ইবি প্রতিনিধি
কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) হলে ছাত্রী নির্যাতনের ঘটনায় হাইকোর্ট নড়েচড়ে বসলেও এখন পর্যন্ত কোনো ব্যবস্থা নেয়নি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এ ঘটনার সত্যতা পেয়ে গত রোববার (২৬ ফেব্রুয়ারি) সকালে তদন্ত কমিটি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে সিলগালা তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়। এ ঘটনার পাঁচ দিন পেরিয়ে গেলেও আজ বৃহস্পতিবার পর্যন্ত প্রতিবেদনটি সিলগালা অবস্থায় পড়ে আছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে।
এদিকে নিয়োগ বাণিজ্যের অডিও ফাঁস হওয়ার পর গত ২৩ ফেব্রুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ আবদুস সালাম ছুটিতে যান। তিনি না থাকায় খামবন্দী প্রতিবেদনটি ওই অবস্থায় পড়ে রয়েছে।
এ বিষয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে একাধিক শিক্ষার্থী বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্যের অনুপস্থিতিতে উপ-উপাচার্যকে রুটিন দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তিনি চাইলেই উপাচার্যের সঙ্গে যোগাযোগ করে ব্যবস্থা নিতে পারেন। এ ঘটনায় তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেওয়া উচিত ছিল। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এখন পর্যন্ত ব্যর্থ।
এর আগে একই ঘটনায় অভিযোগের সত্যতা পেয়ে অভিযুক্তদের স্থায়ীভাবে সিট বাতিল করে হল কর্তৃপক্ষ। হাইকোর্টও এ ঘটনায় সাময়িক বহিষ্কারের কথা বলেছেন এবং আরও কয়েকটি নির্দেশ দিয়েছেন।
হাইকোর্টের আদেশের প্রতিক্রিয়ায় ভুক্তভোগী ওই শিক্ষার্থী বলেন, ‘সাময়িক না; আমি চাই তাঁদের স্থায়ী বহিষ্কার করা হোক। মামলার বিষয়ে আমি ফ্যামিলির সঙ্গে কথা বলছি। মামলা তো আমি করবই। যেহেতু আমি দোষী না, তাই আমি তো মামলা করবই।’
হাইকোর্টের নির্দেশকে স্বাগত জানিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ তানজীম উদ্দীন খান গণমাধ্যমে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘ছাত্রী নির্যাতনের ঘটনায় হাইকোর্টকে হস্তক্ষেপ করতে হলো। যেখানে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের দায়িত্ব হচ্ছে শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা দেওয়া, সেই জায়গায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের জন্য একটা অনন্য নজির তৈরি হলো। প্রশাসন যে ব্যর্থ এটা আমরা এত দিন মুখে বলে আসছি। কিন্তু হাইকোর্টের হস্তক্ষেপের মধ্য দিয়ে এটা প্রমাণিত হলো, আসলেই বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ব্যর্থ।’
সার্বিক বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের রুটিন উপাচার্যের দায়িত্বে থাকা উপউপাচার্য অধ্যাপক ড. মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘উপাচার্য ছুটিতে থাকায় ছাত্রী নির্যাতনের ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন খামবন্দী অবস্থায় আছে। তিনি না ফেরা পর্যন্ত প্রতিবেদনটি সিলগালা অবস্থায় থাকবে। তিনি এলে এ বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’
অধ্যাপক ড. মাহবুবুর রহমান আরও বলেন, ‘হাইকোর্ট থেকে যেসব নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে, আমরা এরই মধ্যে তা পালন করেছি। আগামী শনিবার দুপুর ১২টায় শৃঙ্খলা কমিটি মিটিং ডেকেছে। ওই কমিটির প্রধান হচ্ছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য। তাই আমরা চাইলেও সিদ্ধান্ত নিতে পারি না। সবকিছু পর্যালোচনা করে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিধিবিধান মোতাবেক সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’
উল্লেখ্য, গত ১২ ফেব্রুয়ারি ইসলামী বিশ্ববিদ্যায়ের দেশরত্ন শেখ হাসিনা হলের গণরুমে নবীন এক ছাত্রীকে রাতভর আটকে রেখে নির্যাতন করা হয়। ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী জানিয়েছেন, ছাত্রলীগের নেত্রী সানজিদা চৌধুরী অন্তরার নেতৃত্বে তাঁর অনুসারীরা সেদিন তাঁকে বিবস্ত্র করে ভিডিও ধারণ, গালাগাল এবং এ ঘটনা কাউকে জানালে মেরে ফেলার হুমকি দেন। এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে লিখিত অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী। বিষয়টি নিয়ে হল প্রশাসন, ছাত্রলীগ, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এবং বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটি ঘটনার সত্যতা পায়।
আরও পড়ুন:
কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) হলে ছাত্রী নির্যাতনের ঘটনায় হাইকোর্ট নড়েচড়ে বসলেও এখন পর্যন্ত কোনো ব্যবস্থা নেয়নি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এ ঘটনার সত্যতা পেয়ে গত রোববার (২৬ ফেব্রুয়ারি) সকালে তদন্ত কমিটি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে সিলগালা তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়। এ ঘটনার পাঁচ দিন পেরিয়ে গেলেও আজ বৃহস্পতিবার পর্যন্ত প্রতিবেদনটি সিলগালা অবস্থায় পড়ে আছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে।
এদিকে নিয়োগ বাণিজ্যের অডিও ফাঁস হওয়ার পর গত ২৩ ফেব্রুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ আবদুস সালাম ছুটিতে যান। তিনি না থাকায় খামবন্দী প্রতিবেদনটি ওই অবস্থায় পড়ে রয়েছে।
এ বিষয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে একাধিক শিক্ষার্থী বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্যের অনুপস্থিতিতে উপ-উপাচার্যকে রুটিন দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তিনি চাইলেই উপাচার্যের সঙ্গে যোগাযোগ করে ব্যবস্থা নিতে পারেন। এ ঘটনায় তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেওয়া উচিত ছিল। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এখন পর্যন্ত ব্যর্থ।
এর আগে একই ঘটনায় অভিযোগের সত্যতা পেয়ে অভিযুক্তদের স্থায়ীভাবে সিট বাতিল করে হল কর্তৃপক্ষ। হাইকোর্টও এ ঘটনায় সাময়িক বহিষ্কারের কথা বলেছেন এবং আরও কয়েকটি নির্দেশ দিয়েছেন।
হাইকোর্টের আদেশের প্রতিক্রিয়ায় ভুক্তভোগী ওই শিক্ষার্থী বলেন, ‘সাময়িক না; আমি চাই তাঁদের স্থায়ী বহিষ্কার করা হোক। মামলার বিষয়ে আমি ফ্যামিলির সঙ্গে কথা বলছি। মামলা তো আমি করবই। যেহেতু আমি দোষী না, তাই আমি তো মামলা করবই।’
হাইকোর্টের নির্দেশকে স্বাগত জানিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ তানজীম উদ্দীন খান গণমাধ্যমে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘ছাত্রী নির্যাতনের ঘটনায় হাইকোর্টকে হস্তক্ষেপ করতে হলো। যেখানে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের দায়িত্ব হচ্ছে শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা দেওয়া, সেই জায়গায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের জন্য একটা অনন্য নজির তৈরি হলো। প্রশাসন যে ব্যর্থ এটা আমরা এত দিন মুখে বলে আসছি। কিন্তু হাইকোর্টের হস্তক্ষেপের মধ্য দিয়ে এটা প্রমাণিত হলো, আসলেই বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ব্যর্থ।’
সার্বিক বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের রুটিন উপাচার্যের দায়িত্বে থাকা উপউপাচার্য অধ্যাপক ড. মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘উপাচার্য ছুটিতে থাকায় ছাত্রী নির্যাতনের ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন খামবন্দী অবস্থায় আছে। তিনি না ফেরা পর্যন্ত প্রতিবেদনটি সিলগালা অবস্থায় থাকবে। তিনি এলে এ বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’
অধ্যাপক ড. মাহবুবুর রহমান আরও বলেন, ‘হাইকোর্ট থেকে যেসব নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে, আমরা এরই মধ্যে তা পালন করেছি। আগামী শনিবার দুপুর ১২টায় শৃঙ্খলা কমিটি মিটিং ডেকেছে। ওই কমিটির প্রধান হচ্ছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য। তাই আমরা চাইলেও সিদ্ধান্ত নিতে পারি না। সবকিছু পর্যালোচনা করে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিধিবিধান মোতাবেক সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’
উল্লেখ্য, গত ১২ ফেব্রুয়ারি ইসলামী বিশ্ববিদ্যায়ের দেশরত্ন শেখ হাসিনা হলের গণরুমে নবীন এক ছাত্রীকে রাতভর আটকে রেখে নির্যাতন করা হয়। ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী জানিয়েছেন, ছাত্রলীগের নেত্রী সানজিদা চৌধুরী অন্তরার নেতৃত্বে তাঁর অনুসারীরা সেদিন তাঁকে বিবস্ত্র করে ভিডিও ধারণ, গালাগাল এবং এ ঘটনা কাউকে জানালে মেরে ফেলার হুমকি দেন। এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে লিখিত অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী। বিষয়টি নিয়ে হল প্রশাসন, ছাত্রলীগ, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এবং বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটি ঘটনার সত্যতা পায়।
আরও পড়ুন:
পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নতুন ভবন নির্মাণে ২০১৪ সালে প্রকল্প অনুমোদন দিয়েছিল জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক)। প্রকল্পটির এক দশকে অর্থ বরাদ্দ ৫৪৬ কোটি টাকা থেকে বেড়ে ৬৫১ কোটি টাকায় দাঁড়িয়েছে। শেষ হয়েছে বর্ধিত মেয়াদও। তবু কাজ শেষ হয়নি। এতে কাঙ্ক্ষিত সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে জেলা
২ ঘণ্টা আগেটানা বৃষ্টিপাত ও উজানের ঢলে উত্তরের নদ-নদীর পানি বেড়েছে; বিশেষ করে তিস্তা নদীর পানি বিভিন্ন পয়েন্টে বিপৎসীমা অতিক্রম করায় রংপুর বিভাগের অন্তত চার জেলায় বন্যা পরিস্থিতির আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। কুড়িগ্রাম, লালমনিরহাট ও নীলফামারীর নদীতীরবর্তী নিম্নাঞ্চল এরই মধ্যে প্লাবিত হতে শুরু করেছে। পানি উন্নয়ন বোর্ড
২ ঘণ্টা আগেরাজশাহী শহরের অর্ধেকের বেশি তরুণ মানসিকভাবে ভালো নেই। বিষণ্নতায় ভুগছেন তাঁরা। গবেষকেরা বলছেন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের অতিরিক্ত ব্যবহারের কারণে এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।
২ ঘণ্টা আগেরংপুরের কাউনিয়ায় সারের নতুন দোকান উদ্বোধনকালে বিদ্যুতায়িত হয়ে দুজন মারা গেছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও পাঁচজন। এর মধ্যে দুজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে।
৫ ঘণ্টা আগে