Ajker Patrika

মামলায় সহায়তা দিতে ‘শারীরিক সম্পর্কের প্রস্তাব দেন’ স্টেনোটাইপিস্ট ডালিম

কয়রা (খুলনা) প্রতিনিধি
আপডেট : ০৪ নভেম্বর ২০২২, ১৬: ৫৫
মামলায় সহায়তা দিতে ‘শারীরিক সম্পর্কের প্রস্তাব দেন’ স্টেনোটাইপিস্ট ডালিম

শারীরিক সম্পর্কের প্রস্তাবে রাজি হলে মামলার দায়িত্ব নেওয়া, জাবেদা নকল জামিনের ব্যবস্থার জন্য ঘুষ নেওয়াসহ নানা অভিযোগ উঠেছে কয়রা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের স্টেনোটাইপিস্ট এস কে ডালিম হোসেনের বিরুদ্ধে।

এ বিষয়ে গতকাল বৃহস্পতিবার কয়রা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক দেলোয়ার হোসেনের কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন রোকেয়া খাতুন নামে এক নারী। এই ব্যক্তির বিরুদ্ধে গত ১৪ সেপ্টেম্বর ও ২৭ অক্টোবর আরও দুই নারী খুলনা জেলা জজ আদালতের জজের কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।

লিখিত অভিযোগে বলা হয়, স্টেনোটাইপিস্ট ডালিম ঘুষ না দিলে কোনো কাজ করেন না। গত ১৯ অক্টোবর এক মামলায় অভিযোগ গঠনের দিন ধার্য থাকায় ওই দিন সকালে অভিযোগকারী নারী তাঁর সঙ্গে অফিসরুমে দেখা করতে গেলে ডালিম ১৫ হাজার টাকা ঘুষ ও শারীরিক সম্পর্কের প্রস্তাব দেন। তিনি বলেন, মেলামেশা করলে মামলার দায়-দায়িত্ব গ্রহণ করবেন।

আগের দুই অভিযোগের মধ্যে একটি হলো—কয়রা সহকারী জজ আদালতে মামলার আদেশ সবুর আলী গাজীর পক্ষে করিয়ে দেওয়ার জন্য ২০ হাজার টাকা ঘুষ নেন ডালিম। এ ছাড়া আরেকটি মামলার আসামিকে জামিন দিতে তাঁর স্ত্রীর কাছ থেকে ৫ হাজার টাকা ঘুষ নেন। জামিন করাতে না পারলে উক্ত টাকা ফেরত চাইলে ওই নারীকে জেলহাজতে পাঠানোর হুমকি দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে।

অভিযোগকারী মোছা রোকেয়া খাতুন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমি দীর্ঘদিন কয়রা উপজেলার অফিসারদের রান্নাবান্নার কাজ করি। সেই সুবাদে স্টোনো ডালিমকে চিনি। আমার ফুপাতো ভাই মাসুদ সানার বিরুদ্ধে কয়রা কোর্টে একটি মামলা চলমান। গত ১৯ অক্টোবর ওই মামলার চার্জ গঠনের দিন ছিল। ওই দিন সকালে তাঁর অফিসে ডেকে ১৫ হাজার টাকা ঘুষ ও শারীরিক মেলামেশার প্রস্তাব দেয় ডালিম।’

এ বিষয়ে ডালিমের মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, ‘আমার রুমের চাবি হারিয়ে গেছে। আমি ১০ মিনিট পরে আপনাকে ফোন ব্যাক করছি।’

কিন্তু এক ঘণ্টা পার হলেও তিনি আর ফোন করেননি। পরে তাঁকে আরও কয়েকবার ফোন দিলে তিনি রিসিভ করেননি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত