Ajker Patrika

খাদ্যের খোঁজে গাংনীর লোকালয়ে মুখপোড়া হনুমান

গাংনী (মেহেরপুর) প্রতিনিধি
Thumbnail image
মানুষের হাত থেকে খাবার নিচ্ছে মুখপোড়া হনুমান। মঙ্গলবার সকালে উপজেলার দেবীপুরের সাঈদ মার্কেটে। ছবি: আজকের পত্রিকা

মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে ও মাঠে ঘুরে বেড়াচ্ছে মুখপোড়া হনুমান। কখনো দল বেঁধে কিংবা দলছুট হয়ে বিভিন্ন জায়গায় দেখা যাচ্ছে হনুমানগুলোকে। খাদ্যের সন্ধানে আসা হনুমানগুলো ঢুকে পড়ছে গ্রামের মধ্যে। মানুষের হাত থেকে খাবারও নিচ্ছে।

কখনো গ্রামে থাকা বড় গাছ আবার ঘরের ছাদে, প্রাচীর, খোলা রাস্তায়, দোকানে মানুষের দেওয়া খাবার খাচ্ছে। ক্ষুধার্ত হওয়ায় হনুমানগুলোকে খাবার দিচ্ছে মানুষেরা।

স্থানীয়রা জানান, উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় কিছু মুখপোড়া হনুমান দেখা যাচ্ছে। তারা গ্রামের বড় গাছ পেলে সে গাছে অবস্থান করে। ক্ষুধা পেলে কারও ঘরের ছাদ, প্রাচীর অথবা দোকানের আশপাশে ঘোরাঘুরি করে। মাঠে খাবার না পেলে গ্রামের ভেতর প্রবেশ করে।

দেবীপুর গ্রামের সাঈদ আলী বলেন, ‘আজ আমাদের বাড়ির ছাদে তিনটি মুখপোড়া হনুমান এসেছিল। এ সময় দোকান থেকে কলা ও পাউরুটি এনে দিলে হাত থেকে নিয়ে খায়। সাধারণত মুখপোড়া হনুমানগুলো ভারত থেকে আসে। আর মাঠে যখন খাওয়ার মতো কিছু থাকে না, তখন এরা গ্রামে প্রবেশ করে।’

উপজেলার দেবীপুর গ্রামের মো. সালাউদ্দিন বলেন, ‘মাঠে কোনো খাবার না থাকায় হনুমানগুলো এলাকায় ঢুকে পড়ে। বিভিন্ন সময় প্রাচীরের ওপরে বা বাড়ির ছাদে অথবা দোকানে বসেই মানুষের দেওয়া খাবার খায়। রামদেবপুর ও মথুরাপুর এলাকায় দেখা যায় হনুমানগুলোকে। তবে মথুরাপুর এলাকায় বেশি দেখা যায়। কিছু মুখপোড়া হনুমান দেখেছি আমাদের এলাকায় ঘোরাঘুরি করছে।’

উপজেলার করমদী গ্রামের স্বপন আলী বলেন, গতকাল মাঠপাড়া করমদীতে ৪-৫টা হনুমান দেখা গেছে। এর মধ্যে একটা বাচ্চা হনুমানও রয়েছে। হনুমানগুলো মানুষের হাত থেকে খাবার নিয়ে খায়। অনেক লোকের মধ্যে বসে কলা, পাউরুটি, বিস্কুট নিয়েও খাচ্ছে।

হনুমান ২-এক ছাদ থেকে লাফ দিয়ে আরেক ছাদে যাচ্ছে একটি হনুমান। ছবি: আজকের পত্রিকা
হনুমান ২-এক ছাদ থেকে লাফ দিয়ে আরেক ছাদে যাচ্ছে একটি হনুমান। ছবি: আজকের পত্রিকা

উপজেলার করমদী গ্রামের তৌহিদুল ইসলাম বলেন, ‘আমাদের গ্রামে প্রতিবছর মুখপোড়া হনুমান আসে। অনেক সময় দেখা যায়, অনেক হনুমান করমদী গ্রামের জলিলের বাগানে থাকে। আর হনুমানগুলো অবস্থান করে বড় কোনো গাছে।

জেলা বন বিভাগের কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) হামিম হায়দার বলেন, ‘মুখপোড়া হনুমানগুলো অনেক সময় দলছুট হয়ে বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে পড়ে। সাধারণত এগুলো আসে ভারত থেকে। হনুমানের জন্য বরাদ্দ এখনো আসেনি। আগামী মে ও জুন মাসে আসতে পারে। আর কোনো হনুমান অসুস্থ হয়ে হলে আমরা খবর পেলে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়ে সেবার ব্যবস্থা করি।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত