ফারুক হোসাইন রাজ, কলারোয়া (সাতক্ষীরা)
শারদীয় দুর্গাপূজা উদ্যাপন উপলক্ষে সাতক্ষীরার কলারোয়ায় এবার প্রায় ১০০ কেজি চিনিগুঁড়া ধানের শৈল্পিক কারুকাজে নির্মাণ করা হয়েছে ১৮টি প্রতিমা। পূজা শুরুর এখনো ১০ দিন বাকি থাকলেও ধানের শিষ দিয়ে বানানো এই অভিনব প্রতিমা দেখতে মানুষের ভিড় শুরু হয়ে গেছে।
আজ মঙ্গলবার সকালে উপজেলা পৌর সদরের গরু হাটখোলা মোড় ব্রিজ থেকে একটু ভেতরে মুরারিকাঠি উত্তর পালপাড়া শারদীয় দুর্গাপূজা মন্দিরে গিয়ে দেখা যায়, সোনালি রঙের চিনিগুঁড়া ধান দিয়ে অসাধারণ কারুকাজ করা হয়েছে প্রতিমাগুলোয়। দেখে মনে হচ্ছে সোনা দিয়ে মোড়ানো হয়েছে এদের। একটি একটি করে ধান দিয়ে গেঁথে তৈরি করা হয়েছে প্রতিমাগুলো।
প্রতিমা তৈরির কারিগর শিল্পী পল্লত বিশ্বাস বলেন, ১৮টি প্রতিমা পূর্ণাঙ্গভাবে তৈরি করতে সম্পূর্ণ এক মাস সময় লেগেছে। এই মণ্ডপে দুর্গা, কার্তিক, গণেশ, সরস্বতী, লক্ষ্মী, অসুরসহ আনুষঙ্গিক ১৮টি প্রতিমা তৈরির জন্য প্রথমে কাঠ, বাঁশ, পাট, নকশি কাপড়ের পাড় ও বিচুলির ফ্রেম বা কাঠামো ব্যবহার করা হয়। তারপর মাটি ও বিশেষ শৈল্পিক কারুকাজ হিসেবে ব্যয়বহুল চিনিগুঁড়া ধান ব্যবহার করা হয়েছে। কিছু কিছু অংশে রং স্প্রে করা হয়েছে প্রতিমার সৌন্দর্য বাড়াতে।
মুরারিকাঠি উত্তর পালপাড়া পূজা উদ্যাপন কমিটির সদস্য আশ্বিন পাল বলেন, এমন অভিনব প্রতিমা দেখতে মানুষের ভিড় শুরু হয়ে গেছে এখনই। উৎসবের আগেই যেন উৎসব শুরু হয়ে গেছে।
মুরারিকাঠি পালপাড়া পূজা উদ্যাপন কমিটির অপর সদস্য ও শিক্ষক প্রদীপ পাল বলেন, প্রতিবছর ভিন্ন আঙ্গিকে তৈরি করা হয় এই পূজামণ্ডপের প্রতিমাগুলো। এ বছর প্রায় ১০০ কেজি চিনিগুঁড়া ধান ব্যবহার করা হয়েছে এই প্রতিমা তৈরিতে। প্রতিমা তৈরির পূর্ণাঙ্গ কাজ শেষ হয়েছে কয়েক দিন আগে। ইতিমধ্যে প্রতিমা দেখতে ভিড় করছেন অনেকে।
স্থানীয় বাসিন্দা শ্যামপদ পাল বলেন, এবার পূজা উদ্যাপন কমিটির আয়োজনে ১ লাখ টাকার মতো খরচ করে ধানের এই প্রতিমা নির্মাণ করা হয়েছে। বিভিন্ন জায়গা থেকে আসা মানুষের ভিড়ে মুখর হচ্ছে এই পূজামণ্ডপ। পূজা শুরু হলে যে ভলান্টিয়ার রয়েছে, তা দিয়ে শৃঙ্খলা কতটুকু রক্ষা করা যাবে জানি না, প্রশাসনের সর্বোচ্চ সহযোগিতা চাই।
মণ্ডপে আসা অঞ্জলি পাল বলেন, পালপাড়ায় ৪০টি সনাতন ধর্মাবলম্বী পরিবার বসবাস করে। এ বছর দুর্গাপূজা উদ্যাপনে এই প্রথম এত সুন্দর প্রতিমা তৈরি করেছে পূজা উদ্যাপন কমিটি, যা সত্যি প্রশংসিত।
কলারোয়া উপজেলা হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা পূজা উদ্যাপন পরিষদের যুগ্ম-সম্পাদক সন্দীপ রায় বলেন, আগামী ২০ অক্টোবর থেকে দুর্গাপূজা শুরু হচ্ছে। প্রতিমা বিসর্জন হবে ২৫ অক্টোবর সন্ধ্যায়। এবার উপজেলার ১২টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভায় ৪৮টি পূজামণ্ডপে শারদীয় দুর্গোৎসব উদ্যাপিত হবে। মণ্ডপে মণ্ডপে প্রতিমা তৈরি ও সব ধরনের প্রস্তুতি শেষ পর্যায়ে। আশা করছি শান্তি ও সৌহার্দপূর্ণ পরিবেশে দুর্গাপূজা সম্পন্ন হবে।
কলারোয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, শারদীয় দুর্গাপূজা যাতে সবাই শান্তি-শৃঙ্খলার সঙ্গে উদ্যাপন করতে পারেন, এর জন্য প্রতিটি পূজামণ্ডপে বাড়তি নজরদারি রাখা হবে। মণ্ডপে আনসার, গ্রাম পুলিশসহ পুলিশের কয়েকটি টিম গঠন করা হয়েছে। তাঁরা শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে কাজ করবে।
শারদীয় দুর্গাপূজা উদ্যাপন উপলক্ষে সাতক্ষীরার কলারোয়ায় এবার প্রায় ১০০ কেজি চিনিগুঁড়া ধানের শৈল্পিক কারুকাজে নির্মাণ করা হয়েছে ১৮টি প্রতিমা। পূজা শুরুর এখনো ১০ দিন বাকি থাকলেও ধানের শিষ দিয়ে বানানো এই অভিনব প্রতিমা দেখতে মানুষের ভিড় শুরু হয়ে গেছে।
আজ মঙ্গলবার সকালে উপজেলা পৌর সদরের গরু হাটখোলা মোড় ব্রিজ থেকে একটু ভেতরে মুরারিকাঠি উত্তর পালপাড়া শারদীয় দুর্গাপূজা মন্দিরে গিয়ে দেখা যায়, সোনালি রঙের চিনিগুঁড়া ধান দিয়ে অসাধারণ কারুকাজ করা হয়েছে প্রতিমাগুলোয়। দেখে মনে হচ্ছে সোনা দিয়ে মোড়ানো হয়েছে এদের। একটি একটি করে ধান দিয়ে গেঁথে তৈরি করা হয়েছে প্রতিমাগুলো।
প্রতিমা তৈরির কারিগর শিল্পী পল্লত বিশ্বাস বলেন, ১৮টি প্রতিমা পূর্ণাঙ্গভাবে তৈরি করতে সম্পূর্ণ এক মাস সময় লেগেছে। এই মণ্ডপে দুর্গা, কার্তিক, গণেশ, সরস্বতী, লক্ষ্মী, অসুরসহ আনুষঙ্গিক ১৮টি প্রতিমা তৈরির জন্য প্রথমে কাঠ, বাঁশ, পাট, নকশি কাপড়ের পাড় ও বিচুলির ফ্রেম বা কাঠামো ব্যবহার করা হয়। তারপর মাটি ও বিশেষ শৈল্পিক কারুকাজ হিসেবে ব্যয়বহুল চিনিগুঁড়া ধান ব্যবহার করা হয়েছে। কিছু কিছু অংশে রং স্প্রে করা হয়েছে প্রতিমার সৌন্দর্য বাড়াতে।
মুরারিকাঠি উত্তর পালপাড়া পূজা উদ্যাপন কমিটির সদস্য আশ্বিন পাল বলেন, এমন অভিনব প্রতিমা দেখতে মানুষের ভিড় শুরু হয়ে গেছে এখনই। উৎসবের আগেই যেন উৎসব শুরু হয়ে গেছে।
মুরারিকাঠি পালপাড়া পূজা উদ্যাপন কমিটির অপর সদস্য ও শিক্ষক প্রদীপ পাল বলেন, প্রতিবছর ভিন্ন আঙ্গিকে তৈরি করা হয় এই পূজামণ্ডপের প্রতিমাগুলো। এ বছর প্রায় ১০০ কেজি চিনিগুঁড়া ধান ব্যবহার করা হয়েছে এই প্রতিমা তৈরিতে। প্রতিমা তৈরির পূর্ণাঙ্গ কাজ শেষ হয়েছে কয়েক দিন আগে। ইতিমধ্যে প্রতিমা দেখতে ভিড় করছেন অনেকে।
স্থানীয় বাসিন্দা শ্যামপদ পাল বলেন, এবার পূজা উদ্যাপন কমিটির আয়োজনে ১ লাখ টাকার মতো খরচ করে ধানের এই প্রতিমা নির্মাণ করা হয়েছে। বিভিন্ন জায়গা থেকে আসা মানুষের ভিড়ে মুখর হচ্ছে এই পূজামণ্ডপ। পূজা শুরু হলে যে ভলান্টিয়ার রয়েছে, তা দিয়ে শৃঙ্খলা কতটুকু রক্ষা করা যাবে জানি না, প্রশাসনের সর্বোচ্চ সহযোগিতা চাই।
মণ্ডপে আসা অঞ্জলি পাল বলেন, পালপাড়ায় ৪০টি সনাতন ধর্মাবলম্বী পরিবার বসবাস করে। এ বছর দুর্গাপূজা উদ্যাপনে এই প্রথম এত সুন্দর প্রতিমা তৈরি করেছে পূজা উদ্যাপন কমিটি, যা সত্যি প্রশংসিত।
কলারোয়া উপজেলা হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা পূজা উদ্যাপন পরিষদের যুগ্ম-সম্পাদক সন্দীপ রায় বলেন, আগামী ২০ অক্টোবর থেকে দুর্গাপূজা শুরু হচ্ছে। প্রতিমা বিসর্জন হবে ২৫ অক্টোবর সন্ধ্যায়। এবার উপজেলার ১২টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভায় ৪৮টি পূজামণ্ডপে শারদীয় দুর্গোৎসব উদ্যাপিত হবে। মণ্ডপে মণ্ডপে প্রতিমা তৈরি ও সব ধরনের প্রস্তুতি শেষ পর্যায়ে। আশা করছি শান্তি ও সৌহার্দপূর্ণ পরিবেশে দুর্গাপূজা সম্পন্ন হবে।
কলারোয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, শারদীয় দুর্গাপূজা যাতে সবাই শান্তি-শৃঙ্খলার সঙ্গে উদ্যাপন করতে পারেন, এর জন্য প্রতিটি পূজামণ্ডপে বাড়তি নজরদারি রাখা হবে। মণ্ডপে আনসার, গ্রাম পুলিশসহ পুলিশের কয়েকটি টিম গঠন করা হয়েছে। তাঁরা শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে কাজ করবে।
রাজধানীর উত্তরায় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্তের পর থেকেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম যেন বিভীষিকাময় হয়ে উঠেছে। ফেসবুকে ঢুকলেই ওই দুর্ঘটনার মন খারাপ করা ছবি ও ভিডিও এড়িয়ে যাওয়ার উপায় নেই। স্ক্রল করতে করতে হঠাৎ চোখ আটকে যায় ‘এসএসসি ০৫-এইচএসসি ০৭’ গ্রুপের একটি পোস্টে।
১৭ মিনিট আগেজাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের করিডরে আগের দিনের মতো চিৎকার-চেঁচামেচি ছিল না গতকাল মঙ্গলবার। ছিল না রক্তের জন্য ছোটাছুটি। হাসপাতালজুড়ে কেমন যেন একটা উৎকণ্ঠা। এই উৎকণ্ঠা দগ্ধ শিশুগুলোর স্বজনদের চোখেমুখে। সবার প্রার্থনা, আর যেন কোনো দুঃসংবাদ কানে না আসে, সব শিশু যেন সুস্থ হয়ে ওঠে।
২৭ মিনিট আগেশিক্ষার্থীদের প্রতি মমত্ববোধ ও দায়িত্ববোধের অসাধারণ উদাহরণ তৈরি করে গেলেন রাজধানীর মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষক মাহরীন চৌধুরী। যুদ্ধবিমানটি যখন তাঁর প্রতিষ্ঠানে বিধ্বস্ত হয়, তখনো তিনি অক্ষত ও সুস্থ ছিলেন। কিন্তু বিপদের মুখেই তিনি ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন নিজের সন্তানের মতো ছাত্রছাত্রীদের বাঁচাতে।
৩১ মিনিট আগেরাজধানীর উত্তরার দিয়াবাড়ির মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজ প্রাঙ্গণে শিক্ষার্থীদের কোলাহল নেই। বিমানবাহিনীর বিধ্বস্ত প্রশিক্ষণ যুদ্ধবিমানের বিকট শব্দে থেমে গেছে সেই কোলাহল। থামেনি সন্তান বা স্বজনহারাদের বুকফাটা কান্না, মাতম। হাসপাতালে যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছে আহত ও দগ্ধরা।
৩৪ মিনিট আগে