ইসলামপুর (জামালপুর) প্রতিনিধি
জামালপুরের ইসলামপুর উপজেলায় অতি দরিদ্রদের জন্য কর্মসংস্থান কর্মসূচির (ইজিপিপি) ৩৩ দিনের কাজ শেষ হয়েছে ২০ দিন আগে। কিন্তু এখনো পাননি উপজেলার ১২টি ইউনিয়নে ২ হাজার ৮১৪ জন শ্রমিক। সামনে ঈদুল আজহা। কাজ শেষ হওয়ার ২০ দিন পরও টাকা না পাওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন শ্রমিকেরা।
এ নিয়ে বিপাকে পড়েছেন ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান ও মেম্বারেরা। তবে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের দাবি, শ্রমিকদের মজুরির টাকা পেতে যথাসময়ে কাগজপত্র সংশ্লিষ্ট দপ্তরে পাঠানো হয়েছে। শিগগিরই টাকা পেয়ে যাবেন শ্রমিকেরা।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের অর্থায়নে উপজেলার ১২টি ইউনিয়নে ৫৩টি ইজিপিপি প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। গত ১৫ এপ্রিল প্রকল্পের কাজ শুরু করা হয়। ৩৩ কর্মদিবসের মধ্যে ৩২ দিন চলে এ প্রকল্পের কাজ। এতে মাথাপিছু চার শত টাকা মজুরির ভিত্তিতে ২ হাজার ৮১৪ জন নিবন্ধিত শ্রমিক কাজ করার সুযোগ পায়। প্রতি প্রকল্পে একজন করে মোট ৬৬ জন শ্রমিক সর্দারসহ প্রতিজন শ্রমিক দৈনিক ৪০০ টাকা করে মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে হাজিরা ভাতার টাকা পাওয়ার কথা।
কার্যাদেশ অনুযায়ী, প্রকল্পের কাজ শেষ হয়েছে গত ২৫ মে। গত ১২ মে প্রথম কিস্তির ২১ দিনের মজুরির টাকা পেতে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে প্রয়োজনীয় তথ্যাদি পাঠানো হয় প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে। সব প্রকল্প সুষ্ঠুভাবে বাস্তবায়নের লক্ষ্যে প্রতিটি ইউনিয়নে একজন করে তদারকি কর্মকর্তা নিয়োগ দিয়েছেন প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটির সভাপতি ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও)।
পলবান্ধা ইউনিয়নের শ্রমিক পিয়ারা বেগম বলেন, ‘মজুরি টাকা না পেয়ে কষ্টে আছি। জিনিসপত্রের মঙ্গা দাম। টাকার অভাবে সংসার চালাতে পারছি না।’
চরগোয়ালিনী ইউনিয়নের শ্রমিক আকবর আলী বলেন, ‘মজুরি টাকা না পাওয়ায় সংসার চালাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। আমরা যাতে তাড়াতাড়ি টাকা পাই, সে ব্যবস্থা করা জরুরি।’
চিনাডুলী ইউনিয়নের শ্রমিক হাসমত আলী বলেন, ‘মজুরির টাকার চাইতে গেলে চেয়ারম্যান-মেম্বারেরা বলে টাকা দেবে সরকার। তাঁরা সব ব্যবস্থা করেছে। কিন্তু টাকা তো পাচ্ছি না আমরা।’
গোয়ালেরচর ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুর রহিম বাদশা বলেন, ‘মূলত টাকার জন্য রাস্তায় মাটি কাটার মতো কঠিন কাজ করেছে শ্রমিকেরা। কিন্তু তাঁদের মজুরির টাকা দিতে দেরি করা হচ্ছে। এ নিয়ে বিপাকে পড়েছি।’
বেলগাছা ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল মালেক বলেন, ‘মজুরির টাকা শ্রমিকেরা না পাওয়া বিপাকে পড়েছি। প্রতিদিনই শ্রমিকেরা টাকা জন্য আসছে। তাঁদের তো টাকা দিতে পারছি না।’
চরপুটিমারী ইউপি চেয়ারম্যান সামছুজ্জামান সুরুজ মাস্টার বলেন, ‘শ্রমিকেরা টাকার আশায় রাস্তায় মাটি কাটার মতো অনেক কষ্টের কাজ করেছি। টাকার অভাবে শ্রমিকেরা কষ্টে আছেন। এ নিয়ে আমাদের বাড়তি ভোগতে হচ্ছে।’
গাইবান্ধা ইউপি মাকছুদুর রহমান আনছারী বলেন, ‘শ্রমিকেরা মজুরি না পাওয়ায় আমাদের কাছে আসছে। কিন্তু টাকা পাওয়ার নির্ধারিত তারিখ বলতে পারি না। এতে শ্রমিকেরা চিন্তিত। এ নিয়ে আমাদের বাড়তি ঝামেলা ভোগতে হচ্ছে।’
সাপধরী ইউপি চেয়ারম্যান মো. শাহ আলম মণ্ডল বলেন, ‘২০ দিন আগে কাজ শেষ হয়েছে। কিন্তু এখনো শ্রমিকেরা তাদের মজুরির সব টাকা পায়নি। সামনে ঈদ। তাদের তো কেনাকাটা করতে হবে। মজুরির টাকা দ্রুত পাঠানো দরকার।’
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) মেহেদী হাসান টিটু বলেন, ‘শ্রমিকদের মজুরির টাকা পাঠানোর জন্য সংশ্লিষ্ট দপ্তরে যোগাযোগ করা হয়েছে। কিন্তু এখনো শ্রমিকদের মজুরির টাকা তাঁদের মোবাইলের বিকাশ অ্যাকাউন্টে পাঠায়নি মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্টরা। আশা রাখি, শিগগিরই শ্রমিকেরা তাঁদের মজুরির বাকি টাকা পেয়ে যাবেন।’
ইজিপিপি প্রকল্পের সভাপতি ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. সিরাজুল ইসলাম বলেন, ‘শ্রমিকেরা টাকা না পাওয়ার বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’
জামালপুরের ইসলামপুর উপজেলায় অতি দরিদ্রদের জন্য কর্মসংস্থান কর্মসূচির (ইজিপিপি) ৩৩ দিনের কাজ শেষ হয়েছে ২০ দিন আগে। কিন্তু এখনো পাননি উপজেলার ১২টি ইউনিয়নে ২ হাজার ৮১৪ জন শ্রমিক। সামনে ঈদুল আজহা। কাজ শেষ হওয়ার ২০ দিন পরও টাকা না পাওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন শ্রমিকেরা।
এ নিয়ে বিপাকে পড়েছেন ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান ও মেম্বারেরা। তবে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের দাবি, শ্রমিকদের মজুরির টাকা পেতে যথাসময়ে কাগজপত্র সংশ্লিষ্ট দপ্তরে পাঠানো হয়েছে। শিগগিরই টাকা পেয়ে যাবেন শ্রমিকেরা।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের অর্থায়নে উপজেলার ১২টি ইউনিয়নে ৫৩টি ইজিপিপি প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। গত ১৫ এপ্রিল প্রকল্পের কাজ শুরু করা হয়। ৩৩ কর্মদিবসের মধ্যে ৩২ দিন চলে এ প্রকল্পের কাজ। এতে মাথাপিছু চার শত টাকা মজুরির ভিত্তিতে ২ হাজার ৮১৪ জন নিবন্ধিত শ্রমিক কাজ করার সুযোগ পায়। প্রতি প্রকল্পে একজন করে মোট ৬৬ জন শ্রমিক সর্দারসহ প্রতিজন শ্রমিক দৈনিক ৪০০ টাকা করে মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে হাজিরা ভাতার টাকা পাওয়ার কথা।
কার্যাদেশ অনুযায়ী, প্রকল্পের কাজ শেষ হয়েছে গত ২৫ মে। গত ১২ মে প্রথম কিস্তির ২১ দিনের মজুরির টাকা পেতে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে প্রয়োজনীয় তথ্যাদি পাঠানো হয় প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে। সব প্রকল্প সুষ্ঠুভাবে বাস্তবায়নের লক্ষ্যে প্রতিটি ইউনিয়নে একজন করে তদারকি কর্মকর্তা নিয়োগ দিয়েছেন প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটির সভাপতি ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও)।
পলবান্ধা ইউনিয়নের শ্রমিক পিয়ারা বেগম বলেন, ‘মজুরি টাকা না পেয়ে কষ্টে আছি। জিনিসপত্রের মঙ্গা দাম। টাকার অভাবে সংসার চালাতে পারছি না।’
চরগোয়ালিনী ইউনিয়নের শ্রমিক আকবর আলী বলেন, ‘মজুরি টাকা না পাওয়ায় সংসার চালাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। আমরা যাতে তাড়াতাড়ি টাকা পাই, সে ব্যবস্থা করা জরুরি।’
চিনাডুলী ইউনিয়নের শ্রমিক হাসমত আলী বলেন, ‘মজুরির টাকার চাইতে গেলে চেয়ারম্যান-মেম্বারেরা বলে টাকা দেবে সরকার। তাঁরা সব ব্যবস্থা করেছে। কিন্তু টাকা তো পাচ্ছি না আমরা।’
গোয়ালেরচর ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুর রহিম বাদশা বলেন, ‘মূলত টাকার জন্য রাস্তায় মাটি কাটার মতো কঠিন কাজ করেছে শ্রমিকেরা। কিন্তু তাঁদের মজুরির টাকা দিতে দেরি করা হচ্ছে। এ নিয়ে বিপাকে পড়েছি।’
বেলগাছা ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল মালেক বলেন, ‘মজুরির টাকা শ্রমিকেরা না পাওয়া বিপাকে পড়েছি। প্রতিদিনই শ্রমিকেরা টাকা জন্য আসছে। তাঁদের তো টাকা দিতে পারছি না।’
চরপুটিমারী ইউপি চেয়ারম্যান সামছুজ্জামান সুরুজ মাস্টার বলেন, ‘শ্রমিকেরা টাকার আশায় রাস্তায় মাটি কাটার মতো অনেক কষ্টের কাজ করেছি। টাকার অভাবে শ্রমিকেরা কষ্টে আছেন। এ নিয়ে আমাদের বাড়তি ভোগতে হচ্ছে।’
গাইবান্ধা ইউপি মাকছুদুর রহমান আনছারী বলেন, ‘শ্রমিকেরা মজুরি না পাওয়ায় আমাদের কাছে আসছে। কিন্তু টাকা পাওয়ার নির্ধারিত তারিখ বলতে পারি না। এতে শ্রমিকেরা চিন্তিত। এ নিয়ে আমাদের বাড়তি ঝামেলা ভোগতে হচ্ছে।’
সাপধরী ইউপি চেয়ারম্যান মো. শাহ আলম মণ্ডল বলেন, ‘২০ দিন আগে কাজ শেষ হয়েছে। কিন্তু এখনো শ্রমিকেরা তাদের মজুরির সব টাকা পায়নি। সামনে ঈদ। তাদের তো কেনাকাটা করতে হবে। মজুরির টাকা দ্রুত পাঠানো দরকার।’
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) মেহেদী হাসান টিটু বলেন, ‘শ্রমিকদের মজুরির টাকা পাঠানোর জন্য সংশ্লিষ্ট দপ্তরে যোগাযোগ করা হয়েছে। কিন্তু এখনো শ্রমিকদের মজুরির টাকা তাঁদের মোবাইলের বিকাশ অ্যাকাউন্টে পাঠায়নি মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্টরা। আশা রাখি, শিগগিরই শ্রমিকেরা তাঁদের মজুরির বাকি টাকা পেয়ে যাবেন।’
ইজিপিপি প্রকল্পের সভাপতি ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. সিরাজুল ইসলাম বলেন, ‘শ্রমিকেরা টাকা না পাওয়ার বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’
রাজধানীর উত্তরায় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্তের পর থেকেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম যেন বিভীষিকাময় হয়ে উঠেছে। ফেসবুকে ঢুকলেই ওই দুর্ঘটনার মন খারাপ করা ছবি ও ভিডিও এড়িয়ে যাওয়ার উপায় নেই। স্ক্রল করতে করতে হঠাৎ চোখ আটকে যায় ‘এসএসসি ০৫-এইচএসসি ০৭’ গ্রুপের একটি পোস্টে।
৩ ঘণ্টা আগেজাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের করিডরে আগের দিনের মতো চিৎকার-চেঁচামেচি ছিল না গতকাল মঙ্গলবার। ছিল না রক্তের জন্য ছোটাছুটি। হাসপাতালজুড়ে কেমন যেন একটা উৎকণ্ঠা। এই উৎকণ্ঠা দগ্ধ শিশুগুলোর স্বজনদের চোখেমুখে। সবার প্রার্থনা, আর যেন কোনো দুঃসংবাদ কানে না আসে, সব শিশু যেন সুস্থ হয়ে ওঠে।
৩ ঘণ্টা আগেশিক্ষার্থীদের প্রতি মমত্ববোধ ও দায়িত্ববোধের অসাধারণ উদাহরণ তৈরি করে গেলেন রাজধানীর মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষক মাহরীন চৌধুরী। যুদ্ধবিমানটি যখন তাঁর প্রতিষ্ঠানে বিধ্বস্ত হয়, তখনো তিনি অক্ষত ও সুস্থ ছিলেন। কিন্তু বিপদের মুখেই তিনি ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন নিজের সন্তানের মতো ছাত্রছাত্রীদের বাঁচাতে।
৩ ঘণ্টা আগেরাজধানীর উত্তরার দিয়াবাড়ির মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজ প্রাঙ্গণে শিক্ষার্থীদের কোলাহল নেই। বিমানবাহিনীর বিধ্বস্ত প্রশিক্ষণ যুদ্ধবিমানের বিকট শব্দে থেমে গেছে সেই কোলাহল। থামেনি সন্তান বা স্বজনহারাদের বুকফাটা কান্না, মাতম। হাসপাতালে যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছে আহত ও দগ্ধরা।
৩ ঘণ্টা আগে