Ajker Patrika

চুয়াডাঙ্গার পাখির হাটে ভারতের কাশুড়ি থেকে দেশি কালদম

চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি­
আপডেট : ২৪ মে ২০২৫, ১৫: ৫৬
হাটের মূল আকর্ষণ কবুতর, তবে মাঝে মাঝে টিয়া, লাভ বার্ড, সাদা ঘুঘু, কোয়েল, এমনকি খরগোশও বিক্রি হয়। চুয়াডাঙ্গার বড় বাজারের মাথাভাঙ্গা ব্রিজের নিচে। ছবি: আজকের পত্রিকা
হাটের মূল আকর্ষণ কবুতর, তবে মাঝে মাঝে টিয়া, লাভ বার্ড, সাদা ঘুঘু, কোয়েল, এমনকি খরগোশও বিক্রি হয়। চুয়াডাঙ্গার বড় বাজারের মাথাভাঙ্গা ব্রিজের নিচে। ছবি: আজকের পত্রিকা

চুয়াডাঙ্গার বড় বাজারের মাথাভাঙ্গা ব্রিজের নিচে শুক্রবার ভোর থেকেই জমে ওঠে এক ব্যতিক্রমী হাট—‘পাখির হাট’। সপ্তাহে এক দিন বসা এই হাটের মূল আকর্ষণ কবুতর, তবে মাঝে মাঝে টিয়া, লাভবার্ড, সাদা ঘুঘু, কোয়েল, এমনকি খরগোশও বিক্রি হয়।

সরেজমিনে দেখা যায়, দূরদূরান্ত থেকে ক্রেতা-বিক্রেতারা ভোর ৬টা থেকেই ভিড় জমাতে থাকেন। কেউ আসেন শখে, কেউ ব্যবসায়িক উদ্দেশ্যে। হাটে দেশি কবুতরের পাশাপাশি ভারতীয় জাতের কাশুড়ি, কালদম ও কামাগার প্রজাতির কবুতরও দেখা গেছে। দামও প্রজাতি ও মানভেদে ২০০ টাকা থেকে শুরু করে ১ হাজার ৫০০ টাকা পর্যন্ত ওঠানামা করে।

মেহেরপুর থেকে আসা বিক্রেতা লাল মিয়া বলেন, ‘আমার কাছে কাশুড়ি, কালদম, কামাগার জাতের কবুতর আছে। দাম হাঁকছি ১ হাজার ৫০০ টাকা পর্যন্ত। দেশি কবুতরও এনেছি, যার দাম ২০০ থেকে ৫০০ টাকার মধ্যে। এই হাটে প্রথম এসেছি, ভালোই লাগছে।’

স্থানীয় বিক্রেতা সোনা মিয়া বলেন, ‘শখে কবুতর পুষতে গিয়ে এখন এটিই আমার পেশায় পরিণত হয়েছে। ভালো জাতের কবুতর পেলেই কিনে রাখি, পরে লাভে বিক্রি করি।’

শখের কবুতর কিনতে এসেছিলেন সদর উপজেলার হিজলগাড়ী গ্রামের আসলাম হোসেন। তিনি বলেন, ‘নর কবুতরটি ভালো লাগায় দরদাম করে ৩৫০ টাকায় কিনেছি, যদিও বিক্রেতা ৬০০ টাকা চেয়েছিলেন।’

হাটের মূল আকর্ষণ কবুতর, তবে মাঝে মাঝে টিয়া, লাভ বার্ড, সাদা ঘুঘু, কোয়েল, এমনকি খরগোশও বিক্রি হয়। চুয়াডাঙ্গার বড় বাজারের মাথাভাঙ্গা ব্রিজের নিচে। ছবি: আজকের পত্রিকা
হাটের মূল আকর্ষণ কবুতর, তবে মাঝে মাঝে টিয়া, লাভ বার্ড, সাদা ঘুঘু, কোয়েল, এমনকি খরগোশও বিক্রি হয়। চুয়াডাঙ্গার বড় বাজারের মাথাভাঙ্গা ব্রিজের নিচে। ছবি: আজকের পত্রিকা

এদিকে, সাপ্তাহিক এই হাটের রক্ষণাবেক্ষণে কাজ করছেন স্থানীয় কিছু কর্মী। তাঁদেরই একজন শাহারুক ইকবাল জ্যাকি বলেন, ‘চুয়াডাঙ্গা কবুতর হাট’ নামে প্রায় দুই বছর আগে এই হাটের উদ্বোধন করা হয়। এটি ইজারা কিংবা খাজনা আওতার বাইরে পরিচালিত হচ্ছে। প্রতিটি হাটবারে এখানে গড়ে ২০০ থেকে ৩০০ জোড়া কবুতর বিক্রি হয়। এ ছাড়া বিভিন্ন বিদেশি জাতের পাখি বিক্রির জন্য নিয়ে আসেন বিক্রেতারা।’

তিনি আরও বলেন, ‘এখানে মুক্ষী, লোটন, বাজী কবুতর, সাদা ঘুঘু, লাভবার্ড, কোয়েলসহ নানা রঙের এবং প্রজাতির পাখি বিক্রি হয়। এমনকি বিভিন্ন প্রজাতির খরগোশও এখানে বেচাকেনা হয়। দিনে দিনে হাটের পরিসর ও ক্রেতার সংখ্যা বাড়ছে, আমরা চেষ্টা করছি হাটের পরিবেশ ভালো রাখতে। বিক্রেতাদের থেকে সর্বোচ্চ ১০ টাকা করে নেওয়া হয়, হাটের পরিচ্ছন্নতাকর্মীদের পারিশ্রমিকে ব্যয়ের জন্য।’

হাটের মূল আকর্ষণ কবুতর, তবে মাঝে মাঝে টিয়া, লাভ বার্ড, সাদা ঘুঘু, কোয়েল, এমনকি খরগোশও বিক্রি হয়। চুয়াডাঙ্গার বড় বাজারের মাথাভাঙ্গা ব্রিজের নিচে। ছবি: আজকের পত্রিকা
হাটের মূল আকর্ষণ কবুতর, তবে মাঝে মাঝে টিয়া, লাভ বার্ড, সাদা ঘুঘু, কোয়েল, এমনকি খরগোশও বিক্রি হয়। চুয়াডাঙ্গার বড় বাজারের মাথাভাঙ্গা ব্রিজের নিচে। ছবি: আজকের পত্রিকা

চুয়াডাঙ্গা পৌরসভার পৌর নির্বাহী কর্মকর্তা রেজাউল করিম বলেন, ‘হাটটি দিনে দিনে জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। হাটটি আলাদা করে ইজারা দেওয়া হয় না। তবে বড় বাজার কাঁচাবাজার ইজারার সঙ্গে হাটটিকেও ধরা হয়। আমরা হাটটির উন্নয়নে আরও কাজ করব।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদের বাড়ি থেকে ভিজিএফের চাল উদ্ধার দাবিতে ছড়ানো ভিডিওটি ভিন্ন ঘটনার

দেশ টিভির কার্যালয়ে ১২০০ বস্তা চাল পাঠানো প্রয়োজন: উপদেষ্টা আসিফ

সরকারি কর্মচারীদের ১০–১৫ শতাংশ বিশেষ সুবিধা ঘোষণা করে প্রজ্ঞাপন জারি

শাহরাস্তিতে মৃত্যুর ১০ মাস পর আওয়ামী লীগ নেতার লাশ উত্তোলন

জাদুঘরে রাখা হলো একটি কনডম

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত