যশোরের মনিরামপুরে জিএইচ পাড়দিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ১০ শ্রেণির দুই ছাত্রের ওপর বহিরাগত কিশোর গ্যাং হামলা করেছে। আজ বুধবার বেলা ১০টার দিকে বিদ্যালয় চলাকালীন শ্রেণিকক্ষে ঢুকে ও দুই ছাত্রকে মারধর করে ৭-৮ জন। হামলার শিকার দুই ছাত্র রিয়াদুজ্জামান ও রাশেদুল ইসলাম।
এদিকে হামলাকারীরা ছাত্রদের মারপিট করে শিক্ষকদের সামনে দিয়ে প্রকাশ্যে বেরিয়ে গেছে। শিক্ষকেরা এ ঘটনার প্রতিবাদ না করায় ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী বিদ্যালয়ের চারতলা ভবনের প্রধান ফটকে তালা দেন। এতে ৩ ঘণ্টা অবরুদ্ধ হয়ে পড়েন ভেতরে থাকা শিক্ষকসহ ছাত্রছাত্রীরা। পরে খবর পেয়ে থানা-পুলিশ ও শ্যামকুড় ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান আলমগীর হোসেন ঘটনাস্থলে যান। তাঁদের উপস্থিতিতে দুপুর দুটার দিকে তালা খুলে দেওয়া হয়।
পাড়দিয়া এলাকার সাবেক ইউপি সদস্য ইউনুছ আলী বলেন, ‘দুদিন আগে আমাদের পাশের গ্রামের কাশিপুর বাজারে পাড়দিয়া স্কুলের অষ্টম শ্রেণির এক ছাত্রের সঙ্গে মোবাইলে গেমসের বাজি খেলে রিয়াদুজ্জামান। বাজিতে রিয়াদুজ্জামান ১০০ টাকা হেরে যায় ওই ছাত্রের কাছে। আজ বুধবার স্কুলে এসে সকালে ওই ছাত্র রিয়াদুজ্জামানের কাছে টাকা চায়। এ নিয়ে তাদের মধ্যে বাগ্বিতণ্ডা ওই ছাত্র বহিরাগত কিশোর গ্যাংকে খবর দেয়। এরপর বহিরাগত ৭-৮ জন স্কুলে ঢুকে রিয়াদুজ্জামানকে মারপিট করে। এ সময় ঠেকাতে গিয়ে হামলার শিকার হয় ১০ শ্রেণির অপর ছাত্র রাশেদুল ইসলাম।’
ইউনুছ আলী আরও বলেন, ‘হামলাকারী বহিরাগতরা দুই ছাত্রকে মেরে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবদুল গফুরের সঙ্গে দেখা করে বেরিয়ে যায়। এরপর ছাত্ররা তাদের মারধরের কথা প্রধান শিক্ষককে জানিয়ে বিচার দাবি করে। প্রধান শিক্ষক পরে দেখবেন বলে বিষয়টি উড়িয়ে দেন। প্রধান শিক্ষকের আশ্বাস না পেয়ে রিয়াদুজ্জামান কাঁদতে কাঁদতে বিদ্যালয়ের বাইরে পাড়দিয়া রাজারে আসে। বাজারের লোকজন রিয়াদুজ্জামানের কাছে ঘটনা শুনে বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষকের কাছে বিষয়টি নিয়ে কথা বলতে যান। প্রধান শিক্ষক তাঁদের পাত্তা না দেওয়ায় ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী বিদ্যালয়ের প্রধান ফটকে তালা দিয়ে প্রধান শিক্ষকের বহিষ্কারের দাবিতে অবস্থান নেন।’
মারপিটের শিকার রাশেদুল ইসলাম বলে, ‘আমরা বিদ্যালয়ের সমাবেশ শেষে দোতলায় ক্লাসের জন্য যাওয়ামাত্র ৭-৮ জন এসে আমার বন্ধু রিয়াদুজ্জামানকে মারতে থাকে। আমি ঠেকাতে গেলে ওরা আমাকেও মারে। খেলার ১০০ টাকা নিয়ে এ ঘটনা ঘটেছে।’
পাড়দিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবদুল গফুর বলেন, ‘মারপিটের ঘটনা আমি প্রথমে জানতে পারিনি। ছাত্ররা এসে অভিযোগ করার পর বিষয়টি জেনেছি। আগে জানলে হামলাকারীদের আটকে রাখতাম।’
বিদ্যালয়ের পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি কামরুজ্জামান বলেন, ‘প্রধান শিক্ষকের ফোন পেয়ে আমি বিদ্যালয়ে এসে ক্ষুব্ধ এলাকাবাসীকে শান্ত করার চেষ্টা করেছি।’
শ্যামকুড় ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান আলমগীর হোসেন বলেন, ‘পাড়দিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা জানতে পেরে আমি ঘটনাস্থলে গিয়েছি। ছাত্রদের ওপর হামলাকারীদের বিরুদ্ধে প্রধান শিক্ষককে থানায় অভিযোগ দিতে বলা হয়েছে। এ ঘটনায় প্রধান শিক্ষকের গাফিলতি আছে কিনা তা জানতে আগামী রোববার বিদ্যালয়ের পরিচালনা পর্ষদের সভা ডাকা হয়েছে।’
মনিরামপুর থানার সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) সোহেল রানা পারভেজ বলেন, ‘খবর পেয়ে দুপুরে আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করেছি। সবকিছু শুনে ছাত্রদের ওপর হামলার ঘটনায় ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষককে অভিযোগ দিতে বলে এসেছি।’
মনিরামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মনিরুজ্জামান বলেন, ‘পাড়দিয়া বিদ্যালয়ের ঘটনায় লিখিত কোনো অভিযোগ পাইনি। আমরা ঘটনা তদন্ত করছি। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
যশোরের মনিরামপুরে জিএইচ পাড়দিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ১০ শ্রেণির দুই ছাত্রের ওপর বহিরাগত কিশোর গ্যাং হামলা করেছে। আজ বুধবার বেলা ১০টার দিকে বিদ্যালয় চলাকালীন শ্রেণিকক্ষে ঢুকে ও দুই ছাত্রকে মারধর করে ৭-৮ জন। হামলার শিকার দুই ছাত্র রিয়াদুজ্জামান ও রাশেদুল ইসলাম।
এদিকে হামলাকারীরা ছাত্রদের মারপিট করে শিক্ষকদের সামনে দিয়ে প্রকাশ্যে বেরিয়ে গেছে। শিক্ষকেরা এ ঘটনার প্রতিবাদ না করায় ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী বিদ্যালয়ের চারতলা ভবনের প্রধান ফটকে তালা দেন। এতে ৩ ঘণ্টা অবরুদ্ধ হয়ে পড়েন ভেতরে থাকা শিক্ষকসহ ছাত্রছাত্রীরা। পরে খবর পেয়ে থানা-পুলিশ ও শ্যামকুড় ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান আলমগীর হোসেন ঘটনাস্থলে যান। তাঁদের উপস্থিতিতে দুপুর দুটার দিকে তালা খুলে দেওয়া হয়।
পাড়দিয়া এলাকার সাবেক ইউপি সদস্য ইউনুছ আলী বলেন, ‘দুদিন আগে আমাদের পাশের গ্রামের কাশিপুর বাজারে পাড়দিয়া স্কুলের অষ্টম শ্রেণির এক ছাত্রের সঙ্গে মোবাইলে গেমসের বাজি খেলে রিয়াদুজ্জামান। বাজিতে রিয়াদুজ্জামান ১০০ টাকা হেরে যায় ওই ছাত্রের কাছে। আজ বুধবার স্কুলে এসে সকালে ওই ছাত্র রিয়াদুজ্জামানের কাছে টাকা চায়। এ নিয়ে তাদের মধ্যে বাগ্বিতণ্ডা ওই ছাত্র বহিরাগত কিশোর গ্যাংকে খবর দেয়। এরপর বহিরাগত ৭-৮ জন স্কুলে ঢুকে রিয়াদুজ্জামানকে মারপিট করে। এ সময় ঠেকাতে গিয়ে হামলার শিকার হয় ১০ শ্রেণির অপর ছাত্র রাশেদুল ইসলাম।’
ইউনুছ আলী আরও বলেন, ‘হামলাকারী বহিরাগতরা দুই ছাত্রকে মেরে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবদুল গফুরের সঙ্গে দেখা করে বেরিয়ে যায়। এরপর ছাত্ররা তাদের মারধরের কথা প্রধান শিক্ষককে জানিয়ে বিচার দাবি করে। প্রধান শিক্ষক পরে দেখবেন বলে বিষয়টি উড়িয়ে দেন। প্রধান শিক্ষকের আশ্বাস না পেয়ে রিয়াদুজ্জামান কাঁদতে কাঁদতে বিদ্যালয়ের বাইরে পাড়দিয়া রাজারে আসে। বাজারের লোকজন রিয়াদুজ্জামানের কাছে ঘটনা শুনে বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষকের কাছে বিষয়টি নিয়ে কথা বলতে যান। প্রধান শিক্ষক তাঁদের পাত্তা না দেওয়ায় ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী বিদ্যালয়ের প্রধান ফটকে তালা দিয়ে প্রধান শিক্ষকের বহিষ্কারের দাবিতে অবস্থান নেন।’
মারপিটের শিকার রাশেদুল ইসলাম বলে, ‘আমরা বিদ্যালয়ের সমাবেশ শেষে দোতলায় ক্লাসের জন্য যাওয়ামাত্র ৭-৮ জন এসে আমার বন্ধু রিয়াদুজ্জামানকে মারতে থাকে। আমি ঠেকাতে গেলে ওরা আমাকেও মারে। খেলার ১০০ টাকা নিয়ে এ ঘটনা ঘটেছে।’
পাড়দিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবদুল গফুর বলেন, ‘মারপিটের ঘটনা আমি প্রথমে জানতে পারিনি। ছাত্ররা এসে অভিযোগ করার পর বিষয়টি জেনেছি। আগে জানলে হামলাকারীদের আটকে রাখতাম।’
বিদ্যালয়ের পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি কামরুজ্জামান বলেন, ‘প্রধান শিক্ষকের ফোন পেয়ে আমি বিদ্যালয়ে এসে ক্ষুব্ধ এলাকাবাসীকে শান্ত করার চেষ্টা করেছি।’
শ্যামকুড় ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান আলমগীর হোসেন বলেন, ‘পাড়দিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা জানতে পেরে আমি ঘটনাস্থলে গিয়েছি। ছাত্রদের ওপর হামলাকারীদের বিরুদ্ধে প্রধান শিক্ষককে থানায় অভিযোগ দিতে বলা হয়েছে। এ ঘটনায় প্রধান শিক্ষকের গাফিলতি আছে কিনা তা জানতে আগামী রোববার বিদ্যালয়ের পরিচালনা পর্ষদের সভা ডাকা হয়েছে।’
মনিরামপুর থানার সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) সোহেল রানা পারভেজ বলেন, ‘খবর পেয়ে দুপুরে আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করেছি। সবকিছু শুনে ছাত্রদের ওপর হামলার ঘটনায় ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষককে অভিযোগ দিতে বলে এসেছি।’
মনিরামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মনিরুজ্জামান বলেন, ‘পাড়দিয়া বিদ্যালয়ের ঘটনায় লিখিত কোনো অভিযোগ পাইনি। আমরা ঘটনা তদন্ত করছি। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
ঈদের দিন বিকেলে খেলতে ছিল হামজা। এ সময় পরিবারের সদস্যদের অগোচরে বাড়ির পাশে পুকুরে পড়ে যায় শিশুটি। অনেক খোঁজাখুঁজি করে একপর্যায়ে তাকে পুকুর পানিতে ভাসতে দেখেন স্বজনেরা। পরে দ্রুত উদ্ধার করে মাদারীপুর ২৫০ শয্যা জেলা হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক শিশুটিকে মৃত ঘোষণা করেন।
১১ মিনিট আগেআসমা বলেন, ‘মাংসের দাম বেশি। তাই সরা বছর গরুর মাংস কেনার সামর্থ্য হয় না। আমরাও মানুষ। আমাদেরও খেতে ইচ্ছে করে। তাই এক টুকরো মাংসের আশায় ঈদের দিনে ব্যাগ নিয়ে শহরে এসেছি।’
১ ঘণ্টা আগেসারিয়াকান্দিতে দাদা বাড়ি ঈদ করতে এসে পুকুরে ডুবে আদুরী আক্তার (৯) নামের এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। আজ শনিবার দুপুরের দিকে উপজেলার ফুলবাড়ি ইউনিয়নের ছাগলধরা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
২ ঘণ্টা আগেমোর্শেদুর রহমান কামাল বলেন, ‘আজকে ঈদের দিন। সবাই আনন্দ করতাছে। আর আমি আমার পরিবার ও প্রতিবেশী লোকজন নিয়া পুকুর থেকে মরা মাছ তুলতেছি। আমার জানা মতে তো কোনো শত্রু নেই। তাইলে কেডা আমার এই ক্ষতিটা করল। দুই পুকুরে প্রায় ১০ লাখ টাকার মাছ ছিল আমার। সব মইরা শেষ। ১৫ বছরের জমানো পুঁজি সব শেষ।
২ ঘণ্টা আগে