ফয়েজ আহম্মদ, মদন (নেত্রকোনা)
কর্নেটটা খোকন মিয়ার। নেত্রকোনার হাওরাঞ্চলের যেকোনো গানের আসরে গেলেই দেখতে পাবেন খোকন মিয়াকে। এই বাঁশিটাই তাঁর একমাত্র সম্বল। সম্পদও বলতে পারেন। এই বাঁশি বাজিয়ে দীর্ঘ ৪০ বছর জীবিকা নির্বাহ করে আসছেন তিনি।
স্থানীয় যাত্রা, নাটক, ঝুমুর যাত্রাপালা থেকে শুরু করে বাউল গান, গাজীর গীত, কিস্সা গান, বিয়ের অনুষ্ঠানসহ হরেকরকম অনুষ্ঠানে ডাক পড়ে এই বাঁশিওয়ালার। প্রায় ৩০ বছর কাজ করেছেন দেশবরেণ্য লোকসংগীতশিল্পী কুদ্দুস বয়াতির সঙ্গে। বাঁশি বাজাতে খোকন মিয়া দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে যান।
ভালোই কাটছিল দিন। এরপর এল করোনা ভাইরাস। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান বন্ধ। খোকন মিয়া কাটান অলস সময়। এখন আবার একটু একটু করে অনুষ্ঠান শুরু হয়েছে। হাসি ফুটেছে খোকন মিয়ার ঠোঁটে।
মুক্তিযুদ্ধের এক বছর আগে জন্ম হয় খোকন মিয়ার। নেত্রকোনার মদন উপজেলার নায়েকপুর ইউনিয়নের রাজতলা হলো তাঁর জন্মগ্রাম। পিতা ছমেদ আলী ছিলেন নামকরা কর্নেট বাঁশিওয়ালা। বাবা আর মা কমলা আক্তারকে লুকিয়ে বাবার বাঁশিটা বাজাতেন ছোট্ট খোকন। বাবা একেবারেই চাইতেন না যে ছেলেও তাঁর মতো বাঁশি বাজাক। কিন্তু কর্নেটের নেশা পেয়ে গিয়েছিল খোকন মিয়ার। মোহনগঞ্জ উপজেলার এক বাঁশিওয়ালার কাছে গিয়ে কিছুদিন তালিম নিয়ে বাঁশি বাজানো ভালোভাবে রপ্ত করে নেন। ১১-১২ বছর বয়সেই কর্নেট বাজানো শিখে ফেলেন। পরে এলাকার ছোটখাটো অনুষ্ঠানে বাঁশি বাজিয়ে প্রশংসা পেতে শুরু করেন। প্রথম দিকে বাঁশি বাজানোর সময় যে যত টাকা দিত, তাই নিতেন। ধীরে ধীরে সেটাই হয়ে উঠল খোকনের পেশা। এখন কোনো অনুষ্ঠানে বাঁশি বাজালে ১ থেকে ২ হাজার টাকার মতো পান। এই টাকা দিয়েই কোনো রকমে চলছে তাঁর সংসার।
হ্যাঁ, জীবন চলছে কায়ক্লেশে। ভাগ্যের চাকা ঘোরেনি। স্ত্রী, চার ছেলে, দুই মেয়েসহ আট সদস্যের বড় পরিবারের ভরণপোষণ করছেন বাঁশি বাজিয়েই। ৫১ বছর বয়সী কর্নেট বাঁশিওয়ালা খোকন মিয়ার সঙ্গে আলাপচারিতায় উঠে আসে তাঁর অতীত এবং বর্তমান জীবনের নানা কাহিনি।
খোকন মিয়া কথায় কথায় বলেন, ‘বাঁশি বাজানো ছাড়া অন্য কোনো কাজই আমি করতে পারি না। তাই কষ্ট করে চললেও বাঁশি বাজিয়ে চলেছি। বাঁশি বাজিয়ে কোনো আয় উন্নতি করতে পারিনি। কোনো রকম সংসার চালিয়ে যাচ্ছি। সরকার যদি আমাকে একটু সহযোগিতা করত!’
দেশবরেণ্য লোকসংগীতশিল্পী কুদ্দুস বয়াতিকে খোকনের কথা বললে তিনি বলেন, ‘বাঁশিওয়ালা খোকন আমার দীর্ঘদিনের সহকারী। আমি অসুস্থ হওয়ার পর থেকে সে অন্যদের সঙ্গে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে বাঁশি বাজায়। পাশাপাশি আমার সঙ্গেও কাজ করে। নেত্রকোনা অঞ্চলের কর্নেট বাঁশিওয়ালাদের মধ্যে একমাত্র খোকন মিয়াই এখনো টিকে আছে। তাকে ধরে রাখা আমাদের সবারই উচিত।’
মদন উপজেলা শিল্পকলার সাধারণ সম্পাদক এম এ সোহাগ জানান, খুব দক্ষ একজন বাঁশিওয়ালা খোকন মিয়া। খোকন মিয়ার মতো অসংখ্য লোকশিল্পীর এখন চরম দুর্দিন। অসহায় এসব লোকশিল্পীর জীবনমানের উন্নয়নে সরকারিভাবে বিশেষ পদক্ষেপ গ্রহণ করা দরকার।
এই বাঁশিই কষ্টেশিষ্টে বাঁচিয়ে রেখেছে খোকন মিয়াকে। খোকনের সংসার কি বাঁশির সুরে সুরে সত্যিই বেঁচে থাকবে? উত্তর মেলে না।
কর্নেটটা খোকন মিয়ার। নেত্রকোনার হাওরাঞ্চলের যেকোনো গানের আসরে গেলেই দেখতে পাবেন খোকন মিয়াকে। এই বাঁশিটাই তাঁর একমাত্র সম্বল। সম্পদও বলতে পারেন। এই বাঁশি বাজিয়ে দীর্ঘ ৪০ বছর জীবিকা নির্বাহ করে আসছেন তিনি।
স্থানীয় যাত্রা, নাটক, ঝুমুর যাত্রাপালা থেকে শুরু করে বাউল গান, গাজীর গীত, কিস্সা গান, বিয়ের অনুষ্ঠানসহ হরেকরকম অনুষ্ঠানে ডাক পড়ে এই বাঁশিওয়ালার। প্রায় ৩০ বছর কাজ করেছেন দেশবরেণ্য লোকসংগীতশিল্পী কুদ্দুস বয়াতির সঙ্গে। বাঁশি বাজাতে খোকন মিয়া দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে যান।
ভালোই কাটছিল দিন। এরপর এল করোনা ভাইরাস। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান বন্ধ। খোকন মিয়া কাটান অলস সময়। এখন আবার একটু একটু করে অনুষ্ঠান শুরু হয়েছে। হাসি ফুটেছে খোকন মিয়ার ঠোঁটে।
মুক্তিযুদ্ধের এক বছর আগে জন্ম হয় খোকন মিয়ার। নেত্রকোনার মদন উপজেলার নায়েকপুর ইউনিয়নের রাজতলা হলো তাঁর জন্মগ্রাম। পিতা ছমেদ আলী ছিলেন নামকরা কর্নেট বাঁশিওয়ালা। বাবা আর মা কমলা আক্তারকে লুকিয়ে বাবার বাঁশিটা বাজাতেন ছোট্ট খোকন। বাবা একেবারেই চাইতেন না যে ছেলেও তাঁর মতো বাঁশি বাজাক। কিন্তু কর্নেটের নেশা পেয়ে গিয়েছিল খোকন মিয়ার। মোহনগঞ্জ উপজেলার এক বাঁশিওয়ালার কাছে গিয়ে কিছুদিন তালিম নিয়ে বাঁশি বাজানো ভালোভাবে রপ্ত করে নেন। ১১-১২ বছর বয়সেই কর্নেট বাজানো শিখে ফেলেন। পরে এলাকার ছোটখাটো অনুষ্ঠানে বাঁশি বাজিয়ে প্রশংসা পেতে শুরু করেন। প্রথম দিকে বাঁশি বাজানোর সময় যে যত টাকা দিত, তাই নিতেন। ধীরে ধীরে সেটাই হয়ে উঠল খোকনের পেশা। এখন কোনো অনুষ্ঠানে বাঁশি বাজালে ১ থেকে ২ হাজার টাকার মতো পান। এই টাকা দিয়েই কোনো রকমে চলছে তাঁর সংসার।
হ্যাঁ, জীবন চলছে কায়ক্লেশে। ভাগ্যের চাকা ঘোরেনি। স্ত্রী, চার ছেলে, দুই মেয়েসহ আট সদস্যের বড় পরিবারের ভরণপোষণ করছেন বাঁশি বাজিয়েই। ৫১ বছর বয়সী কর্নেট বাঁশিওয়ালা খোকন মিয়ার সঙ্গে আলাপচারিতায় উঠে আসে তাঁর অতীত এবং বর্তমান জীবনের নানা কাহিনি।
খোকন মিয়া কথায় কথায় বলেন, ‘বাঁশি বাজানো ছাড়া অন্য কোনো কাজই আমি করতে পারি না। তাই কষ্ট করে চললেও বাঁশি বাজিয়ে চলেছি। বাঁশি বাজিয়ে কোনো আয় উন্নতি করতে পারিনি। কোনো রকম সংসার চালিয়ে যাচ্ছি। সরকার যদি আমাকে একটু সহযোগিতা করত!’
দেশবরেণ্য লোকসংগীতশিল্পী কুদ্দুস বয়াতিকে খোকনের কথা বললে তিনি বলেন, ‘বাঁশিওয়ালা খোকন আমার দীর্ঘদিনের সহকারী। আমি অসুস্থ হওয়ার পর থেকে সে অন্যদের সঙ্গে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে বাঁশি বাজায়। পাশাপাশি আমার সঙ্গেও কাজ করে। নেত্রকোনা অঞ্চলের কর্নেট বাঁশিওয়ালাদের মধ্যে একমাত্র খোকন মিয়াই এখনো টিকে আছে। তাকে ধরে রাখা আমাদের সবারই উচিত।’
মদন উপজেলা শিল্পকলার সাধারণ সম্পাদক এম এ সোহাগ জানান, খুব দক্ষ একজন বাঁশিওয়ালা খোকন মিয়া। খোকন মিয়ার মতো অসংখ্য লোকশিল্পীর এখন চরম দুর্দিন। অসহায় এসব লোকশিল্পীর জীবনমানের উন্নয়নে সরকারিভাবে বিশেষ পদক্ষেপ গ্রহণ করা দরকার।
এই বাঁশিই কষ্টেশিষ্টে বাঁচিয়ে রেখেছে খোকন মিয়াকে। খোকনের সংসার কি বাঁশির সুরে সুরে সত্যিই বেঁচে থাকবে? উত্তর মেলে না।
চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে প্রধান শিক্ষক ছাড়াই দীর্ঘদিন ধরে চলছে ১১টি মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও মাদ্রাসা। প্রধান শিক্ষকবিহীন এসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পরিচালিত হচ্ছে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক দিয়ে। অভিযোগ রয়েছে, যেসব ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক দিয়ে প্রতিষ্ঠানগুলো পরিচালিত হচ্ছে, তাঁদের অনেকেরই প্রধান শিক্ষক হওয়ার যোগ
৬ ঘণ্টা আগেদুই দশক কিছুটা শান্ত থাকার পর কুড়িগ্রামের চিলমারী-রৌমারী-রাজিবপুর নৌপথে আবার ডাকাতের দৌরাত্ম্য বেড়েছে। এক মাসের ব্যবধানে দুবার ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। এ দুই ঘটনায় আইনগত কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। প্রতিরোধেও কার্যকর উদ্যোগ নেই স্থানীয় প্রশাসনের। আবার ডাকাতি শুরু হওয়ায় ১৪ কিলোমিটার এই নৌপথের নৌযান, যাত্রী
৭ ঘণ্টা আগেরাত ১০টার দিকে ওই দুই যুবক মোটরসাইকেলে করে আড়ংঘাটা থানার লতার বাইপাস মোড় লিংক রোড থেকে বাইপাস মহাসড়ক পার হচ্ছিলেন। এ সময়ে আফিলগেট থেকে খুলনাগামী একটি বাস তাঁদের ধাক্কা দেয়।
৮ ঘণ্টা আগেনোয়াখালীর হাতিয়ায় গভীর রাতে বসতঘরে আগুন লেগে নিমাই চন্দ্র মজুমদার ও তাঁর স্ত্রী মিলনবালার মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার (৩১ জানুয়ারী) চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নেওয়ার পথে বিকেল ৫টায় নিমাই চন্দ্রের মৃত্যু হয়। হাসপাতালে পৌছার পর রাত ৯টার দিকে মিলন বালাও মারা যান।
৮ ঘণ্টা আগে