কোটচাঁদপুর (ঝিনাইদহ) প্রতিনিধি
জিন তাড়ানোর নামে এক পরিবারের কাছ থেকে লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে এহসান (৩৮) নামের এক কবিরাজের বিরুদ্ধে। টাকা ফেরত চেয়ে ও কবিরাজের বিচারের দাবিতে গতকাল মঙ্গলবার ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুর থানায় অভিযোগ করেছে ভুক্তভোগী পরিবার।
আজ বুধবার কোটচাঁদপুরের পারলাক গ্রামের বাসিন্দা রওশন আলী বলেন, ‘আমার মেয়ে প্রিয়া খাতুনকে (২২) পাশের মুরুটিয়া গ্রামে বিয়ে দিয়েছিলাম। বিয়ের কিছু দিন পর মেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়ে। শ্বশুরবাড়ির লোকজন দোষারোপ করে, মেয়ের ওপরে জিনের আসর আছে। ওই সময় মেয়ের শ্বশুর-শাশুড়ি জিন তাড়াতে কোটচাঁদপুরের পারলাট গ্রামের এহসান কবিরাজের কাছে যান। চুক্তি হয় জিন তাড়ানোর। যতবার নিয়ে যাওয়া হবে, ততবার কবিরাজকে ১০ হাজার টাকা দিতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘আমি সেই সময় থেকে মেয়ের সংসার টেকাতে ১০ হাজার টাকা করে দিয়ে আসছি। তারপরও সংসার টেকেনি আমার মেয়ের। ৬ মাস হলো তারা আমার মেয়েকে তালাক দিয়েছে। এরপরও আমি সরল বিশ্বাসে ওই কবিরাজের কাছে যাই মেয়েকে চিকিৎসা করাতে।’
রওশন আলী আরও বলেন, ‘আমি মেয়েকে ১০ থেকে ১২ বার দেখিয়েছি। সে অনুযায়ী ওই এহসান কবিরাজ আমার কাছ থেকে লক্ষাধিক টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। পরে জানতে পারলাম, সে ভণ্ড কবিরাজ। সে ভণ্ডামি করে অনেকের কাছ থেকে এমন অনেক টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। আমার যা কিছু ছিল, বিক্রি করে তাকে টাকা দিয়েছি মেয়ের চিকিৎসার জন্য। গতকাল মঙ্গলবার ওই টাকা ফেরত চেয়ে ও ভণ্ড কবিরাজের বিচারের দাবিতে কোটচাঁদপুর থানায় অভিযোগ করেছি।’
এহসান কোটচাঁদপুর পারলাট গ্রামের আব্দুল বারেকের ছেলে। তিনি ওই গ্রামের নূরানী মাদ্রাসায় শিক্ষকতা করেন বলে জানা গেছে। তাঁর সঙ্গে মোবাইলে যোগাযোগ করা হলে ফোন রিসিভ করেন তাঁর স্ত্রী। তিনি জানান, তাঁর স্বামী বাড়িতে নেই। ফোন রেখে গেছেন। তিনি বলেন, ‘কী সমস্যা আমাকে বলেন, হুজুর আসলে আমি উনাকে বলব।’
কোটচাঁদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কবির হোসেন মাতুব্বর বলেন, ‘এ ঘটনায় ভুক্তভোগী থানায় একটা অভিযোগ করেছেন। রোগী অসুস্থ থাকায় তাকে আমরা হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি হতে বলেছি। আর বিষয়টি নিয়ে তদন্ত শুরু হয়েছে। তদন্তে প্রমাণ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
জিন তাড়ানোর নামে এক পরিবারের কাছ থেকে লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে এহসান (৩৮) নামের এক কবিরাজের বিরুদ্ধে। টাকা ফেরত চেয়ে ও কবিরাজের বিচারের দাবিতে গতকাল মঙ্গলবার ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুর থানায় অভিযোগ করেছে ভুক্তভোগী পরিবার।
আজ বুধবার কোটচাঁদপুরের পারলাক গ্রামের বাসিন্দা রওশন আলী বলেন, ‘আমার মেয়ে প্রিয়া খাতুনকে (২২) পাশের মুরুটিয়া গ্রামে বিয়ে দিয়েছিলাম। বিয়ের কিছু দিন পর মেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়ে। শ্বশুরবাড়ির লোকজন দোষারোপ করে, মেয়ের ওপরে জিনের আসর আছে। ওই সময় মেয়ের শ্বশুর-শাশুড়ি জিন তাড়াতে কোটচাঁদপুরের পারলাট গ্রামের এহসান কবিরাজের কাছে যান। চুক্তি হয় জিন তাড়ানোর। যতবার নিয়ে যাওয়া হবে, ততবার কবিরাজকে ১০ হাজার টাকা দিতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘আমি সেই সময় থেকে মেয়ের সংসার টেকাতে ১০ হাজার টাকা করে দিয়ে আসছি। তারপরও সংসার টেকেনি আমার মেয়ের। ৬ মাস হলো তারা আমার মেয়েকে তালাক দিয়েছে। এরপরও আমি সরল বিশ্বাসে ওই কবিরাজের কাছে যাই মেয়েকে চিকিৎসা করাতে।’
রওশন আলী আরও বলেন, ‘আমি মেয়েকে ১০ থেকে ১২ বার দেখিয়েছি। সে অনুযায়ী ওই এহসান কবিরাজ আমার কাছ থেকে লক্ষাধিক টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। পরে জানতে পারলাম, সে ভণ্ড কবিরাজ। সে ভণ্ডামি করে অনেকের কাছ থেকে এমন অনেক টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। আমার যা কিছু ছিল, বিক্রি করে তাকে টাকা দিয়েছি মেয়ের চিকিৎসার জন্য। গতকাল মঙ্গলবার ওই টাকা ফেরত চেয়ে ও ভণ্ড কবিরাজের বিচারের দাবিতে কোটচাঁদপুর থানায় অভিযোগ করেছি।’
এহসান কোটচাঁদপুর পারলাট গ্রামের আব্দুল বারেকের ছেলে। তিনি ওই গ্রামের নূরানী মাদ্রাসায় শিক্ষকতা করেন বলে জানা গেছে। তাঁর সঙ্গে মোবাইলে যোগাযোগ করা হলে ফোন রিসিভ করেন তাঁর স্ত্রী। তিনি জানান, তাঁর স্বামী বাড়িতে নেই। ফোন রেখে গেছেন। তিনি বলেন, ‘কী সমস্যা আমাকে বলেন, হুজুর আসলে আমি উনাকে বলব।’
কোটচাঁদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কবির হোসেন মাতুব্বর বলেন, ‘এ ঘটনায় ভুক্তভোগী থানায় একটা অভিযোগ করেছেন। রোগী অসুস্থ থাকায় তাকে আমরা হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি হতে বলেছি। আর বিষয়টি নিয়ে তদন্ত শুরু হয়েছে। তদন্তে প্রমাণ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
রাজধানীর রামপুরা ব্রিজসংলগ্ন নড়াই খাল যেন মশার কারখানায় পরিণত হয়েছে। খালটির স্থির পানিতে সারা বছরই চোখে পড়ে মশার লার্ভা। নিকটবর্তী জিরানি খালেরও একই দশা। এতে খাল দুটি হয়ে উঠছে ডেঙ্গু, চিকুনগুনিয়া ও মশাবাহিত অন্যান্য রোগ বিস্তারের উৎস। মশার উৎপাতে অতিষ্ঠ এ দুটি খালসংলগ্ন বনশ্রী, আফতাবনগর ও নন্দীপাড়া
৩ ঘণ্টা আগেমৎস্য ও বন্য প্রাণীর প্রজনন, বংশ বৃদ্ধি ও বিচরণ কার্যক্রমের সুরক্ষার জন্য ১ জুন থেকে ৩১ আগস্ট পর্যন্ত টানা তিন মাস বনজীবীদের সুন্দরবনে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা চলছে। কিন্তু এই সময়ে থেমে নেই হরিণশিকারিরা। তাঁরা নানা কৌশলে বন থেকে হরিণ শিকার করে লোকালয়ে এনে মাংস বিক্রি করছেন চড়া দামে। চোরা শিকারিদের দৌরাত্ম
৩ ঘণ্টা আগেবগুড়ায় প্রতিবছর কমছে অর্থকরী ফসল পাট চাষ। গত চার বছরে জেলায় প্রায় সাড়ে ৩ হাজার হেক্টর জমিতে পাট চাষ কমেছে। কৃষকেরা বলছেন, খরচ বেশি আর দাম কম পাওয়ায় পাট চাষে তাঁদের আগ্রহ কমছে। অন্যদিকে কৃষি বিভাগ বলছে, উন্মুক্ত জলাশয় কমে যাওয়ার কারণে পাট জাগ দেওয়া প্রধান সমস্যা। যার কারণে পাট চাষ প্রতিবছর কমে
৩ ঘণ্টা আগেরাজধানী ঢাকায় বর্তমানে চলা প্রায় ২৫ হাজার সিএনজিচালিত অটোরিকশার মধ্যে অন্তত ৫ হাজার অবৈধ। বৈধ রেজিস্ট্রেশন, রুট পারমিটসহ দরকারি কাগজপত্র ছাড়াই এগুলো চলছে। ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষের (ডিটিসিএ) এক সাম্প্রতিক জরিপে এ তথ্য উঠে এসেছে। এই প্রেক্ষাপটে সম্প্রতি ডিটিসিএতে এক সভায় রাজধানীতে বৈধ সিএনজিচালি
৪ ঘণ্টা আগে