Ajker Patrika

গাংনীর একমাত্র মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রটি সচলের দাবি

গাংনী (মেহেরপুর) প্রতিনিধি
আপডেট : ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১৪: ৩৫
Thumbnail image

মেহেরপুরের গাংনীর মোহাম্মদপুর-চরগোয়াল গ্রামের মরা নদীতে ৩০ বছর আগে স্থাপন করা হয় মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র। একসময় জেলে, শ্রমিক, মাছ ব্যবসায়ীদের পদচারণায় জমজমাট ছিল এই কেন্দ্র। ধীরে ধীরে নদী থেকে পানি কমতে থাকা, জায়গা না বাড়ানোসহ একাধিক করণে বন্ধ হয় যায় এটি। এমন অবস্থায় সংস্কার করে পুনরায় চালুর দাবি স্থানীয়দের। 

স্থানীয়রা জানান, উপজেলার অধিকাংশ জেলে, শ্রমিক ও মাছ ব্যবসায়ী প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে এই কেন্দ্রে মাছ অবতরণ, বেচাকেনা করতেন। দীর্ঘদিন ধরে নানা সমস্যায় জর্জরিত এই মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র বর্তমানে পরিত্যক্ত অবস্থায় রয়েছে। জরাজীর্ণ পন্টুন, মাছ ওঠানামার জেটি, পানিসংকটের পাশাপাশি মাছ রাখার পর্যাপ্ত জায়গা না থাকায় প্রতিদিনই অতিরিক্ত খরচ করে জেলার বাইরে মাছ বিক্রি করতে হচ্ছে সংশ্লিষ্টদের। ফলে অতিরিক্ত খরচ বাড়ার পাশাপাশি নানা ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। 

তাঁদের দাবি, এই মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র থেকে বিভিন্ন জেলার পাইকারি ব্যবসায়ীরা মাছ কিনতে আসতেন। এটি সংস্কার করে চালু করা হলে মাছচাষি ও ব্যবসায়ীরা লাভবান হবেন। 

স্থানীয় বাসিন্দা মো. শরিফুল ইসলাম বলেন, দীর্ঘদিন ধরে মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রটি পড়ে নষ্ট হচ্ছে। এটি সংস্কার করা জরুরি। 

মাছ ব্যবসায়ী মো. মনিরুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা পাশের জেলাগুলোতে মাছ বিক্রি করতে যাই। এই মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র আবার চালু হলে আমরা লাভবান হব।’ 

আরেক মাছ ব্যবসায়ী মো. কামাল উদ্দিন বলেন, ‘খাল-বিল ও পুকুর থেকে মাছ ধরে এনে এই মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে বেচাকেনা হতো। বর্তমানে পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছে। তাই দ্রুত চালুর দাবি জানাই।’ 

উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা খন্দকার মো. সহিদুর রহমান বলেন, ঝুঁকিপূর্ণ ভবন, জরাজীর্ণ পন্টুন ও পানির সংকটের পাশাপাশি মাছ রাখার পর্যাপ্ত জায়গা না থাকায় প্রতিদিনই অতিরিক্ত খরচ করে জেলার বাইরে মাছ বিক্রি করতে হচ্ছে। এ কারণে ভোগান্তি পোহাচ্ছেন জেলে, মৎস্য শ্রমিক ও ব্যবসায়ীরা। তাই সমস্যা সমাধান করে দ্রুত মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রটি চালুর চেষ্টা করা হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত