নিজস্ব প্রতিবেদক, খুলনা
দেশের খ্যাতিমান কবি ও বিদিশা এরশাদের বাবা আবু বকর সিদ্দিক মারা গেছেন। আজ বৃহস্পতিবার সকাল পৌনে ৬টার দিকে খুলনার বেসরকারি একটি হাসপাতালে তিনি শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন। পরে বাদ জোহর নগরীর শহীদ হাদিস পার্কে তাঁর জানাজা শেষে টুটপাড়া কবরস্থানে দাফন সম্পন্ন হয়।
গতকাল বুধবার সন্ধ্যায় কবি আবু বকর সিদ্দিককে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তিনি দীর্ঘ এক যুগ ধরে খুলনা মহানগরীর ৫ নম্বর মুন্সিপাড়া এলাকায় ছোট বোনের বাড়িতে থাকতেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কবি আবু বকরের ভাগনে মো. শরিফুল ইসলাম।
পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, বরেণ্য কবি ও শিক্ষক আবু বকর সিদ্দিকের মৃত্যুকালে বয়স হয়েছিল ৯১ বছর। দীর্ঘদিন ধরে বার্ধক্যজনিত নানা রোগে ভুগছিলেন তিনি। বিদিশা এরশাদসহ পাঁচ মেয়ে ও এক ছেলে রেখে গেছেন তিনি।
আবু বকর সিদ্দিক একাধারে ছিলেন কবি, কথাসাহিত্যিক, ছড়াকার, ঔপন্যাসিক, ছোটগল্পকার ও সমালোচক। তিনি ১৯৩৪ সালে ১৯ আগস্ট বাগেরহাট জেলার গোটাপাড়া গ্রামে নানাবাড়িতে জন্মগ্রহণ করেন। তার পৈতৃক নিবাস একই এলাকার বৈটপুর গ্রামে। বাবা মতিয়ার রহমান পাটোয়ারী ছিলেন একজন সরকারি চাকরিজীবী।
বাবার চাকরিসূত্রে আবু বকর সিদ্দিক ১৯৩৫ সাল থেকে হুগলি শহরে এবং ১৯৪৩ সাল থেকে বর্ধমানে বসবাস করেন। ১৯৪৬ সালে পঞ্চম শ্রেণিতে থাকাকালীন তাঁর প্রথম কবিতা আবদুস সাত্তার সম্পাদিত বর্ধমানের কথা পত্রিকায় ছাপা হয়।
তিনি বাগেরহাট মাধ্যমিক সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ১৯৫২ সালে মাধ্যমিক, ১৯৫৪ সালে বাগেরহাট সরকারি পিসি কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক এবং একই কলেজ থেকে ১৯৫৬ সালে স্নাতক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। পরে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলা বিভাগে ভর্তি হন এবং ১৯৫৮ সালে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন।
পেশাগত জীবনে আবু বকর সিদ্দিক শিক্ষকতাকে পেশা হিসেবে বেছে নেন। তিনি পর্যায়ক্রমে বরিশালের চাখার ফজলুল হক কলেজ, খুলনা বিএল কলেজ, কুষ্টিয়া কলেজ, বাগেরহাট পিসি কলেজ এবং রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপনা করেন।
১৯৯৪ সালের ৭ জুলাই রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক হিসেবে অবসর গ্রহণ করেন। এরপর কুইন্স ইউনিভার্সিটি ও ঢাকার নটর ডেম কলেজে অধ্যাপনা করেন।
আবু বকর সিদ্দিক কবিতা লিখতে বেশি পছন্দ করতেন। তার প্রকাশিত ধবল দুধের স্বরগ্রাম (১৯৬৯), বিনিদ্র কালের ভেলা (১৯৭৬), হে লোক সভ্যতা (১৯৮৪), মানুষ তোমার বিক্ষত দিন’সহ (১৯৮৬) আঠারোটি কাব্যগ্রন্থ রয়েছে। আছে হট্ট মালা (২০০১) নামে একটি ছড়াগ্রন্থও।
তার লেখা গল্পগ্রন্থের সংখ্যা ১০টি। তিনি জলরাক্ষস (১৯৮৫), খরাদাহ, একাত্তরের হৃদয় ভস্ম, বারুদপোড়া প্রহর (১৯৯৬) নামে উপন্যাস লিখেছেন।
সাহিত্যে অবদানের জন্য কবি আবু বকর সিদ্দিক ভূষিত হয়েছেন বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার (১৯৮৮), বাংলাদেশ কথাশিল্পী সংসদ পুরস্কার, বঙ্গভাষা সংস্কৃতি প্রচার সমিতি পুরস্কার (কলকাতা), খুলনা সাহিত্য পরিষদ পুরস্কার, বাগেরহাট ফাউন্ডেশন পুরস্কার, ঋষিজ পদকসহ দেশি-বিদেশি বহু পুরস্কার ও সম্মাননায়।
দেশের খ্যাতিমান কবি ও বিদিশা এরশাদের বাবা আবু বকর সিদ্দিক মারা গেছেন। আজ বৃহস্পতিবার সকাল পৌনে ৬টার দিকে খুলনার বেসরকারি একটি হাসপাতালে তিনি শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন। পরে বাদ জোহর নগরীর শহীদ হাদিস পার্কে তাঁর জানাজা শেষে টুটপাড়া কবরস্থানে দাফন সম্পন্ন হয়।
গতকাল বুধবার সন্ধ্যায় কবি আবু বকর সিদ্দিককে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তিনি দীর্ঘ এক যুগ ধরে খুলনা মহানগরীর ৫ নম্বর মুন্সিপাড়া এলাকায় ছোট বোনের বাড়িতে থাকতেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কবি আবু বকরের ভাগনে মো. শরিফুল ইসলাম।
পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, বরেণ্য কবি ও শিক্ষক আবু বকর সিদ্দিকের মৃত্যুকালে বয়স হয়েছিল ৯১ বছর। দীর্ঘদিন ধরে বার্ধক্যজনিত নানা রোগে ভুগছিলেন তিনি। বিদিশা এরশাদসহ পাঁচ মেয়ে ও এক ছেলে রেখে গেছেন তিনি।
আবু বকর সিদ্দিক একাধারে ছিলেন কবি, কথাসাহিত্যিক, ছড়াকার, ঔপন্যাসিক, ছোটগল্পকার ও সমালোচক। তিনি ১৯৩৪ সালে ১৯ আগস্ট বাগেরহাট জেলার গোটাপাড়া গ্রামে নানাবাড়িতে জন্মগ্রহণ করেন। তার পৈতৃক নিবাস একই এলাকার বৈটপুর গ্রামে। বাবা মতিয়ার রহমান পাটোয়ারী ছিলেন একজন সরকারি চাকরিজীবী।
বাবার চাকরিসূত্রে আবু বকর সিদ্দিক ১৯৩৫ সাল থেকে হুগলি শহরে এবং ১৯৪৩ সাল থেকে বর্ধমানে বসবাস করেন। ১৯৪৬ সালে পঞ্চম শ্রেণিতে থাকাকালীন তাঁর প্রথম কবিতা আবদুস সাত্তার সম্পাদিত বর্ধমানের কথা পত্রিকায় ছাপা হয়।
তিনি বাগেরহাট মাধ্যমিক সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ১৯৫২ সালে মাধ্যমিক, ১৯৫৪ সালে বাগেরহাট সরকারি পিসি কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক এবং একই কলেজ থেকে ১৯৫৬ সালে স্নাতক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। পরে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলা বিভাগে ভর্তি হন এবং ১৯৫৮ সালে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন।
পেশাগত জীবনে আবু বকর সিদ্দিক শিক্ষকতাকে পেশা হিসেবে বেছে নেন। তিনি পর্যায়ক্রমে বরিশালের চাখার ফজলুল হক কলেজ, খুলনা বিএল কলেজ, কুষ্টিয়া কলেজ, বাগেরহাট পিসি কলেজ এবং রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপনা করেন।
১৯৯৪ সালের ৭ জুলাই রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক হিসেবে অবসর গ্রহণ করেন। এরপর কুইন্স ইউনিভার্সিটি ও ঢাকার নটর ডেম কলেজে অধ্যাপনা করেন।
আবু বকর সিদ্দিক কবিতা লিখতে বেশি পছন্দ করতেন। তার প্রকাশিত ধবল দুধের স্বরগ্রাম (১৯৬৯), বিনিদ্র কালের ভেলা (১৯৭৬), হে লোক সভ্যতা (১৯৮৪), মানুষ তোমার বিক্ষত দিন’সহ (১৯৮৬) আঠারোটি কাব্যগ্রন্থ রয়েছে। আছে হট্ট মালা (২০০১) নামে একটি ছড়াগ্রন্থও।
তার লেখা গল্পগ্রন্থের সংখ্যা ১০টি। তিনি জলরাক্ষস (১৯৮৫), খরাদাহ, একাত্তরের হৃদয় ভস্ম, বারুদপোড়া প্রহর (১৯৯৬) নামে উপন্যাস লিখেছেন।
সাহিত্যে অবদানের জন্য কবি আবু বকর সিদ্দিক ভূষিত হয়েছেন বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার (১৯৮৮), বাংলাদেশ কথাশিল্পী সংসদ পুরস্কার, বঙ্গভাষা সংস্কৃতি প্রচার সমিতি পুরস্কার (কলকাতা), খুলনা সাহিত্য পরিষদ পুরস্কার, বাগেরহাট ফাউন্ডেশন পুরস্কার, ঋষিজ পদকসহ দেশি-বিদেশি বহু পুরস্কার ও সম্মাননায়।
চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে প্রধান শিক্ষক ছাড়াই দীর্ঘদিন ধরে চলছে ১১টি মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও মাদ্রাসা। প্রধান শিক্ষকবিহীন এসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পরিচালিত হচ্ছে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক দিয়ে। অভিযোগ রয়েছে, যেসব ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক দিয়ে প্রতিষ্ঠানগুলো পরিচালিত হচ্ছে, তাঁদের অনেকেরই প্রধান শিক্ষক হওয়ার যোগ
৫ ঘণ্টা আগেদুই দশক কিছুটা শান্ত থাকার পর কুড়িগ্রামের চিলমারী-রৌমারী-রাজিবপুর নৌপথে আবার ডাকাতের দৌরাত্ম্য বেড়েছে। এক মাসের ব্যবধানে দুবার ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। এ দুই ঘটনায় আইনগত কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। প্রতিরোধেও কার্যকর উদ্যোগ নেই স্থানীয় প্রশাসনের। আবার ডাকাতি শুরু হওয়ায় ১৪ কিলোমিটার এই নৌপথের নৌযান, যাত্রী
৬ ঘণ্টা আগেরাত ১০টার দিকে ওই দুই যুবক মোটরসাইকেলে করে আড়ংঘাটা থানার লতার বাইপাস মোড় লিংক রোড থেকে বাইপাস মহাসড়ক পার হচ্ছিলেন। এ সময়ে আফিলগেট থেকে খুলনাগামী একটি বাস তাঁদের ধাক্কা দেয়।
৭ ঘণ্টা আগেনোয়াখালীর হাতিয়ায় গভীর রাতে বসতঘরে আগুন লেগে নিমাই চন্দ্র মজুমদার ও তাঁর স্ত্রী মিলনবালার মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার (৩১ জানুয়ারী) চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নেওয়ার পথে বিকেল ৫টায় নিমাই চন্দ্রের মৃত্যু হয়। হাসপাতালে পৌছার পর রাত ৯টার দিকে মিলন বালাও মারা যান।
৭ ঘণ্টা আগে