Ajker Patrika

অবৈধভাবে ভেজা বালু পরিবহনে সড়কের বেহাল দশা, ভোগান্তিতে মানুষ

দুর্গাপুর (নেত্রকোনা) প্রতিনিধি
আপডেট : ১৩ জানুয়ারি ২০২২, ১৩: ৩৪
অবৈধভাবে ভেজা বালু পরিবহনে সড়কের বেহাল দশা, ভোগান্তিতে মানুষ

নেত্রকোনার দুর্গাপুরে সোমেশ্বরী নদী থেকে উত্তোলিত ভেজা বালু পরিবহনের কারণে স্থানীয় সড়কগুলোর বেহাল অবস্থা তৈরি হয়েছে। ট্রাক দিয়ে পরিবহনের কারণে পৌর শহরের সড়কগুলো সব সময়ই কাদাপানিতে ভরে থাকে। ট্রাকে করে ভেজা বালু পরিবহনের সময় নদীর পানি সড়কের ওপর পড়ে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। এতে স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীসহ স্থানীয় বাসিন্দারা ভোগান্তিতে পড়েছে। 

দুর্গাপুর পৌর শহরের মধ্য দিয়ে বয়ে চলা সোমেশ্বরী নদীটি একসময় ছিল অপরূপ প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের লীলাভূমি। কিন্তু বর্তমানে অপরিকল্পিতভাবে বালু উত্তোলনের কারণে নদীটি বিপর্যয়ের দ্বারপ্রান্তে। সীমান্তবর্তী গারো পাহাড়ের কোলঘেঁষা দুর্গাপুর পর্যটকের অপার সম্ভাবনাময়। কিন্তু বর্তমানে সড়কগুলোতে কাদা থাকায় মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছে ভ্রমণপিপাসুরা। 

সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, ইজারাকৃত বালুমহাল থেকে পৌর শহরের প্রেসক্লাব মোড়, উপজেলা মোড়, উকিলপাড়া, কালীবাড়ি মোড়, তৈরি বাজার, কলেজ মোড়সহ বেশ কিছু সড়ক দিয়ে প্রতিদিন হাজার হাজার ট্রাক, লরি ও ড্রামট্রাক দিয়ে ভেজা বালু পরিবহন করা হচ্ছে। এতে সড়কগুলোর বিভিন্ন স্থানে খানাখন্দের সৃষ্টিসহ কাদার স্তূপ তৈরি হচ্ছে। এসব মোড়ের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে কমে গেছে বেচাকেনা। লোকসানের মুখে পড়তে হচ্ছে তাদের। দিনভর যান চলাচলের কারণে শত শত ট্রাক রাস্তার ওপর দাঁড়িয়ে থাকায় যানজট তৈরি হচ্ছে। 

এ নিয়ে বেশ কয়েকবার কিছু সংগঠনসহ সাধারণ মানুষ আন্দোলন সংগ্রাম করলেও কোনো লাভ হয়নি। 

স্থানীয়দের অভিযোগ, প্রশাসন থেকে বারবার ভেজা বালু পরিবহন বন্ধের আশ্বাস দিলেও বাস্তবে তা কার্যকর হয়নি। বালুবাহী ট্রাকের জন্য বাইপাস সড়কের আশ্বাস দিলেও তা এখনো বাস্তবায়িত হয়নি। স্থানীয় প্রভাবশালী একটি মহল বালুর ব্যবসা করে ব্যাপকভাবে লাভবান হলেও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে নদী ও সাধারণ মানুষ। 

নিরাপদ সড়ক চাই দুর্গাপুর উপজেলা শাখার সভাপতি নুরুল আলম বলেন, ‘ভেজা বালু পরিবহন বন্ধ, পৌর শহরের ভেতর দিয়ে বালুবাহী ট্রাক চলাচল বন্ধসহ কয়েক দফা দাবি নিয়ে আমরা বেশ কয়েকবার মানববন্ধন করেছি। এ বিষয়ে বিভিন্ন দপ্তরে স্মারকলিপি দিয়েছি। কিন্তু এখন পর্যন্ত কোনো কার্যকর ফল পাইনি। প্রতিনিয়ত স্থানীয় জনগণ, স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীসহ পর্যটকেরা এই দুর্ভোগ পোহাচ্ছে। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট বিভাগের কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করা উচিত।’ 

এ নিয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ রাজীব উল আহসান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ভেজা বালু পরিবহন বন্ধে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হচ্ছে। বালুমহালের ইজারাদারদের ভেজা বালু পরিবহন বন্ধের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত