খুলনা শহর
কাজী শামিম আহমেদ, খুলনা
খুলনা শহরের কাস্টম ঘাট এলাকায় সরকারের ৩ দশমিক ৩৩ একর জমি দখল করে রেখেছেন স্থানীয় আওয়ামী ও বিএনপি নেতারা। সেখানে সিটি করপোরেশন একবার প্রকল্প নিয়েছিল, তবে বাস্তবায়ন করতে পারেনি। এরপর সরকারের যানবাহন অধিদপ্তর সেখানে প্রকল্প হাতে নিয়েও কাজ শুরু করতে পারেনি। সূত্র বলছে, আওয়ামী লীগ নেতাদের ‘হাত লম্বা ছিল’। তাই কিছু করা যায়নি। বর্তমানে বিএনপির নেতারা গায়ের জোরে জায়গা দখল করে রেখেছেন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ১০ বছর আগে খুলনা শহর রক্ষা বাঁধ প্রকল্পের আওতায় খুলনার ভৈরব নদ ও রূপসা নদীর তীরে হাঁটাচলার জন্য ‘ওয়াকওয়ে’ নির্মাণ প্রকল্পের কাজ শুরু করে খুলনা সিটি করপোরেশন। প্রকল্পের আওতায় ভৈরব নদের অংশের কাজ শেষ হলেও অবৈধ দখলদারদের বাধার কারণে রূপসা নদীর ১ ও ২ নম্বর কাস্টম ঘাট অংশের কাজ করতে পারেনি করপোরেশন। আওয়ামী লীগ ও বিএনপির নেতারা স্থানীয় ব্যবসায়ীদের সঙ্গে নিয়ে মিছিল-মিটিং, বিক্ষোভ করে করপোরেশনের কাজ ঠেকিয়ে দেন।
জেলা প্রশাসনের সূত্রে জানা গেছে, ২০১৭ সালে খুলনায় কেন্দ্রীয় নৌযান মেরামত কারখানা এবং আধুনিক নৌযান প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট নির্মাণের উদ্যোগ নেয় সরকারি যানবাহন অধিদপ্তর। তখন জেলা প্রশাসন এই কাস্টম ঘাট এলাকার ৩ দশমিক ৩৩ একর জায়গা অধিদপ্তরকে দেয়। তখন ওই জমির বাজারমূল্য ছিল ৫৭ কোটি টাকার বেশি; বর্তমানে তা প্রায় ১০০ কোটি টাকা। যানবাহন অধিদপ্তর ৭ বছর আগে এই জায়গা পেয়েছে। তবে কোনো কাজ এখনো করতে পারেনি।
প্রকল্পের সর্বশেষ অবস্থা সম্পর্কে জানতে চাইলে সরকারি যানবাহন অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক (নৌ) মো. সাদ্দাম হোসেন বলেন, ‘২০১৭ সালে জমি বুঝে পাওয়া যায়। তবে দখলদারদের উচ্ছেদ করা যায়নি। যখনই প্রকল্পের কাজ নিয়ে মাপজোখ হয়, তখনই আন্দোলনে নামেন দখলদারেরা। মিছিল সমাবেশ, মানববন্ধন, সংবাদ সম্মেলন, স্মারকলিপি দেওয়ার মতো কর্মসূচি দিয়ে বাধাগ্রস্ত করেন তাঁরা।
সম্প্রতি এই এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, ২ নম্বর কাস্টম ঘাট মোড়ে রয়েছে ‘মনোলিথ কনস্ট্রাকশন’। এর মালিক বিএনপির নেতা ও সাবেক কাউন্সিলর মাহবুব কায়সার। এই প্রতিষ্ঠানের প্রায় ১০০ গজ উত্তরে রয়েছে সিটি করপোরেশনরে সাবেক মেয়র তালুকদার আবদুল খালেকের ছোট ভাই তালুকদার আবদুল জলিলের ইট, বালু, পাথরের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান। এ দুটি প্রতিষ্ঠানই সরকারি জায়গায়। এলাকায় রয়েছে আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী নেতা মিন্টু কাগজীর ‘রকি ডক ইয়ার্ড’ নামের একটি নৌযান কারখানা। সাবেক সংসদ সদস্য শেখ হেলাল উদ্দিন, তাঁর ভাই সাবেক সংসদ সদস্য শেখ সালাহউদ্দিন জুয়েল এবং বিসিবির সাবেক পরিচালক শেখ সোহেল এবং শেখ রুবেল, সদর থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি সাইফুলের কার্গো জাহাজগুলো এই কারখানায় মেরামত এবং নতুন কার্গো নির্মাণ করা হয়। ফলে প্রশাসন তাঁর কাছে অনেকটাই জিম্মি। বর্তমানে তিনি বিএনপির এক প্রভাবশালী নেতার আশ্রয়ে দখলে রেখেছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
শুধু মাহবুব কায়সার, মিন্টু ও তালুকদার জলিলই নন; এই এলাকায় সরকারি জমি দখল করে গড়ে উঠেছে দুই শতাধিক ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান। দখল করা জায়গায় গড়ে তোলা হয়েছে ডক ইয়ার্ড, ইজিবাইকের গ্যারেজ, ইট, বালু, সিমেন্ট, পাথর, করাতকলসহ ছোট-বড় ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান। এগুলো নিয়ন্ত্রণ করেন বিএনপি ও আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী ২০ নেতা।
এই এলাকায় জায়গা দখলকারীদের মধ্যে আরও রয়েছেন আওয়ামী লীগ নেতা সাত্তার খলিফা, কমল সিদ্দিকী, মুক্তিযোদ্ধা (প্রয়াত) আব্দুল কাইয়ুম, বাবলু কাগজী, হালিম হাওলাদার, স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা আকরাম হোসেন এবং বিএনপির নেতা ময়েজ উদ্দিন চুন্নু ও পান্না, প্রয়াত ইয়াকুব আলী খানের ভাই আইয়ুব হোসেন, আবুল হোসেন ও হাবিবুর রহমান ও দলটির সমর্থক নান্টু, মনির হোসেন, ইউসুফ আলী।
এই ব্যবসায়ীদের মধ্যে পলাতক রয়েছেন সাবেক মেয়রের ভাই তালুকদার আবদুল জলিল। তাঁর বক্তব্য পাওয়া যায়নি। জানতে চাইলে বিএনপির নেতা ও ২২ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর মাহবুব কায়সার ব্যবসায়ীদের পক্ষে বলেন, ‘স্বৈরাচারী সরকার একাধিক ভুয়া প্রকল্প গ্রহণের পর বাস্তবায়নের চেষ্টা করেছে। এসব ভুয়া প্রকল্প আমরা বাস্তবায়ন করতে দেব না। তবে সরকার যদি হাসপাতাল নির্মাণের মতো ভালো প্রকল্প গ্রহণ করে, তাহলে স্বাগত জানাব।’
আরেক প্রশ্নের জবাবে মাহবুব কায়সার বলেন, এই জমির মালিকানা নিয়ে জেলা প্রশাসন, সিটি করপোরেশন এবং বিআইডব্লিউটিএর মধ্যে দ্বন্দ্ব আছে। তাদেরকে ম্যানেজ করেই ব্যবসায়ীদের চলতে হয়।
খুলনা শহরের কাস্টম ঘাট এলাকায় সরকারের ৩ দশমিক ৩৩ একর জমি দখল করে রেখেছেন স্থানীয় আওয়ামী ও বিএনপি নেতারা। সেখানে সিটি করপোরেশন একবার প্রকল্প নিয়েছিল, তবে বাস্তবায়ন করতে পারেনি। এরপর সরকারের যানবাহন অধিদপ্তর সেখানে প্রকল্প হাতে নিয়েও কাজ শুরু করতে পারেনি। সূত্র বলছে, আওয়ামী লীগ নেতাদের ‘হাত লম্বা ছিল’। তাই কিছু করা যায়নি। বর্তমানে বিএনপির নেতারা গায়ের জোরে জায়গা দখল করে রেখেছেন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ১০ বছর আগে খুলনা শহর রক্ষা বাঁধ প্রকল্পের আওতায় খুলনার ভৈরব নদ ও রূপসা নদীর তীরে হাঁটাচলার জন্য ‘ওয়াকওয়ে’ নির্মাণ প্রকল্পের কাজ শুরু করে খুলনা সিটি করপোরেশন। প্রকল্পের আওতায় ভৈরব নদের অংশের কাজ শেষ হলেও অবৈধ দখলদারদের বাধার কারণে রূপসা নদীর ১ ও ২ নম্বর কাস্টম ঘাট অংশের কাজ করতে পারেনি করপোরেশন। আওয়ামী লীগ ও বিএনপির নেতারা স্থানীয় ব্যবসায়ীদের সঙ্গে নিয়ে মিছিল-মিটিং, বিক্ষোভ করে করপোরেশনের কাজ ঠেকিয়ে দেন।
জেলা প্রশাসনের সূত্রে জানা গেছে, ২০১৭ সালে খুলনায় কেন্দ্রীয় নৌযান মেরামত কারখানা এবং আধুনিক নৌযান প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট নির্মাণের উদ্যোগ নেয় সরকারি যানবাহন অধিদপ্তর। তখন জেলা প্রশাসন এই কাস্টম ঘাট এলাকার ৩ দশমিক ৩৩ একর জায়গা অধিদপ্তরকে দেয়। তখন ওই জমির বাজারমূল্য ছিল ৫৭ কোটি টাকার বেশি; বর্তমানে তা প্রায় ১০০ কোটি টাকা। যানবাহন অধিদপ্তর ৭ বছর আগে এই জায়গা পেয়েছে। তবে কোনো কাজ এখনো করতে পারেনি।
প্রকল্পের সর্বশেষ অবস্থা সম্পর্কে জানতে চাইলে সরকারি যানবাহন অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক (নৌ) মো. সাদ্দাম হোসেন বলেন, ‘২০১৭ সালে জমি বুঝে পাওয়া যায়। তবে দখলদারদের উচ্ছেদ করা যায়নি। যখনই প্রকল্পের কাজ নিয়ে মাপজোখ হয়, তখনই আন্দোলনে নামেন দখলদারেরা। মিছিল সমাবেশ, মানববন্ধন, সংবাদ সম্মেলন, স্মারকলিপি দেওয়ার মতো কর্মসূচি দিয়ে বাধাগ্রস্ত করেন তাঁরা।
সম্প্রতি এই এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, ২ নম্বর কাস্টম ঘাট মোড়ে রয়েছে ‘মনোলিথ কনস্ট্রাকশন’। এর মালিক বিএনপির নেতা ও সাবেক কাউন্সিলর মাহবুব কায়সার। এই প্রতিষ্ঠানের প্রায় ১০০ গজ উত্তরে রয়েছে সিটি করপোরেশনরে সাবেক মেয়র তালুকদার আবদুল খালেকের ছোট ভাই তালুকদার আবদুল জলিলের ইট, বালু, পাথরের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান। এ দুটি প্রতিষ্ঠানই সরকারি জায়গায়। এলাকায় রয়েছে আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী নেতা মিন্টু কাগজীর ‘রকি ডক ইয়ার্ড’ নামের একটি নৌযান কারখানা। সাবেক সংসদ সদস্য শেখ হেলাল উদ্দিন, তাঁর ভাই সাবেক সংসদ সদস্য শেখ সালাহউদ্দিন জুয়েল এবং বিসিবির সাবেক পরিচালক শেখ সোহেল এবং শেখ রুবেল, সদর থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি সাইফুলের কার্গো জাহাজগুলো এই কারখানায় মেরামত এবং নতুন কার্গো নির্মাণ করা হয়। ফলে প্রশাসন তাঁর কাছে অনেকটাই জিম্মি। বর্তমানে তিনি বিএনপির এক প্রভাবশালী নেতার আশ্রয়ে দখলে রেখেছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
শুধু মাহবুব কায়সার, মিন্টু ও তালুকদার জলিলই নন; এই এলাকায় সরকারি জমি দখল করে গড়ে উঠেছে দুই শতাধিক ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান। দখল করা জায়গায় গড়ে তোলা হয়েছে ডক ইয়ার্ড, ইজিবাইকের গ্যারেজ, ইট, বালু, সিমেন্ট, পাথর, করাতকলসহ ছোট-বড় ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান। এগুলো নিয়ন্ত্রণ করেন বিএনপি ও আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী ২০ নেতা।
এই এলাকায় জায়গা দখলকারীদের মধ্যে আরও রয়েছেন আওয়ামী লীগ নেতা সাত্তার খলিফা, কমল সিদ্দিকী, মুক্তিযোদ্ধা (প্রয়াত) আব্দুল কাইয়ুম, বাবলু কাগজী, হালিম হাওলাদার, স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা আকরাম হোসেন এবং বিএনপির নেতা ময়েজ উদ্দিন চুন্নু ও পান্না, প্রয়াত ইয়াকুব আলী খানের ভাই আইয়ুব হোসেন, আবুল হোসেন ও হাবিবুর রহমান ও দলটির সমর্থক নান্টু, মনির হোসেন, ইউসুফ আলী।
এই ব্যবসায়ীদের মধ্যে পলাতক রয়েছেন সাবেক মেয়রের ভাই তালুকদার আবদুল জলিল। তাঁর বক্তব্য পাওয়া যায়নি। জানতে চাইলে বিএনপির নেতা ও ২২ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর মাহবুব কায়সার ব্যবসায়ীদের পক্ষে বলেন, ‘স্বৈরাচারী সরকার একাধিক ভুয়া প্রকল্প গ্রহণের পর বাস্তবায়নের চেষ্টা করেছে। এসব ভুয়া প্রকল্প আমরা বাস্তবায়ন করতে দেব না। তবে সরকার যদি হাসপাতাল নির্মাণের মতো ভালো প্রকল্প গ্রহণ করে, তাহলে স্বাগত জানাব।’
আরেক প্রশ্নের জবাবে মাহবুব কায়সার বলেন, এই জমির মালিকানা নিয়ে জেলা প্রশাসন, সিটি করপোরেশন এবং বিআইডব্লিউটিএর মধ্যে দ্বন্দ্ব আছে। তাদেরকে ম্যানেজ করেই ব্যবসায়ীদের চলতে হয়।
পার্বত্য খাগড়াছড়ির সীমান্তবর্তী পানছড়ির বিভিন্ন এলাকায় নির্বিচারে কাটা হচ্ছে পাহাড়। এতে ধ্বংস হচ্ছে জীববৈচিত্র্য। ছাত্র-জনতার আন্দোলনে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর পরিবর্তিত রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে একটি চক্র এই পাহাড় কাটায় জড়িত বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে।
৫ ঘণ্টা আগেমৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি ৫০ শয্যার। তবে তীব্র জনবল-সংকটে এখানে চিকিৎসাসেবা পাওয়া দুরূহ। সাতজন চিকিৎসা কর্মকর্তা (মেডিকেল অফিসার) থাকার কথা থাকলেও আছেন মাত্র একজন। ২৩ চিকিৎসকের জায়গায় রয়েছেন ১০ জন। চিকিৎসকের ঘাটতি মেটাতে সাব-অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিউনিটি মেডিকেল অফিসাররা
৫ ঘণ্টা আগেনানা সমস্যায় জর্জরিত দিনাজপুরের ফুলবাড়ী পৌরসভা। দীর্ঘদিন ধরে পৌর এলাকার রাস্তা ও ড্রেনের নাজুক অবস্থা, নেই পর্যাপ্ত ডাস্টবিন। ফলে যত্রতত্র গড়ে উঠেছে ময়লা-আবর্জনার ভাগাড়। ফলে দুর্ভোগ বেড়েছে পৌরবাসীর। নাগরিকদের অভিযোগ, নামে প্রথম শ্রেণির পৌরসভা হলেও বাড়েনি সেবার মান। তাই রাস্তা ও ড্রেনগুলো দ্রুত সংস্ক
৫ ঘণ্টা আগেময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জে ৫ কোটির বেশি টাকায় নেওয়া শতাধিক প্রকল্পে লুটপাটের অভিযোগ পাওয়া গেছে। সাবেক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সারমিনা সাত্তার ও উপজেলা প্রকৌশলী আয়েশা আখতার নিয়ম-বহির্ভূতভাবে প্রকল্প গ্রহণ ও ভুয়া প্রকল্প দেখিয়ে এই অনিয়ম করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। বিষয়টি আড়াল করতে প্রকল্পের কাগজপত্র
৫ ঘণ্টা আগে