ঢাকায় নিরাপদে পথচারী পারাপারে পাইলট প্রকল্পের কাজ শুরু, যেসব নির্দেশনা দিল ডিএমপি

ঢাকা রোড ট্রাফিক সেফটি প্রজেক্টের (ডিআরএসপি) আওতায় ‘নিরাপদ পথচারী পারাপারে পাইলট প্রকল্প’ বাস্তবায়ন শুরু হয়েছে। ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের ট্রাফিক বিভাগ ও ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) সহযোগিতায় পাইলট প্রকল্পটি রোববার (২০ এপ্রিল ২০২৫) থেকে শুরু হয়ে ৮ মে পর্যন্ত চলবে।

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপপুলিশ কমিশনার মুহাম্মদ তালেবুর রহমান (পিপিএম) স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, পাইলট কার্যক্রমটি মিরপুরের ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন হাসপাতাল এবং মিরপুর বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের সামনে অবস্থিত পথচারী ক্রসিংয়ে ৮ মে পর্যন্ত প্রতিদিন (ছুটির দিন ছাড়া) সকাল ৮টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত চলবে। পিক-আওয়ারে পথচারীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে ডিএনসিসি যথাযথ রাস্তা চিহ্নিতকরণের মাধ্যমে ওই ক্রসিংটি প্রশস্ত করেছে। ডিআরএসপির অধীনে এই পাইলট কার্যক্রমের সময়ে নিরাপদ পারাপারের জন্য ওই স্থানে পুশ বোতামসহ একসেট পোর্টেবল ট্র্যাফিক লাইট স্থাপন করা হবে। পথচারীদের সার্বিক সহযোগিতা করতে এবং ট্রাফিক আইন ভঙ্গকারীদের বিরুদ্ধে ট্রাফিক আইন প্রয়োগ করতে ডিএমপির ট্রাফিক পুলিশ সেখানে মোতায়েন থাকবে।

আশপাশের স্বাস্থ্যসেবা এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে অনিরাপদ পথচারী পারাপার, অপর্যাপ্ত পথচারী পারাপারের স্থান, অবৈধ পার্কিং এবং জেব্রা ক্রসিংয়ে অননুমোদিত বাস থামানোসহ একাধিক নিরাপত্তা চ্যালেঞ্জ পর্যবেক্ষণ করে এ স্থানটি বেছে নেওয়া হয়েছে। রাস্তা ব্যবহারকারী, পথচারী এবং যানবাহন চালকদের ট্রাফিক নিয়ম মেনে চলতে এবং নির্ধারিত ক্রসিং সুবিধাগুলো ব্যবহার করার জন্য অনুরোধ করছে ডিএমপি। এ ক্ষেত্রে বেশ কিছু নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে।

যানবাহন চালকদের প্রতি নির্দেশনা

ট্রাফিক সিগন্যাল ও লাইট মেনে চলতে হবে। ট্রাফিক লাইট হলুদ এবং লাল হলে, যানবাহনকে স্টপ লাইনের আগে থেমে যেতে হবে। জেব্রা ক্রসিংয়ের ওপর কোনোভাবেই যানবাহন থামানো যাবে না।

পথচারীদের প্রতি নির্দেশনা

পারাপারের আগে ফুটপাতে অবস্থান করতে হবে। ট্রাফিক লাইট সবুজ হলে পথচারীদের জেব্রা ক্রসিং দিয়ে রাস্তা পার হতে হবে। রাস্তা পার হওয়ার জন্য ফুটপাতের ট্রাফিক লাইট পোলে থাকা পথচারী পুশ সুইচে চাপ দিতে হবে এবং পথচারী সিগন্যাল লাইট সবুজ হওয়ার জন্য অপেক্ষা করতে হবে।

পথচারীদের মতামত এবং অন্যান্য তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণ করে পাইলট প্রকল্পটি মূল্যায়ন করা হবে। এই পাইলট প্রকল্প থেকে প্রাপ্ত সুবিধাগুলো ডিএমপি এবং সিটি করপোরেশন ভবিষ্যতে ঢাকার ট্র্যাফিক নিরাপত্তা উদ্যোগগুলো আরও উন্নত করতে ব্যবহার করবে।

উল্লেখ্য, ডিআরএসপি হলো জাপান আন্তর্জাতিক সহযোগিতা সংস্থার (জাইকা) অর্থায়নে একটি প্রযুক্তিগত সহযোগিতা প্রকল্প, যা ঢাকা শহরে ট্রাফিক নিরাপত্তাব্যবস্থা বাস্তবায়নে ডিএমপির সক্ষমতা বৃদ্ধি করবে। ডিএমপি এ প্রকল্পের মূল অংশীদার হিসেবে ঢাকার সিটি করপোরেশনগুলোর সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করছে।

পাইলট প্রকল্পটি সফলভাবে বাস্তবায়নে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ ওই এলাকার সব জনগণ এবং ওই রাস্তা ব্যবহারকারীদের কাছে সার্বিক সহযোগিতা কামনা করছে।