Ajker Patrika

সুন্দরবন উপকূলে মোখার কোনো প্রভাব পড়েনি

শ্যামনগর (সাতক্ষীরা) প্রতিনিধি
আপডেট : ১৪ মে ২০২৩, ২০: ০৫
সুন্দরবন উপকূলে মোখার কোনো প্রভাব পড়েনি

সাতক্ষীরার শ্যামনগর ও সুন্দরবন উপকূলীয় এলাকায় ঘূর্ণিঝড় মোখার কোনো ধরনের প্রভাব দেখা যায়নি। পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রশাসনের প্রস্তুতি থাকলেও মোখার ন্যূনতম বিপদ আঁচ করতে পারেনি এখানকার মানুষ। উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের বাসিন্দা ও সুন্দরবন রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে থাকা ব্যক্তিদের সঙ্গে কথা বলে মোখার প্রভাব না পড়ার কথা জানা গেছে। 

পশ্চিম সুন্দরবনের সাতক্ষীরা রেঞ্জের সহকারী বন সংরক্ষক ইকবাল হোসাইন চৌধুরী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘নৌযান নিয়ে মান্দারবাড়িয়া পর্যন্ত ঘুরেও কোথাও কোনো সমস্যা চোখে পড়েনি।’ 

নদী সম্পূর্ণ শান্ত অবস্থায় রয়েছে জানিয়ে বন সংরক্ষক আরও বলেন, ‘সুন্দরবনের মধ্যে অস্বাভাবিক কোনো জোয়ারের সৃষ্টি না হওয়ায় প্রাণীকুলের ওপর প্রভাব পড়েনি।’

স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, এক সপ্তাহ ধরে আতঙ্ক বিরাজ করলেও আজ (রোববার) সকাল থেকে শ্যামনগর ও সুন্দরবনসংলগ্ন এলাকার পরিবেশ স্বাভাবিক ছিল। মাঝেমধ্যে মেঘ-রৌদ্রের লুকোচুরি চললেও সারা দিনে কোথাও দমকা বাতাস কিংবা জড়ো আবহাওয়ার দেখা যায়নি। 

এমনকি পার্শ্ববর্তী নদ-নদীর পানি জোয়ারে দু-এক ফুট বৃদ্ধি পেলেও তা বিপজ্জনক পর্যায়ে পৌঁছায়নি। এ ছাড়া দিনভর কোথাও সামান্যতম বৃষ্টি না হলেও বেলা সাড়ে ৩টার দিকে পদ্মপুকুর ও গাবুরা উপকূলীয় এলাকায় সামান্য দমকা বাতাস বইতে থাকে।

আটুলিয়া গ্রামের জুবায়ের মাহমুদ বলেন, এক সপ্তাহ আগে পূর্বাভাস দেওয়ার পর থেকে মোখা নিয়ে তাঁরা চরম দুশ্চিন্তায় ছিলেন। তবে শনিবারের স্বাভাবিক আবহাওয়ার পর আজ সারা দিন তাঁরা মোখার ন্যূনতম প্রভাব বুঝতে পারেননি। 

গাবুরা দৃষ্টিনন্দন এলাকার মোবাশ্শির বিল্লাহ জানান, প্রতিদিনের মতো আজ তাঁরা নির্বিঘ্নে কাটিয়ে দিয়েছেন। তাঁদের ইউনিয়নকে চারপাশে ঘিরে থাকা উপকূল রক্ষা বাঁধ নিয়ে চরম আতঙ্ক থাকলেও মোখা কক্সবাজারের দিকে সরে যাওয়ায় এ যাত্রায় তাঁদের রক্ষা মিলেছে। 

শ্যামনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আক্তার হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘স্বেচ্ছাসেবকসহ ১০৩টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুতের পাশাপাশি নৌবাহিনী, কোস্টগার্ড আর অপরাপর প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে সব ধরনের প্রস্তুতি ছিল। তবে প্রভাব না থাকায় কেউ এসব আশ্রয়কেন্দ্রে আসেনি, প্রবল শক্তিশালী মোখার কোনো প্রভাব স্থানীয়দের ওপর পড়েনি।’ 

 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত