কেশবপুর (যশোর) প্রতিনিধি
আগামীকাল মঙ্গলবার বাংলা সাহিত্যে অমিত্রাক্ষর ছন্দের প্রবর্তক মহাকবি মাইকেল মধুসূদন দত্তের ১৯৮ তম জন্মবার্ষিকী। প্রত্যেক বছরই তাঁর জন্মদিন উপলক্ষে সাগরদাঁড়িতে মধুমেলা অনুষ্ঠিত হয়। কিন্তু মহামারি করোনার কারণে এবার মধুমেলা অনুষ্ঠিত হচ্ছে না।
জানা যায়, আগামীকাল মাইকেল মধুসূদন দত্তের জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে কেশবপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এম এম আরাফাত হোসেনের সভাপতিত্বে মহাকবির জীবনীসহ তাঁর সাহিত্যের ওপর ভার্চুয়াল আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে। সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে আলোচনা করবেন, যশোর জেলা প্রশাসক তমিজুল ইসলাম খান। এ ছাড়া মধুকবির আবক্ষে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করা হবে। তবে মহামারি করোনার কারণে এবার কবির জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে সাগরদাঁড়িতে মধুমেলা অনুষ্ঠিত হচ্ছে না।
ঊনবিংশ শতাব্দীর বিশিষ্ট বাঙালি কবি ও নাট্যকার তথা বাংলার নবজাগরণ সাহিত্যের অন্যতম ব্যক্তিত্ব ছিলেন মহাকবি মাইকেল মধুসূদন দত্ত। ১৮২৪ সালের ২৫ জানুয়ারি যশোরের কেশবপুর উপজেলার কপোতাক্ষ নদের তীরে সাগরদাঁড়ি গ্রামের বিখ্যাত দত্ত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন তিনি। তাঁর বাবা জমিদার রাজ নারায়ণ দত্ত আর মা জাহ্নবী দেবী। তিনি ১৮৫৩ সালে খ্রিষ্টান ধর্ম গ্রহণ করেন। তখন থেকে তাঁর নামের সঙ্গে ‘মাইকেল’ যুক্ত হয়। তিনি ‘পদ্মাবতী’ নাটক, ‘একেই বলে সভ্যতা’ ও ‘বুড়ো শালিকের ঘাড়ে রোঁ’ নামের দুটি প্রহসন, ‘মেঘনাদবধ কাব্য’, ‘ব্রজাঙ্গনা কাব্য’, ‘কৃষ্ণকুমারী’ নাটক, ‘বীরাঙ্গনা কাব্য’ ও ‘চতুর্দশপদী কবিতাবলী’ রচনা করেন। বাংলা সাহিত্যে গাম্ভীর্যপূর্ণ অমিত্রাক্ষর ছন্দের প্রবর্তক তিনি।
প্রাকৃতিক অপূর্ব লীলাভূমি, পাখি ডাকা, ছায়া ঢাকা, শস্য সম্ভারে সমৃদ্ধ সাগরদাঁড়ি গ্রাম আর বাড়ির পাশে বয়ে চলা স্রোতস্বিনী কপোতাক্ষের সঙ্গে মিলেমিশে শিশু মধুসূদন ধীরে ধীরে শৈশব থেকে কৈশোর এবং কৈশোর থেকে পরিণত যুবক হয়ে ওঠেন। কপোতাক্ষ নদ আর মধুসূদনের মধ্যে গড়ে উঠে ভালোবাসার এক অবিচ্ছেদ্য বন্ধন। মধুকবি যখন জন্মগ্রহণ করেন সে সময়ে আজকের এই মৃত প্রায় কপোতাক্ষ নদ কাকের কালো চোখের মতো স্বচ্ছ জলের জোয়ার ভাটায় ছিল পূর্ণ। নদের প্রশস্ত বুক চিরে ভেসে যেত পাল তোলা সারি সারি নৌকার বহর আর মাঝির কণ্ঠে শোনা যেত হরেক রকম প্রাণ উজাড় করা ভাটিয়ালি গান। শিশু মধুসূদন এসব অপলক দৃষ্টিতে দেখে মুগ্ধ হতেন। স্রোতস্বিনী কপোতাক্ষের অবিশ্রান্ত ধারায় বয়ে চলা জলকে মায়ের দুধের সঙ্গে তুলনা করে ভার্সাই নগরে বসে রচনা করেন বিখ্যাত সনেট কবিতা ‘কপোতাক্ষ নদ’।
অবশেষে ১৮৭৩ সালের ২৯ জুন আলিপুর জেনারেল হাসপাতালে মহাকবি মাইকেল মধুসূদন দত্ত মৃত্যুবরণ করেন।
কেশবপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এম এম আরাফাত হোসেন বলেন, কাল মহাকবির জীবনীসহ তাঁর সাহিত্যের ওপর ভার্চুয়াল আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে। মহামারি করোনা ভাইরাসের কারণে এবারও কবির জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে সাগরদাঁড়িতে মধুমেলা অনুষ্ঠিত হচ্ছে না।
আগামীকাল মঙ্গলবার বাংলা সাহিত্যে অমিত্রাক্ষর ছন্দের প্রবর্তক মহাকবি মাইকেল মধুসূদন দত্তের ১৯৮ তম জন্মবার্ষিকী। প্রত্যেক বছরই তাঁর জন্মদিন উপলক্ষে সাগরদাঁড়িতে মধুমেলা অনুষ্ঠিত হয়। কিন্তু মহামারি করোনার কারণে এবার মধুমেলা অনুষ্ঠিত হচ্ছে না।
জানা যায়, আগামীকাল মাইকেল মধুসূদন দত্তের জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে কেশবপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এম এম আরাফাত হোসেনের সভাপতিত্বে মহাকবির জীবনীসহ তাঁর সাহিত্যের ওপর ভার্চুয়াল আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে। সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে আলোচনা করবেন, যশোর জেলা প্রশাসক তমিজুল ইসলাম খান। এ ছাড়া মধুকবির আবক্ষে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করা হবে। তবে মহামারি করোনার কারণে এবার কবির জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে সাগরদাঁড়িতে মধুমেলা অনুষ্ঠিত হচ্ছে না।
ঊনবিংশ শতাব্দীর বিশিষ্ট বাঙালি কবি ও নাট্যকার তথা বাংলার নবজাগরণ সাহিত্যের অন্যতম ব্যক্তিত্ব ছিলেন মহাকবি মাইকেল মধুসূদন দত্ত। ১৮২৪ সালের ২৫ জানুয়ারি যশোরের কেশবপুর উপজেলার কপোতাক্ষ নদের তীরে সাগরদাঁড়ি গ্রামের বিখ্যাত দত্ত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন তিনি। তাঁর বাবা জমিদার রাজ নারায়ণ দত্ত আর মা জাহ্নবী দেবী। তিনি ১৮৫৩ সালে খ্রিষ্টান ধর্ম গ্রহণ করেন। তখন থেকে তাঁর নামের সঙ্গে ‘মাইকেল’ যুক্ত হয়। তিনি ‘পদ্মাবতী’ নাটক, ‘একেই বলে সভ্যতা’ ও ‘বুড়ো শালিকের ঘাড়ে রোঁ’ নামের দুটি প্রহসন, ‘মেঘনাদবধ কাব্য’, ‘ব্রজাঙ্গনা কাব্য’, ‘কৃষ্ণকুমারী’ নাটক, ‘বীরাঙ্গনা কাব্য’ ও ‘চতুর্দশপদী কবিতাবলী’ রচনা করেন। বাংলা সাহিত্যে গাম্ভীর্যপূর্ণ অমিত্রাক্ষর ছন্দের প্রবর্তক তিনি।
প্রাকৃতিক অপূর্ব লীলাভূমি, পাখি ডাকা, ছায়া ঢাকা, শস্য সম্ভারে সমৃদ্ধ সাগরদাঁড়ি গ্রাম আর বাড়ির পাশে বয়ে চলা স্রোতস্বিনী কপোতাক্ষের সঙ্গে মিলেমিশে শিশু মধুসূদন ধীরে ধীরে শৈশব থেকে কৈশোর এবং কৈশোর থেকে পরিণত যুবক হয়ে ওঠেন। কপোতাক্ষ নদ আর মধুসূদনের মধ্যে গড়ে উঠে ভালোবাসার এক অবিচ্ছেদ্য বন্ধন। মধুকবি যখন জন্মগ্রহণ করেন সে সময়ে আজকের এই মৃত প্রায় কপোতাক্ষ নদ কাকের কালো চোখের মতো স্বচ্ছ জলের জোয়ার ভাটায় ছিল পূর্ণ। নদের প্রশস্ত বুক চিরে ভেসে যেত পাল তোলা সারি সারি নৌকার বহর আর মাঝির কণ্ঠে শোনা যেত হরেক রকম প্রাণ উজাড় করা ভাটিয়ালি গান। শিশু মধুসূদন এসব অপলক দৃষ্টিতে দেখে মুগ্ধ হতেন। স্রোতস্বিনী কপোতাক্ষের অবিশ্রান্ত ধারায় বয়ে চলা জলকে মায়ের দুধের সঙ্গে তুলনা করে ভার্সাই নগরে বসে রচনা করেন বিখ্যাত সনেট কবিতা ‘কপোতাক্ষ নদ’।
অবশেষে ১৮৭৩ সালের ২৯ জুন আলিপুর জেনারেল হাসপাতালে মহাকবি মাইকেল মধুসূদন দত্ত মৃত্যুবরণ করেন।
কেশবপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এম এম আরাফাত হোসেন বলেন, কাল মহাকবির জীবনীসহ তাঁর সাহিত্যের ওপর ভার্চুয়াল আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে। মহামারি করোনা ভাইরাসের কারণে এবারও কবির জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে সাগরদাঁড়িতে মধুমেলা অনুষ্ঠিত হচ্ছে না।
চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলায় লবণের মাঠ দখল ও পূর্বশত্রুতার জেরে দুই পক্ষের সংঘর্ষ ও গোলাগুলিতে গুলিবিদ্ধসহ অন্তত অর্ধশতাধিক আহত হয়েছেন। আজ মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ৩টার দিকে উপজেলার সরল ইউনিয়নের উত্তর সরল নতুন বাজার এলাকায় স্থানীয় জাফর ও কবির গ্রুপের মধ্যে এই সংঘর্ষ হয়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ
১৯ মিনিট আগেখুলনার প্রবীণ রাজনীতিবিদ মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার এম এম মজিবর রহমানকে (৭০) গ্রেপ্তার করেছে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। আজ মঙ্গলবার বিকেলে নগরীর ময়লাপোতা মোড় এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
২২ মিনিট আগেকুড়িগ্রামে আওয়ামী লীগ নেতা অ্যাডভোকেট আমজাদ হোসেনকে গ্রেপ্তার করেছে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। আজ মঙ্গলবার সকালে শহরের নিজ বাসভবন থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তাকে আদালতে সোপর্দ করলে বিচারক কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
২৬ মিনিট আগেমুন্সিগঞ্জে অটোরিকশা ছিনতাইকালে যুবদলের এক নেতা পুলিশের হাতে আটক হয়েছেন। আজ মঙ্গলবার জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ ফিরোজ কবির এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানান। আটক সম্রাট ওরফে বাবু মিজি (৩৬) সদর উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য।
১ ঘণ্টা আগে