নালিতাবাড়ী (শেরপুর) প্রতিনিধি
শেরপুরের সীমান্তবর্তী নালিতাবাড়ী, ঝিনাইগাতী ও শ্রীবরদীসহ তিনটি উপজেলার গারো পাহাড়ে বাণিজ্যিকভাবে মধু চাষ এনে দিচ্ছে সাফল্য। সীমান্তের প্রায় ৪০ কিলোমিটার পাহাড়ি এলাকায় বছরব্যাপী মধু সংগ্রহ করেন দেশের বিভিন্ন জেলার মৌ চাষিরা।
গারো পাহাড় থেকে মধু সংগ্রহকারী হাসান মিয়া (৩৮)। তাঁর বাড়ি সাতক্ষীরার কালিগঞ্জ উপজেলায়। চারজন শ্রমিক নিয়ে প্রায় দেড় মাস আগে শেরপুরের গারো পাহাড়ে এসে মৌ বক্সের মৌমাছি দিয়ে মধু সংগ্রহ করছেন তিনি।
এই কাজে হাসান মিয়া একাই নন। বিভিন্ন জেলা থেকে দুই শতাধিক মৌচাষি গারো পাহাড়ে এসেছেন মধু সংগ্রহ করতে।
হাসান মিয়া জানান, ১৮৬ মৌ বক্স রয়েছে তাঁর। যেখান থেকে সপ্তাহে প্রায় ৭০০ কেজি মধু সংগ্রহ করছেন তিনি। প্রতি বক্সে কমপক্ষে চার কেজি মধু পাওয়া যাবে।
সরেজমিনে স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, শেরপুরের নালিতাবাড়ী, ঝিনাইগাতী ও শ্রীবরদী উপজেলার গারো পাহাড় এলাকায় রয়েছে প্রাকৃতিক গাছগাছালি। এ ছাড়া কয়েক বছর আগে স্থানীয় বন বিভাগ নানা ধরনের ফলজ, বনজ ও ঔষধি গাছের চারা রোপণ করে। এখন সারা বছর পাহাড়ে অনেক বৃক্ষ ছেয়ে থাকে ফুলে ফুলে। এ ছাড়া ভারত সীমান্তেও রয়েছে ফুল ও ফলের বাগান। এ সুবিধা কাজে লাগিয়ে পাহাড়ের ঢালে সারি সারি মৌবক্স বসিয়ে মধু সংগ্রহ করে কর্মসংস্থানের পথ খুঁজে নিচ্ছেন শিক্ষিত যুবকেরা। অল্প শ্রমে বেশি লাভ হওয়ায় দিন দিন মধু চাষে আগ্রহীর সংখ্যা বাড়ছে।
সিরাজগঞ্জ থেকে এসেছেন শহিদুল, জিয়াউর, সাইদুলসহ কয়েকজন। তাঁরা জানান, এক মাস আগে মৌ বক্স নিয়ে এসেছেন। পাহাড়ে মধু সংগ্রহ শেষে সরিষা ফুলের মধু সংগ্রহ করবেন। সরিষা ফুল শেষ হওয়া পর্যন্ত এখানে থাকবেন তাঁরা। এখান থেকেই ২০ মণ মধু সংগ্রহ করবেন।
তাঁরা আরও জনান, সপ্তাহে একবার বক্স থেকে মধু সংগ্রহ করেন। প্রতি বার একটি বক্স থেকে প্রায় চার কেজি মধু পাওয়া যায়। প্রতি কেজি মধু এখান থেকেই ৬০০-৭৫০ টাকা দরে বিক্রি হয়। অনেক সময় এর চেয়েও বেশি দামে বিক্রি হয়। তবে সরিষা ফুলের মধুর দাম কিছুটা কম।
পরিবেশবাদী সংগঠন গ্রিন ভয়েসের সভাপতি রফিক মজিদ বলেন, মৌচাষে সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা পেলে হাজারো তরুণের কর্মসংস্থান হবে। এ ছাড়া পাহাড়ি অঞ্চলের মানুষের কাজের সুযোগ সৃষ্টি হবে।
মধুটিলা রেঞ্জ কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম বলেন, গারো পাহাড়ের বনাঞ্চলে বিভিন্ন প্রকারের ফল জন্মায় আর সেখান থেকেই মৌমাছি মধু সংগ্রহ করে। তাই বন মধু চাষের উপযুক্ত স্থান। এখানে কেউ মৌচাষ করে মধু উৎপাদন করতে চাইলে বন বিভাগের অনুমতি সাপেক্ষে তা করতে পারে।
কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের উপপরিচালক ড. সুকল্প দাস বলেন, কৃষি বিভাগের মাঠকর্মীরা মৌচাষিদের প্রয়োজনীয় পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছেন। গারো পাহাড়ের মৌচাষের উজ্জ্বল সম্ভাবনা রয়েছে। এ জন্য কৃষি বিভাগ প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নিয়েছে।
শেরপুরের সীমান্তবর্তী নালিতাবাড়ী, ঝিনাইগাতী ও শ্রীবরদীসহ তিনটি উপজেলার গারো পাহাড়ে বাণিজ্যিকভাবে মধু চাষ এনে দিচ্ছে সাফল্য। সীমান্তের প্রায় ৪০ কিলোমিটার পাহাড়ি এলাকায় বছরব্যাপী মধু সংগ্রহ করেন দেশের বিভিন্ন জেলার মৌ চাষিরা।
গারো পাহাড় থেকে মধু সংগ্রহকারী হাসান মিয়া (৩৮)। তাঁর বাড়ি সাতক্ষীরার কালিগঞ্জ উপজেলায়। চারজন শ্রমিক নিয়ে প্রায় দেড় মাস আগে শেরপুরের গারো পাহাড়ে এসে মৌ বক্সের মৌমাছি দিয়ে মধু সংগ্রহ করছেন তিনি।
এই কাজে হাসান মিয়া একাই নন। বিভিন্ন জেলা থেকে দুই শতাধিক মৌচাষি গারো পাহাড়ে এসেছেন মধু সংগ্রহ করতে।
হাসান মিয়া জানান, ১৮৬ মৌ বক্স রয়েছে তাঁর। যেখান থেকে সপ্তাহে প্রায় ৭০০ কেজি মধু সংগ্রহ করছেন তিনি। প্রতি বক্সে কমপক্ষে চার কেজি মধু পাওয়া যাবে।
সরেজমিনে স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, শেরপুরের নালিতাবাড়ী, ঝিনাইগাতী ও শ্রীবরদী উপজেলার গারো পাহাড় এলাকায় রয়েছে প্রাকৃতিক গাছগাছালি। এ ছাড়া কয়েক বছর আগে স্থানীয় বন বিভাগ নানা ধরনের ফলজ, বনজ ও ঔষধি গাছের চারা রোপণ করে। এখন সারা বছর পাহাড়ে অনেক বৃক্ষ ছেয়ে থাকে ফুলে ফুলে। এ ছাড়া ভারত সীমান্তেও রয়েছে ফুল ও ফলের বাগান। এ সুবিধা কাজে লাগিয়ে পাহাড়ের ঢালে সারি সারি মৌবক্স বসিয়ে মধু সংগ্রহ করে কর্মসংস্থানের পথ খুঁজে নিচ্ছেন শিক্ষিত যুবকেরা। অল্প শ্রমে বেশি লাভ হওয়ায় দিন দিন মধু চাষে আগ্রহীর সংখ্যা বাড়ছে।
সিরাজগঞ্জ থেকে এসেছেন শহিদুল, জিয়াউর, সাইদুলসহ কয়েকজন। তাঁরা জানান, এক মাস আগে মৌ বক্স নিয়ে এসেছেন। পাহাড়ে মধু সংগ্রহ শেষে সরিষা ফুলের মধু সংগ্রহ করবেন। সরিষা ফুল শেষ হওয়া পর্যন্ত এখানে থাকবেন তাঁরা। এখান থেকেই ২০ মণ মধু সংগ্রহ করবেন।
তাঁরা আরও জনান, সপ্তাহে একবার বক্স থেকে মধু সংগ্রহ করেন। প্রতি বার একটি বক্স থেকে প্রায় চার কেজি মধু পাওয়া যায়। প্রতি কেজি মধু এখান থেকেই ৬০০-৭৫০ টাকা দরে বিক্রি হয়। অনেক সময় এর চেয়েও বেশি দামে বিক্রি হয়। তবে সরিষা ফুলের মধুর দাম কিছুটা কম।
পরিবেশবাদী সংগঠন গ্রিন ভয়েসের সভাপতি রফিক মজিদ বলেন, মৌচাষে সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা পেলে হাজারো তরুণের কর্মসংস্থান হবে। এ ছাড়া পাহাড়ি অঞ্চলের মানুষের কাজের সুযোগ সৃষ্টি হবে।
মধুটিলা রেঞ্জ কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম বলেন, গারো পাহাড়ের বনাঞ্চলে বিভিন্ন প্রকারের ফল জন্মায় আর সেখান থেকেই মৌমাছি মধু সংগ্রহ করে। তাই বন মধু চাষের উপযুক্ত স্থান। এখানে কেউ মৌচাষ করে মধু উৎপাদন করতে চাইলে বন বিভাগের অনুমতি সাপেক্ষে তা করতে পারে।
কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের উপপরিচালক ড. সুকল্প দাস বলেন, কৃষি বিভাগের মাঠকর্মীরা মৌচাষিদের প্রয়োজনীয় পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছেন। গারো পাহাড়ের মৌচাষের উজ্জ্বল সম্ভাবনা রয়েছে। এ জন্য কৃষি বিভাগ প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নিয়েছে।
রাজধানীর উত্তরায় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্তের পর থেকেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম যেন বিভীষিকাময় হয়ে উঠেছে। ফেসবুকে ঢুকলেই ওই দুর্ঘটনার মন খারাপ করা ছবি ও ভিডিও এড়িয়ে যাওয়ার উপায় নেই। স্ক্রল করতে করতে হঠাৎ চোখ আটকে যায় ‘এসএসসি ০৫-এইচএসসি ০৭’ গ্রুপের একটি পোস্টে।
৩ ঘণ্টা আগেজাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের করিডরে আগের দিনের মতো চিৎকার-চেঁচামেচি ছিল না গতকাল মঙ্গলবার। ছিল না রক্তের জন্য ছোটাছুটি। হাসপাতালজুড়ে কেমন যেন একটা উৎকণ্ঠা। এই উৎকণ্ঠা দগ্ধ শিশুগুলোর স্বজনদের চোখেমুখে। সবার প্রার্থনা, আর যেন কোনো দুঃসংবাদ কানে না আসে, সব শিশু যেন সুস্থ হয়ে ওঠে।
৩ ঘণ্টা আগেশিক্ষার্থীদের প্রতি মমত্ববোধ ও দায়িত্ববোধের অসাধারণ উদাহরণ তৈরি করে গেলেন রাজধানীর মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষক মাহরীন চৌধুরী। যুদ্ধবিমানটি যখন তাঁর প্রতিষ্ঠানে বিধ্বস্ত হয়, তখনো তিনি অক্ষত ও সুস্থ ছিলেন। কিন্তু বিপদের মুখেই তিনি ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন নিজের সন্তানের মতো ছাত্রছাত্রীদের বাঁচাতে।
৩ ঘণ্টা আগেরাজধানীর উত্তরার দিয়াবাড়ির মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজ প্রাঙ্গণে শিক্ষার্থীদের কোলাহল নেই। বিমানবাহিনীর বিধ্বস্ত প্রশিক্ষণ যুদ্ধবিমানের বিকট শব্দে থেমে গেছে সেই কোলাহল। থামেনি সন্তান বা স্বজনহারাদের বুকফাটা কান্না, মাতম। হাসপাতালে যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছে আহত ও দগ্ধরা।
৩ ঘণ্টা আগে