শ্রীমঙ্গল ৫০ শয্যার হাসপাতাল
মাহিদুল ইসলাম, কমলগঞ্জ, মৌলভীবাজার
মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি ৫০ শয্যার। তবে তীব্র জনবল-সংকটে এখানে চিকিৎসাসেবা পাওয়া দুরূহ। সাতজন চিকিৎসা কর্মকর্তা (মেডিকেল অফিসার) থাকার কথা থাকলেও আছেন মাত্র একজন। ২৩ চিকিৎসকের জায়গায় রয়েছেন ১০ জন। চিকিৎসকের ঘাটতি মেটাতে সাব-অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিউনিটি মেডিকেল অফিসাররা প্রাথমিক চিকিৎসা দিচ্ছেন। প্রায় এক মাস ধরে বন্ধ অন্তঃসত্ত্বা নারীদের অস্ত্রোপচার।
এ ছাড়া অকেজো পড়ে রয়েছে এক্স-রে, আলট্রাসনোগ্রাফি ও ইসিজি মেশিন। এতে হাসপাতালে চিকিৎসাসেবা নিতে আসা রোগীদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। রোগীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, শ্রীমঙ্গল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে দীর্ঘদিন ধরে কাঙ্ক্ষিত সেবা পাওয়া যাচ্ছে না। প্রয়োজনীয় চিকিৎসক নেই, কারিগরি সমস্যা লেগেই থাকে।
শ্রীমঙ্গল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্র বলেছে, হাসপাতালে জুনিয়র কনসালট্যান্ট (বিষয়হীন) ছয়জন থাকার কথা থাকলেও রয়েছেন মাত্র একজন। মেডিকেল অফিসার/সহকারী সার্জন সাতজনের জায়গায় আছেন একজন। সিনিয়র স্টাফ নার্স পদ শূন্য সাতটি, ফার্মাসিস্ট পদ শূন্য একটি, মেডিকেল টেকনোলজিস্ট (এসআই) পদ শূন্য একটি, মেডিকেল টেকনোলজিস্ট (রেডিওগ্রাফি) পদ শূন্য একটি। এ ছাড়া হাসপাতালে পরিসংখ্যানবিদ একটি পদ শূন্য, কার্ডিওগ্রাফার পদ শূন্য একটি, কম্পিউটার অপারেটর পদ শূন্য একটি, অফিস সহকারী কাম ডাটা এন্ট্রি অপারেটর পদ শূন্য একটি, স্বাস্থ্য সহকারী পদ শূন্য চারটি, হেলথ এডুকেটর পদ শূন্য একটি, অফিস সহায়ক পদ শূন্য দুটি, ওয়ার্ড বয় পদ শূন্য দুটি, আয়া পদ শূন্য একটি, বাবুর্চি পদ শূন্য একটি এবং পরিচ্ছন্নতা কর্মী পদ শূন্য রয়েছে তিনটি। চিকিৎসক-সংকটের কারণে উপজেলার চারটি ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ কেন্দ্রের চারজন উপসহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসারকে দিয়ে ইমার্জেন্সি ডিউটি করানো হয়। এতে ব্যাহত হচ্ছে তৃণমূলের স্বাস্থ্যসেবাও।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, হাসপাতালের নারী, শিশু ও পুরুষ ওয়ার্ডের কোনো শয্যা খালি নেই। তবে পর্যাপ্ত চিকিৎসক না থাকায় হাসপাতালের চিকিৎসকদের চেম্বারের বাইরে রোগীদের দীর্ঘ লাইন লেগে থাকে। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের পরিবর্তে সাব-অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিউনিটি মেডিকেল অফিসাররা প্রাথমিক চিকিৎসা দিচ্ছেন রোগীদের। গাইনি চিকিৎসক না থাকায় অন্তঃসত্ত্বা নারীরা সেবা নিতে এসে ঘুরে যান।
হাসপাতালে ভর্তি কয়েকজন রোগী বলেন, শ্রীমঙ্গলের মতো গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাসেবা নেই বললে চলে। মাঝেমধ্যে নার্স এলেও চিকিৎসকের দেখা মেলে কম। বিদ্যুৎ চলে গেলে অন্ধকারে থাকতে হয়। টয়লেটের অবস্থা খুব খারাপ। সুস্থ মানুষ এই হাসপাতালে এলে অসুস্থ হয়ে যাবে। আবুল হাসনাত নামের একজন বলেন, ‘আমার স্ত্রী অন্তঃসত্ত্বা। এখানে এসে জানলাম, গাইনি ডাক্তার নেই। আমরা গরিব মানুষ, প্রাইভেটে ডাক্তার দেখানোর টাকা নেই।’
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক হাসপাতালের একাধিক স্টাফ বলেন, ‘প্রায় তিন সপ্তাহ ধরে গাইনি চিকিৎসক নেই হাসপাতালে। সার্জন ও গাইনি চিকিৎসক না থাকায় অন্তঃসত্ত্বা নারীরা এসে ঘুরে যান। এটা আমাদেরও খারাপ লাগে। চিকিৎসক ও নার্সের সংখ্যা রোগীর তুলনায় কম হওয়ায় খুব চাপের মধ্যে আছি।’
এ বিষয়ে শ্রীমঙ্গল উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা সিনথিয়া তাসমিন বলেন, ‘৫০ শয্যার হাসপাতাল হলেও পর্যাপ্ত জনবল না থাকায় প্রচুর চাপ যাচ্ছে। এভাবে একটা হাসপাতাল চালানো অনেক কষ্টের। এখানে জেনারেটর থাকলেও তেল বরাদ্দ না থাকায় বিদ্যুৎ চলে গেলে সমস্যায় পড়তে হয়। জনবল চেয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে চিঠি পাঠিয়েছি।’
মৌলভীবাজারের সিভিল সার্জন মো. মামুনুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘শুধু শ্রীমঙ্গল নয়, প্রতিটি হাসপাতালে চিকিৎসক-সংকট রয়েছে। সংশ্লিষ্ট সার্জন ছুটিতে থাকায় শ্রীমঙ্গলে অন্তঃসত্ত্বা নারীদের অস্ত্রোপচার বন্ধ রয়েছে। তিনি ছুটিতে থেকে আবার ছুটি চেয়েছেন, এটা কাম্য নয়। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে কয়েক দফা চিঠি দিয়েছি প্রতিটি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে জনবল বাড়ানোর জন্য। এই অল্প জনবল দিয়ে সেবা দেওয়া অনেক কঠিন।’
মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি ৫০ শয্যার। তবে তীব্র জনবল-সংকটে এখানে চিকিৎসাসেবা পাওয়া দুরূহ। সাতজন চিকিৎসা কর্মকর্তা (মেডিকেল অফিসার) থাকার কথা থাকলেও আছেন মাত্র একজন। ২৩ চিকিৎসকের জায়গায় রয়েছেন ১০ জন। চিকিৎসকের ঘাটতি মেটাতে সাব-অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিউনিটি মেডিকেল অফিসাররা প্রাথমিক চিকিৎসা দিচ্ছেন। প্রায় এক মাস ধরে বন্ধ অন্তঃসত্ত্বা নারীদের অস্ত্রোপচার।
এ ছাড়া অকেজো পড়ে রয়েছে এক্স-রে, আলট্রাসনোগ্রাফি ও ইসিজি মেশিন। এতে হাসপাতালে চিকিৎসাসেবা নিতে আসা রোগীদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। রোগীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, শ্রীমঙ্গল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে দীর্ঘদিন ধরে কাঙ্ক্ষিত সেবা পাওয়া যাচ্ছে না। প্রয়োজনীয় চিকিৎসক নেই, কারিগরি সমস্যা লেগেই থাকে।
শ্রীমঙ্গল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্র বলেছে, হাসপাতালে জুনিয়র কনসালট্যান্ট (বিষয়হীন) ছয়জন থাকার কথা থাকলেও রয়েছেন মাত্র একজন। মেডিকেল অফিসার/সহকারী সার্জন সাতজনের জায়গায় আছেন একজন। সিনিয়র স্টাফ নার্স পদ শূন্য সাতটি, ফার্মাসিস্ট পদ শূন্য একটি, মেডিকেল টেকনোলজিস্ট (এসআই) পদ শূন্য একটি, মেডিকেল টেকনোলজিস্ট (রেডিওগ্রাফি) পদ শূন্য একটি। এ ছাড়া হাসপাতালে পরিসংখ্যানবিদ একটি পদ শূন্য, কার্ডিওগ্রাফার পদ শূন্য একটি, কম্পিউটার অপারেটর পদ শূন্য একটি, অফিস সহকারী কাম ডাটা এন্ট্রি অপারেটর পদ শূন্য একটি, স্বাস্থ্য সহকারী পদ শূন্য চারটি, হেলথ এডুকেটর পদ শূন্য একটি, অফিস সহায়ক পদ শূন্য দুটি, ওয়ার্ড বয় পদ শূন্য দুটি, আয়া পদ শূন্য একটি, বাবুর্চি পদ শূন্য একটি এবং পরিচ্ছন্নতা কর্মী পদ শূন্য রয়েছে তিনটি। চিকিৎসক-সংকটের কারণে উপজেলার চারটি ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ কেন্দ্রের চারজন উপসহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসারকে দিয়ে ইমার্জেন্সি ডিউটি করানো হয়। এতে ব্যাহত হচ্ছে তৃণমূলের স্বাস্থ্যসেবাও।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, হাসপাতালের নারী, শিশু ও পুরুষ ওয়ার্ডের কোনো শয্যা খালি নেই। তবে পর্যাপ্ত চিকিৎসক না থাকায় হাসপাতালের চিকিৎসকদের চেম্বারের বাইরে রোগীদের দীর্ঘ লাইন লেগে থাকে। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের পরিবর্তে সাব-অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিউনিটি মেডিকেল অফিসাররা প্রাথমিক চিকিৎসা দিচ্ছেন রোগীদের। গাইনি চিকিৎসক না থাকায় অন্তঃসত্ত্বা নারীরা সেবা নিতে এসে ঘুরে যান।
হাসপাতালে ভর্তি কয়েকজন রোগী বলেন, শ্রীমঙ্গলের মতো গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাসেবা নেই বললে চলে। মাঝেমধ্যে নার্স এলেও চিকিৎসকের দেখা মেলে কম। বিদ্যুৎ চলে গেলে অন্ধকারে থাকতে হয়। টয়লেটের অবস্থা খুব খারাপ। সুস্থ মানুষ এই হাসপাতালে এলে অসুস্থ হয়ে যাবে। আবুল হাসনাত নামের একজন বলেন, ‘আমার স্ত্রী অন্তঃসত্ত্বা। এখানে এসে জানলাম, গাইনি ডাক্তার নেই। আমরা গরিব মানুষ, প্রাইভেটে ডাক্তার দেখানোর টাকা নেই।’
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক হাসপাতালের একাধিক স্টাফ বলেন, ‘প্রায় তিন সপ্তাহ ধরে গাইনি চিকিৎসক নেই হাসপাতালে। সার্জন ও গাইনি চিকিৎসক না থাকায় অন্তঃসত্ত্বা নারীরা এসে ঘুরে যান। এটা আমাদেরও খারাপ লাগে। চিকিৎসক ও নার্সের সংখ্যা রোগীর তুলনায় কম হওয়ায় খুব চাপের মধ্যে আছি।’
এ বিষয়ে শ্রীমঙ্গল উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা সিনথিয়া তাসমিন বলেন, ‘৫০ শয্যার হাসপাতাল হলেও পর্যাপ্ত জনবল না থাকায় প্রচুর চাপ যাচ্ছে। এভাবে একটা হাসপাতাল চালানো অনেক কষ্টের। এখানে জেনারেটর থাকলেও তেল বরাদ্দ না থাকায় বিদ্যুৎ চলে গেলে সমস্যায় পড়তে হয়। জনবল চেয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে চিঠি পাঠিয়েছি।’
মৌলভীবাজারের সিভিল সার্জন মো. মামুনুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘শুধু শ্রীমঙ্গল নয়, প্রতিটি হাসপাতালে চিকিৎসক-সংকট রয়েছে। সংশ্লিষ্ট সার্জন ছুটিতে থাকায় শ্রীমঙ্গলে অন্তঃসত্ত্বা নারীদের অস্ত্রোপচার বন্ধ রয়েছে। তিনি ছুটিতে থেকে আবার ছুটি চেয়েছেন, এটা কাম্য নয়। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে কয়েক দফা চিঠি দিয়েছি প্রতিটি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে জনবল বাড়ানোর জন্য। এই অল্প জনবল দিয়ে সেবা দেওয়া অনেক কঠিন।’
কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে এক গৃহবধূকে ধর্ষণের পাশাপাশি চুল কেটে দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। সেই সঙ্গে ঘরে থাকা টাকা, স্বর্ণালংকারসহ মালামাল লুট করে নিয়েছে তারা। যাওয়ার সময় ঘরের জামাকাপড় জড়ো করে তাতে আগুন ধরিয়ে দেয় ওই দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনায় পুলিশ একজনকে গ্রেপ্তার করে আজ শনিবার আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠিয়েছে।
৭ মিনিট আগেকাভার্ড ভ্যান চুরি করে সেটিকে টুকরো টুকরো করে বিক্রি করেছে চোর চক্র। ওই চক্রের তিন সদস্যকে শুক্রবার রাতে ময়মনসিংহ থেকে গ্রেপ্তার করেছে সাভার মডেল থানা-পুলিশ। উদ্ধার করা হয়েছে কাভার্ড ভ্যানের অংশবিশেষ।
২২ মিনিট আগেআওয়ামী লীগ সরকারের আমলে যোগ্যতা উপেক্ষা করে দলীয় আনুগত্যের ভিত্তিতে পদোন্নতি, পদায়ন ও চাকরিচ্যুতির মাধ্যমে একটি ‘দলদাস আমলাতন্ত্র’ গড়ে তোলা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছে বৈষম্যবিরোধী কর্মচারী ঐক্য ফোরাম। আজ শনিবার জাতীয় প্রেসক্লাবের মাওলানা মোহাম্মদ আকরম খাঁ হলে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব অভিযোগ তুলে ধরা
২৪ মিনিট আগেগাজীপুরের টঙ্গীতে নিজ বাসায় দুই শিশুকে বঁটি দিয়ে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। ঘটনার পরদিন শনিবার বিকেলে ওই শিশুদের বাবা আব্দুল বাতেন বাদী হয়ে টঙ্গী পূর্ব থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। অজ্ঞাত ব্যক্তি এ হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছেন বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে।
৩৪ মিনিট আগে