করতে ইচ্ছুক নয়। 

এ বিষয়ে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক খোরশেদ আলম হাসমত বলেন, ‘দলীয় লোক মনোনয়নবঞ্চিত হয়েছে। সেলিনা আলম আওয়ামী লীগের কেউ নন। তাঁকে মনোনয়ন না দিতে উপজেলা, জেলা কমিটিসহ প্রধানমন্ত্রী ও দলের সভানেত্রী শেখ হাসিনা বরাবর আবেদন করেছিলাম। মনোনয়ন বাতিল করে দলীয় লোককে মনোনয়ন দেওয়া দাবি নেতাকর্মীদের।’ 

একই বিষয়ে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মোবারক হোসেন খান মাস্টার বলেন, ‘আওয়ামী লীগের কোনো পদে না থাকায় সেলিনা আলমকে মনোনয়ন না দিতে স্থানীয় আওয়ামী লীগের ৬৩ জন নেতাকর্মী উপজেলা ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক বরাবর লিখিত আবেদন করেছিলাম। সেলিনা আলমের স্বামী ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান প্রয়াত শাহীন মাহমুদ আলম ছিলেন জাতীয় পার্টির রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত।’ 

উপজেলা আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক মো. খোরশেদ আলম বলেন, ‘সেলিনা আলম আওয়ামী লীগের কোনো পদে নেই। দলের বাইরে কেন মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে, সেটা আমার জানা নেই।’ 

এদিকে মনোনয়নপ্রাপ্ত সেলিনা আলম বলেন, ‘আমি দলের সাংগঠনিক পদে নেই। তবে আমার পরিবার আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে জড়িত। আমার স্বামী ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান প্রয়াত শাহীন মাহমুদ আলম আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন। তিনি সাবেক ভূমি প্রতিমন্ত্রী ও তৎকালীন কৃষক লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি প্রয়াত রাশেদ মোশাররফের সঙ্গে আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে সম্পৃক্ত ছিলেন। প্রধানমন্ত্রী যাচাই-বাছাই করেই আমাকে মনোনয়ন দিয়েছেন।’ 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

গোপনে সহপাঠীদের অপ্রীতিকর ছবি তুলে সিনিয়র ভাইকে পাঠাতেন বাকৃবি ছাত্রী

কৃত্রিম বৃষ্টি ঝরাতে দিল্লিতে ‘ক্লাউড সিডিং’, প্রথম চেষ্টায় ব্যর্থ ভারত

পোশাক রপ্তানি: বাংলাদেশ ও চীনকে পেছনে ফেলার পরিকল্পনা করছে ভারত

আপনার রাশিফল: অতি আত্মবিশ্বাসের লাগাম টানুন, ভুল ধরলে রোমান্স বরবাদ

রং মিশিয়ে মুগ ডাল নামে বিক্রি, সতর্ক করল নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

পবিপ্রবিতে র‍্যাগিংয়ে জড়িত থাকায় ৩ শিক্ষার্থী বহিষ্কার

পবিপ্রবি সংবাদদাতা
পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়। ছবি: সংগৃহীত
পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়। ছবি: সংগৃহীত

পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (পবিপ্রবি) র‍্যাগিং ও শৃঙ্খলাভঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে তিন শিক্ষার্থীকে বিভিন্ন মেয়াদে বহিষ্কার করেছে কর্তৃপক্ষ। গতকাল মঙ্গলবার বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) প্রফেসর ড. মো. ইকতিয়ার উদ্দিন স্বাক্ষরিত আদেশে এ তথ্য জানানো হয়।

আদেশে বলা হয়েছে, র‍্যাগিংয়ের পরিকল্পনা, নেতৃত্ব, সক্রিয় অংশগ্রহণসহ শারীরিক–মানসিক নির্যাতনের অভিযোগে কৃষি অনুষদের চতুর্থ সেমিস্টারের শিক্ষার্থী ও শহীদ জিয়াউর রহমান হল-১-এর আবাসিক ছাত্র ফারহান ইসরাক খান সুপ্তকে দুই সেমিস্টারের জন্য বহিষ্কার করা হলো।

একই ঘটনায় মৎস্যবিজ্ঞান অনুষদের চতুর্থ সেমিস্টারের শিক্ষার্থী ও শহীদ জিয়াউর রহমান হল-১-এর আবাসিক ছাত্র মো. নাফিউল আলম নাহিদকে এক সেমিস্টারের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে।

এ ছাড়া কৃষি অনুষদের দ্বিতীয় সেমিস্টারের শিক্ষার্থী ও কবি বেগম সুফিয়া কামাল হলের আবাসিক ছাত্রী ফারিয়া আক্তার নাতাশাকে ঘটনার মূল উসকানিদাতা এবং টিজ করার বিষয়ে মিথ্যা অভিযোগ করার দায়ে এক সেমিস্টারের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে।

আদেশে আরও উল্লেখ করা হয়, বহিষ্কারের মেয়াদকালে সংশ্লিষ্ট শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো একাডেমিক বা আবাসিক এলাকায় অবস্থান করতে পারবেন না।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক আবুল বাশার খান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘তদন্ত রিপোর্টের ভিত্তিতে তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। তবে শাস্তি দিয়ে আমরা যেন শুধু স্বস্তি পাই—এমন ভাবনা নয়; আমাদের লক্ষ্য বিশ্ববিদ্যালয়কে সম্পূর্ণভাবে র‍্যাগিংমুক্ত ক্যাম্পাসে পরিণত করা।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

গোপনে সহপাঠীদের অপ্রীতিকর ছবি তুলে সিনিয়র ভাইকে পাঠাতেন বাকৃবি ছাত্রী

কৃত্রিম বৃষ্টি ঝরাতে দিল্লিতে ‘ক্লাউড সিডিং’, প্রথম চেষ্টায় ব্যর্থ ভারত

পোশাক রপ্তানি: বাংলাদেশ ও চীনকে পেছনে ফেলার পরিকল্পনা করছে ভারত

আপনার রাশিফল: অতি আত্মবিশ্বাসের লাগাম টানুন, ভুল ধরলে রোমান্স বরবাদ

রং মিশিয়ে মুগ ডাল নামে বিক্রি, সতর্ক করল নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

ভৈরবে ট্রেনে হামলা: আরও একজন গ্রেপ্তার

কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি ও ভৈরব সংবাদদাতা
গত সোমবার উপকূল এক্সপ্রেস ট্রেনে পাথর নিক্ষেপ ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। ছবি: আজকের পত্রিকা
গত সোমবার উপকূল এক্সপ্রেস ট্রেনে পাথর নিক্ষেপ ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। ছবি: আজকের পত্রিকা

ভৈরবকে জেলা ঘোষণার দাবিতে রেলওয়ে স্টেশনে অবরোধ কর্মসূচির সময় উপকূল এক্সপ্রেস ট্রেনে পাথর নিক্ষেপ ও ভাঙচুরের ঘটনায় সোহেল মিয়া (২৮) নামের আরও একজনকে গ্রেপ্তার করেছে রেলওয়ে পুলিশ।

গতকাল মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) দিবাগত রাত ২টার দিকে শহরের পঞ্চবটী এলাকায় অভিযান চালিয়ে মোহাম্মদ আলীর ছেলে সোহেল মিয়াকে গ্রেপ্তার করা হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ভৈরব রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইদ আহমেদ।

১১ অক্টোবর জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সংস্কার কমিশনের প্রস্তাবে কিশোরগঞ্জ জেলাকে ঢাকা বিভাগ থেকে ময়মনসিংহ বিভাগে অন্তর্ভুক্ত করার বিষয়টি ছড়িয়ে পড়লে ভৈরবসহ কিশোরগঞ্জজুড়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়। কিশোরগঞ্জকে ঢাকা বিভাগে রাখার দাবিতে ভৈরববাসী কর্মসূচি শুরু করেন। পরে ভৈরবকে জেলা ঘোষণার দাবিতে বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠন আন্দোলনে সম্পৃক্ত হয়। আন্দোলনকারীরা তিন দিনের লাগাতার ব্লকেড কর্মসূচির ঘোষণা দেন। এর অংশ হিসেবে ২৬ অক্টোবর ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের দুর্জয় মোড়ে দুই ঘণ্টা সড়ক অবরোধ এবং ২৭ অক্টোবর রেলপথ অবরোধ কর্মসূচি পালন করা হয়। এই রেলপথ অবরোধ চলাকালে উপকূল এক্সপ্রেস ট্রেনে পাথর নিক্ষেপ ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় স্টেশনমাস্টার মো. ইউসুফ বাদী হয়ে ১৫০ জন অজ্ঞাতনামা আসামির বিরুদ্ধে মামলা করেন। এরপর গতকাল সকালে তিন কিশোরকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠায় রেলওয়ে পুলিশ। একই রাতে আরও এক অভিযুক্ত সোহেল মিয়াকে গ্রেপ্তার করা হয়।

ওসি সাইদ আহমেদ বলেন, মামলায় এখন পর্যন্ত চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অভিযান অব্যাহত রয়েছে, দ্রুত অন্য অভিযুক্ত ব্যক্তিদেরও গ্রেপ্তার করা হবে।

ভৈরব উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শবনম শারমিন বলেন, জেলার দাবিতে আন্দোলন করতে গিয়ে ট্রেনে পাথর নিক্ষেপের মতো ঘটনা ঘটেছে। প্রশাসন সর্বোচ্চ সতর্ক রয়েছে, যেন আন্দোলনের নামে কেউ অপ্রীতিকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে না পারে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

গোপনে সহপাঠীদের অপ্রীতিকর ছবি তুলে সিনিয়র ভাইকে পাঠাতেন বাকৃবি ছাত্রী

কৃত্রিম বৃষ্টি ঝরাতে দিল্লিতে ‘ক্লাউড সিডিং’, প্রথম চেষ্টায় ব্যর্থ ভারত

পোশাক রপ্তানি: বাংলাদেশ ও চীনকে পেছনে ফেলার পরিকল্পনা করছে ভারত

আপনার রাশিফল: অতি আত্মবিশ্বাসের লাগাম টানুন, ভুল ধরলে রোমান্স বরবাদ

রং মিশিয়ে মুগ ডাল নামে বিক্রি, সতর্ক করল নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে কেসিসির অভিযান

খুলনা প্রতিনিধি
খুলনা মহানগরীর খালিশপুরে উচ্ছেদ অভিযান। ছবি: সংগৃহীত
খুলনা মহানগরীর খালিশপুরে উচ্ছেদ অভিযান। ছবি: সংগৃহীত

খুলনা মহানগরীর খালিশপুরস্থ (১২ নম্বর ওয়ার্ডের) হাউসিং এস্টেটের ১৬৪ নম্বর সড়ক ও সড়কসংলগ্ন ড্রেনের জমির ওপর অবৈধভাবে নির্মিত ভবন ও স্থাপনাসমূহের অংশবিশেষ অপসারণ করা হয়েছে।

খুলনা সিটি করপোরেশনের (কেসিসি) নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কোহিনুর জাহানের নেতৃত্বে আজ বুধবার দিনব্যাপী এই অপসারণ কার্যক্রম পরিচালিত হয়।

কেসিসির এস্টেট অফিসার গাজী সালাউদ্দিন জানান, ইতিপূর্বে কেসিসির পক্ষ থেকে সড়কের ওপর নির্মিত স্থাপনাসমূহ অপসারণের জন্য বলা হলেও অধিকাংশ মালিক অবৈধ অংশ নিজ উদ্যোগে অপসারণ করেন। কিন্তু যে মালিকেরা নিজ উদ্যোগে অপসারণ করেননি, আজ কেসিসির উদ্যোগে তাঁদের স্থাপনাসমূহের অবৈধ অংশ অপসারণ করা হয়।

এ ছাড়া অপসারণ কার্যক্রম পরিচালনাকালে হাউসিং এস্টেটের ১৮ নম্বর সড়কের ফুটপাতের ওপর ফ্রিজসহ অন্যান্য মালামাল রেখে জনসাধারণের চলাচলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করার অপরাধে শাম্মী স্টোরের স্বত্বাধিকারী আমিনুল ইসলাম ও ডিপার্টমেন্টাল স্টোর হাটবাজারের স্বত্বাধিকারী ইমরান খানকে এক হাজার টাকা করে জরিমানা করে তাৎক্ষণিক আদায় করা হয়।

কেসিসি ও মেট্রোপলিটন পুলিশের সদস্যরা অপসারণ কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করেন। জনস্বার্থে এই অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে তিনি জানান।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

গোপনে সহপাঠীদের অপ্রীতিকর ছবি তুলে সিনিয়র ভাইকে পাঠাতেন বাকৃবি ছাত্রী

কৃত্রিম বৃষ্টি ঝরাতে দিল্লিতে ‘ক্লাউড সিডিং’, প্রথম চেষ্টায় ব্যর্থ ভারত

পোশাক রপ্তানি: বাংলাদেশ ও চীনকে পেছনে ফেলার পরিকল্পনা করছে ভারত

আপনার রাশিফল: অতি আত্মবিশ্বাসের লাগাম টানুন, ভুল ধরলে রোমান্স বরবাদ

রং মিশিয়ে মুগ ডাল নামে বিক্রি, সতর্ক করল নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

শ্রমিক-কর্মচারীদের আন্দোলনে রাসিকে অচলাবস্থা

নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী
রাজশাহীর নগর ভবনের সামনে আন্দোলনরত শ্রমিক-কর্মচারীরা। ছবি: আজকের পত্রিকা
রাজশাহীর নগর ভবনের সামনে আন্দোলনরত শ্রমিক-কর্মচারীরা। ছবি: আজকের পত্রিকা

দৈনিক মজুরিভিত্তিক শ্রমিক-কর্মচারীদের বেতন বাড়ানোর দাবিতে আন্দোলনের কারণে রাজশাহী সিটি করপোরেশনে (রাসিক) অচলাবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার দুপুর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত তাঁরা নগর ভবনের প্রধান ফটকে তালা দিয়ে আন্দোলন করেন। আজ বুধবার সকাল থেকেও সারা দিন প্রধান ফটক অবরোধ করে আন্দোলন করেন বিক্ষুব্ধ শ্রমিক-কর্মচারীরা। এর ফলে কোনো সেবাগ্রহীতা কিংবা রাসিকের শীর্ষ কর্মকর্তারা নগর ভবনে প্রবেশ করতে পারেননি।

আজ সকালের দিকে বিক্ষোভকারীরা নগর ভবনের বিদ্যুৎ-সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন। এতে প্রতিটি বিভাগের দাপ্তরিক কার্যক্রম সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে যায়। আন্দোলনে অংশগ্রহণকারীদের বড় অংশই পরিচ্ছন্নতা বিভাগের কর্মচারী। তাঁরা কর্মবিরতি শুরু করায় ইতিমধ্যে ‘পরিচ্ছন্ন নগরী’ হিসেবে পরিচিত রাজশাহীতে ময়লা-আবর্জনা অপসারণে স্থবিরতা দেখা দিয়েছে।

দৈনিক মজুরিভিত্তিক শ্রমিক-কর্মচারীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, বিভিন্ন বিভাগে অস্থায়ীভাবে প্রায় আড়াই হাজার শ্রমিক-কর্মচারী কর্মরত রয়েছেন। এর মধ্যে পরিচ্ছন্নতা বিভাগের বেশি। এসব শ্রমিকের প্রতিদিনের নির্ধারিত মজুরি ৬০০ টাকা হলেও বাস্তবে পাচ্ছেন ৪৮৪ টাকা করে। এ ছাড়া কোনো দিন কাজে অনুপস্থিত থাকলে তাঁরা বেতন-ভাতার সুবিধা থেকে বঞ্চিত হন।

তাঁরা বলছেন, গত জানুয়ারিতে সরকারি প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে দৈনিক মজুরিভিত্তিক কর্মচারীদের মজুরি বাড়ানো হয়েছে। প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, দক্ষ শ্রমিকদের দৈনিক মজুরি ৭৫০ টাকা ও অদক্ষ শ্রমিকদের ৭০০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। কিন্তু রাসিক এখনো সেটি বাস্তবায়ন করেনি।

প্রধান ফটক অবরোধ রেখে সমাবেশ চলাকালে বক্তারা বলেন, সব শ্রমিক-কর্মচারীর মাসিক বেতন ন্যূনতম ২২ হাজার ৫০০ টাকা করতে হবে। মাসের তিন তারিখের মধ্যে বেতন প্রদান নিশ্চিত করতে হবে। শ্রমিকদের জন্য ঘোষিত উৎসব ভাতাও চালু করতে হবে। কোনো শ্রমিককে বিনা কারণে চাকরিচ্যুত করা যাবে না; যদি কোনো অনিয়ম ঘটে, তবে নিরপেক্ষ তদন্তের মাধ্যমে ব্যবস্থা নিতে হবে। চাকরি স্থায়ী করতে হবে এবং চাকরি শেষ হলে পাঁচ লাখ টাকা দিতে হবে।

পরিবহন শাখার গাড়িচালক ইসমাইল হোসেন বলেন, সরকারি প্রজ্ঞাপন জারির পর রাসিক প্রশাসক ও বিভাগীয় কমিশনার খন্দকার আজিম আহমেদ একটি কমিটি গঠন করেছিলেন। রাসিকের সচিব ছিলেন ওই কমিটির প্রধান। কমিটির শ্রমিক-কর্মচারীদের মজুরি নির্ধারণ করে প্রতিবেদন দেওয়ার কথা থাকলেও গত তিন মাসে কোনো বৈঠক হয়নি। ফলে বেতনও বাড়েনি।

পরিচ্ছন্নতা বিভাগের ভ্যানচালক শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘চার মাস আগে ভ্যানে আবর্জনা তুলতে গিয়ে ইনজেকশনের সিরিঞ্জ পায়ে ঢুকে যায়। তিন মাস চিকিৎসা নিতে হয়েছে। কিন্তু সিটি করপোরেশন চিকিৎসা ব্যয় দেয়নি, বরং কাজ করতে না পারায় বেতন বন্ধ করে দিয়েছে। এখন পরিবার নিয়ে আমি চরম অসহায় অবস্থায় আছি।’

করপোরেশনের প্রবেশদ্বারে শ্রমিক-কর্মচারীদের আন্দোলনের কারণে আজ প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা রেজাউল করিম, প্রধান প্রকৌশলী (ভারপ্রাপ্ত) আহমদ আল মঈন, প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা আবু সালেহ মো. নূর ঈ সাঈদ, প্রধান পরিচ্ছন্নতা কর্মকর্তা শেখ মো. মামুন, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা এফ এ এম আঞ্জুমান আরা বেগমসহ বেশ কয়েকজন শীর্ষ কর্মকর্তা সিটি ভবনে প্রবেশ করতে পারেননি। ফলে দাপ্তরিক কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়। এতে ভোগান্তিতে পড়েন সেবাগ্রহীতারা। আগের দিন শীর্ষ কর্মকর্তারা নগর ভবনের বাইরে একটি সভায় যোগ দিতে গিয়েছিলেন। শ্রমিক-কর্মচারীদের বিক্ষোভের খবর পেয়ে এ দিন তাঁরা অফিসেই আসেননি।

এ বিষয়ে রাসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা রেজাউল করিম বলেন, ‘দৈনিক মজুরিভিত্তিক শ্রমিক-কর্মচারীদের দাবি আমরা পর্যালোচনা করছি। তবে তাঁরা বেশ কিছু বেআইনি দাবি তুলেছেন। সবকিছু আইনের মধ্যেই করা হবে। তাঁদের আন্দোলনে কারা নেতৃত্ব দিচ্ছেন, সেটা স্পষ্ট নয়। তাঁদের নেতা পাওয়া যাচ্ছে না। এর পেছনে কারও ইন্ধন রয়েছে কি না, সেটিও খতিয়ে দেখা হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

গোপনে সহপাঠীদের অপ্রীতিকর ছবি তুলে সিনিয়র ভাইকে পাঠাতেন বাকৃবি ছাত্রী

কৃত্রিম বৃষ্টি ঝরাতে দিল্লিতে ‘ক্লাউড সিডিং’, প্রথম চেষ্টায় ব্যর্থ ভারত

পোশাক রপ্তানি: বাংলাদেশ ও চীনকে পেছনে ফেলার পরিকল্পনা করছে ভারত

আপনার রাশিফল: অতি আত্মবিশ্বাসের লাগাম টানুন, ভুল ধরলে রোমান্স বরবাদ

রং মিশিয়ে মুগ ডাল নামে বিক্রি, সতর্ক করল নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত