Ajker Patrika

উপকূল রক্ষা বাঁধে ধস, ভাঙন আতঙ্কে এলাকাবাসী

শ্যামনগর (সাতক্ষীরা) প্রতিনিধি
উপকূল রক্ষা বাঁধে ধস, ভাঙন আতঙ্কে এলাকাবাসী

সাতক্ষীরার শ্যামনগরে উপকূল রক্ষা বাঁধের পাঁচ নম্বর পোল্ডারে প্রায় ৪০ মিটার ধসে পড়েছে। পাশাপাশি আকস্মিকভাবে দেবে গেছে দেবে। এতে আতঙ্ক তৈরি হয়েছে স্থানীয়দের মধ্যে। স্থানীয়দের দাবি, দীর্ঘদিন ধরে বাঁধ ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় থাকলেও বালুভর্তি জিও ব্যাগ না ফেলায় এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। 

গতকাল শনিবার সন্ধ্যা ও আজ রোববার ভোরে উপজেলার পশ্চিম দুর্গবাটির সাইক্লোন শেল্টারের পূর্বপাশে দুটি অংশে এ ধসের ঘটনা ঘটে। ভাঙনমুখে থাকা পাশের খোলপেটুয়া নদীর চর দেবে যাওয়ায় এমন অবস্থার সৃষ্টি হয়। এদিকে খবর পেয়ে রোববার সকালে পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। 

স্থানীয়দের অভিযোগ, ধসে যাওয়া অংশ আগে থেকে ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় ছিল। সেখানে কিছু বালুভর্তি জিও ব্যাগ ডাম্পিংয়ের জন্য অনুরোধ করা হলেও পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তারা বিষয়টি আমলে নেয়নি। হাজার হাজার বস্তা ঝাঁপা এলাকায় নষ্ট হলেও শুধুমাত্র পরিবহনের খরচের অজুহাতে সেগুলো ধসে যাওয়া পশ্চিম দুর্গবাটি এলাকায় ডাম্পিং করা হয়নি। 

দুর্গাবাটি গ্রামের সাবেক ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য নীলকান্ত রপ্তান জানান, শনিবার সন্ধ্যায় শেষ ভাটায় তাঁর বাড়ির পাশের অংশের চর আড়াআড়িভাবে প্রায় ৬০ ফুট দেবে গেছে। আজ ভোরে ভাটায় একইভাবে অপর একটি অংশের চর প্রায় ৫০ ফুট খোলপেটুয়া নদীতে তলিয়ে গেছে। কাছাকাছি দুটি অংশের চর দেবে যাওয়ায় দ্রুত তৎসংলগ্ন অংশের বাঁধের গোড়ায় ধসের সৃষ্টি হয়েছে। বর্ষা মৌসুমে নদীতে পানির চাপ বেশি থাকা সময়ে আকস্মিক বাঁধে ধসের ঘটনায় স্থানীয়দের মধ্যে আতঙ্ক তৈরি হয়েছে। 

ভামিয়া গ্রামের প্রভাষক পরীক্ষীত মন্ডল বলেন, অব্যাহত ভাঙনে ইতিমধ্যে সেখানকার প্রাথমিক বিদ্যালয় ও সাইক্লোস শেল্টারসহ অসংখ্য স্থাপনা নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে সেখানকার উপকূল রক্ষা বাঁধ নদীতে বিলীন হয়ে পূর্ব ও পশ্চিম দুর্গাবাটিসহ ভামিয়া এবং পোটাকাটলা গ্রামগুলো মুহূর্তের মধ্যে প্লাবিত হওয়ার শঙ্কা রয়েছে। 

সাতক্ষীরা পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পরিচালন ও রক্ষণ) বিভাগ-১ এর শ্যামনগর উপবিভাগীয় প্রকৌশলী মো. জাকির হোসেন বলেন, ধসের খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। ইতিমধ্যে অনুমোদন হওয়ায় প্রকল্পের আওতায় ধসের সৃষ্টি হওয়া ওই অংশে দ্রুত কাজ শুরু হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত