মেলান্দহ (জামালপুর) প্রতিনিধি
জামালপুরের মেলান্দহে স্বল্প আয়ের মানুষ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের বাজারদরের সঙ্গে তাল মেলাতে পারছেন না। দিনমজুর শ্রেণির মানুষ তাঁদের দৈনিক আয়ের টাকায় নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যে কী রেখে কী কিনবেন তা নিয়ে ভাবনাচিন্তায় দিশেহারা হয়ে পড়েছেন। বাজার মনিটরিং না থাকায় দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণহীন হয়ে উঠেছে বলে অভিযোগ তাঁদের।
সাধারণ ক্রেতাদের অভিযোগ, মেলান্দহ উপজেলার প্রধান বাজার মেলান্দহ বাজার মনিটরিং ও দোকানে পণ্যের মূল্যতালিকা না থাকায় ব্যবসায়ীরা প্রতিটি পণ্যের দামই বাড়িয়েছে। একই পণ্য বিভিন্ন ক্রেতার কাছে বিভিন্ন দামে বিক্রি করছে। সারা দেশেই নিত্যপ্রয়োজনীয় কিছু পণ্যের দাম বাড়লেও এই বাজারে সব পণ্যের দামই বেড়েছে।
উপজেলার প্রধান বাজার মেলান্দহ বাজারে কথা হয় পৌরসভার নাগেরপাড়া এলাকার সোলায়মান রহমানের সঙ্গে। তিনি রাজমিস্ত্রির সহকারী হিসেবে কাজ করেন। দৈনিক ৪০০ টাকা তার মজুরি। সংসারে রয়েছে স্ত্রী ও দুই সন্তান। মেয়ে নবম শ্রেণিতে ও ছেলে ষষ্ঠ শ্রেণিতে পড়াশোনা করে।
দিনমজুর সোলায়মান বলেন, ‘কী রাইখা কী কিনমু, তার আগেই দেখি টাহা শ্যাষ! এক পোয়া কাঁচা মরিচ কিনতে গেলাম। মরিচ নিয়া দাম জিগাইলাম—কয় টাহা? বলে, ৬০ টাহা। পরে মরিচ ফেরত দিয়া আইলাম। আজকের ইনকামের টাহায় ২ কেজি চাল নিলাম ১২০ টাহায়। ১০০ টাহার আধা লিটার সয়াবিন তেল। ২ কেজি আলু ৫০ টাহা, আধা কেজি বেগুন ৩৫ টাহা। ৩৫ টাহার মুলাশাক আর এক কেজি লবণ কিনলাম ৩৫ টাহায়। আমার কাছে আর ৩০ টাহা আছে! এখন মাছ-গোশত খাওয়ার আশা ছাইড়া দিছি। ছেলেসন্তান নিয়া এহন খুব কষ্টেই দিন যাচ্ছে।’
সোলায়মানের মতো নিম্ন আয়ের মানুষ বাজারে এসে কী রেখে কী কিনবেন তা নিয়েই হতাশায়। দেশে জ্বালানি তেলের সংকটের কারণে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বাড়লেও দিনমজুর ও কৃষকদের আয় বাড়েনি, বেড়েছে ব্যয়।
মেলান্দহ বাজারের ব্যবসায়ী আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ‘প্রতিটি জিনিসেরই দাম বেড়েছে, দোকানদারেরা কখনো দাম বাড়ায় না। সরকার থেকে দাম বাড়লে আমাদের বেশি দামে কিনতে হয়। সবকিছুর দাম এখন অনেকটাই বেড়ে গেছে, যেমন বয়লার মুরগি ১৮০ টাকা কেজি হয়েছে। কিছু করার নাই, বাঁচতে হলে কিনতেই হবে।’
বাজারের বিষয়ে মেলান্দহ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সেলিম মিঞার সঙ্গে কথা হলে তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘কোনো ব্যবসায়ী যদি নির্দিষ্ট দাম থেকে বেশি রাখে এবং দোকানে মূল্যতালিকা যদি না থাকে, তাহলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
জামালপুরের মেলান্দহে স্বল্প আয়ের মানুষ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের বাজারদরের সঙ্গে তাল মেলাতে পারছেন না। দিনমজুর শ্রেণির মানুষ তাঁদের দৈনিক আয়ের টাকায় নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যে কী রেখে কী কিনবেন তা নিয়ে ভাবনাচিন্তায় দিশেহারা হয়ে পড়েছেন। বাজার মনিটরিং না থাকায় দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণহীন হয়ে উঠেছে বলে অভিযোগ তাঁদের।
সাধারণ ক্রেতাদের অভিযোগ, মেলান্দহ উপজেলার প্রধান বাজার মেলান্দহ বাজার মনিটরিং ও দোকানে পণ্যের মূল্যতালিকা না থাকায় ব্যবসায়ীরা প্রতিটি পণ্যের দামই বাড়িয়েছে। একই পণ্য বিভিন্ন ক্রেতার কাছে বিভিন্ন দামে বিক্রি করছে। সারা দেশেই নিত্যপ্রয়োজনীয় কিছু পণ্যের দাম বাড়লেও এই বাজারে সব পণ্যের দামই বেড়েছে।
উপজেলার প্রধান বাজার মেলান্দহ বাজারে কথা হয় পৌরসভার নাগেরপাড়া এলাকার সোলায়মান রহমানের সঙ্গে। তিনি রাজমিস্ত্রির সহকারী হিসেবে কাজ করেন। দৈনিক ৪০০ টাকা তার মজুরি। সংসারে রয়েছে স্ত্রী ও দুই সন্তান। মেয়ে নবম শ্রেণিতে ও ছেলে ষষ্ঠ শ্রেণিতে পড়াশোনা করে।
দিনমজুর সোলায়মান বলেন, ‘কী রাইখা কী কিনমু, তার আগেই দেখি টাহা শ্যাষ! এক পোয়া কাঁচা মরিচ কিনতে গেলাম। মরিচ নিয়া দাম জিগাইলাম—কয় টাহা? বলে, ৬০ টাহা। পরে মরিচ ফেরত দিয়া আইলাম। আজকের ইনকামের টাহায় ২ কেজি চাল নিলাম ১২০ টাহায়। ১০০ টাহার আধা লিটার সয়াবিন তেল। ২ কেজি আলু ৫০ টাহা, আধা কেজি বেগুন ৩৫ টাহা। ৩৫ টাহার মুলাশাক আর এক কেজি লবণ কিনলাম ৩৫ টাহায়। আমার কাছে আর ৩০ টাহা আছে! এখন মাছ-গোশত খাওয়ার আশা ছাইড়া দিছি। ছেলেসন্তান নিয়া এহন খুব কষ্টেই দিন যাচ্ছে।’
সোলায়মানের মতো নিম্ন আয়ের মানুষ বাজারে এসে কী রেখে কী কিনবেন তা নিয়েই হতাশায়। দেশে জ্বালানি তেলের সংকটের কারণে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বাড়লেও দিনমজুর ও কৃষকদের আয় বাড়েনি, বেড়েছে ব্যয়।
মেলান্দহ বাজারের ব্যবসায়ী আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ‘প্রতিটি জিনিসেরই দাম বেড়েছে, দোকানদারেরা কখনো দাম বাড়ায় না। সরকার থেকে দাম বাড়লে আমাদের বেশি দামে কিনতে হয়। সবকিছুর দাম এখন অনেকটাই বেড়ে গেছে, যেমন বয়লার মুরগি ১৮০ টাকা কেজি হয়েছে। কিছু করার নাই, বাঁচতে হলে কিনতেই হবে।’
বাজারের বিষয়ে মেলান্দহ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সেলিম মিঞার সঙ্গে কথা হলে তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘কোনো ব্যবসায়ী যদি নির্দিষ্ট দাম থেকে বেশি রাখে এবং দোকানে মূল্যতালিকা যদি না থাকে, তাহলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
চেক জালিয়াতির মামলায় হাজির না হওয়ায় আসামি মোসলেম উদ্দিনের অনুপস্থিতিতেই রায় দিয়েছিলেন আদালত। দোষী সাব্যস্ত করে তাঁকে দেওয়া হয়েছিল এক বছরের কারাদণ্ড। পাশাপাশি জরিমানা করা হয় ৬০ লাখ টাকা। এ দণ্ড মাথায় নিয়েই সাত বছর লাপাত্তা ছিলেন তিনি।
২ ঘণ্টা আগেগোপালগঞ্জের কাশিয়ানীতে বাস ও ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষে দুই জন নিহত হয়েছেন। এ সময় আহত হয়েছে বাস ও ট্রাকের অন্তত ১৫ জন। গতকাল বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে উপজেলার ফুকরা এলাকায় ঢাকা-খুলনা মহাসড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
২ ঘণ্টা আগেলক্ষ্মীপুরে একটি মাদ্রাসার শিশু শিক্ষার্থীকে বেদম প্রহার করেছেন শিক্ষক। এ ঘটনার ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে (ভাইরাল)। গতকাল বৃস্পতিবার বিকেল থেকে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওটি ৩৫ সেকেন্ডের। এর মধ্যে প্রথম ২৩ সেকেন্ড পর্যন্ত শিশুটিকে মারতে দেখা গেছে শিক্ষককে। ওই ২৩ সেকেন্ডে শিশুটিকে ২১ বার
৩ ঘণ্টা আগে