কয়রা প্রতিনিধি
খুলনার কয়রা উপজেলার ৪ নং মহারাজপুর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল মাহমুদের বিরুদ্ধে ইউনিয়ন পরিষদের সচিব মো. ইকবাল হোসেনকে পেটানোর অভিযোগ উঠেছে। গতকাল সোমবার সন্ধ্যায় এ মারপিটের ঘটনা ঘটে।
ইউনিয়ন পরিষদের সচিব ইকবালের দাবি, খবর পেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও কয়রা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ঘটনাস্থলে এসে সমঝোতার চেষ্টা করেন। একপর্যায়ে উভয় পক্ষের ঘটনার বর্ণনা শুনে ইউএনওকে সাদা কাগজে লিখিত নিয়ে তাঁকে বাড়ি পাঠান।
ইউনিয়ন পরিষদের সচিব ইকবালের বর্তমানে আহত অবস্থায় তিনি এখন খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন।
ইউপি সচিব ইকবাল হোসেন বলেন, আমি ইউনিয়ন পরিষদ থেকে কাজ শেষ করে বাড়ি আসি। আসার পরে কিবরিয়া ও হাফিজুল নামে দুজন পুনরায় পরিষদে নিয়ে যেতে বাড়ি আসেন। তাদের কথাবার্তায় তখন আমি ভয় পাই। আমি স্থানীয় সরকার খুলনার উপপরিচালক স্যারকে ফোন দিয়ে অবহিত করে বাড়ি থেকে বের হই। পরিষদে প্রবেশের সঙ্গে সঙ্গেই মোবাইল নিয়ে নেয়। পরে দরজা দিয়ে প্রচুর পেটায়। আমি পা ধরেছি, তবুও পেটানো বন্ধ করেননি। একপর্যায়ে ইউএনও স্যার ও ওসি স্যার আসার পরে সব ঘটনা শোনেন। শোনার পরে ইউএনও স্যার আমাকে বলেন, জানাজানি হলে চাকরি চলে যাবে। তা ছাড়া বিভিন্ন সমস্যা হবে। আমি তখন যন্ত্রণায় কাতর ছিলাম। চিকিৎসা নেওয়ার জন্য বের হতে চাইলেও আসতে দেয়নি। পরে বাধ্য হয়ে সাদা কাগজে স্বাক্ষর দিয়ে চলে আসি।
ইকবালের মা রোকেয়া বেগম বলেন, খবর পেয়ে আমি পরিষদে যাই। চেয়ারম্যানের লোকজন আমার কাছ থেকে মোবাইল কেড়ে নেয় এবং ছেলের সঙ্গে দেখা করতে না দিয়ে অন্য জায়গায় নিয়ে ভয়ভীতি দেখায়। মীমাংসার জন্য চাপ দেয়। পরবর্তীতে ইউএনও স্যারের উপস্থিতিতে পুনরায় মারার পরিকল্পনা করলে স্যারকে বলি, আমাদের মাফ করেন। যা হয়েছে এ পর্যন্ত মীমাংসা করে আমাদের যেতে দেন। পরে লিখিত দিয়ে ছেলেকে নিয়ে বাড়ি আসি।
চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ বলেন, ‘একটি পঙ্গু লোক এসেছিল ওয়ারেশ কায়েমের জন্য। আমি তখন সচিবের স্বাক্ষরের জন্য পাঠালাম। সে এসে বলল, সচিব নেই। তখন ৫টা ১৫ মিনিট। তখন সচিবকে ফোন দিলাম। সে ধরে না। কয়েকবার ফোন দেওয়ার পরে ধরে বলে আমি বাজারের আছি এখন আসতে পারব না। তখন ইকবালকে বললাম পঙ্গু লোকটি আবার কাল আসবে। সে আমাকে বলল আমি ১০-৫টা অফিস করব। এরপরে আর কাজ করতে পারব না। তখন আমি ২ জনকে পাঠালাম তাকে ডেকে আনার জন্য। সে আসল আমার রুমে গেল তখন কথাবার্তা হলো। সে ভুল স্বীকার করল। এর মধ্যে ছড়িয়ে পড়ল আমি ইকবালকে মেরেছি। তখন ইউএনও, ওসি সাব অনেকে এল। আজ সকালে শুনছি তাকে আমি মেরেছি।’
কয়রা থানার ওসি মো. রবিউল হোসেন বলেন, সেখানে একটি ঘটনা ঘটেছে এমন খবর পেয়ে আমরা সেখানে গিয়েছিলাম। সেখানে সে বলল যে আমার কিছু হয়নি একটু ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে বলে ইউএনও সাহেবের কাছে লিখিত দিয়ে তারা চলে আসল। আমিও চলে আসলাম।
কয়রার ইউএনও অনিমেষ বিশ্বাস বলেন, ঘটনা শুনেই আমি ও ওসি সাহেব সেখানে যাই তখন সে (ইকবাল) বলেছে আমার কিছু হয়নি। চেয়ারম্যানের সঙ্গে একটি ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে। আমরা সমাধান করে নিয়েছি। তখন আমি বললাম তাহলে একটি লিখিত দাও। সে লিখিত দিয়ে চলে গেল। ওসি সাহেব তাঁকে অনেকবার এই বিষয়ে জানতে চাইল সে তখন কেন বলল না। তা ছাড়া কয়রা হাসপাতাল থাকতে কেন খুলনায় গিয়ে ভর্তি হলো। এ বিষয়গুলোর উত্তর পাওয়া যাচ্ছে না।
স্থানীয় সরকার খুলনার উপপরিচালক মো. ইকবাল হোসেন বলেন, গত সোমবার রাতে সে আমায় ফোন দিয়েছিল। সে বলেছিল চেয়ারম্যানের লোক তাকে নিয়ে যাচ্ছে। আমি তখন ইউএনওকে বিষয়টি জানাই। পরে রাতে ইকবাল ফোন করে বলল কোন সমস্যা হয়নি। আজ মঙ্গলবার সকালে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ইকবাল ভর্তি হলে আমি গিয়ে দেখি তার বাম হাতে ব্যান্ডেজ। তাকে দেখে মনে হচ্ছে বেশ মারধর করা হয়েছে। আমি ইকবালের কাছে জানতে চাইলাম কাল রাতে কেন মিথ্যা কথা বললে, উত্তরে সে বলল আমাকে খুব ভয়ভীতি দেখানো হচ্ছিল। আমি ইউএনওকে পাঠালাম বিষয়টি দেখার জন্য ইকবালকে সাহায্য করার জন্য কিন্তু তিনি তিনি কি করলেন বুঝতে পারলাম না। এখন আমি জেলা প্রশাসকের সঙ্গে কথা বলে আইনি পদক্ষেপ নেব।
খুলনার কয়রা উপজেলার ৪ নং মহারাজপুর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল মাহমুদের বিরুদ্ধে ইউনিয়ন পরিষদের সচিব মো. ইকবাল হোসেনকে পেটানোর অভিযোগ উঠেছে। গতকাল সোমবার সন্ধ্যায় এ মারপিটের ঘটনা ঘটে।
ইউনিয়ন পরিষদের সচিব ইকবালের দাবি, খবর পেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও কয়রা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ঘটনাস্থলে এসে সমঝোতার চেষ্টা করেন। একপর্যায়ে উভয় পক্ষের ঘটনার বর্ণনা শুনে ইউএনওকে সাদা কাগজে লিখিত নিয়ে তাঁকে বাড়ি পাঠান।
ইউনিয়ন পরিষদের সচিব ইকবালের বর্তমানে আহত অবস্থায় তিনি এখন খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন।
ইউপি সচিব ইকবাল হোসেন বলেন, আমি ইউনিয়ন পরিষদ থেকে কাজ শেষ করে বাড়ি আসি। আসার পরে কিবরিয়া ও হাফিজুল নামে দুজন পুনরায় পরিষদে নিয়ে যেতে বাড়ি আসেন। তাদের কথাবার্তায় তখন আমি ভয় পাই। আমি স্থানীয় সরকার খুলনার উপপরিচালক স্যারকে ফোন দিয়ে অবহিত করে বাড়ি থেকে বের হই। পরিষদে প্রবেশের সঙ্গে সঙ্গেই মোবাইল নিয়ে নেয়। পরে দরজা দিয়ে প্রচুর পেটায়। আমি পা ধরেছি, তবুও পেটানো বন্ধ করেননি। একপর্যায়ে ইউএনও স্যার ও ওসি স্যার আসার পরে সব ঘটনা শোনেন। শোনার পরে ইউএনও স্যার আমাকে বলেন, জানাজানি হলে চাকরি চলে যাবে। তা ছাড়া বিভিন্ন সমস্যা হবে। আমি তখন যন্ত্রণায় কাতর ছিলাম। চিকিৎসা নেওয়ার জন্য বের হতে চাইলেও আসতে দেয়নি। পরে বাধ্য হয়ে সাদা কাগজে স্বাক্ষর দিয়ে চলে আসি।
ইকবালের মা রোকেয়া বেগম বলেন, খবর পেয়ে আমি পরিষদে যাই। চেয়ারম্যানের লোকজন আমার কাছ থেকে মোবাইল কেড়ে নেয় এবং ছেলের সঙ্গে দেখা করতে না দিয়ে অন্য জায়গায় নিয়ে ভয়ভীতি দেখায়। মীমাংসার জন্য চাপ দেয়। পরবর্তীতে ইউএনও স্যারের উপস্থিতিতে পুনরায় মারার পরিকল্পনা করলে স্যারকে বলি, আমাদের মাফ করেন। যা হয়েছে এ পর্যন্ত মীমাংসা করে আমাদের যেতে দেন। পরে লিখিত দিয়ে ছেলেকে নিয়ে বাড়ি আসি।
চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ বলেন, ‘একটি পঙ্গু লোক এসেছিল ওয়ারেশ কায়েমের জন্য। আমি তখন সচিবের স্বাক্ষরের জন্য পাঠালাম। সে এসে বলল, সচিব নেই। তখন ৫টা ১৫ মিনিট। তখন সচিবকে ফোন দিলাম। সে ধরে না। কয়েকবার ফোন দেওয়ার পরে ধরে বলে আমি বাজারের আছি এখন আসতে পারব না। তখন ইকবালকে বললাম পঙ্গু লোকটি আবার কাল আসবে। সে আমাকে বলল আমি ১০-৫টা অফিস করব। এরপরে আর কাজ করতে পারব না। তখন আমি ২ জনকে পাঠালাম তাকে ডেকে আনার জন্য। সে আসল আমার রুমে গেল তখন কথাবার্তা হলো। সে ভুল স্বীকার করল। এর মধ্যে ছড়িয়ে পড়ল আমি ইকবালকে মেরেছি। তখন ইউএনও, ওসি সাব অনেকে এল। আজ সকালে শুনছি তাকে আমি মেরেছি।’
কয়রা থানার ওসি মো. রবিউল হোসেন বলেন, সেখানে একটি ঘটনা ঘটেছে এমন খবর পেয়ে আমরা সেখানে গিয়েছিলাম। সেখানে সে বলল যে আমার কিছু হয়নি একটু ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে বলে ইউএনও সাহেবের কাছে লিখিত দিয়ে তারা চলে আসল। আমিও চলে আসলাম।
কয়রার ইউএনও অনিমেষ বিশ্বাস বলেন, ঘটনা শুনেই আমি ও ওসি সাহেব সেখানে যাই তখন সে (ইকবাল) বলেছে আমার কিছু হয়নি। চেয়ারম্যানের সঙ্গে একটি ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে। আমরা সমাধান করে নিয়েছি। তখন আমি বললাম তাহলে একটি লিখিত দাও। সে লিখিত দিয়ে চলে গেল। ওসি সাহেব তাঁকে অনেকবার এই বিষয়ে জানতে চাইল সে তখন কেন বলল না। তা ছাড়া কয়রা হাসপাতাল থাকতে কেন খুলনায় গিয়ে ভর্তি হলো। এ বিষয়গুলোর উত্তর পাওয়া যাচ্ছে না।
স্থানীয় সরকার খুলনার উপপরিচালক মো. ইকবাল হোসেন বলেন, গত সোমবার রাতে সে আমায় ফোন দিয়েছিল। সে বলেছিল চেয়ারম্যানের লোক তাকে নিয়ে যাচ্ছে। আমি তখন ইউএনওকে বিষয়টি জানাই। পরে রাতে ইকবাল ফোন করে বলল কোন সমস্যা হয়নি। আজ মঙ্গলবার সকালে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ইকবাল ভর্তি হলে আমি গিয়ে দেখি তার বাম হাতে ব্যান্ডেজ। তাকে দেখে মনে হচ্ছে বেশ মারধর করা হয়েছে। আমি ইকবালের কাছে জানতে চাইলাম কাল রাতে কেন মিথ্যা কথা বললে, উত্তরে সে বলল আমাকে খুব ভয়ভীতি দেখানো হচ্ছিল। আমি ইউএনওকে পাঠালাম বিষয়টি দেখার জন্য ইকবালকে সাহায্য করার জন্য কিন্তু তিনি তিনি কি করলেন বুঝতে পারলাম না। এখন আমি জেলা প্রশাসকের সঙ্গে কথা বলে আইনি পদক্ষেপ নেব।
রাজধানীর উত্তরা পূর্ব থানায় শিলা আক্তার নামের এক নারী বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হত্যাচেষ্টার অভিযোগে ২৭১ জনকে আসামি করে মামলা করেন। ওই মামলার ১৬৫ নম্বর আসামি গাজীপুর মহানগরীর ৫০ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সদস্য মুরাদ হোসেন বকুল। তিনি অভিযোগ করেছেন, গাজীপুর মহানগর বিএনপির সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক
১ ঘণ্টা আগেমাটির বুদ্ধ। সাধারণত মহামতি গৌতম বুদ্ধকে যে ধ্যানস্থ বসার ভঙ্গিতে দেখা যায়, এটি তেমন নয়। মাথা কাত করে এক পাশে হাতের দিকে এলিয়ে দেওয়া। আছে সুই–সুতা দিয়ে তৈরি করা বুদ্ধের চিত্র। ছাই দিয়েও আঁকা হয়েছে তাঁর ছবি।
১ ঘণ্টা আগেপাওনাদারদের ভয়ে আত্মগোপনে ছিলেন আবদুর রহিম। এর মধ্যে চট্টগ্রামের চাক্তাই খালে এক ব্যক্তির লাশ মিললে সেটি তাঁর বলে শনাক্ত করে দাফন করেন পরিবারের সদস্যরা। এবার সেই রহিমকে জীবিত খুঁজে পেয়েছে পুলিশ।
১ ঘণ্টা আগেখাগড়াছড়ির মানিকছড়ি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি চট্টগ্রামের সীমান্তবর্তী হওয়ায় আশপাশের আরও তিন উপজেলার রোগীরা এখানে ভিড় করেন। ৩১ শয্যার এই হাসপাতাল ২০২১ সালে ৫০ শয্যায় উত্তীর্ণ হলেও এখনো জনবল রয়ে গেছে আগের হিসাবেই। কিন্তু সেই অনুযায়ী ১০১ জন থাকার কথা থাকলেও কর্মরত আছেন ৫০ জন। ফলে জনবলসংকটে
১ ঘণ্টা আগে