Ajker Patrika

খুলনায় সুপেয় পানির সংকটে ৩০ হাজার মানুষ, সুন্দরবনের সব পুকুরে ঢুকেছে নোনা পানি

প্রতিনিধি
আপডেট : ২৯ মে ২০২১, ১৯: ৩৬
খুলনায় সুপেয় পানির সংকটে ৩০ হাজার মানুষ, সুন্দরবনের সব পুকুরে ঢুকেছে নোনা পানি

খুলনা: চার দিকে থই থই পানি, কিন্তু খাওয়ার পানি নেই। ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাবে বেড়িবাঁধ ভেঙে খুলনা জেলার অন্তত ৫০টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। তলিয়ে গেছে বসতভিটা, ঘর, পুকুর ও নলকূপ। এতে খাওয়ার পানির তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে। পাশাপাশি পশু-পাখির সুপেয় পানিরও সংকট দেখা দিয়েছে সুন্দরবনে। খাওয়ার পানি সংগ্রহের জন্য এ অঞ্চলের বাসিন্দাদের যেতে হচ্ছে অনেক দূরে। সুন্দরবনের পশু-পাখিরাও পড়েছে সুপেয় পানির সংকটে।

গত মঙ্গলবার ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাবে বাঁধ ভেঙে খুলনার কয়রা উপজেলার পাঁচটি ইউনিয়ন, পাইকগাছার একটি, দাকোপের দুটি ও ডুমুরিয়ার একটি ইউনিয়নের প্রায় ৫০টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। এতে পানিবন্দী হয়ে পড়েছেন অন্তত ৩০ হাজার মানুষ।

দশালিয়া গ্রামের নার্গিস আক্তারের সঙ্গে কথা হলে তিনি বলেন, নদীর পানিতে আমাদের ঘর–বাড়ি ও পুকুর তলিয়ে গেছে। পুকুরের পানি দৈনন্দিন কাজে ব্যবহার করতাম। আর খাবার পানি সংগ্রহ করতাম পাশের বাড়ির নলকূপ থেকে। কিন্তু সেই নলকূপ এখন পানির নিচে। এখন খাবার পানি সংগ্রহ করতে হচ্ছে পাশের গ্রাম থেকে।

এ দিকে কয়রা উন্নয়ন সংগ্রাম সমন্বয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক ইমতিয়াজ উদ্দিন বলেন, পানিবন্দী এলাকায় পানির কোনো সংকট নেই। আছে সুপেয় পানির সংকট। সুপেয় পানির সংকটে মানুষের অবস্থা দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে।

এদিকে জেলা প্রশাসক মো. হেলাল হোসেন বলেন, পানিবন্দী এলাকায় পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট সরবরাহ করা হয়েছে। ভ্রাম্যমাণ গাড়ির মাধ্যমে নিরাপদ পানি সরবরাহের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

অন্যদিকে ইয়াসের প্রভাবে লবণাক্ত পানিতে তলিয়ে গেছে সুন্দরবন। ফলে এখানেও দেখা দিয়েছে পশু-পাখির সুপেয় পানির সংকট। তবে বন্যপ্রাণীরা উঁচু স্থানে আশ্রয় নেওয়ায় তাদের মৃত্যু কম হয়েছে বলে জানান বনকর্মীরা।

সুন্দরবন পশ্চিম বিভাগের কর্মকর্তা আবু নাসের মোহসীন হোসেন বলেন, বনের পশ্চিম অংশের ৫৪টি পুকুরের মধ্যে ৫৩ টিতে নোনা পানি ঢুকেছে। ফলে পশুপাখিরাও সুপেয় পানির সংকটে পড়েছে।

সুন্দরবন পূর্ব বিভাগের কর্মকর্তা মুহাম্মদ বেলায়েত হোসেন বলেন, ভারী বৃষ্টি, জোয়ার ও পানি বৃদ্ধির কারণে পূর্ব সুন্দরবনের ১৯টি জেটি, ছয়টি ট্রলার, দুটি গোলঘর, একটি ফুট রেল, একটি ওয়াচ টাওয়ার, চারটি স্টাফ ব্যারাক, একটি রেস্ট হাউস ও দুটি অফিসের রাস্তার ক্ষতি হয়েছে। অন্যদিকে নয়টি মিঠাপানির পুকুরে লবণাক্ত পানি ঢুকেছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত