Ajker Patrika

ইবির শেখ রাসেল হলে সিট বরাদ্দে অনিয়মের অভিযোগ

ইবি প্রতিনিধি
আপডেট : ৩১ অক্টোবর ২০২১, ১৩: ০২
ইবির শেখ রাসেল হলে সিট বরাদ্দে অনিয়মের অভিযোগ

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) শেখ রাসেল হল কর্তৃপক্ষ সিট বরাদ্দের জন্য শিক্ষার্থীদের হল অফিসে ২০০ টাকা জমা দিতে বলেছিল। ৩ অক্টোবর ওই বিজ্ঞপ্তি দেওয়ার চার দিনের মাথায় ২০০ শিক্ষার্থী সিটের জন্য টাকা জমা দেন। এ ক্ষেত্রে কোনো রসিদও দেওয়া হয়নি। পরে জানা গেল, হলে সিট ফাঁকা আছে মাত্র ২২টি। এমন ঘটনাকে সিট-বাণিজ্য বলে অভিযোগ করেছেন আবেদনকারী শিক্ষার্থীরা।

আবেদনকারীরা জানান, হল কর্তৃপক্ষ বিজ্ঞপ্তিতে সিটসংখ্যা উল্লেখ করেনি। এ জন্য ২২ সিটের বিপরীতে ২০০ জন শিক্ষার্থী আবেদন করেছেন। আবেদনকারীরা নগদ ২০০ টাকা দিয়ে আবেদন ফরম কিনে পূরণ করে জমা দিয়েছেন। তবে হল কর্তৃপক্ষ কোনো রসিদ দেয়নি।

আবেদনকারীদের প্রশ্ন, হল কর্তৃপক্ষ সিটের সংখ্যা জেনেও কেন এত আবেদন নিল? হল কর্তৃপক্ষ কি সিট-বাণিজ্য শুরু করেছে? 

এদিকে আবেদনের সময় শেষ হওয়ার তিন দিন পর ২২ শিক্ষার্থীর তালিকা প্রকাশ করেছে হল কর্তৃপক্ষ। এই পরিস্থিতিতে শিক্ষার্থীরা বলছেন, সাক্ষাৎকার নিয়ে, রেজাল্ট দেখে সিট বরাদ্দ দেওয়া হয়। কিন্তু হল প্রশাসন এসব না করেই তালিকা প্রকাশ করেছে। এই তালিকায় কোনো নিয়মনীতি অনুসরণ করেনি। তা ছাড়া কোনো প্রাতিষ্ঠানিক কাজেই হাতে হাতে টাকা নেওয়ার কোনো নিয়মও বিশ্ববিদ্যালয়ে নেই। 

এ বিষয়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. তপন কুমার জোদ্দার বলেন, ‘আমার হলের সব টাকাপয়সার লেনদেন ব্যাংকের মাধ্যমে করা হয়। এর ব্যত্যয় ঘটানো সম্ভব নয়। সিট বরাদ্দের ক্ষেত্রে সশরীরে সাক্ষাৎকার নিয়ে আরও কিছু বিষয় বিবেচনা করা হয়।’ 

শেখ রাসেল হল প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. রবিউল ইসলাম বলেন, ‘এটি বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্ধারিত কোনো ফি না। হল কর্তৃপক্ষ ফরমের টাকা নির্ধারণ করেছে। তাই ব্যাংকে জমা দেওয়ার বাধ্যবাধকতা নেই।’ 

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক আলমগীর হোসেন ভূঁইয়া বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের যাবতীয় টাকাপয়সার লেনদেন হয় শাখা অগ্রণী ব্যাংকের মাধ্যমে। শেখ রাসেল হলে হাতে টাকা নেওয়ার বিষয়টি আমার জানা নেই। বিষয়টি দেখতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের সব কাজ নিয়মের মধ্যে হওয়া উচিত। এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা দেওয়া হবে।’ 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত