Ajker Patrika

মাদ্রাসায় রাতের খাবার খেয়ে বিষক্রিয়ায় হাসপাতালে ২৪ জন 

নালিতাবাড়ী (শেরপুর) প্রতিনিধি
মাদ্রাসায় রাতের খাবার খেয়ে বিষক্রিয়ায় হাসপাতালে ২৪ জন 

শেরপুরের নালিতাবাড়ীতে রাতের খাবার খেয়ে বিষক্রিয়ায় একটি মাদ্রাসার ৩ শিক্ষক ও ২১ শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়েছেন। গতকাল বুধবার রাতে পৌরশহরের নালিতাবাড়ী বাজার এলাকার তাহফিজুল কোরআন ইন্টারন্যাশনাল মডেল মাদ্রাসায় এই ঘটনা ঘটে। অসুস্থদের আজ বৃহস্পতিবার সকালে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।

২৪ জন অসুস্থ হওয়ার বিষয়টি আজকের পত্রিকাকে নিশ্চিত করেছেন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসক তানভীর ইবনে কাদের। তিনি বলেন, ‘খাদ্যে বিষক্রিয়া হওয়ায় এই হাসপাতালে ২১ জন চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এ ছাড়া বাকি তিনজনের অবস্থার অবনতি হওয়ায় শেরপুর সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।’

মাদ্রাসার শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, উপজেলার তাহফিজুল কোরআন ইন্টারন্যাশনাল মডেল মাদ্রাসায় ৬০ জন ছাত্র ও তিনজন শিক্ষক রয়েছেন। তাঁদের খাবার রান্না করার জন্য রয়েছেন একজন বাবুর্চি। মাদ্রাসার খাদ্যতালিকা অনুযায়ী গতকাল সন্ধ্যায় শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের জন্য মাছ ও পুঁইশাক রান্না করেন বাবুর্চি। পরে রাত সাড়ে ৯টায় ওই খাবার খান মাদ্রাসার শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।

গতকাল রাত সাড়ে ১২টার দিকে মাদ্রাসার সহকারী অধ্যক্ষ অব্দুল জলিল অসুস্থ হয়ে পড়েন। তিনি পেট ব্যথা, পাতলা পায়খানা ও বমি অনুভব করেন। পরে রাত ৩টার দিকে মাদ্রাসার কয়েকজন শিক্ষক-শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে পড়লে মাদ্রাসার মোহতামিম হামিদুর রহমান উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগে এসে চিকিৎসকের পরামর্শে ওষুধ নিয়ে যান। কিন্তু এতে অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় আজ সকালে তিনিসহ ২৪ জন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হন।

মাদ্রাসার শিক্ষার্থী রিফাত আহম্মেদ বলেন, ‘রাতে আমরা পুঁইশাক ও মাছ দিয়ে ভাত খেয়ে ঘুমিয়ে যাই। মাঝরাতে আমাদের অনেকের পেট ব্যথা, পাতলা পায়খানা ও বমি শুরু হয়। পরে হুজুর ওষুধ দেন। কিন্তু ওষুধেও ব্যথা না কমায় আজ বৃহস্পতিবার সকালে আমাদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।’

শিক্ষার্থী জোবায়েরের মা বলেন, ‘হুজুররা মোবাইল ফোনে কল করে জানান যে আমার ছেলে অসুস্থ হয়ে পড়েছে। স্যালাইন, ওষুধ খাইয়েও কাজ হয়নি। তাই হাসপাতালে এনেছে। খবর পেয়ে আমিও হাসপাতালে এসেছি।’

মাদ্রাসার নিয়ম অনুযায়ী খাবার খেয়েছেন বলে জানান মোহতামিম হামিদুর রহমান। তিনি বলেন, ‘আমরা রুটিন করে প্রতি সপ্তাহেই এমন খাবার খাই। এই প্রথম এমন হলো। আমাদের ৩ শিক্ষকসহ মোট ২১ জন নালিতাবাড়ী হাসপাতালে এবং ৩ জন শেরপুর সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত