কেন্দুয়া (নেত্রকোনা) প্রতিনিধি
জমির হালে গরুর বদলে কাজ করছে ঘোড়া। মই টেনে দিচ্ছে বিঘার পর বিঘা জমিতে। এতে তুলনামূলক কম দামে হাল পাচ্ছেন কৃষকেরা। অন্যদিকে শখের ঘোড়াকে কাজে লাগিয়ে লাভবান হচ্ছেন এর মালিকও।
আজ শনিবার ভোরের আলো ফুটতেই নেত্রকোনার কেন্দুয়া উপজেলার সান্দিকোনা ইউনিয়নে এক কৃষি জমিতে দেখা মেলে এ দৃশ্যের।
মাঘের শুরুতেই বোরো আবাদের জন্য মাঠে নেমে পড়েছেন এ উপজেলার কৃষকেরা। ভোর থেকে শুরু করে সন্ধ্যা পর্যন্ত মাঠে কঠোর পরিশ্রম করছেন তাঁরা। জমি চাষের পর মই দেওয়ার কাজের জন্য ডাক পড়ছে ‘বাহাদুর’ নামের এ ঘোড়ার। কম খরচে জমিতে মই দিতে তার এত কদর।
এ ঘোড়ার মালিক হলেন রইছ উদ্দিন। তিনি একই ইউনিয়নের চেংজানা গ্রামের বাসিন্দা। আদর করে পোষা এই প্রাণীটির নাম রেখেছেন বাহাদুর।
এলাকা ঘুরে দেখা যায়, মাঠে মাঠে চলছে ফসলি জমি প্রস্তুত করার কাজ। আগাম জমি প্রস্তুত করে কে কার আগে ধানের চারা রোপণ করবেন-এ নিয়ে রীতিমতো প্রতিযোগিতা চলছে কৃষকদের মধ্যে। যান্ত্রিকতার কারণে এখন গরু দিয়ে হালচাষের প্রবণতা কমেছে। তাই পাওয়ার টিলার ও বড় ট্রাক্টর দিয়ে জমি চাষ করা হচ্ছে বেশি। এ অবস্থায় জমি চাষের পর মই দেওয়া নিয়ে বিপাকে পড়েন অনেকে। এমন পরিস্থিতিতে বাহাদুরের কারণে অনেকটাই স্বস্তিতে কৃষকেরা।
জাহাঙ্গীর আলম নামের স্থানীয় এক কৃষক জানান, হালচাষের পর রইছ উদ্দিনের ঘোড়া দিয়েই এলাকার অনেকে জমিতে মই দেন। এতে খরচও কম লাগে।
এ বিষয়ে ঘোড়ার মালিক রইছ উদ্দিন আজকের পত্রিকাকে জানান, এক বছর আগে গাইবান্ধা জেলা থেকে শখ করে ঘোড়াটি এনেছেন তিনি। পাশাপাশি ওকে দিয়ে কোনো না কোনো কাজ করানোর জন্য। আদর করে নাম দেন ‘বাহাদুর। এখন সেই শখের ঘোড়াটি দিয়ে খেতে নিয়মিতই মই দেওয়ার কাজ করেন। প্রতিদিন সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত জমিতে মই দেওয়ার কাজেই ব্যস্ত থাকতে হয় তাকে। এ ছাড়াও বাহাদুরকে দিয়ে কাছাকাছি জায়গায় অল্পস্বল্প মালামালও টানাটানি করেন।
তিনি আরও জানান, বাহাদুরকে দিয়ে দৈনিক প্রায় হাজার টাকার রোজগার হয় রইছ উদ্দিনের। এ দিয়ে ভালোভাবেই চলে সংসার। গত বছর উপজেলা সদরের প্রাণিসম্পদ প্রদর্শনী মেলায় বাহাদুর পুরস্কারও জিতেছিল বলে জানান তিনি।
সান্দিকোনা ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য জুয়েল মিয়া জানান, রইছ উদ্দিন একজন পরিশ্রমী মানুষ। এলাকার চাষিদের কাছে তাঁর ঘোড়ার বেশ চাহিদা রয়েছে।
এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শারমিন সুলতানা জানান, কালের বিবর্তনে গরু-মহিষ দিয়ে হালচাষ এখন প্রায় বিলুপ্তির পথে। তাই কৃষকেরা এখন পাওয়ার টিলার ও বড় ট্রাক্টর দিয়েই জমি হালচাষ করতে আগ্রহী হচ্ছেন বেশি। বলতে গেলে, যান্ত্রিক উপায়ে হালচাষ এখন প্রায় শতভাগে পৌঁছে গেছে। তবে এরপরও বাড়তি আয়ের জন্য কেউ কেউ শখের ঘোড়া দিয়ে মই দেন। এতে মন্দের কিছু নেই।
জমির হালে গরুর বদলে কাজ করছে ঘোড়া। মই টেনে দিচ্ছে বিঘার পর বিঘা জমিতে। এতে তুলনামূলক কম দামে হাল পাচ্ছেন কৃষকেরা। অন্যদিকে শখের ঘোড়াকে কাজে লাগিয়ে লাভবান হচ্ছেন এর মালিকও।
আজ শনিবার ভোরের আলো ফুটতেই নেত্রকোনার কেন্দুয়া উপজেলার সান্দিকোনা ইউনিয়নে এক কৃষি জমিতে দেখা মেলে এ দৃশ্যের।
মাঘের শুরুতেই বোরো আবাদের জন্য মাঠে নেমে পড়েছেন এ উপজেলার কৃষকেরা। ভোর থেকে শুরু করে সন্ধ্যা পর্যন্ত মাঠে কঠোর পরিশ্রম করছেন তাঁরা। জমি চাষের পর মই দেওয়ার কাজের জন্য ডাক পড়ছে ‘বাহাদুর’ নামের এ ঘোড়ার। কম খরচে জমিতে মই দিতে তার এত কদর।
এ ঘোড়ার মালিক হলেন রইছ উদ্দিন। তিনি একই ইউনিয়নের চেংজানা গ্রামের বাসিন্দা। আদর করে পোষা এই প্রাণীটির নাম রেখেছেন বাহাদুর।
এলাকা ঘুরে দেখা যায়, মাঠে মাঠে চলছে ফসলি জমি প্রস্তুত করার কাজ। আগাম জমি প্রস্তুত করে কে কার আগে ধানের চারা রোপণ করবেন-এ নিয়ে রীতিমতো প্রতিযোগিতা চলছে কৃষকদের মধ্যে। যান্ত্রিকতার কারণে এখন গরু দিয়ে হালচাষের প্রবণতা কমেছে। তাই পাওয়ার টিলার ও বড় ট্রাক্টর দিয়ে জমি চাষ করা হচ্ছে বেশি। এ অবস্থায় জমি চাষের পর মই দেওয়া নিয়ে বিপাকে পড়েন অনেকে। এমন পরিস্থিতিতে বাহাদুরের কারণে অনেকটাই স্বস্তিতে কৃষকেরা।
জাহাঙ্গীর আলম নামের স্থানীয় এক কৃষক জানান, হালচাষের পর রইছ উদ্দিনের ঘোড়া দিয়েই এলাকার অনেকে জমিতে মই দেন। এতে খরচও কম লাগে।
এ বিষয়ে ঘোড়ার মালিক রইছ উদ্দিন আজকের পত্রিকাকে জানান, এক বছর আগে গাইবান্ধা জেলা থেকে শখ করে ঘোড়াটি এনেছেন তিনি। পাশাপাশি ওকে দিয়ে কোনো না কোনো কাজ করানোর জন্য। আদর করে নাম দেন ‘বাহাদুর। এখন সেই শখের ঘোড়াটি দিয়ে খেতে নিয়মিতই মই দেওয়ার কাজ করেন। প্রতিদিন সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত জমিতে মই দেওয়ার কাজেই ব্যস্ত থাকতে হয় তাকে। এ ছাড়াও বাহাদুরকে দিয়ে কাছাকাছি জায়গায় অল্পস্বল্প মালামালও টানাটানি করেন।
তিনি আরও জানান, বাহাদুরকে দিয়ে দৈনিক প্রায় হাজার টাকার রোজগার হয় রইছ উদ্দিনের। এ দিয়ে ভালোভাবেই চলে সংসার। গত বছর উপজেলা সদরের প্রাণিসম্পদ প্রদর্শনী মেলায় বাহাদুর পুরস্কারও জিতেছিল বলে জানান তিনি।
সান্দিকোনা ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য জুয়েল মিয়া জানান, রইছ উদ্দিন একজন পরিশ্রমী মানুষ। এলাকার চাষিদের কাছে তাঁর ঘোড়ার বেশ চাহিদা রয়েছে।
এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শারমিন সুলতানা জানান, কালের বিবর্তনে গরু-মহিষ দিয়ে হালচাষ এখন প্রায় বিলুপ্তির পথে। তাই কৃষকেরা এখন পাওয়ার টিলার ও বড় ট্রাক্টর দিয়েই জমি হালচাষ করতে আগ্রহী হচ্ছেন বেশি। বলতে গেলে, যান্ত্রিক উপায়ে হালচাষ এখন প্রায় শতভাগে পৌঁছে গেছে। তবে এরপরও বাড়তি আয়ের জন্য কেউ কেউ শখের ঘোড়া দিয়ে মই দেন। এতে মন্দের কিছু নেই।
ঘন কুয়াশার কারণে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌপথে ফেরি চলাচল বন্ধ রয়েছে। গতকাল শুক্রবার রাত ১২টা থেকে এই পথে ফেরি চলাচল বন্ধ রাখা হয়। আজ শনিবার সকাল ৯টায় এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ফেরি চলাচল বন্ধ ছিল।
১২ মিনিট আগেমাদারীপুরে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষে পাঁচজন আহত হয়েছেন। এ সময় বেশ কয়েকটি ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। গতকাল শুক্রবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে মাদারীপুর সদর উপজেলার রাস্তি ইউনিয়নের পূর্ব রাস্তি এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
১ ঘণ্টা আগেচট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে প্রধান শিক্ষক ছাড়াই দীর্ঘদিন ধরে চলছে ১১টি মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও মাদ্রাসা। প্রধান শিক্ষকবিহীন এসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পরিচালিত হচ্ছে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক দিয়ে। অভিযোগ রয়েছে, যেসব ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক দিয়ে প্রতিষ্ঠানগুলো পরিচালিত হচ্ছে, তাঁদের অনেকেরই প্রধান শিক্ষক হওয়ার যোগ
৮ ঘণ্টা আগেদুই দশক কিছুটা শান্ত থাকার পর কুড়িগ্রামের চিলমারী-রৌমারী-রাজিবপুর নৌপথে আবার ডাকাতের দৌরাত্ম্য বেড়েছে। এক মাসের ব্যবধানে দুবার ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। এ দুই ঘটনায় আইনগত কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। প্রতিরোধেও কার্যকর উদ্যোগ নেই স্থানীয় প্রশাসনের। আবার ডাকাতি শুরু হওয়ায় ১৪ কিলোমিটার এই নৌপথের নৌযান, যাত্রী
৮ ঘণ্টা আগে