Ajker Patrika

নেত্রকোনায় নদ-নদীর পানি বিপৎসীমা ছুঁইছুঁই

নেত্রকোনা প্রতিনিধি
আপডেট : ০৬ অক্টোবর ২০২৩, ২০: ২৬
Thumbnail image

নেত্রকোনায় টানা বৃষ্টিতে বিভিন্ন নদ-নদীর পানি বিপৎসীমা ছুঁইছুঁই। উব্দাখালী//// নদীর পানি কলমাকান্দা পয়েন্টে বিপৎসীমার দশমিক ৬৫ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এ ছাড়া সোমেশ্বরী, কংশ ও ধনু নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। 

জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. সারওয়ার জাহান আজকের পত্রিকাকে বলেন, উব্দাখালী নদীর পানি কলমাকান্দা পয়েন্টে বিপৎসীমার মাত্র দশমিক ৬৫ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। অন্যান্য নদীর পানিও বৃদ্ধি পাচ্ছে। এ ছাড়া জেলার কিছু নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে বলে জানান এ কর্মকর্তা। 

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মো. নুরুজ্জামান বলেন, নিচু এলাকার প্রায় ১১ হাজার ৪৮২ হেক্টর জমির আবাদি আমন ধান পানিতে তলিয়ে গেছে। এর মধ্যে কেন্দুয়া উপজেলায় সবচেয়ে বেশি আমন ধানের জমি তলিয়ে গেছে। 

তিনি আরও বলেন, ‘তলিয়ে যাওয়া জমির মধ্যে সদরে ২ হাজার ৪৭০ হেক্টর, পূর্বধলায় ২ হাজার ৩৬০ হেক্টর, দুর্গাপুরে ৪৫ হেক্টর, কলমাকান্দায় ১৮০ হেক্টর, মোহনগঞ্জে ১ হাজার ২০০ হেক্টর, বারহাট্টায় ২১৫ হেক্টর, আটপাড়ায় ১ হাজার হেক্টর, মদনে ৫০০ হেক্টর, খালিয়াজুরীতে ১২ হেক্টর ও কেন্দুয়ায় সাড়ে তিন হাজার হেক্টর জমি রয়েছে। 

কলমাকান্দা উপজেলার কনুরা গ্রামের কৃষক মনতোষ বিশ্বশর্মা বলেন, তিনি এ বছর ৩০ কাটা জমিতে আমন আবাদ করেছেন। এর মধ্যে গত তিন দিনের বৃষ্টিতে তাঁর ছয় কাঠা আমনের জমি তলিয়ে গেছে। 

তিনি আরও বলেন, ‘হাতে টাকা ছিল না। কিছু টাকা ধার করে এনে জমি লাগাই ছিলাম। কপালডাই খারাপ, বৃষ্টির পানিতে জমি তলাইয়া গেছে। এখনো বৃষ্টি অইতাছে। এই খেতগুলোর ধান বাঁচব বইল্যা কোনো আশাই নাই।’ 

কেন্দুয়া উপজেলার দুল্লী গ্রামের কৃষক লিয়াকত আলী বলেন, ‘বাড়ির সামনের হাওরে লাগানো প্রায় ২০ কাটা খেত তলায়া গেছে। এইডির আর আশা নাই।’ 

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মো. নুরুজ্জামান কৃষকদের হতাশ না হওয়ার পরামর্শ দিয়ে বলেন, ‘দ্রুত পানি নেমে গেলে আমন ধানের তেমন ক্ষতি হবে না।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত